নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।’
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি-জামাতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা ইতিহাসের ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে।’
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি মর্মে মন্তব্য করেছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।
তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ও বিএনপি-জামায়াত যে কোনো প্রকারে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ সব সন্ত্রাসী ঘটনার মদদদাতা, অর্থের জোগান দাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং এ দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের জীবনের বিনিময়ে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
কাদের বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকারের পদত্যাগের দাবি করে শুধুমাত্র সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন কেবল জন রায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার করছে। সকল উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম ধারণ করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।’
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি-জামাতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা ইতিহাসের ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে।’
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি মর্মে মন্তব্য করেছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।
তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ও বিএনপি-জামায়াত যে কোনো প্রকারে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ সব সন্ত্রাসী ঘটনার মদদদাতা, অর্থের জোগান দাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং এ দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের জীবনের বিনিময়ে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
কাদের বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকারের পদত্যাগের দাবি করে শুধুমাত্র সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন কেবল জন রায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার করছে। সকল উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম ধারণ করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে
৪ ঘণ্টা আগে
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৭ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৮ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে বিমানের টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি বেশির ভাগের পক্ষে। এরই মধ্যে এ রুটের নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্লাইটের সব শ্রেণির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ঢাকাগামী দুটি ফ্লাইটের সব শ্রেণির টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তারেক রহমান বিমানের ফ্লাইটেই ২৪ ডিসেম্বর দেশের পথে রওনা হবেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১২ ডিসেম্বর বলেন, তারেক রহমান ঢাকা পৌঁছবেন ২৫ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর থেকে বড়দিন ও সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে তিন দিন ছুটি। জনগণের ভোগান্তি এড়ানোর জন্যই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সফরের জন্য এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফখরুল।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রতিবছরই লন্ডন-ঢাকা রুটে টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। বড়দিনের ছুটিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে আসেন। চলতি বছরও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে আগেভাগেই ডিসেম্বরের শেষ দিকের ফ্লাইটগুলোর অধিকাংশ টিকিট বুকিং হয়ে যায়।
বিএনপির একাধিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ২০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে লন্ডনে যাবেন। এরপর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান এবং তাঁদের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরে তাঁদের সঙ্গে ঢাকা থেকে যাওয়া দুজন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য থাকার কথা রয়েছে। তবে তাঁরা সাদাপোশাকে থাকবেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে লন্ডন ত্যাগ করবেন। বাংলাদেশ বিমানের এদিনের ফ্লাইটটি হবে ড্রিমলাইনার বিমান দিয়ে। এ ফ্লাইটের আসনসংখ্যা—২৪৭টি ইকোনমি, ৩০টি বিজনেস ক্লাস এবং ২১টি প্রিমিয়াম ইকোনমি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফ্লাইটটির সব আসনের টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে।
সূত্র আরও জানায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা আসার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকিট কাটতে প্রবাসী নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা জানান, অনেকে যে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে, তার জন্যই বুকিং দিচ্ছেন। বাংলাদেশ বিমানের টিকিট না পেয়ে কেউ কেউ এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ কিংবা সৌদিয়ার টিকিট কিনছেন। সবার লক্ষ্য, ২৫ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরা উপলক্ষে তাঁর বাসভবন ও কার্যালয়ের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তারব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। তখন থেকে সে দেশেই আছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে বিমানের টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়নি বেশির ভাগের পক্ষে। এরই মধ্যে এ রুটের নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্লাইটের সব শ্রেণির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ঢাকাগামী দুটি ফ্লাইটের সব শ্রেণির টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তারেক রহমান বিমানের ফ্লাইটেই ২৪ ডিসেম্বর দেশের পথে রওনা হবেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১২ ডিসেম্বর বলেন, তারেক রহমান ঢাকা পৌঁছবেন ২৫ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর থেকে বড়দিন ও সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে তিন দিন ছুটি। জনগণের ভোগান্তি এড়ানোর জন্যই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সফরের জন্য এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফখরুল।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রতিবছরই লন্ডন-ঢাকা রুটে টিকিটের চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। বড়দিনের ছুটিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে আসেন। চলতি বছরও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। ফলে আগেভাগেই ডিসেম্বরের শেষ দিকের ফ্লাইটগুলোর অধিকাংশ টিকিট বুকিং হয়ে যায়।
বিএনপির একাধিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ২০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে লন্ডনে যাবেন। এরপর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান এবং তাঁদের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরে তাঁদের সঙ্গে ঢাকা থেকে যাওয়া দুজন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য থাকার কথা রয়েছে। তবে তাঁরা সাদাপোশাকে থাকবেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে লন্ডন ত্যাগ করবেন। বাংলাদেশ বিমানের এদিনের ফ্লাইটটি হবে ড্রিমলাইনার বিমান দিয়ে। এ ফ্লাইটের আসনসংখ্যা—২৪৭টি ইকোনমি, ৩০টি বিজনেস ক্লাস এবং ২১টি প্রিমিয়াম ইকোনমি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফ্লাইটটির সব আসনের টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে।
সূত্র আরও জানায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা আসার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকিট কাটতে প্রবাসী নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা জানান, অনেকে যে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে, তার জন্যই বুকিং দিচ্ছেন। বাংলাদেশ বিমানের টিকিট না পেয়ে কেউ কেউ এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ কিংবা সৌদিয়ার টিকিট কিনছেন। সবার লক্ষ্য, ২৫ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরা উপলক্ষে তাঁর বাসভবন ও কার্যালয়ের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তারব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। তখন থেকে সে দেশেই আছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বির
২৯ জুলাই ২০২৪
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৭ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই–বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন বা স্থানীয় ঘটনা নয়। আগামীর বাংলাদেশে যদি কারও বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হয়, তবে সেই বিদ্রোহের আগুন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের অপচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় প্রভাব বিস্তারকারী সুবিধাবাদী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে অপসারণ করার দাবি জানান হাসনাত।

বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করে—সন্ত্রাসী, ভোট চোর—আমাদের দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যার চেষ্টা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাই–বোনদের মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন বা স্থানীয় ঘটনা নয়। আগামীর বাংলাদেশে যদি কারও বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সহিংসতা চালানো হয়, তবে সেই বিদ্রোহের আগুন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, ভারত বাংলাদেশকে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের অপচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় প্রভাব বিস্তারকারী সুবিধাবাদী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে অপসারণ করার দাবি জানান হাসনাত।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বির
২৯ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৭ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
‘একটি রাজনৈতিক দলকে’ বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য দায়ী করা হলেও তা ‘সঠিক ইতিহাস নয়’ নয় বলে তাঁর ভাষ্য। ওই রাজনৈতিক দলটি যাতে বর্তমান সরকারের কাছে ‘ইতিহাস সংশোধনের দাবি’ জানান, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
একই দিন রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের একই সুরে বিএনপি নেতা ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘আজকেও পত্রিকা পড়লাম। পত্রিকার পাতার সম্পাদকীয় কলাম ও বিভিন্ন জায়াগায় লিখেছে যে, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে আল-বদর, আল-শামস। আমাদের ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বিএনপিরে দোষারোপ করে (আপনারা) অনেক কথা বলেন। যখন আপনাদের দোষারোপ করে ইতিহাস লেখা হয়, আপনারা কেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না?’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর তো কোনো আল-বদর, আল-শামস আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন নাই। হত্যা করেছিল (তারা), যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হবে কি হবে না বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছিল। যারা দেশ স্বাধীন হতে দেবে কি দেবে না...! সেদিন পার্শ্ববর্তী কোনো এক দেশের লোকেরা পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ বেঁধেছিল, সেটাকে টার্গেট করে আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’
জামায়াতকে উদ্দেশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, ইসলামিক দলগুলো যাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন বাম সংগঠন, বাম-মনা সাংবাদিক এখনো আপনাদেরকে টার্গেট করে কথা বলেন, আর ইতিহাসের পাতায় আপনাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। কেন আপনারা এটা সংশোধন করেন না, কেন আপনারা দাবি জানান না? শুধু কোনো জায়গায় স্টেজে উঠলেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে (কথা) বলেন, কিন্তু কোনোটা প্রমাণ করতে পারেন না। অতএব রাজনৈতিক ইসলামিক দল, এখানে কাদেরকে বলছি, উনারা ভালো করে বুঝতেছেন।’
টিপু আরো বলেন, ‘ইতিহাসটাকে সঠিক করে তুলে ধরার জন্য আপনারা সরকারের কাছে দাবি জানান। আগামী প্রজন্মের কাছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন। অতএব ইতিহাস সঠিক যেন লেখা হয়, কারা হত্যা করেছে, সেটা যেন লেখা হয়।’
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
ওই সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জামায়াতের মহানগর কমিটির আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বিএনপি নেতা টিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী সরকারের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনার দাবি জানাই।’
এ সময় জামায়াত নেতাকে থামিয়ে দিয়ে টিপু বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা এর আগে স্বাধীনতার পর অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল...অতএব সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই আমি আহ্বান করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্যে কারও যদি গাত্রদাহ হয়, তাহলে আগামীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আপনারাও বিএনপির যাতে গাত্রদাহ না হয়, সেইদিকে খেয়াল করে বক্তব্য দেবেন।’
এ সময় আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির কথাও বলেন টিপু।
বক্তব্যের শেষ দিকে আবারও বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আবারও বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ডিসি সাহেবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস, বিজয় দিবসের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস যেন সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়। ৫ অগাস্ট হয়ে গেল, অনেকে অনেক কথা বলি, কিন্তু এখনো স্বাধীনতার ঘোষকের যে ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস, বুদ্ধিজীবীর ইতিহাস- এখনো কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় নাই।’
আগামী বছরেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস সংশোধনেরও দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, এনসিপির জেলা কমিটির সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি মো. নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তাৎক্ষণিক বিএনপি নেতা টিপুর বক্তব্য নিয়ে কেউ প্রতিবাদ বা বিরুদ্ধমত প্রকাশ না করলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
অথচ গতকাল তাঁর বিকালেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
‘একটি রাজনৈতিক দলকে’ বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য দায়ী করা হলেও তা ‘সঠিক ইতিহাস নয়’ নয় বলে তাঁর ভাষ্য। ওই রাজনৈতিক দলটি যাতে বর্তমান সরকারের কাছে ‘ইতিহাস সংশোধনের দাবি’ জানান, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
একই দিন রাজধানীর ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থিরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের একই সুরে বিএনপি নেতা ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘আজকেও পত্রিকা পড়লাম। পত্রিকার পাতার সম্পাদকীয় কলাম ও বিভিন্ন জায়াগায় লিখেছে যে, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে আল-বদর, আল-শামস। আমাদের ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতারা আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বিএনপিরে দোষারোপ করে (আপনারা) অনেক কথা বলেন। যখন আপনাদের দোষারোপ করে ইতিহাস লেখা হয়, আপনারা কেন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন না?’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর তো কোনো আল-বদর, আল-শামস আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন নাই। হত্যা করেছিল (তারা), যারা সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হবে কি হবে না বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছিল। যারা দেশ স্বাধীন হতে দেবে কি দেবে না...! সেদিন পার্শ্ববর্তী কোনো এক দেশের লোকেরা পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ বেঁধেছিল, সেটাকে টার্গেট করে আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।’
জামায়াতকে উদ্দেশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, ইসলামিক দলগুলো যাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন বাম সংগঠন, বাম-মনা সাংবাদিক এখনো আপনাদেরকে টার্গেট করে কথা বলেন, আর ইতিহাসের পাতায় আপনাদেরকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। কেন আপনারা এটা সংশোধন করেন না, কেন আপনারা দাবি জানান না? শুধু কোনো জায়গায় স্টেজে উঠলেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে (কথা) বলেন, কিন্তু কোনোটা প্রমাণ করতে পারেন না। অতএব রাজনৈতিক ইসলামিক দল, এখানে কাদেরকে বলছি, উনারা ভালো করে বুঝতেছেন।’
টিপু আরো বলেন, ‘ইতিহাসটাকে সঠিক করে তুলে ধরার জন্য আপনারা সরকারের কাছে দাবি জানান। আগামী প্রজন্মের কাছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন। অতএব ইতিহাস সঠিক যেন লেখা হয়, কারা হত্যা করেছে, সেটা যেন লেখা হয়।’
বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
ওই সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জামায়াতের মহানগর কমিটির আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বিএনপি নেতা টিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী সরকারের কাছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনার দাবি জানাই।’
এ সময় জামায়াত নেতাকে থামিয়ে দিয়ে টিপু বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর বা এর আগে স্বাধীনতার পর অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল...অতএব সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই আমি আহ্বান করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্যে কারও যদি গাত্রদাহ হয়, তাহলে আগামীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আপনারাও বিএনপির যাতে গাত্রদাহ না হয়, সেইদিকে খেয়াল করে বক্তব্য দেবেন।’
এ সময় আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধির কথাও বলেন টিপু।
বক্তব্যের শেষ দিকে আবারও বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আবারও বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ডিসি সাহেবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস, বিজয় দিবসের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস যেন সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়। ৫ অগাস্ট হয়ে গেল, অনেকে অনেক কথা বলি, কিন্তু এখনো স্বাধীনতার ঘোষকের যে ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস, বুদ্ধিজীবীর ইতিহাস- এখনো কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় নাই।’
আগামী বছরেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস সংশোধনেরও দাবি জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, এনসিপির জেলা কমিটির সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ এবং গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি মো. নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তাৎক্ষণিক বিএনপি নেতা টিপুর বক্তব্য নিয়ে কেউ প্রতিবাদ বা বিরুদ্ধমত প্রকাশ না করলেও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
অথচ গতকাল তাঁর বিকালেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা।
‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বির
২৯ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে
৪ ঘণ্টা আগে
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
৬ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বির
২৯ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ঘোষণাকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নেতার সঙ্গে একই দিনে দেশে ফেরার পরিকল্পনায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে লন্ডন থেকে ঢাকা আসার টিকিট কাটার উদ্যোগ নেন। তবে নির্ধারিত সময়ে এ রুটে
৪ ঘণ্টা আগে
বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছে, ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার জন্য ‘আল-বদর, আল-শামস’ দায়ী নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের লোকেরা তাঁদের হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
৭ ঘণ্টা আগে