হুসাইন আহমদ

‘ভাগ্য আব্দুল বারীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের হাজার হাজার মানুষের মতো তিনিও একটি ভুল করেছিলেন, মারাত্মক ভুল— পাকিস্তানি সেনা টহলের চোখে পড়েন তিনি। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪ বছর। তাকে ঘিরে ধরে পাকিস্তানি সশস্ত্র সেনারা, তিনি তখন ভয়ে কাঁপছিলেন— কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে হত্যা করা হবে।’
ভয়ার্ত ও লোমহর্ষক এই চিত্র তুলে ধরে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের একটি। এর মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ দমনের নামে সেনাবাহিনী যে নৃশংশ অভিযান চালাচ্ছিল, তার বাস্তব চিত্র প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়।
সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক। এর জন্য তাকে সবকিছু ফেলে সপরিবারে প্রাণ নিয়ে পাকিস্তান থেকে পালাতে হয়েছিল। সেই সাংবাদিক আর কেউ নন, তিনি অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।
‘জেনোসাইড’ নামে শুধু এক শব্দের বিশাল মাস্টহেডে প্রতিবেদনটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমসে প্রকাশিত হয়। তাতে প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের তথ্য উঠে আসে। কিন্তু সেই দমন-পীড়ন ব্যর্থ হয়। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
মাসকারেনহাসের প্রতিবেদন যে এই বিজয়ে গুরুত্ব ভূমিকা রেখেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তার প্রতিবেদনই বিশ্ববাসীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং ভারতকে সামরিক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে।
তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সানডে টাইমসের সম্পাদক হ্যারল্ড ইভান্সকে বলেছিলেন, ‘এই প্রতিবেদন আমাকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে, ভারত সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতির জন্য আমি ইউরোপ ও মস্কো সফরে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাতে বাধ্য হয়েছি।’
তবে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জন মাসকারেনহাসের মূল উদ্দেশ্য তা ছিল না। ইভান্স তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘তিনি (মাসকারেনহাস) কেবল একজন ভালো সাংবাদিক ছিলেন, যিনি সততার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।’ কিন্তু এর জন্য তাকে বড় আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে হয় তাকে।

একজন সাহসী সাংবাদিকের আত্মত্যাগ
১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরুর সময় পাকিস্তানের করাচির একজন সম্মানিত সাংবাদিক ছিলেন মাসকারেনহাস। সাংবাদিক হিসেবে শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। তিনি ছিলেন গোয়া বংশোদ্ভূত ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সদস্য। স্ত্রী ইভন মাসকারেনহাস ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের জীবন ছিল তাঁর।
কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন টিকেনি, ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শুরু হয় সঙ্কট। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে এবং পর্যায়ে আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে।
এই আন্দোলন দমাতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং এর প্রথম শিকার হয় জগন্নাথ হলের ছাত্র-শিক্ষকরা। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহনী গ্রামের দিকে হামলা চালাতে থাকে। তাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়।
শুরুর দিকে দমন-পীড়নের পরিকল্পনা সফল হবে বলে ধারণা করছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সরকারের এই ‘সাফল্যের গল্প’ তুলে ধরতে ৮ জন পাকিস্তানি সাংবাদিককে পূর্ব পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানায় সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। বাকিরা সবাই তাঁদের উদ্দেশ্য সাধন ধরলেও মাসকারেনহাস বেঁকে বসেছিলেন, সত্য প্রকাশের কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সত্য প্রকাশের ঝুঁকি
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফিরে করাচি গেলেন, তখন তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার স্ত্রী ইভন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি কখনোই তাকে এতটা হতাশ ও বিষণ্ণ দেখিনি। তিনি তখন বলছিলেন, তিনি প্রতিবেদন না লিখলে, তিনি আর কখনো কিছু লিখতে পারবেন না।’
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সেন্সরশিপ ছিল কঠোর। মাসকারেনহাস জানতেন, তিনি দেশে বসে এই প্রতিবেদন লিখলে তাকে হত্যা করা হবে। তাই তিনি বোনের অসুস্থতার অজুহাতে লন্ডনে চলে যান। সরাসরি সানডে টাইমসের সম্পাদকের কাছে গিয়ে সব খুলে বলেন।
সম্পাদক ইভান্স বলেন, ‘তাঁর কথা এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ছিল, যে তার বক্তব্য শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে পাকিস্তানি সেনারা সুপরিকল্পিত গণহত্যা চালাচ্ছিল, সেই বর্ণনা উঠে এসেছিল তাঁর কথায়।’ পাকিস্তানি সেনারা এটিকে ‘চূড়ান্ত সমাধান’ বলে অভিহিত করেছিল।
বিপদের মুখে যেভাবে সপরিবারে পালান
কিন্তু যুগান্তকারী এই প্রতিবেদন ছাপার আগে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য লন্ডনে থাকা নিশ্চিত করতে হয়েছিল মাসকারেনহাসকে। পরিকল্পনা ছিল, লন্ডন থেকে তিনি একটি টেলিগ্রাম পাঠালে স্ত্রী ও সন্তানরা করাচি থেকে পালাবেন। ওই টেলিগ্রাম বার্তার সংকেত ছিল, ‘অ্যানের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে’।
সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে তাঁর স্ত্রী ইভন বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে বার্তাটি পেলাম। আমি আমার সন্তানদের উঠিয়ে দিয়ে বললাম, ‘আমাদের এখনই লন্ডন যেতে হবে। আমরা তখন কাঁদছিলাম, যেন এক শোকযাত্রায় অংশ নিচ্ছি।
কিন্তু সন্দেহ থেকে বাঁচতে তার আগেই মাসকারেনহাসকে পাকিস্তানে ফিরতে হয়েছিল। পরে তিনি গোপনে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান ছাড়েন। লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৩ জুন সানডে টাইমসের প্রথম পাতায় ‘Genocide’ শিরোনামে তাঁর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের এই প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পাকিস্তান সরকার মাসকারেনহাসকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করে। তবে সাংবাদিক হিসেবে তাঁর সততা ও দক্ষতা অটুট ছিল। পাকিস্তান যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে সেখবর ১৯৭৯ সালে তিনিই প্রথম প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের বন্ধু মাসকারেনহাস
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এখনও মাসকারেনহাসের সেই প্রতিবেদন সংরক্ষিত আছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মোফিদুল হক বলেন, ‘এটি যুদ্ধকালীন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন। আমাদের দেশ যখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন, ঠিক তখনই এটি প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন বিশ্ববাসীকে আমাদের দুর্দশার কথা জানাতে সাহায্য করে।’
ইভন মাসকারেনহাস ও তাঁর সন্তানরা আস্তে আস্তে নতুন জীবনে অভ্যস্ত হন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘লন্ডনের মানুষ খুবই গম্ভীর ছিল। করাচিতে আমরা হাসিখুশি ছিলাম, কিন্তু এখানে সবাই ছিল নীরব। কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত নই।
(অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের যুগান্তকারী প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিবিসির নিবন্ধ থেকে অনূদিত)।

‘ভাগ্য আব্দুল বারীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানের হাজার হাজার মানুষের মতো তিনিও একটি ভুল করেছিলেন, মারাত্মক ভুল— পাকিস্তানি সেনা টহলের চোখে পড়েন তিনি। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪ বছর। তাকে ঘিরে ধরে পাকিস্তানি সশস্ত্র সেনারা, তিনি তখন ভয়ে কাঁপছিলেন— কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে হত্যা করা হবে।’
ভয়ার্ত ও লোমহর্ষক এই চিত্র তুলে ধরে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের একটি। এর মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ দমনের নামে সেনাবাহিনী যে নৃশংশ অভিযান চালাচ্ছিল, তার বাস্তব চিত্র প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়।
সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক। এর জন্য তাকে সবকিছু ফেলে সপরিবারে প্রাণ নিয়ে পাকিস্তান থেকে পালাতে হয়েছিল। সেই সাংবাদিক আর কেউ নন, তিনি অ্যান্থনি মাসকারেনহাস।
‘জেনোসাইড’ নামে শুধু এক শব্দের বিশাল মাস্টহেডে প্রতিবেদনটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমসে প্রকাশিত হয়। তাতে প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের তথ্য উঠে আসে। কিন্তু সেই দমন-পীড়ন ব্যর্থ হয়। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
মাসকারেনহাসের প্রতিবেদন যে এই বিজয়ে গুরুত্ব ভূমিকা রেখেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তার প্রতিবেদনই বিশ্ববাসীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং ভারতকে সামরিক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে।
তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সানডে টাইমসের সম্পাদক হ্যারল্ড ইভান্সকে বলেছিলেন, ‘এই প্রতিবেদন আমাকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে, ভারত সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতির জন্য আমি ইউরোপ ও মস্কো সফরে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাতে বাধ্য হয়েছি।’
তবে বাঙালিদের স্বাধীনতা অর্জন মাসকারেনহাসের মূল উদ্দেশ্য তা ছিল না। ইভান্স তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘তিনি (মাসকারেনহাস) কেবল একজন ভালো সাংবাদিক ছিলেন, যিনি সততার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।’ কিন্তু এর জন্য তাকে বড় আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে হয় তাকে।

একজন সাহসী সাংবাদিকের আত্মত্যাগ
১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরুর সময় পাকিস্তানের করাচির একজন সম্মানিত সাংবাদিক ছিলেন মাসকারেনহাস। সাংবাদিক হিসেবে শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। তিনি ছিলেন গোয়া বংশোদ্ভূত ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সদস্য। স্ত্রী ইভন মাসকারেনহাস ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের জীবন ছিল তাঁর।
কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন টিকেনি, ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শুরু হয় সঙ্কট। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে এবং পর্যায়ে আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে।
এই আন্দোলন দমাতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং এর প্রথম শিকার হয় জগন্নাথ হলের ছাত্র-শিক্ষকরা। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহনী গ্রামের দিকে হামলা চালাতে থাকে। তাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়।
শুরুর দিকে দমন-পীড়নের পরিকল্পনা সফল হবে বলে ধারণা করছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সরকারের এই ‘সাফল্যের গল্প’ তুলে ধরতে ৮ জন পাকিস্তানি সাংবাদিককে পূর্ব পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানায় সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। বাকিরা সবাই তাঁদের উদ্দেশ্য সাধন ধরলেও মাসকারেনহাস বেঁকে বসেছিলেন, সত্য প্রকাশের কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সত্য প্রকাশের ঝুঁকি
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ফিরে করাচি গেলেন, তখন তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার স্ত্রী ইভন বিবিসিকে বলেন, ‘আমি কখনোই তাকে এতটা হতাশ ও বিষণ্ণ দেখিনি। তিনি তখন বলছিলেন, তিনি প্রতিবেদন না লিখলে, তিনি আর কখনো কিছু লিখতে পারবেন না।’
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সেন্সরশিপ ছিল কঠোর। মাসকারেনহাস জানতেন, তিনি দেশে বসে এই প্রতিবেদন লিখলে তাকে হত্যা করা হবে। তাই তিনি বোনের অসুস্থতার অজুহাতে লন্ডনে চলে যান। সরাসরি সানডে টাইমসের সম্পাদকের কাছে গিয়ে সব খুলে বলেন।
সম্পাদক ইভান্স বলেন, ‘তাঁর কথা এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ছিল, যে তার বক্তব্য শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে পাকিস্তানি সেনারা সুপরিকল্পিত গণহত্যা চালাচ্ছিল, সেই বর্ণনা উঠে এসেছিল তাঁর কথায়।’ পাকিস্তানি সেনারা এটিকে ‘চূড়ান্ত সমাধান’ বলে অভিহিত করেছিল।
বিপদের মুখে যেভাবে সপরিবারে পালান
কিন্তু যুগান্তকারী এই প্রতিবেদন ছাপার আগে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য লন্ডনে থাকা নিশ্চিত করতে হয়েছিল মাসকারেনহাসকে। পরিকল্পনা ছিল, লন্ডন থেকে তিনি একটি টেলিগ্রাম পাঠালে স্ত্রী ও সন্তানরা করাচি থেকে পালাবেন। ওই টেলিগ্রাম বার্তার সংকেত ছিল, ‘অ্যানের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে’।
সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে তাঁর স্ত্রী ইভন বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে বার্তাটি পেলাম। আমি আমার সন্তানদের উঠিয়ে দিয়ে বললাম, ‘আমাদের এখনই লন্ডন যেতে হবে। আমরা তখন কাঁদছিলাম, যেন এক শোকযাত্রায় অংশ নিচ্ছি।
কিন্তু সন্দেহ থেকে বাঁচতে তার আগেই মাসকারেনহাসকে পাকিস্তানে ফিরতে হয়েছিল। পরে তিনি গোপনে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান ছাড়েন। লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৩ জুন সানডে টাইমসের প্রথম পাতায় ‘Genocide’ শিরোনামে তাঁর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের এই প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পাকিস্তান সরকার মাসকারেনহাসকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করে। তবে সাংবাদিক হিসেবে তাঁর সততা ও দক্ষতা অটুট ছিল। পাকিস্তান যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে সেখবর ১৯৭৯ সালে তিনিই প্রথম প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের বন্ধু মাসকারেনহাস
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এখনও মাসকারেনহাসের সেই প্রতিবেদন সংরক্ষিত আছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মোফিদুল হক বলেন, ‘এটি যুদ্ধকালীন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন। আমাদের দেশ যখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন, ঠিক তখনই এটি প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন বিশ্ববাসীকে আমাদের দুর্দশার কথা জানাতে সাহায্য করে।’
ইভন মাসকারেনহাস ও তাঁর সন্তানরা আস্তে আস্তে নতুন জীবনে অভ্যস্ত হন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘লন্ডনের মানুষ খুবই গম্ভীর ছিল। করাচিতে আমরা হাসিখুশি ছিলাম, কিন্তু এখানে সবাই ছিল নীরব। কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত নই।
(অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের যুগান্তকারী প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিবিসির নিবন্ধ থেকে অনূদিত)।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

১৯৭১ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমসে প্রকাশিত ‘Genocide’ প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত করে। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ায় এবং ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে। কিন্তু সত্য প্রকাশের জন্য মাসকারেনহাসকে পরিবারসহ পাকিস্তান থেকে
২৭ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

১৯৭১ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমসে প্রকাশিত ‘Genocide’ প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত করে। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ায় এবং ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে। কিন্তু সত্য প্রকাশের জন্য মাসকারেনহাসকে পরিবারসহ পাকিস্তান থেকে
২৭ মার্চ ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

১৯৭১ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমসে প্রকাশিত ‘Genocide’ প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত করে। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ায় এবং ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে। কিন্তু সত্য প্রকাশের জন্য মাসকারেনহাসকে পরিবারসহ পাকিস্তান থেকে
২৭ মার্চ ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমসে প্রকাশিত ‘Genocide’ প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত করে। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ায় এবং ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে। কিন্তু সত্য প্রকাশের জন্য মাসকারেনহাসকে পরিবারসহ পাকিস্তান থেকে
২৭ মার্চ ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগে