Ajker Patrika

ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়েছে গ্রামে থাকা মশার প্রজাতিতেও

  • আক্রান্তের ৭৭ শতাংশই রাজধানীর বাইরে।
  • ২০২৩ সাল থেকে ঢাকার বাইরে রোগী বেশি।
  • গ্রামে মিলছে শহরের ডেঙ্গুবাহী প্রজাতির মশাও।
  • অভিযোজন সক্ষমতা বাড়ছে মশার।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, ০৯: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে। চলতি বছর দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণভাবে বাস করা অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশাও ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সেখানে বিস্তার ঘটেছে শহর থেকে যাওয়া এডিস ইজিপ্টাই মশার। এতে গ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি বেড়েছে। ডেঙ্গুবাহী মশার অভিযোজন সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কীটতত্ত্ববিদদের তথ্য অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির মশা বেশি থাকে। নগরের বাসিন্দারা ভাইরাসবাহী এই মশার মাধ্যমেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। আর গ্রামাঞ্চলে থাকে অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশা। বন ও ঝোপঝাড়ের মতো প্রাকৃতিক উৎসে এদের আবাস। এই দুই প্রজাতির মশার ডিম পাড়া তথা বংশ বিস্তারের স্থান আলাদা। কিন্তু গ্রামের মশাগুলোও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটি ছড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রামের মানুষের শহরে যাতায়াত এবং শহরের বিস্তারের কারণে গ্রামেও ইজিপ্টাই মশা দেখা যাচ্ছে। উভয় ধরনের মশার উপস্থিতির কারণে গ্রামাঞ্চলে এখন ডেঙ্গু রোগী বেশি।

চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে ৬ হাজার ৪৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ৩০ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীদের ২৩ শতাংশ রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছে। আর বাকি ৭৭ শতাংশই রাজধানীর বাইরে। এককভাবে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে বরিশাল বিভাগে। দক্ষিণাঞ্চলের এই বিভাগে এ পর্যন্ত রোগী ২ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে বরগুনায় ১ হাজার ৮৩২ ও বরিশাল জেলায় ৫৭৫ জন। রাজধানীতে ১৭ জন আর রাজধানীর বাইরে ১৩ জন মারা গেছে। শুধু বরিশাল বিভাগেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগের প্রাদুর্ভাব এখানে কেন বেশি তার সুনির্দিষ্ট কারণ আইইডিসিআর বলতে পারবে। আমাদের মনে হচ্ছে, জলবায়ুর পরিবর্তন একটা কারণ হতে পারে। এখানকার আর্দ্রতা, তাপমাত্রা মশার জন্য উপযোগী। লবণাক্ত পানিতেও মশা অভিযোজন করে নিচ্ছে। এ ছাড়া লোকজনের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বরগুনা ডায়রিয়াপ্রবণ এলাকা। মানুষ প্রচুর ডাবের পানি খায় এবং খোসাগুলো বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখে। হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীরাও মশারি ব্যবহার করতে চায় না। ফলে তাদের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে।’

সিভিল সার্জন কয়েক মাস ধরে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় মশকনিধন কার্যক্রম ভালোভাবে না চলার কথাও বলেন। তিনি বলেন, বরগুনার পয়োনালা ব্যবস্থা (ড্রেনেজ সিস্টেম) অপরিকল্পিত। মশা নির্মূলে ওষুধ ছিটালেও কিছু সময় পরে পরিস্থিতি আগের মতোই হয়ে যায়।’

সরকারের তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রথম রাজধানীর বাইরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী দেখা যায়। রাজধানীর বাইরেই বেশি রোগী দেখা যায় ২০২৩ সালে। ২০১৯ সালে মোট রোগীর ৪৯ শতাংশ ছিল রাজধানীর বাইরে। এর পর থেকে ২০২১ সালে ১৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ৩৭ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৬৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৬০ শতাংশ রোগী রাজধানীর বাইরে পাওয়া যায়।

সরকারের ডেঙ্গুবিষয়ক পরিসংখ্যান মূলত নির্ধারিত কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। এর বাইরে সারা দেশে বহু হাসপাতালে রোগী থাকলেও তাদের তথ্য নেওয়া হয় না। অনেকে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে থাকছে, কেউ কেউ মারাও যাচ্ছে, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের বাইরে থাকছে।

রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গুর বিস্তার সম্পর্কে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার আজকের পত্রিকাকে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এডিস ইজিপ্টাই ও অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। ইজিপ্টাই শহর এবং অ্যালবোপিকটাস গ্রামাঞ্চলের মশা। অ্যালবোপিকটাস মশা বন-জঙ্গল, বাঁশের ঝাড়, গাছের বাকলের মতো স্থানে থাকে। এ মশা আগে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। এখন তারাও ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীকে কামড় দিয়ে তারাও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে নগরে ডেঙ্গু ছড়ানো ইজিপ্টাই মশা যেকোনোভাবে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এখন দুই প্রজাতি মশাই সমান তালে ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। এ ছাড়া বিরূপ পরিবেশেও টিকে থাকার (অভিযোজন) সক্ষমতা তৈরি করছে এসব মশা।’

ড. গোলাম ছারোয়ারের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সঠিক ‘কন্ট্রাক ট্রেসিং’ (রোগী ও তার অবস্থান শনাক্ত করে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা) অতি জরুরি। কিন্তু এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে মশা নির্মূলের উদ্যোগ নেই। সে কারণে অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আক্রান্ত হয়ে এলেও রোগী যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, সে জায়গা তালিকায় থাকছে। এতে আক্রান্ত মশাকে আড়াল করে তাদের বংশ বিস্তারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ এবং সংক্রমণ কমাতে করণীয় সম্পর্কে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। আর হাসপাতালে ভর্তির বাইরেও প্রচুর রোগী রয়েছেন, যাঁদের শনাক্ত করা হচ্ছে না। সঠিক রেকর্ড রাখতে হবে। প্রতিরোধ কার্যক্রমের ঘাটতি এ রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিরোধের কাজটি স্থানীয় সরকার বিভাগের। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।’

স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ

এদিকে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। গত রোববার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সকল সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকা, বিশেষ করে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, বরিশাল, বরগুনাসহ যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে মশক নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং জলাবদ্ধতা নিরসন অতি জরুরি। চিঠিতে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমিটিগুলোর মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণেরও অনুরোধ জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত