Ajker Patrika

রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি মামুনের ‘সাজা নমনীয়’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৫
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। এই মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকেও একই সাজা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেও রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাজা নমনীয় করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে বিচার শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত প্রথম রায় এটি। রায় ঘোষণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এই মামলার তিন আসামির মধ্যে কেবল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক; তাঁরা ভারতে অবস্থান করছেন।

সাবেক আইজিপি মামুন ট্রাইব্যুনালে নিজের দোষ স্বীকার করে ‘রাজসাক্ষী’ বা ‘অ্যাপ্রুভার’ হয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি ‘প্রাণঘাতী’ অস্ত্র (লেথাল উইপন) ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মাধ্যমে পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলার কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেদিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয়। ওই দিনই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

এ মামলায় প্রথমে শেখ হাসিনাই ছিলেন একমাত্র আসামি। এ বছরের ১৬ মার্চ তাঁর পাশাপাশি সাবেক আইজিপি আল-মামুনকেও আসামি করা হয়।

একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর চলতি বছরের ১২ মে এই মামলায় চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নাম প্রথমবারের মতো আসে গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদনে। সেদিন থেকে এ মামলায় আসামি হন তিনজন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও আল-মামুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ