আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বাচন ও করিডর নিয়ে সেনাপ্রধানের অবস্থান। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ। সাক্ষাৎ শেষে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন—এমন খবর পেয়েই তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন।
এই গুঞ্জনের পরপরই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। সব পক্ষ থেকে দেশের ‘সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করে ঐক্যের ডাক দেওয়া হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমের আহ্বানে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ পাঁচটি দলের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি অপসারণের দাবিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে
গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ‘বিতর্কিত উপদেষ্টা’কে সরানোর দাবি তুলেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা, যাদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম।’ তিনি বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে তাঁকেও অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। ১৪ মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। পরে সেই আন্দোলন এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রূপ নেয়। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তবে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি থেকে তিনি সরেননি।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন শীর্ষ নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা বিচার বিভাগে বিএনপির হস্তক্ষেপের অভিযোগও তুলেছেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে কর্মসূচিও পালন করেছেন।
উপদেষ্টাদের মন্তব্য ও আত্মপক্ষ সমর্থন
এই ডামাডোলের মধ্যেই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গতকাল ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, ‘বিএএল, নর্থ ও দিল্লি জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরকেই খাবে।’ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘নর্থ’ বলতে সাধারণত ক্যান্টনমেন্ট বোঝানো হয়। ‘বিএএল’ হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত রূপ। আসিফ আরও যোগ করেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর আর এদেশের মানুষের ভাগ্য কোনোটাই ইতিবাচক পথে যাবে না আরকি। স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধ হয় এদেশের ভাগ্য।’
অন্যদিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের যেকোনো বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড় দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য।’ তিনি অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে।’
অভ্যুত্থানের ঐক্য ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলে দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ডবিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।’ তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন।
গণ-অভ্যুত্থানের আরেক মুখ বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নাই। এই ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের দিকেই। খোলসটা ছিল একরকমভাবে। বর্তমানে খোলসটাও খুলে পড়ছে, তাই অনেকে অবাক হচ্ছে। সব পক্ষ যদি কিছুটা পরিপক্বতা দেখাত, শহীদদের জীবনের কথা ভেবে কিছুটা ছাড় দিত তাহলে অন্তত ইলেকশনের আগপর্যন্ত দেশটা স্ট্যাবল থাকত। দেশটা স্ট্যাবল না হতে দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের ফোর্স ভেতরে সক্রিয় আছে। আর জুলাই এর সকল লড়াকু শক্তিই ক্ষমতা প্রশ্নে অস্থির হয়ে গেছে। যেন গোটা দেশটাই একটা খেলামাত্র।’
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও টেবিলে ঐকমত্যের রাজনীতিই দেশকে একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উদ্ভূত পরিস্থিতির পুরো দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয়, তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বিষয়গুলো বিএনপির আগের প্রস্তাব ও পরামর্শের মতো উপেক্ষিত হলে অনিবার্যভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
বিএনপি মনে করছে, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী–সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে তারা। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা গেছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ঐক্যে ফাটল ধরলে তা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বাচন ও করিডর নিয়ে সেনাপ্রধানের অবস্থান। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ। সাক্ষাৎ শেষে নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন—এমন খবর পেয়েই তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন।
এই গুঞ্জনের পরপরই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। সব পক্ষ থেকে দেশের ‘সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করে ঐক্যের ডাক দেওয়া হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমের আহ্বানে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ পাঁচটি দলের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি অপসারণের দাবিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে
গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ‘বিতর্কিত উপদেষ্টা’কে সরানোর দাবি তুলেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা, যাদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম।’ তিনি বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে তাঁকেও অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। ১৪ মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। পরে সেই আন্দোলন এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রূপ নেয়। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করেছেন। তবে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি থেকে তিনি সরেননি।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন শীর্ষ নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা বিচার বিভাগে বিএনপির হস্তক্ষেপের অভিযোগও তুলেছেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে কর্মসূচিও পালন করেছেন।
উপদেষ্টাদের মন্তব্য ও আত্মপক্ষ সমর্থন
এই ডামাডোলের মধ্যেই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গতকাল ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, ‘বিএএল, নর্থ ও দিল্লি জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরকেই খাবে।’ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘নর্থ’ বলতে সাধারণত ক্যান্টনমেন্ট বোঝানো হয়। ‘বিএএল’ হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত রূপ। আসিফ আরও যোগ করেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর আর এদেশের মানুষের ভাগ্য কোনোটাই ইতিবাচক পথে যাবে না আরকি। স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধ হয় এদেশের ভাগ্য।’
অন্যদিকে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের যেকোনো বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড় দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য।’ তিনি অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে।’
অভ্যুত্থানের ঐক্য ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলে দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ডবিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।’ তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন।
গণ-অভ্যুত্থানের আরেক মুখ বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নাই। এই ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের দিকেই। খোলসটা ছিল একরকমভাবে। বর্তমানে খোলসটাও খুলে পড়ছে, তাই অনেকে অবাক হচ্ছে। সব পক্ষ যদি কিছুটা পরিপক্বতা দেখাত, শহীদদের জীবনের কথা ভেবে কিছুটা ছাড় দিত তাহলে অন্তত ইলেকশনের আগপর্যন্ত দেশটা স্ট্যাবল থাকত। দেশটা স্ট্যাবল না হতে দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের ফোর্স ভেতরে সক্রিয় আছে। আর জুলাই এর সকল লড়াকু শক্তিই ক্ষমতা প্রশ্নে অস্থির হয়ে গেছে। যেন গোটা দেশটাই একটা খেলামাত্র।’
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও টেবিলে ঐকমত্যের রাজনীতিই দেশকে একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উদ্ভূত পরিস্থিতির পুরো দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর দিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে জন–আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারের যা করণীয়, তা যথাসময়ে না করে চাপের মুখে করার সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই সরকারের সক্ষমতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং অন্যদেরও একই প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ের ন্যায্যতা প্রদান করেছে। এই অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই সরকারের।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বিষয়গুলো বিএনপির আগের প্রস্তাব ও পরামর্শের মতো উপেক্ষিত হলে অনিবার্যভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
বিএনপি মনে করছে, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী–সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে তারা। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা গেছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্ক অন্তর্বর্তী সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ঐক্যে ফাটল ধরলে তা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে
২৩ মে ২০২৫
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ছিলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল বিএনপি বা চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গতকাল দেশে ফেরেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যোগ দেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে। সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বাস এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় বিশ্রাম শেষে ডা. জুবাইদা রহমানও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার পাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারেক রহমান গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে ওই বাসে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বরে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সড়কের দুই পাশে সমবেত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, তারেক রহমান সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
তারেক রহমানদের বহনকারী বাস রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায়।

দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ছিলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল বিএনপি বা চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গতকাল দেশে ফেরেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যোগ দেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে। সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বাস এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় বিশ্রাম শেষে ডা. জুবাইদা রহমানও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার পাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারেক রহমান গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে ওই বাসে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বরে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সড়কের দুই পাশে সমবেত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, তারেক রহমান সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
তারেক রহমানদের বহনকারী বাস রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে
২৩ মে ২০২৫
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় জামায়াত এনসিপিকে ৩০টি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে, নাকি মিত্রতা শুধুই নির্বাচনী সমঝোতার পর্যায়ে থাকবে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। আলোচনা চলছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
দল দুটি যখন নির্বাচনে এক হয়ে লড়ার আলাপ করছে, তখন অসন্তোষের সুর বাজছে এনসিপির নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে।
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলেছেন, এনসিপিকে খুব বেশি আসনে ছাড় দিতে রাজি হয়নি বিএনপি। তা ছাড়া তারা গণভোট ও সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণভোটে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। অন্যদিকে সংস্কার ও গণভোট প্রশ্নে জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান একই।
এর বাইরে মূলত দুটি কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাচ্ছে এনসিপি। এর একটি হলো, প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান এবং অন্যটি নির্বাচনী তহবিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ফান্ডিং একটা বড় বিষয়। জামায়াত এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আর প্রশাসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সংসদে এনসিপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে, অন্য দলের সঙ্গেও চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি।’
তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার আলোচনার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে এনসিপি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। বুধবার রাতে এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত আটটায় শুরু হয় এই বৈঠক। চলে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। নির্বাহী কাউন্সিলের অর্ধশতাধিক সদস্যের মধ্যে ৩০-৩৫ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান, সেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে এনসিপি কী কী সুবিধা পাবে, কোন দল কোন কোন আসনে ছাড় দেবে, সার্বিক বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবকিছু বিবেচনা করে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে জামায়াতের বিপক্ষে থাকা বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ডা. তাজনূভা জাবীন, সামান্তা শারমিনের মতো নারী সদস্যরাও ওই বৈঠকে ছিলেন না। বৈঠকে থাকা অন্তত দুজন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান।
তবে অনেকেই শর্ত সাপেক্ষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে বলে মত দেন। তাঁরা বলেন, একাত্তরে জামায়াতের অবস্থানের জন্য ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা, অন্য দলের মধ্যে ঢুকে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করা—এসব শর্ত মেনে নিলে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতগুলো আসনে তারা ছাড় দেবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
তবে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সাবেক নেতা। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হক। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলেই মনে করি আমি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বিলুপ্ত হওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ফেসবুক পোস্টে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এনসিপি। তিনি দাবি করেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী হিসেবে আসনপ্রতি এনসিপিকে নির্বাচনী খরচ দেওয়া হবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া জামায়াত জিতলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধীদলীয় নেতা করা হবে এমন আলাপ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এনসিপির নেতৃত্বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গঠন হওয়া তিন দলের গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে চলছে ভাঙনের সুর। জোটের সদস্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের একমাত্র সূত্র ও শর্ত ছিল বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে বাংলাদেশের পন্থার রাজনীতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি। এই শর্তে একবার জোট গঠনের আলাপ স্থগিতও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই শর্ত নিশ্চিত করেই জোট তৈরি হয়। কাজেই জোটের কোনো সঙ্গী যদি বিএনপি বা জামায়াত বা উভয়ের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার বা জোটের সংলাপে যুক্ত হয়, তারা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে ভাবা হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে
২৩ মে ২০২৫
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
প্রত্যয়ী কণ্ঠে তারেক রহমান জানান, দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা আছে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে। কারামুক্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর প্রায় দেড় যুগ কেটে গেছে নির্বাসনে। মাতৃভূমি থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব নেন তিনি। দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ রাখেন দলকে।
প্রেক্ষাপট বদলে যায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষা শুরু হয়। অবশেষে সেদিন এলো গতকাল বৃহস্পতিবার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। বিমানবন্দর থেকেই জুবাইদা ও জাইমা চলে যান গুলশানের বাসা ফিরোজায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িবহর নিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করেন
তারেক রহমান। যেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের আশপাশের সড়ক ও পূর্বাচলে সমবেত হয়েছিলেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। লাল-সবুজে আবৃত বাসে করে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনাস্থলে যান তারেক রহমান। এতে ৭ কিলোমিটার দূরত্বের ওই পথ যেতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধন করে তারেক রহমান বলেন, ‘একাত্তর সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চান। তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ চান, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবেন।’
বিএনপির নেতা আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে, সবাই মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছেন, এ দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছেন; এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন।’
সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু, যেহোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ইনশা আল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারেন।’
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে; যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে; যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারেন। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যেকোনো বয়স, যেকোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকেন, এ হোক আমাদের চাওয়া।’
এ রকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদেরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারের হাতে শত শত, হাজারো মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪ সাল, মাত্র সেদিনের ঘটনা। আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।’
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির নিহতের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন।’
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ চব্বিশের আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদিসহ, একাত্তরে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, এ মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব; যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি’। সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিং... নামটি শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা? মার্টিন লুথার কিং, তাঁর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে।’
কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে, যেন এ দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপরে, গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে যেন এ দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে থাকা জাতীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী, আজ আপনি যদি আমাদেরকে রহমত দেন, তাহলে আমরা এ দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব।’
মহানবীর (সা.) আদর্শে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, ইনশা আল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাব। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এ দেশের মাটি, এ দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি চাইব, আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন।’
বক্তৃতার শেষ প্রান্তে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্লোগান ধরেন, ‘আসুন প্রিয় ভাই-বোনেরা, সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।’
সাড়ে ১৬ মিনিটের বক্তৃতার পরও যেন শেষ হলো না তারেক রহমানের কথা। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় নিতে নিতে আবার ফিরে আসেন মাইকের কাছে। নিজের পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, উই হ্যাভ এ প্ল্যান। উই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশা আল্লাহ আমরা সে প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম), এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা, ক্ষণে ক্ষণে অনিশ্চয়তা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতা-কর্মীদের জনসমুদ্রে তিনি ঘোষণা দিলেন, দেশ গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই মিলে গড়তে হবে, সবার জন্য নিরাপদ দেশ।
প্রত্যয়ী কণ্ঠে তারেক রহমান জানান, দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের জন্য তাঁর একটি পরিকল্পনা আছে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে। কারামুক্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান তিনি। এরপর প্রায় দেড় যুগ কেটে গেছে নির্বাসনে। মাতৃভূমি থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। মা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব নেন তিনি। দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ রাখেন দলকে।
প্রেক্ষাপট বদলে যায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষা শুরু হয়। অবশেষে সেদিন এলো গতকাল বৃহস্পতিবার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। বিমানবন্দর থেকেই জুবাইদা ও জাইমা চলে যান গুলশানের বাসা ফিরোজায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িবহর নিয়ে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করেন
তারেক রহমান। যেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের আশপাশের সড়ক ও পূর্বাচলে সমবেত হয়েছিলেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। লাল-সবুজে আবৃত বাসে করে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনাস্থলে যান তারেক রহমান। এতে ৭ কিলোমিটার দূরত্বের ওই পথ যেতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধন করে তারেক রহমান বলেন, ‘একাত্তর সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চান। তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ চান, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবেন।’
বিএনপির নেতা আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে, সবাই মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছেন, এ দেশে একইভাবে সমতলেরও মানুষ আছেন; এই দেশে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন।’
সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু, যেহোক না কেন, ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ইনশা আল্লাহ ঘরে আবার ফিরে আসতে পারেন।’
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা যে ধর্মের মানুষ হই, আমরা যে শ্রেণির মানুষ হই, যে রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হই, অথবা একজন নির্দলীয় ব্যক্তি হই, আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে; যেকোনো মূল্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলাকে পরিত্যাগ করতে হবে; যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারেন। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক, যেকোনো বয়স, যেকোনো শ্রেণি, যেকোনো পেশা, যেকোনো ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকেন, এ হোক আমাদের চাওয়া।’
এ রকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদেরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারের হাতে শত শত, হাজারো মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪ সাল, মাত্র সেদিনের ঘটনা। আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য।’
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির নিহতের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন।’
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আজ চব্বিশের আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদিসহ, একাত্তরে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে খুন-গুমের শিকার হয়েছেন, এ মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব; যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি’। সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, মার্টিন লুথার কিং... নামটি শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা? মার্টিন লুথার কিং, তাঁর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ এ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সবার সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ উপস্থিত আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে।’
কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচরেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখনো লিপ্ত রয়েছে। আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে, যেন এ দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপরে, গণতান্ত্রিক ভিত্তি, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে যেন এ দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি।’
মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে থাকা জাতীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, যেকোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর, শান্ত থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি, হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী, আজ আপনি যদি আমাদেরকে রহমত দেন, তাহলে আমরা এ দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব।’
মহানবীর (সা.) আদর্শে ন্যায়পরায়ণতার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আসুন, আজ আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, ইনশা আল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে আমরা দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এ সময় মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখান থেকে আমি আমার মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে যাব। এই একটি মানুষ, যে মানুষটি এ দেশের মাটি, এ দেশের মানুষকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসেছেন। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ সে সম্পর্কে অবগত আছেন। সন্তান হিসেবে আপনাদের কাছে আমি চাইব, আজ আল্লাহর দরবারে আপনারা দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ উনাকে তৌফিক দেন, উনি যেন সুস্থ হতে পারেন।’
বক্তৃতার শেষ প্রান্তে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্লোগান ধরেন, ‘আসুন প্রিয় ভাই-বোনেরা, সবাই মিলে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।’
সাড়ে ১৬ মিনিটের বক্তৃতার পরও যেন শেষ হলো না তারেক রহমানের কথা। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিদায় নিতে নিতে আবার ফিরে আসেন মাইকের কাছে। নিজের পরিকল্পনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, উই হ্যাভ এ প্ল্যান। উই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য কান্ট্রি। ইনশা আল্লাহ আমরা সে প্ল্যান বাস্তবায়ন করব।’
সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম), এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এখন চরমে। পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন খবর তোলপাড় তুলেছে। এই গুঞ্জন এমন এক সময়ে উঠল, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ অপসারণের দাবিতে
২৩ মে ২০২৫
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত কয়েক দিনে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতার রূপরেখা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে