Ajker Patrika

বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক আরও এক ভিসি ও প্রকল্প পরিচালক কে এম নূর-উন-নবীসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমান।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচজনের দেশত্যাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ১৮ জুন দুর্নীতির মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) উপেক্ষা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করেন।

এ ছাড়া ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন ছাড়া সম্পাদন করা হয়। ঠিকাদারের বিল থেকে কাটা নিরাপত্তা জামানতের অর্থ এফডিআর করে ব্যাংকে জমা রেখে তা লিয়েনে দিয়ে ঠিকাদারকে ব্যাংকঋণ নেওয়ার অনুমতি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারে আরও বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম টাকা দেওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও ‘আর্থিক সহায়তা’র অজুহাতে ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে অগ্রিম বিল দেওয়া হয়। তবে সেই বিল পরিশোধের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টির ছাড় করে দেওয়া হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এ ছাড়া প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নকশা বাতিল করে সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ দরপত্রে অস্বাভাবিক মূল্য প্রস্তাব (ফ্রন্ট লোডিং) থাকা সত্ত্বেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, ড. কলিমুল্লাহসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তকালীন দুদক জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করে বিদেশে চলে যেতে পারেন। তাঁরা বিদেশে চলে গেলে মামলা তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। এ কারণে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, দুদকের মামলায় ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে আজ মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজির মামলায় আত্মসমর্পণের পর কারাগারে নওরোজ সম্পাদক দুররানী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। ছবি: সংগৃহীত
নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম।

খোরশেদ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আদালত জামিন না দিয়ে শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উপজেলা বীজ অফিসে রাজিবুল ইসলামের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত ৭ নভেম্বর রাজিবুল ইসলামকে এক ব্যক্তি ফোন করে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন। জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে, তা সমাধান করে দেবেন বলে জানান তিনি। রাজিবুল ইসলাম সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, জামালপুরের সাইটের কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে হলে শামসুল হক দুররানীকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তাঁর ভাই এ এস এফ রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে আজ রোববার মামলাটি করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন মো. মাহবুব আলম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ খান মজলিশ, তাঁর ভাই ইমরান খান মজলিশ, গুলজার হোসাইন ও সৈয়দ সামিউল ওয়াদুদ ওরফে সামি ওয়াদুদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের কোম্পানি অ্যাভিয়েশন লিমিটেডে বাদী ও বিমানবাহিনীর সাবেক দুই ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন ও জাহিদুর রহমান চাকরি নিয়েছিলেন পাইলট হিসেবে। শেখ হাসিনার উপদেষ্টা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতেন হেলিকপ্টারে করে। কোম্পানিতে থাকাকালে পাইলট তিনজন বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন ঠিকই। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে কোম্পানি থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনজনের ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আসামিরা পরিশোধ না করায় প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে নিয়োগের মাধ্যমে ওই তিন পাইলটের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের প্রায় ২৪ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উল্লিখিত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন একটি সমন্বিত তদন্ত টিম গঠন করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির একজন পরিচালককে তদারক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। কমিশন আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান পরিচালনা করবে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তা না হলে দুর্নীতির একটি উৎস বন্ধ করলে দ্রুতই আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’। উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘দেশে যদি একটি অশুভ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তাহলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে তার সমাধান হবে না।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ভারতে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ হলেও আমাদের দেশে শুধু ঘুষ নেওয়াকে অপরাধ বলে মনে করা হয়, দেওয়াটাকে নয়।’

উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশেই নয়, চীন–ভিয়েতনামের মতো দেশেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উদারনীতিকরণের সফলতা মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর নির্ভর করে।’

জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বর্তমান সময়ের একটি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’

সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।’

আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।’

বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সে সময় (আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো কাজ করতে বললেই তা হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই কাজ হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।’

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যুব বেকারত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসবে।’

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত