Ajker Patrika

‘দিনে-রাতে কাজ করছেন’ বোঝাতে গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

‘দিনে-রাতে কাজ করছেন’ বোঝাতে গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রাজধানীসহ দেশজুড়ে একের পর এক খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় পদত্যাগের দাবির মুখেও তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আপনি রাত আড়াইটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন কেন করলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের পরিস্থিতি হলে আপনারা তো এই রাতে ঘটনাটা জানতেনই পরে। কিন্তু গতকাল আমরা ডাকার আধা ঘণ্টা পর আপনারা হাজির হয়েছেন। আমি জানি, আপনারা দিনে এবং রাতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরাও যে দিনে-রাতে কাজ করে যাচ্ছি, এটা বোঝানোর জন্যই এমন হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শুধু দিনে ব্রিফ করে না, দরকার হলে রাতেও ব্রিফ করে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশকে আমি যে অবস্থায় পেয়েছিলাম সেই অবস্থা থেকে আরও ভালো হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড আরও বাড়ানোর স্কোপ রয়েছে। এটা তারা চেষ্টা করছে। আশা করি, আস্তে আস্তে একটা ভালোর দিকে যাবে।’

অপারেশন ডেভিল হান্ট চলা অবস্থায় এমন পরিস্থিতি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন চালু করা হয়েছে, যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া যায়। রাজশাহীতে যে ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেসব ওসি মামলা নিতে গড়িমসি করেছেন, তাঁদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি। সাসপেন্ড করেছি। অন্য সময় হলে এটা কিন্তু হতো না। আপনারা দেখেছেন, আপনাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে অনেক জ্যেষ্ঠ অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা সত্য ঘটনাটা প্রকাশ করেন। বিদেশি মিডিয়া যখন আমাদের নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, তখন আপনারা সত্যটা তুলে ধরে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে কিছু (কারও বিপদ) হলে আমরা দৌড়ে যেতাম, এখন গিয়ে মানুষ ছবি ওঠায়। আগের দিন হলে মানুষ দৌড়ে গিয়ে ওই লোকটাকে ধরে ফেলত। মানুষের মন-মানসিকতারও একটু পরিবর্তন হয়েছে। একজন আরেকজনের বিপদে কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে।’

সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেটা ঠিকমতো কাজ করছে কি না—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেভাবেই তাঁদের কাজটি করে যাচ্ছেন।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমার মনে হয় কোনো মিডিয়ায় এমন লেখে নাই—‘এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। এ রকম কিন্তু কোনো সংবাদ মনে হয় কোনো সাংবাদিক... যেহেতু আমি নিজেও একসময় সাংবাদিকতা করেছি, আমি মর্নিং নিউজে ছিলাম—আমরাও কোনো দিন করি নাই। কিন্তু এখনো যে পরিস্থিতি, আগের মতোই অবস্থা। আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফ্যাকটরি (সন্তোষজনক; কিন্তু এটার উন্নতি করার অবকাশ রয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশেই হতে পারে খালেদা জিয়ার দাফন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৫
জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন খালেদা জিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন খালেদা জিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

বর্ষীয়ান এই নেত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাফন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে হতে পারে। এটি দল ও পরিবারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত।

এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বিএনপি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছে।

বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। সে সময় স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতিও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের শারীরিক জটিলতা এবং মানসিক ধকলের কারণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং চিরবিদায় নেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদা জিয়া ‘দেশনেত্রী’ হিসেবে জনগণের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অটল ভূমিকার কারণে তাঁকে ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান ঘটল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাঁর মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশনের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

নির্বাচন কমিশন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টাদের বৈঠক, দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যু-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও শোক পালনের রূপরেখা নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত আছেন।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১২টার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ভাষণেই রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে পরবর্তী করণীয় ও জানাজার সময়সূচি নির্ধারণে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের বিষয়ে প্রস্তাবিত গণভোটের সরকারি প্রচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিন মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবের পর তিনি পূর্ণ মুক্তি পেলেও শারীরিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালেই কাটছিল তাঁর সময়।

তাঁর মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা গভীর শোক প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের সামনে এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন হাজার হাজার শোকাতুর নেতা-কর্মী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার দাফন পর্যন্ত গণভোটের প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০১
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক‍্যারাভান। ছবি: প্রেস উইং
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক‍্যারাভান। ছবি: প্রেস উইং

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের সমস্ত রকম প্রচার বন্ধ থাকবে।’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন গণভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে প্রচার করছে সরকার। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই প্রচার চলছে।

দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টা পরিষদ বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত