নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। ১০টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাতে যান বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আরও অনেক নেতা।
বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ফিরোজায় আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফুটপাতে দলের নেতা–কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে বিদায় জানান। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও নেতা–কর্মীদের চাপে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্য— অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন আছেন।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারও সঙ্গে আছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। বিমানবন্দরের ভিআইপি টারমাকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হয়। এই বিশেষ উড়োজাহাজে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স রয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার যন্ত্রপাতি, মেশিনারি ও ল্যাবরেটরিও রয়েছে এই বাহনে।
সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনযাত্রার পর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাঁচ মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন তিনি। প্রাথমিক পরিকল্পনায় তাঁর লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাড়ে সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন। লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
কারাবন্দি জীবনের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি মিললেও বিদেশে তাঁর চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই অনুমতির জন্য তাঁর দল আন্দোলন–সংগ্রাম করেও লাভ হয়নি। পরে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। এরপর তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। ১০টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাতে যান বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ আরও অনেক নেতা।
বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ফিরোজায় আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফুটপাতে দলের নেতা–কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাঁকে বিদায় জানান। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও নেতা–কর্মীদের চাপে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর মেডিকেল বোর্ডের ৬ সদস্য— অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন আছেন।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদারও সঙ্গে আছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘লন্ডন ক্লিনিক’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। বিমানবন্দরের ভিআইপি টারমাকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হয়। এই বিশেষ উড়োজাহাজে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স রয়েছেন। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার যন্ত্রপাতি, মেশিনারি ও ল্যাবরেটরিও রয়েছে এই বাহনে।
সবশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনযাত্রার পর আর কোনো বিদেশ সফরে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাঁচ মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন তিনি। প্রাথমিক পরিকল্পনায় তাঁর লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাড়ে সাত বছর আগে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন। লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
কারাবন্দি জীবনের পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি মিললেও বিদেশে তাঁর চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই অনুমতির জন্য তাঁর দল আন্দোলন–সংগ্রাম করেও লাভ হয়নি। পরে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়। এরপর তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রত্যেক জেলায় নেতা–কর্মীদের রাজনীতির প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ করে স্লোগান, বক্তৃতা, সভা সঞ্চালনা ইত্যাদি বিষয়ে নেতা–কর্মীদের ধারণা দেওয়ার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬০ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ২৭ জনকে বিভিন্ন বিভাগের সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের ৬০ জনের মধ্যে ৪৬ জন সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রাম অগ্রসর করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-জীবনের সংকট দূর করতে পারছে না। আগের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহাল রেখেই আরও ভ্যাট-ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তু
২১ ঘণ্টা আগেখালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি র
১ দিন আগে