Ajker Patrika

পছন্দ না হলেও সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে: মান্না

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ৪৫
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখন তো অন্য জায়গায় তাঁরা। আমাদের দেশে নির্বাচনে যেসব অপসংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

আজ শুক্রবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘“এ”-এর জায়গা “বি” দখল করবে এবং সে জায়গায় গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবার সময় এখন নয়। এখন সময় হচ্ছে, “এ” গেছে, তারপর সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে একটা উন্নত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সে রকম একটি সংস্কৃতি—দল ও দেশের জন্য গড়ে তুলব। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের লড়াইয়ে স্লোগান উঠে এসেছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। অর্থাৎ গুম, খুন, লুটতরাজ, ধর্ষণ, আয়নাঘর—এসব চলবে না। আমরা তার বদলে উৎকর্ষ কোনো জিনিস সেখানে প্রতিষ্ঠিত করব।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটিকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ এসেছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে, আমাদের পারতে হবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিজম আমরা কায়েম করতে দিতে পারি না। ফ্যাসিজম ফিরে আসে যখন জাতি ফ্যাসিজমের ইতিহাস ভুলে যায়। যে দেশ ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, সেখানে ফ্যাসিজম প্রতিরোধ করতে পেরেছে। ফ্যাসিজমবিরোধী আমরা যে ঐক্য গড়েছি, সেটা সাস্টেইনেবল করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের প্রশ্নেও ঐক্য থাকতে হবে।’

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম, তবে সেটা সংস্কার কমিশন নয়। বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করতে হবে। বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’

তিনি বলেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্র‍্যাকটিস থাকলে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না। বিএনপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এ কারণে বিএনপিতে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না।

এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ প্রত্যেকটা আন্দোলনে তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবার ১৫ বছরের সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে ছাত্ররা। তরুণদের নিয়েই আগামীর পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাই তারুণ্যনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘যে সংস্কারটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে, আমরা সেই সংস্কার চাই। সংস্কার প্রস্তাবনা যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো অনেক আগে থেকেই দিচ্ছে। ২০১৬ সালে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারেক রহমান কোটার সংস্কার চেয়ে কথা বলেছিলেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া—এসব বিষয়ে অনেক আগেই কথা বলেছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাসীন দল বলব না, আমরা বলব দেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।’

তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।’

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পিইউএসএবি) প্রতিনিধি তানজিল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ৯ বছর ধরে দেশের জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যখনই প্রয়োজন হয়েছে আন্দোলন করেছে। এবারের আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার জন্য নামেনি। কারণ, তাদের কোটা প্রয়োজন হয় না। আমরা নেমেছি শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবিতে। দাবি থাকবে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন। তাদের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিন।’

আদিবাসী প্রতিনিধি ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নিজেদের মতো করে রাখত, সংখ্যালঘুদের রক্ষাকারী দাবি করত। তাহলে গত ১৫ বছর কেন মন্দির রক্ষা করতে পারেনি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি? সুতরাং, তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও কাজ করেনি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’

ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক নাদিন শান্তা মুরশিদ বলেন, ‘হাসিনা খুনি না হলে হয়তো আমরা তাঁর পতন দেখতে পারতাম না। কিছু মানুষ মারা গেলে মর্যাদা বাড়ে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ তেমনই।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৪-এর আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ধরনের সংস্কার চায়, ছাত্রশিবিরও তা চায়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি হয় না। ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর এ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যারা তাদের কথা বলবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘শহীদের তালিকা এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাদের পরিবারগুলো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। চার মসে সরকারের অর্জন কতটুকু? এখনো সরকার তাদের নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করেনি। এটি বিভাজন তৈরি করছে। এখন যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন হলেও ছাত্রদল স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়। আমরা বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিই না। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তিক শব্দকে গত ১৫ বছর ধরে এত কলুষিত করেছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির নামে নিকৃষ্ট সব নজির তারা স্থাপন করেছিল। বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠনেরই মূল দল রয়েছে। বামধারার রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরও মূল দল রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ৩০০ জনকে বহিষ্কার করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব, তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সারজিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশে স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাঁকে স্বাগত জানাই।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।’

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে বিমান থেকে নামেন তারেক রহমান। এরপর ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৯
খালি পায়ে বাগানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন তারেক রহমান, হাতে নিলেন মাটি

বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই জুতা খুলে মাটিতে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করেছেন তারেক রহমান। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরের বাগানে তিনি খালি পায়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টা ৩১ মিনিটে জুতা-মোজা খুলে মাটিতে দাঁড়ান তারেক রহমান। এরপর ডান হাতে এক টুকরো মাটি তুলে নেন তিনি। এরপর জুতা পায়ে দিয়ে তাঁর জন্য নির্ধারিত বাসে উঠে পূর্বাচলে স্থাপিত সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে: আব্দুল কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন আব্দুল কাদের।

ফেসবুক পোস্টে আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘তারুণ্যের রাজনীতির কবর রচিত হতে যাচ্ছে। এনসিপি অবশেষে জামায়াতের সাথেই সরাসরি জোট বাঁধতেছে। সারাদেশে মানুষের, নেতাকর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটিকয়েক নেতার স্বার্থ হাসিল করতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। আর এরই মধ্য দিয়ে কার্যত এনসিপি জামায়াতের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’

আব্দুল কাদের আরও লিখেছেন, ‘জামাতের থেকে এনসিপি চেয়েছিল ৫০ আসন, দর কষাকষির সর্বশেষ পর্যায়ে সেটা ৩০ আসনে গিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী এনসিপি বাকি ২৭০ আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারবে না, সেগুলাতে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে এনসিপি। জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। সমঝোতার ৩০ আসনে কারা কারা চূড়ান্ত হবেন সেই দায়িত্ব জামায়াতের পক্ষ থেকে এনসিপির একজনকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি হচ্ছেন জামায়াতের অন্যতম আস্থাভাজন, নাসীরউদ্দিন পাটওয়ারী আর জামায়াতের দিক থেকে থাকবেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এই দুইজন মিলেই এনসিপির ৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। ছোটন গং-এর সাথে নাহিদ ইসলামের আরও এক ধাপ আগানো সমঝোতা হয়েছে। ছোটন গং জানিয়েছে, পশ্চিমারা প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে জামায়াতকে চায় না। সেই হিসেবে নির্বাচনে জিতলে নাহিদ ইসলাম হবেন প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে নাহিদ হবে বিরোধীদলীয় নেতা।’

সবশেষে এই জুলাই যোদ্ধা লিখেছেন, ‘এতো এতো তরুণ নিজের গোছানো ক্যারিয়ার, পরিবার পরিজন বাদ দিয়ে দেশের হাল ধরতে এসেছিল, একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল; নাহিদ ইসলামরা গতকাল রাতে গিয়ে সেই স্বপ্নকে মাটিচাপা দিয়ে এসেছেন!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এল জেবুও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এসেছে তাঁর পোষা বিড়াল জেবুও। তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে এক বিশেষ ধরনের খাঁচায় করে জেবুকে আনা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অফিশিয়াল ভেরিফায়েড পেজ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে জেবুর সঙ্গে খুনসুটি ও আদুরে মুহূর্তের ছবি একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে। এসব ছবি নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং প্রাণীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রশংসিত হয়।

তারেক রহমান নিজেও তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে জেবুর সঙ্গে কাটানো কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত শেয়ার করেছেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠে বিড়াল জেবু।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানান, বিড়ালটি মূলত তাঁর মেয়ের হলেও এখন পরিবারের সবারই প্রিয়। সে সাক্ষাৎকারেই তিনি পোষা বিড়ালটির নাম ‘জেবু’ বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও মানবিক দায়িত্বের বিষয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, তাই তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি সম্মান ও যত্ন নেওয়া মানুষের দায়িত্ব। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরা এবং তার সঙ্গে পোষা বিড়াল জেবুর আগমন—দুটিই সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রার আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত