বাজারদর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি গুদামে চালের মজুত বাড়লেও বাজারে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে চালের বাড়তি দাম। বিশেষ করে নাজিরশাইল, কাটারি নাজির, জিরাশাইল, মিনিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সরু চালের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের ক্রয়প্রক্রিয়া ও বাজারে ধানের সংকটে চালের সরবরাহ কমে এসেছে। এতেই বাড়ছে দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে দেখা যায়, গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে ৫-১০ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন বাজারে চালের দাম বেশি রয়েছে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার পর মাত্র এক থেকে দেড় মাস কিছুটা কম দামে চাল কেনা গিয়েছিল। এরপর আবার দাম বেড়ে আগের অবস্থানে ফিরে আসছে। চালের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ে।
রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে সরু চালের দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি, চলতি সপ্তাহে সেই চাল কিনতে হচ্ছে ৭৫ টাকায়। গত বছর এই সময় এই মানের চাল বিক্রি হয়েছিল ৬০-৬৫ টাকায়। টিসিবির হিসাবে এই চালের দাম গত বছরের তুলনায় বর্তমানে ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি রয়েছে বাজারে।
একই অবস্থা মাঝারি মানের চালেও। যেসব মাঝারি মানের চাল গতকাল বৃহস্পতিবার ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে তা ছিল ৫৬ টাকা। টিসিবির হিসাবে, এই মানের চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
মোটা চাল কিনতে বর্তমানে সর্বনিম্ন কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা লাগছে, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা। টিসিবির প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
রাজধানীর মালিবাগের বাজারে গতকাল চাল কিনতে গিয়েছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসখানেক আগে কাটারি নাজিরের ২৫ কেজির প্যাকেট কিনেছিলাম ১ হাজার ৮৫০ টাকায়, আজ কিনতে এসে দেখি ১ হাজার ৯০০ টাকা হয়ে গেছে। এভাবে চালের দাম যদি বাড়তে থাকে, তবে মাস শেষে আমাদের অন্যান্য খরচ কমাতে হয়। এ জন্য কম খেতে হয়, কম কিনতে হয়। কারণ, আমাদের আয় একই জায়গায় থাকে।’
অথচ সরকারি তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন গুদামে গত বছরের ১ জুলাই চালের মজুত ছিল ১০ দশমিক ৬০ লাখ টন। নতুন অর্থবছরের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪১ লাখ টন।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারি গুদামে মজুত ভালো থাকলে বেসরকারি মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর চিন্তা সাধারণত করেন না। মজুত কমে গেলেই সুযোগ নেন তাঁরা।
জানতে চাইলে নওগাঁ চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, গত বছর রোপা আমনে কিছু ক্ষতি হয়েছিল, তাতে আমনের মজুত এবার নেই। আর সর্বশেষ বোরো মৌসুমের শেষ দিকে বৃষ্টিতে কিছু নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে ধানের সরবরাহ কমে গেছে। এক মাস আগে যে ধানের দাম ছিল ১৪০০ টাকা মণ, এখন তা ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির উদ্যোগ না নিলে সামনের দিনগুলোয় দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, আমন মৌসুম আসতে আরও অনেক সময় বাকি।
বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কাউসার আলম বাবু বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকার চাল কেনা বাড়িয়েছে। এটাও চালের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে। এখন দাম কমার তেমন লক্ষণ দেখছি না। আর আমন মৌসুম আসতেও তিন থেকে চার মাস বাকি।’
এদিকে বাজারে ডিমের দাম গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে। বাজারে এখন ফার্মের প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়। তবে কিছু কিছু ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ডজনেও বিক্রি হচ্ছে। ২০২৩ সালের পর এত কমে ডিমের দাম নামেনি।
ডিমের দাম কমলেও সবজির দাম বাড়ছে। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। কিছু সবজির ৫০-৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ডিমের দাম কমে বাজারে যে স্বস্তি মিলেছিল, তা সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মনে থাকছে না।
সরকারি গুদামে চালের মজুত বাড়লেও বাজারে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে চালের বাড়তি দাম। বিশেষ করে নাজিরশাইল, কাটারি নাজির, জিরাশাইল, মিনিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সরু চালের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের ক্রয়প্রক্রিয়া ও বাজারে ধানের সংকটে চালের সরবরাহ কমে এসেছে। এতেই বাড়ছে দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে দেখা যায়, গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে ৫-১০ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন বাজারে চালের দাম বেশি রয়েছে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার পর মাত্র এক থেকে দেড় মাস কিছুটা কম দামে চাল কেনা গিয়েছিল। এরপর আবার দাম বেড়ে আগের অবস্থানে ফিরে আসছে। চালের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ে।
রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে সরু চালের দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি, চলতি সপ্তাহে সেই চাল কিনতে হচ্ছে ৭৫ টাকায়। গত বছর এই সময় এই মানের চাল বিক্রি হয়েছিল ৬০-৬৫ টাকায়। টিসিবির হিসাবে এই চালের দাম গত বছরের তুলনায় বর্তমানে ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি রয়েছে বাজারে।
একই অবস্থা মাঝারি মানের চালেও। যেসব মাঝারি মানের চাল গতকাল বৃহস্পতিবার ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে তা ছিল ৫৬ টাকা। টিসিবির হিসাবে, এই মানের চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
মোটা চাল কিনতে বর্তমানে সর্বনিম্ন কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা লাগছে, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৫০ টাকা। টিসিবির প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
রাজধানীর মালিবাগের বাজারে গতকাল চাল কিনতে গিয়েছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসখানেক আগে কাটারি নাজিরের ২৫ কেজির প্যাকেট কিনেছিলাম ১ হাজার ৮৫০ টাকায়, আজ কিনতে এসে দেখি ১ হাজার ৯০০ টাকা হয়ে গেছে। এভাবে চালের দাম যদি বাড়তে থাকে, তবে মাস শেষে আমাদের অন্যান্য খরচ কমাতে হয়। এ জন্য কম খেতে হয়, কম কিনতে হয়। কারণ, আমাদের আয় একই জায়গায় থাকে।’
অথচ সরকারি তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন গুদামে গত বছরের ১ জুলাই চালের মজুত ছিল ১০ দশমিক ৬০ লাখ টন। নতুন অর্থবছরের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪১ লাখ টন।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারি গুদামে মজুত ভালো থাকলে বেসরকারি মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর চিন্তা সাধারণত করেন না। মজুত কমে গেলেই সুযোগ নেন তাঁরা।
জানতে চাইলে নওগাঁ চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, গত বছর রোপা আমনে কিছু ক্ষতি হয়েছিল, তাতে আমনের মজুত এবার নেই। আর সর্বশেষ বোরো মৌসুমের শেষ দিকে বৃষ্টিতে কিছু নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে ধানের সরবরাহ কমে গেছে। এক মাস আগে যে ধানের দাম ছিল ১৪০০ টাকা মণ, এখন তা ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির উদ্যোগ না নিলে সামনের দিনগুলোয় দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, আমন মৌসুম আসতে আরও অনেক সময় বাকি।
বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কাউসার আলম বাবু বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকার চাল কেনা বাড়িয়েছে। এটাও চালের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে। এখন দাম কমার তেমন লক্ষণ দেখছি না। আর আমন মৌসুম আসতেও তিন থেকে চার মাস বাকি।’
এদিকে বাজারে ডিমের দাম গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে। বাজারে এখন ফার্মের প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়। তবে কিছু কিছু ডিম ১৩০-১৩৫ টাকা ডজনেও বিক্রি হচ্ছে। ২০২৩ সালের পর এত কমে ডিমের দাম নামেনি।
ডিমের দাম কমলেও সবজির দাম বাড়ছে। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। কিছু সবজির ৫০-৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ডিমের দাম কমে বাজারে যে স্বস্তি মিলেছিল, তা সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মনে থাকছে না।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) ৩ নম্বর গেটের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার সময় ১০০ গজ দূরে আনসার ক্যাম্পের অবস্থান থাকলেও বাহিনীর কারও তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে না আসা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
৭ ঘণ্টা আগেবাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই। ফ্রান্সে ১৭৮৯ সাল থেকে গণতন্ত্র সংহত হতে প্রায় ১০০ বছর লেগেছে—এ তথ্য জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের মানুষ আরও দ্রুত গণতন্ত্র অর্জন করবে।
৭ ঘণ্টা আগেনিবন্ধন স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিলভুক্ত তালিকায় আপাতত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত শাপলার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, মিশনে পুলিশ কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের যাবতীয় ব্যয়ভার জাতিসংঘ বহন করবে।
১০ ঘণ্টা আগে