Ajker Patrika

দুর্নীতির আরও এক মামলায় খালাস বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির আরও এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন।

দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ে বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা এ মামলার রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশারফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। এ কারণে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

খন্দকার মোশারফ হোসেনের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ের পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।

এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি রমনা থানায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় বলা হয়, খন্দকার মোশারফ হোসেন ১২ কোটি টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং তিন কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট অর্থ পাচার মামলায়, এরপর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলায়, গত ২৮ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জারার পর এনসিপিকে থেকে পদত্যাগ করলেন তাজনূভা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন। সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানসুভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

তাসনুভা লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে কজন এমপি বের হবে তাদেরকে কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে। কিয়েক্টাবস্থা।

যাই হোক, আমি আজকে পদত্যাগ করেছি এনসিপি থেকে। অত্যন্ত ভাঙ্গা মন নিয়ে জানাচ্ছি আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আজকেই আম্মু চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমার নির্বাচন করা উপলক্ষ‍্যে, আর আজকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি জানি অনেকে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন আমার এই সিদ্ধান্তে। কিন্তু এটাই আমার জন‍্য সঠিক। এখানে ন‍্যুনতম আশা থাকলে, আমি আমার আত্মসম্মানবোধকেও বোধ হয় ডাউট অফ বেনিফিট দিতাম।’

তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের পাঠানো ডোনেশন ফেরত দেব এক এক করে। আমাকে একটু সময় দেবেন। সেটার জন‍্য বিস্তারিত লিখে আপডেট দেব কিভাবে ধীরে ধীরে ফেরত দেব। প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত দেব। আপনাদের সমর্থন, আপনাদের ভালোবাসার জন‍্য আমি কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৫
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করবেন। আজ রোববার সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার দলের শীর্ষ নেতার পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল। তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঢাকা-১৭ আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে যে ৩টি বিএনপি ফাঁকা রেখেছিল, তার মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনও ছিল। গুলশান-বনানী, বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভোলা-১ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। তাঁর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ‘অত্যন্ত সংকটময় অবস্থা’ পার করছেন। আজ রোববার সকাল ৬টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেডিকেল টিমের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে ২৩ নভেম্বর বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তির পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে তিনি সিসিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত জটিল। এই সংকট উতরিয়ে যেতে পারলে হয়তো আমরা ভালো কিছু শুনতে পাব।’

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সস্ত্রীক হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ডা. জুবাইদা রহমানসহ তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। গত বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পর এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয়বার হাসপাতাল পরিদর্শন।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ডা. জাহিদ হোসেন জানান, চিকিৎসকেরা তাঁদের সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে চেষ্টা করছেন এবং ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে। তবে বর্তমানে তিনি ‘ফ্লাই’ করার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। চিকিৎসকেরা সবুজসংকেত দিলেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৯ নভেম্বর জানানো হয়েছিল, তিনি নতুন করে নিউমোনিয়া এবং ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০২৪ সালের জুনে তাঁর হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়েছিল এবং বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালে কারারুদ্ধ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় অসুস্থ অবস্থায় থাকা খালেদা জিয়াকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে সব দণ্ড থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ৮ বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ ইনকিলাব মঞ্চের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৪
শাহবাগে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আজ রোববার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর বেলা ২টা থেকে ঢাকাসহ আট বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের গতকাল শনিবার রাতে বলেন, ‘ওসমান হাদির খুনিদের জনতার সামনে না আনা পর্যন্ত, আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমরা আন্দোলন ছোট করব না, আন্দোলন আরও বড় করব।’

শনিবার রাতে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতো এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

শিশু আছিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আছিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গিয়েছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’

উপদেষ্টা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’

এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্‌ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এযাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই মামলা-সংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে, আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’

তথ্য উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের আশ্বাসের পর শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান বিক্ষোভকারীরা। আজ রোববার বেলা ২টা থেকে তাঁরা আবারও সেখানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত