Ajker Patrika

নির্বাচন কোথায় নিরপেক্ষ হয়নি, তা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৩৪
নির্বাচন কোথায় নিরপেক্ষ হয়নি, তা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, বলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি, তাদের সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে কী কী ক্ষেত্র দেখে বলছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয় নাই, এটা তাদের বলতে হবে।’ আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা শুধু সুষ্ঠু হয় নাই বলে, কিন্তু কী কী ক্ষেত্রে, তারা সেটা বলে না। একইভাবে বলে যাচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ হয় নাই। কিছু দেশীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায় থকে এ ধরনের কথা বলা হয়। যে দেশই বলুক, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন—কীভাবে, কোথায় সমস্যা তাদের বলতে হবে।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’র আয়োজন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে, সেটা একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন উপলব্ধি করেছে, সুফল পেয়েছে। জনগণের ভোটে কোনো একটি দল একটানা চারবার ক্ষমতায় আসা সহজ কাজ না। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের উন্নয়নটা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। প্রতিটা স্তরের মানুষ যাতে অবহেলিত না থাকে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা নিয়েছি, বাস্তবায়ন করেছি। ফলে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’ 

পঁচাত্তরে জাতির পিতার হত্যাকারী ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, তার জন্য বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি ও ভরসার স্থল, আর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, তাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা, অবদানের ফলে আমরা গণতন্ত্র ফিরেয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দেশে জনগণ ও মানুষের সংগঠন হচ্ছে একমাত্র আওয়ামী লীগ। যে আওয়ামী লীগ জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান।’

দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন যাতে না হয়, তার জন্য চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার সেটা মোকাবিলা করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি। এবারের নির্বাচন নিয়েও বিরাট চক্রান্ত ছিল। চক্রান্তটা ছিল যেন নির্বাচনটা না হয়। অর্থাৎ নির্বাচিত সরকারের কারণে বাংলাদেশের মানুষের যে আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে, এটাই অনেকের সহ্য হয়নি। তাই এমন একটা চক্রান্ত শুরু করেছিল, যার ফলে বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই। নির্বাচন বানচাল করার জন্য তাদের জ্বালাও-পোড়াও অগ্নি-সন্ত্রাস।’

জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে জেনেই বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সঙ্গে তারা জুগিয়েছিল কিছু প্রভু। তাদের নির্দেশমতো আন্দোলন করে। এখনো কিছু কিছু লম্ফঝম্ফ করছে, করতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের সংগঠন, এটা তাদের মনে রাখতে হবে। এটা ভেসে আসেনি কিংবা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেলের পকেট থেকে এই সংগঠন বের হয়নি। এটা মাটি-মানুষের ভেতর থেকে সংগঠন বেড়ে উঠেছে। মানুষই এই সংগঠনের বড় শক্তি।’ 

নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারের আইন করার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ইসিকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি নির্বাচনের পরে বিভিন্ন সংস্কার করার কথা তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এই সাহস একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ পারবে না। কারণ জনগণের ওপর আস্থা-বিশ্বাস আছে। 

দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়—বলে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়নি—তাদের সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, কী কী ক্ষেত্র দেখে বলছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয় নাই, এটা তাদের বলতে হবে। তারা সেটা বলে না, একইভাবে বলে যাচ্ছে অবাধ, নিরপেক্ষ হয় নাই। কিছু দেশীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায় হতে এ ধরনের কথা বলা হয়। যে দেশই বলুক, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে এবং কোথায় সমস্যা, তাদের বলতে হবে।’
 
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেটা এখনো তাদের বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনটা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করেছে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আমি দেখলাম এবারের নির্বাচন নিয়ে বিরাট ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যাতে ভোটার না আসে, নির্বাচনটা অবাধ না হয়, নির্বাচনটা যেন হতে না পারে বা নির্বাচন হওয়ার পরে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে—এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। কাজেই নিষেধাজ্ঞা দাও, ওইটা দাও। আমাদের যখন বলেছিল নিষেধাজ্ঞা দেবে, তখন আমিও বলে দিয়েছি, দরকার হলে আমরাও নিষেধাজ্ঞা দেব, আমারও দিতে পারি, আমি নিষেধাজ্ঞার রীতি-নীতি জানি বলেই বলেছি।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত কথার মধ্যে আমাদের দেশটা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ অন্তত প্রতিপক্ষ থাকুক, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হোক, ভোটার আসবে, নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে, সেই অধিকারটুকু জনগণ পাক। সেইভাবে নির্বাচন করেছি বলেই আজকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। অনেকেই বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। এই কথাটা আমাদের সকল নেতা-কর্মীর মাথায় রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন স্বতন্ত্র ও দলীয়ভাবে করতে গিয়ে অনেকের মন কষাকষি, নানা রকম কিছু হয়ে গেছে। যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে, এখন ভুলে যেতে হবে। সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সমাধানের জন্য আমরা আছি, কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দোষারোপ করার অর্থ হয় না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, সব থেকে বেশি মহিলারা ভোট দিতে এসেছিল। সেই জোয়ারের বিরুদ্ধে যদি কেউ দাঁড়াতে না পারে সেটা কার দোষ, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একে-ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যদি উন্মুক্ত না হতো, তাহলে শুধু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা না, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করা হতো। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার অর্জন নস্যাৎ হয়ে যেত। এই অর্জন ধরে রাখার জন্য আমরা যেন নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, বলবেন না এটা আমরা ভুলে যাই। প্রতিবছর বাজেটের সময় নির্বাচনী ইশতেহার দেখেই করা হয়।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটা ভালো কাজ করেছে। সেটি কী, আগে বিএনপি চুপিসারে আগুন দিত গাড়িতে, রেলে, সব জায়গায়। এবার তারা প্রকাশ্যে দিয়ে আবার ছবি তোলে। তাদের গুরু লন্ডন থেকে বলে দিয়েছে যে, ছবি পাঠাতে হবে। বলে দেওয়ায় সুবিধা হয়ে গেছে, তারা যে আগুন দিচ্ছে সেই ছবি আর এভিডেন্সটা পাওয়া যাচ্ছে। যে যে এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলো জোগাড় করে...। এই মামলাগুলো যেন ঠিকমতো চলে এবং শাস্তিটা যেন পায়। তাদের নেতাই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কাকে দোষ দেবে? নেতাকে খুশি করতে ছবি তুলেছে, পাঠিয়েছে। এখন ডিজিটাল সিস্টেমে যেভাবেই পাঠাক, সংগ্রহ করা কোনো কঠিন ব্যাপার না। সেভাবে এভিডেন্সগুলো এসেছে।’ 

২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি নির্যাতনের মামলা এখনো রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাজেই মামলাগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, সাক্ষী যেন হয় এবং এই দুষ্কৃতকারীরা যেন যথাযথ শাস্তি পায়। ভবিষ্যতে যাতে আর আগুন দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার সাহস না পায়, সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে।’ 

জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতির অর্থ কোনো ভালো কাজে লাগে না। বরং তাদের সন্তানরাই বিপদে পড়ে যাবে। এই বদনামটা যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কিছু ভোট তো পেয়েছেন। কেউ জয়ী হয়েছেন, কেউ জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু কিছু ভোট তো পেয়েছেন। সেটি মাথায় রেখে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস যেন নষ্ট না হয়, সেটি আপনাদের চলনেবলনে, কথায় প্রমাণ করতে হবে। সেভাবে আপনাদের কাজ করে, মানুষের মন জয় করে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা যেন পিছিয়ে না পড়ি, সেটি মাথায় রাখতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, সেটিই চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত