নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচনে হবে। আপনাদের কথা, মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হবে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে দাবি করে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। এদিকে একই দিন রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা বেলা ২টার আগ থেকে মিছিলসহ বুদ্ধিজীবী চত্বরে উপস্থিত হন। বেলা সাড়ে ৩টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০১ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে চান? সেটাই নিরপেক্ষ! তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যতই হাঁকডাক দেন—আমরা বেঁচে থাকতে এটা বাংলার মাটিতে আর ফিরে আসবে না। ওই তত্ত্বাবধায়কের দিন শেষ। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে। এটি বিএনপি নেতাদের মুখে ও গলাবাজিতেই থাকবে। বাস্তবতে তত্ত্বাবধায়ক কিছুই নেই। যে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, তারা এক দেশও বলে না যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। তাদের কেউ বলেনি সংসদ ভাঙতে হবে, শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সংবিধান নির্বাচনের বিধিবিধান ঠিক করে দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিছু বলে না। বলছে বিএনপি।’
বিদেশিরা বাংলাদেশকে পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু দেশের ক্ষমতায় কাউকে বসাতে পারে না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনা ও আমাদের সঙ্গে আছে। নালিশ করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণ না থাকায় বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।’
বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত আন্দোলন হচ্ছে, এখানে আন্দোলনে নেতা নেই, নির্বাচনেও নেই। কী করে হবে আন্দোলন? কী করে হবে নির্বাচন? নেতা ছাড়া নির্বাচন ও আন্দোলন হতে পারে না।’
আন্দোলনে সন্ত্রাস উপাদান যুক্ত করে শেখ হাসিনার সরকারকে বিএনপি হটাতে ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘আপনাদের এটাও প্রতিজ্ঞা আছে, নির্বাচন রুখে দেবেন। আমরাও প্রস্তুত। কে নির্বাচন রুখতে আসে আমরা দেখব।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকুন, প্রস্তুত হয়ে যান। সময়-সময়ে ডাক দেব।’
কাদের বলেন, ‘আদালতের নিষেধ আছে অনলাইনে দণ্ডিত আসামি বক্তৃতা করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত তারেক রহমান অনলাইনে কথা বলে যাচ্ছেন। আমরা এই বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ, এটা আইনের ভিত্তিতে সে অপরাধ করে যাচ্ছে। এ অপরাধের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছে মির্জা ফখরুল, চট্টগ্রামের আমীর খসরু মাহমুদ।’
উল্লেখ, দণ্ডিত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার জন্য ২০১৫ সালে হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তারেক রহমানের আসল লোক হচ্ছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করে কাদের বলেন, ‘ফখরুল আসলে এখনো বোঝেনি। সময় এলে বুঝবে। তারকের আসল লোক হচ্ছে আমীর খসরু। তার মাধ্যমে সব চক্রান্ত, অপকর্ম, নির্দেশনা আসে। টাকাপয়সার লেনদেনও আমীর খসরুর মাধ্যমে করছে। সরকার পতনে বিএনপির পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
‘আমীর খসরু আজ মিথ্যাচার করে পল্টনে বলেছে ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়নি। অথচ তিনি (ঋষি সুনাক) শেখ হাসিনাকে বলেছেন আপনাকে বহুদিন ধরে অনুসরণ করছি। আপনি অনুকরণ করার মতো ব্যক্তিত্ব। এই কথা বলার পরেও বলে বৈঠক নাকি হয়নি। কীভাবে বৈঠক হবে? ফখরুল আবার বলে ক্ষমতায় থাকতে দেনদরবার করার জন্য তিন দেশ সফর করছেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় একসময় ছিলেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন আপনাদের কপালে আর জুড়বে কি না জানি না।’
বিএনপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকালীন রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করেছে সেগুলো পড়ার জন্য বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যে প্রশংসা করে সম্মানিত করেছে, এতে তো আপনাদের অন্তর্জ্বালা হবেই। যাকে আপনারা ক্ষমতা থেকে হটাতে চান, বিদেশিরা কেন তার প্রশংসা করে।’
বিএনপি সমমনাদের ৫৪ দলীয় জোট সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘যে হাঁকডাক করেছেন, সেই ৫৪ দল কোথায় গেল? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নূরও চলে গেছে। রেজা কিবরিয়াও চলে গেছে। তারাও এই জোটকে পছন্দ করছে না। আর কত ভেতরে ভেতরে মান-অভিমান নিয়ে সরে যাচ্ছে। কাজে ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। আপনাদের ঐক্যজোটে আজকে বিষাদের ভাঙনের সানাই বাজছে। আপনাদের আন্দোলনের ভাঙা হাট থেকে যতই ডাকুন দেশের মানুষ সাড়ে দেবে না। দিতে পারে না।’

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচনে হবে। আপনাদের কথা, মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হবে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে দাবি করে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। এদিকে একই দিন রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে বলে জানা গেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা বেলা ২টার আগ থেকে মিছিলসহ বুদ্ধিজীবী চত্বরে উপস্থিত হন। বেলা সাড়ে ৩টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০১ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে চান? সেটাই নিরপেক্ষ! তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যতই হাঁকডাক দেন—আমরা বেঁচে থাকতে এটা বাংলার মাটিতে আর ফিরে আসবে না। ওই তত্ত্বাবধায়কের দিন শেষ। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে। এটি বিএনপি নেতাদের মুখে ও গলাবাজিতেই থাকবে। বাস্তবতে তত্ত্বাবধায়ক কিছুই নেই। যে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, তারা এক দেশও বলে না যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। তাদের কেউ বলেনি সংসদ ভাঙতে হবে, শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সংবিধান নির্বাচনের বিধিবিধান ঠিক করে দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিছু বলে না। বলছে বিএনপি।’
বিদেশিরা বাংলাদেশকে পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু দেশের ক্ষমতায় কাউকে বসাতে পারে না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনা ও আমাদের সঙ্গে আছে। নালিশ করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। জনগণ না থাকায় বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।’
বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত আন্দোলন হচ্ছে, এখানে আন্দোলনে নেতা নেই, নির্বাচনেও নেই। কী করে হবে আন্দোলন? কী করে হবে নির্বাচন? নেতা ছাড়া নির্বাচন ও আন্দোলন হতে পারে না।’
আন্দোলনে সন্ত্রাস উপাদান যুক্ত করে শেখ হাসিনার সরকারকে বিএনপি হটাতে ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘আপনাদের এটাও প্রতিজ্ঞা আছে, নির্বাচন রুখে দেবেন। আমরাও প্রস্তুত। কে নির্বাচন রুখতে আসে আমরা দেখব।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আপনারা তৈরি থাকুন, প্রস্তুত হয়ে যান। সময়-সময়ে ডাক দেব।’
কাদের বলেন, ‘আদালতের নিষেধ আছে অনলাইনে দণ্ডিত আসামি বক্তৃতা করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত তারেক রহমান অনলাইনে কথা বলে যাচ্ছেন। আমরা এই বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ, এটা আইনের ভিত্তিতে সে অপরাধ করে যাচ্ছে। এ অপরাধের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছে মির্জা ফখরুল, চট্টগ্রামের আমীর খসরু মাহমুদ।’
উল্লেখ, দণ্ডিত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার জন্য ২০১৫ সালে হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তারেক রহমানের আসল লোক হচ্ছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করে কাদের বলেন, ‘ফখরুল আসলে এখনো বোঝেনি। সময় এলে বুঝবে। তারকের আসল লোক হচ্ছে আমীর খসরু। তার মাধ্যমে সব চক্রান্ত, অপকর্ম, নির্দেশনা আসে। টাকাপয়সার লেনদেনও আমীর খসরুর মাধ্যমে করছে। সরকার পতনে বিএনপির পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
‘আমীর খসরু আজ মিথ্যাচার করে পল্টনে বলেছে ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়নি। অথচ তিনি (ঋষি সুনাক) শেখ হাসিনাকে বলেছেন আপনাকে বহুদিন ধরে অনুসরণ করছি। আপনি অনুকরণ করার মতো ব্যক্তিত্ব। এই কথা বলার পরেও বলে বৈঠক নাকি হয়নি। কীভাবে বৈঠক হবে? ফখরুল আবার বলে ক্ষমতায় থাকতে দেনদরবার করার জন্য তিন দেশ সফর করছেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় একসময় ছিলেন। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন আপনাদের কপালে আর জুড়বে কি না জানি না।’
বিএনপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকালীন রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করেছে সেগুলো পড়ার জন্য বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে যে প্রশংসা করে সম্মানিত করেছে, এতে তো আপনাদের অন্তর্জ্বালা হবেই। যাকে আপনারা ক্ষমতা থেকে হটাতে চান, বিদেশিরা কেন তার প্রশংসা করে।’
বিএনপি সমমনাদের ৫৪ দলীয় জোট সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘যে হাঁকডাক করেছেন, সেই ৫৪ দল কোথায় গেল? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নূরও চলে গেছে। রেজা কিবরিয়াও চলে গেছে। তারাও এই জোটকে পছন্দ করছে না। আর কত ভেতরে ভেতরে মান-অভিমান নিয়ে সরে যাচ্ছে। কাজে ফখরুল সাহেব, আমীর খসরু সাহেব বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। আপনাদের ঐক্যজোটে আজকে বিষাদের ভাঙনের সানাই বাজছে। আপনাদের আন্দোলনের ভাঙা হাট থেকে যতই ডাকুন দেশের মানুষ সাড়ে দেবে না। দিতে পারে না।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র...
২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এবং জিয়া উদ্যান এলাকা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদিত ছাড়া সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ বুধবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের উদ্দেশে বের করা হয় তাঁর মরদেহ। এরপর নেওয়া হয় গুলশানের তারেক রহমানের বাসায়। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ জানাজা ও দাফনের জন্য আনা হয় জাতীয় সংসদ ভবনে।

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টাগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সরকারের একজন প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী ও বিশেষ দূত ঢাকায় আসছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবন এবং জিয়া উদ্যান এলাকা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদিত ছাড়া সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ বুধবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের উদ্দেশে বের করা হয় তাঁর মরদেহ। এরপর নেওয়া হয় গুলশানের তারেক রহমানের বাসায়। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ জানাজা ও দাফনের জন্য আনা হয় জাতীয় সংসদ ভবনে।

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টাগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সরকারের একজন প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী ও বিশেষ দূত ঢাকায় আসছেন।

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচ
১৩ মে ২০২৩
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র...
২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র এবং একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে খালেদা জিয়ার প্রখর রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে ওঠার রোমাঞ্চকর ইতিহাস।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তবে পরবর্তী পূর্ণমেয়াদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপির ভেতরে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তৎকালীন নীতিনির্ধারকদের মতে, একদল খালেদা জিয়াকে সরাসরি রাজনীতিতে আনতে চাইলেও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদের প্ররোচনায় একটি পক্ষ বিচারপতি সাত্তারের মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এরশাদের আশঙ্কা ছিল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ থাকবে না।
এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এম এ মতিন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’ তৈরি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজও সাত্তারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন। এমনকি লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুদ্দোহাও এরশাদের প্ররোচনায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করার পরপরই শুরু হয় ধরপাকড়। তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা তানভীর আহমদ সিদ্দিকীসহ অনেককে জেলে পাঠানো হয়। এরশাদের শাসনামলে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য বারবার ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয়। এর ফলে ১৯৮৩ সালে শাহ আজিজ, ডা. এম এ মতিন এবং শামসুল হুদা চৌধুরীদের নিয়ে ‘বিএনপি (হুদা-মতিন)’ গ্রুপ গঠিত হয়, যারা মূলত এরশাদকে সমর্থন জোগাত।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জেনারেল এরশাদ দাবি করতে থাকেন যে প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর সরাসরি অংশীদারত্ব থাকতে হবে। এই অগণতান্ত্রিক দাবি বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ওয়াশিংটনে কর্মরত তৎকালীন কর্মকর্তা এম সাইদুজ্জামান ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে সরকারকে জানিয়েছিলেন, সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে সতর্ক করলেও ততক্ষণে পর্দার আড়ালে ক্ষমতা দখলের চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল।
বিএনপির এই চরম দুর্দিনে দল যখন অস্তিত্ব সংকটে, তখনই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুরোধে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেন। ১৯৮৭ সালে তাঁকে আটকের পরও আন্দোলন দমানো যায়নি। ধীরে ধীরে তিনি একজন দক্ষ বক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অথচ ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত লাজুক ছিলেন এবং এমনকি জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যেতেও সংকোচ বোধ করতেন। তাঁর এই আমূল পরিবর্তন এবং প্রখর স্মৃতিশক্তি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদেরও মুগ্ধ করেছিল।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে এরশাদ বিএনপিকে ১২৬টি আসন দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন। এই প্রস্তাব নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিতর্ক থাকলেও খালেদা জিয়া তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, স্বৈরশাসকের অধীনে কোনো সিট ভাগাভাগি বা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ঘোষণা করলেও পরদিনই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করে দেন বলে বিএনপি নেতাদের অভিমত।
দীর্ঘ ৯ বছরের লড়াইয়ের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পদত্যাগ এবং প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্রের সূর্য উদিত হয়।
তথ্যসূত্র: তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ বইয়ের ঐতিহাসিক নথি

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র এবং একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে খালেদা জিয়ার প্রখর রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে ওঠার রোমাঞ্চকর ইতিহাস।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তবে পরবর্তী পূর্ণমেয়াদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপির ভেতরে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তৎকালীন নীতিনির্ধারকদের মতে, একদল খালেদা জিয়াকে সরাসরি রাজনীতিতে আনতে চাইলেও তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদের প্ররোচনায় একটি পক্ষ বিচারপতি সাত্তারের মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এরশাদের আশঙ্কা ছিল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ নিরঙ্কুশ থাকবে না।
এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এম এ মতিন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে একটি ‘প্রেশার গ্রুপ’ তৈরি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজও সাত্তারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন। এমনকি লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুদ্দোহাও এরশাদের প্ররোচনায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করার পরপরই শুরু হয় ধরপাকড়। তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা তানভীর আহমদ সিদ্দিকীসহ অনেককে জেলে পাঠানো হয়। এরশাদের শাসনামলে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য বারবার ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয়। এর ফলে ১৯৮৩ সালে শাহ আজিজ, ডা. এম এ মতিন এবং শামসুল হুদা চৌধুরীদের নিয়ে ‘বিএনপি (হুদা-মতিন)’ গ্রুপ গঠিত হয়, যারা মূলত এরশাদকে সমর্থন জোগাত।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জেনারেল এরশাদ দাবি করতে থাকেন যে প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর সরাসরি অংশীদারত্ব থাকতে হবে। এই অগণতান্ত্রিক দাবি বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ওয়াশিংটনে কর্মরত তৎকালীন কর্মকর্তা এম সাইদুজ্জামান ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে সরকারকে জানিয়েছিলেন, সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে সতর্ক করলেও ততক্ষণে পর্দার আড়ালে ক্ষমতা দখলের চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল।
বিএনপির এই চরম দুর্দিনে দল যখন অস্তিত্ব সংকটে, তখনই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুরোধে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেন। ১৯৮৭ সালে তাঁকে আটকের পরও আন্দোলন দমানো যায়নি। ধীরে ধীরে তিনি একজন দক্ষ বক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অথচ ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত লাজুক ছিলেন এবং এমনকি জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যেতেও সংকোচ বোধ করতেন। তাঁর এই আমূল পরিবর্তন এবং প্রখর স্মৃতিশক্তি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদেরও মুগ্ধ করেছিল।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে এরশাদ বিএনপিকে ১২৬টি আসন দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন। এই প্রস্তাব নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিতর্ক থাকলেও খালেদা জিয়া তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, স্বৈরশাসকের অধীনে কোনো সিট ভাগাভাগি বা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ ঘোষণা করলেও পরদিনই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করে দেন বলে বিএনপি নেতাদের অভিমত।
দীর্ঘ ৯ বছরের লড়াইয়ের পর ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পদত্যাগ এবং প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্রের সূর্য উদিত হয়।
তথ্যসূত্র: তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ বইয়ের ঐতিহাসিক নথি

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচ
১৩ মে ২০২৩
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার কিছু পরে নেওয়া হয়েছে। এর পর বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে বলে জানা গেছে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সকল দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বিএনপির মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন।
দাফনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তি ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার কিছু পরে নেওয়া হয়েছে। এর পর বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে বলে জানা গেছে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সকল দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বিএনপির মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন।
দাফনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তি ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচ
১৩ মে ২০২৩
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র...
২ ঘণ্টা আগে
গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
এর আগে, আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহবাহী গাড়ি তারেক রহমানের বাসভবনে প্রবেশ করে। এর পাশেই খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের বাসভবন ফিরোজা।
এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে মরদেহ বাসার ভেতরে নেওয়া হলে স্বজনদের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় খালেদা জিয়ার মরদেহের পাশে বসে তাঁর সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোরআন তেলাওয়াত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং রেজা কিবরিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা। বাসার বাইরে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার চেষ্টা করেন অনেকে। এলাকা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

গুলশান থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের ৭৯ সড়কে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেক রহমানের বাসভবন থেকে বের হয় গাড়িবহর।
এর আগে, আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহবাহী গাড়ি তারেক রহমানের বাসভবনে প্রবেশ করে। এর পাশেই খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের বাসভবন ফিরোজা।
এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে মরদেহ বাসার ভেতরে নেওয়া হলে স্বজনদের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় খালেদা জিয়ার মরদেহের পাশে বসে তাঁর সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোরআন তেলাওয়াত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং রেজা কিবরিয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা। বাসার বাইরে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার চেষ্টা করেন অনেকে। এলাকা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

সেইফ এক্সিট চাইলে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার বিএনপির প্রস্তাবের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদেরও আমরা বলছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে সেইফ এক্সিট কারা নেবে, সেটা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচ
১৩ মে ২০২৩
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। সম্প্রতি তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্মৃতিচারণা ও ডায়েরি থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই সময়ের ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্র...
২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সেখানে কেউ কাঁদছেন, কেউ মন খারাপ করে বসে আছেন। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে