Ajker Patrika

সেনাবাহিনী না থাকলে আরও প্রাণ ঝরত: চিফ প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সব বাহিনীর সঙ্গে হেলমেট বাহিনীও ছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে আজীবন ক্ষমতায় রাখা। প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল সরকার। সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যর্থ হওয়ার পর ছাত্ররা এগিয়ে এলে তাদের হুমকি মনে করে আক্রমণ করা হয়। আবেগ নিয়ে বাচ্চারা আন্দোলনে গিয়েছিল। তাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। সব রিসোর্স ব্যবহার করা হয়েছে এই আক্রমণে। এই দেশে হাসিনার শাসনকে চিরস্থায়ী করতে হবে, কথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরস্থায়ী করতে হবে—এমন মাইন্ডসেট (মনোভাব) নিয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সব বাহিনী, হেলিকপ্টার, ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী নামানো হলেও তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেভাবে গুলি করেনি। সেনাবাহিনী ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নইলে আরও অনেক প্রাণ ঝরত।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ পঞ্চম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এই মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। শুনানির সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়; ৩৫ হাজারজন আহত হন। ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যায় প্রত্যেকের জন্য একবার করে হলেও শেখ হাসিনার ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। যেহেতু সেটা সম্ভব না, তাই অন্তত একবার তাঁর চরম দণ্ড (মৃত্যুদণ্ড) হতে হবে। শেখ হাসিনা ছিলেন অপরাধীদের নিউক্লিয়াস, প্রাণভোমরা। এই নিউক্লিয়াস ভেঙে ফেলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ রকম নিউক্লিয়াস হয়ে উঠতে না পারেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সব অপরাধ বাস্তবায়নে-পরিকল্পনায় ছিলেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ আইজিপির কাছে পৌঁছাতেন।

সাবেক আইজিপি ও এই মামলার রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল-মামুন সত্য বলেছেন বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। তিনি সত্য প্রকাশ করে অ্যাপ্রুভার হয়েছেন। তাই তাঁর বিষয়ে আমাদের কোনো সাবমিশন নেই। এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেবেন।’

আজ শুনানির শুরুতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করার দৃশ্য দেখানো হয়, যা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়েছিল।

এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, তিনি সেই যুবক, যিনি নিজে ইতিহাস হয়ে ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার সূচনা করেছিলেন; যার কারণে ইতিহাস বদলে গেছে। এখানে পুলিশকে আক্রমণ করার কোনো বিষয় ছিল না। লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবককে পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করেছে। আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়।

তাজুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে বলেন, এই মামলার পুরোটা হচ্ছে কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি (নির্দেশনার দায়) ও জয়েন্ট লায়াবিলিটি (যৌথ দায়)।

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আদালতের রায়, জেনেভা কনভেনশন, রোমস স্ট্যাটিউট, যুগোস্লাভিয়ার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল পুলিশের ওপর। তিনি সবকিছু জানার পরও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেননি, কাউকে শাস্তি দেননি। কারণ, নির্দেশ তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ওয়াইডস্প্রেডে (ব্যাপক মাত্রায়) ও সিস্টেমেটিক্যালি (পদ্ধতিগতভাবে)। দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির যে শর্ত, তা পুরোপুরিভাবে পূরণ হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ অপরাধ করেছেন তাঁরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তাজুল ইসলাম। তবে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে কোনো দাবি না জানিয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।

এ ছাড়া আসামিদের সম্পদ থেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিতে আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিটিবি ভবন দেখতে গেলেও আহতদের দেখতে যাননি। পরে সমালোচনার মুখে গিয়েও চিকিৎসা না দিতে নির্দেশ দেন। এমনকি চিকিৎসার জন্য অন্য কোথায় যাতে যেতে না পারে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেন। তাঁর টার্গেট ছিল একটি জনগোষ্ঠীকে শেষ করে দেওয়া। কী পরিমাণ জিঘাংসা ছিল তাঁর!’

মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ বই থেকে উদ্ধৃত করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘একবার ছাত্রলীগ নেতারা নিহত হয়েছে শুনে শেখ হাসিনা আনন্দিত হন। তাঁদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার আগে রুমালে গ্লিসারিন মেখে দিতে বলেন, যাতে রুমাল কাছে নিলে চোখে পানি চলে আসে। লাশ দেখে হাসিনা খুশি হতেন এবং ওই দিন বেশি করে খাবার খেতেন। জাহানারা ইমাম মারা যাওয়ার খবরে তিনি মিষ্টি ও গরিবদের মধ্যে টাকা বিলি করার নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা ছিলেন একজন হার্ডনাট ক্রিমিনাল। ভারত থেকে এখনো উসকানি দিচ্ছেন। এত মানুষ হতাহতের পরও তাঁর মধ্যে ন্যূনতম কোনো অনুশোচনা হয়নি। তাঁর প্রতি অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ আমরা দেখি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত