Ajker Patrika

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৩
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়: প্রধানমন্ত্রী

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দরভাবে বাঁচুক—সেটাই আমরা চাই। সে জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্ত প্রয়োজন।’ 

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরের আনসার ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনসার ও ভিডিপির ১৬২ জনকে পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই পদক তুলে দেন। 

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’ 

দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। আমরা এখানেই থেমে থাকিনি, আমাদের শতবর্ষের প্রোগ্রামও আমরা নিয়েছি—ডেলটা প্ল্যান ২১০০।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বদ্বীপ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে যেন রক্ষা পায় এবং এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রেখে সেই পরিকল্পনাটাও আমি দিয়ে গেলাম।’ 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আমরা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমরা আশা করি।’ 

আনসার ও ভিডিপির কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,‘ বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান এমনকি রেলগাড়ি ও রেললাইনে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে। এই ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকের জীবনও দিতে হয়েছে।’

সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নির্মূলে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত হিসেবে গড়তে চাই। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এ ক্ষেত্রেও আমাদের আনসার ভিডিপি বাহিনী সব সময় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, মৌলবাদ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’ 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন দায়িত্ব আনসার ও ভিডিপি যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাই সদস্যসংখ্যাও যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে দিচ্ছি। এই বাহিনীতে কর্মরতদের পদোন্নতির বিষয়ে যে সমস্যা ছিল, তার সমাধান করে দিয়েছি। আপনাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আমার বিশেষ নজর রয়েছে।’ 

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজ করতে পারেন না। বয়োবৃদ্ধ হয়ে যান। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েন। তখন এই ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ইতিহাসে আনসার বাহিনীর অবদান সর্বক্ষেত্রে। যেমন ভাষা আন্দোলনে অবদান রয়েছে, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অবদান রয়েছে। এই বাহিনীর ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর সৈনিক জীবন দিয়ে গেছেন। ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে আনসার বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে আসবে ওসমান হাদির মরদেহ

বাসস, ঢাকা  
শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।

এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’

বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।

গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান ওসমান হাদি: ডা. আহাদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি। রাজধানীর পল্টন এলাকায় তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’

এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভিডিও থেকে নেওয়া
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভিডিও থেকে নেওয়া

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’

শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’

এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুতে দেশ সাহসী কণ্ঠস্বর হারাল: প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৪৯
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।

প্রধান বিচারপতি হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত