নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর ধারাবাহিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে এনসিপি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে এনসিপি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) আয়োজিত ‘জুলাই চিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দলটির তথ্যচিত্র প্রদর্শনের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণে দুজন আহত হন।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সেই মানুষ, যারা গুলিতে শহীদ হয়েছি, গুলিতে আহত হয়েছি, তবুও বুক চিতিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনকে এই দেশ থেকে উৎখাত করেছি।
‘বাংলাদেশের জনগণ যখন ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছে, তখন আমাদের তথ্যচিত্রের গাড়িতে হামলা করে এই পথকে রুদ্ধ করা যাবে না।’
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে চালানো হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আখতার হোসেন।
আখতার বলেন, ‘এত দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন হয়নি, চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হয়নি, মামলাগুলো কার্যকর হয়নি। যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, পরিকল্পনা করে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পেরেছে। এটা বরদাশতযোগ্য নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশাসনের ভেতরে থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, এই সরকার আন্দোলন-পরবর্তী সরকার। তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতর যাঁরা এখনও আওয়ামী দোসর হিসেবে রয়ে গেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।
ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল-সামাজিক সংগঠনের উদ্দেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাইয়ের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সবাইকে জুলাইকে কেন্দ্র করে সৃজনশীল কর্মসূচি নিতে হবে।
‘গণতন্ত্র ও মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে জুলাইয়ের লড়াই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
শাহবাগে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ মাসে চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেছে, শহীদদের কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে, আহতদের ওপর হামলা করেছে। ঢাকার বাইরে বিশেষ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় যারা সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের ওপর বারবার হামলা করা হয়েছে।
‘যেহেতু এনসিপি গঠিত হয়েছে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে, সেই লড়াইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আমাদের পথ রুদ্ধ করতে এই হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। যারা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে গুলি খেয়েছে, তারাই সেই ফ্যাসিস্ট খুনিকে দেশছাড়া করেছে। তাদের দমন করা এত সহজ নয়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদিন শিশির, এস এম সাইফ মুস্তাফিজ প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর ধারাবাহিক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে এনসিপি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে এনসিপি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) আয়োজিত ‘জুলাই চিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দলটির তথ্যচিত্র প্রদর্শনের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণে দুজন আহত হন।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সেই মানুষ, যারা গুলিতে শহীদ হয়েছি, গুলিতে আহত হয়েছি, তবুও বুক চিতিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনকে এই দেশ থেকে উৎখাত করেছি।
‘বাংলাদেশের জনগণ যখন ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছে, তখন আমাদের তথ্যচিত্রের গাড়িতে হামলা করে এই পথকে রুদ্ধ করা যাবে না।’
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে চালানো হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আখতার হোসেন।
আখতার বলেন, ‘এত দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন হয়নি, চার্জশিট (অভিযোগপত্র) হয়নি, মামলাগুলো কার্যকর হয়নি। যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, পরিকল্পনা করে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পেরেছে। এটা বরদাশতযোগ্য নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশাসনের ভেতরে থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, এই সরকার আন্দোলন-পরবর্তী সরকার। তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতর যাঁরা এখনও আওয়ামী দোসর হিসেবে রয়ে গেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া।
ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল-সামাজিক সংগঠনের উদ্দেশে আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাইয়ের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সবাইকে জুলাইকে কেন্দ্র করে সৃজনশীল কর্মসূচি নিতে হবে।
‘গণতন্ত্র ও মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে জুলাইয়ের লড়াই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
শাহবাগে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ মাসে চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শহীদ পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করেছে, শহীদদের কবরস্থানে হামলা চালিয়েছে, আহতদের ওপর হামলা করেছে। ঢাকার বাইরে বিশেষ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় যারা সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের ওপর বারবার হামলা করা হয়েছে।
‘যেহেতু এনসিপি গঠিত হয়েছে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে, সেই লড়াইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আমাদের পথ রুদ্ধ করতে এই হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। যারা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে গুলি খেয়েছে, তারাই সেই ফ্যাসিস্ট খুনিকে দেশছাড়া করেছে। তাদের দমন করা এত সহজ নয়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদিন শিশির, এস এম সাইফ মুস্তাফিজ প্রমুখ।
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বুধবার এই হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। এসব কর্মসূচির কারণে কোথাও
৮ ঘণ্টা আগে‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, গত বছরের জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে টালবাহানা চলছে। অপরাধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর সব কটি থানার সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসাইন বলেন, ‘গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের যে সন্ত্রাসীরা আছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামীকাল রাজধানীর সকল থানার স
১১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে সেখান থেকে বের হন। পরে তাঁরা সাঁজোয়া যানে করেই গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে পেরেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে