নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল কাইয়ুম বলেছেন, এমনভাবে চাকরি করুন, শেষ বয়সে যেন হাতকড়া পরতে না হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বিশেষ আলোচক হিসেবে এসব বক্তব্য দেন।
সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পুলিশ সব সময় বলে স্বাধীনতা চাই। কিন্তু স্বাধীনতা পেলে ব্যক্তিস্বার্থে তেলবাজি করে তা নিজেরাই নষ্ট করে। পদোন্নতির জন্য মন্ত্রী-এমপিদের গোলামি করে, বাসায় গিয়ে বসে থাকে। সেই পুলিশ অন্যায় দেখলেও ব্যবস্থা নিতে পারে না।
সাবেক আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশ সব সময় সঠিক ছিল না। আমাদের সময়ও শতভাগ শুদ্ধতা ছিল না। কিন্তু ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এতটা দলবাজ ও অন্ধ আনুগত্যমূলক পরিস্থিতি কখনো ছিল না।’
সাবেক এই আইজিপি বর্তমান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, এমনভাবে চাকরি করুন যেন শেষ বয়সে জেলে যেতে না হয়, হাতকড়া পরতে না হয়।
৫ আগস্টের ঘটনার পর পলাতক পুলিশ সদস্যদের প্রসঙ্গে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশের বহু কর্মকর্তা ভয়াবহ দুর্নীতি করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছে, কারণ তারা জানত একসময় পালাতে হবে। সেই প্রস্তুতিও তারা নিয়ে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে পুলিশের জনপ্রিয়তা কমেছে। পুলিশ আজ যে অবস্থানে থাকার কথা, সেখানে নেই। আইনের মধ্যেই নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ের খোলামেলা আলোচনা হওয়া দরকার।’
সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, পুলিশ কেবল রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তির মূলে রাষ্ট্র ও জনতার বিভক্তি। আর এই বিভক্তি দূর করার পথ হলো গণতন্ত্র।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘৫৫ বছর পরও দেখি রাষ্ট্র এখনও নিপীড়নমূলক আচরণ করে। রাষ্ট্র যখন নিপীড়ক হয়, তখন পুলিশ কখনো জনগণের হতে পারে না। প্রতিবছর পুলিশ সপ্তাহে সেই কর্মকর্তারা পুরস্কৃত হন, যারা বিরোধী দল দমন করতে সফল হন। তখন নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যায়।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘পুলিশকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমাদেরই দায়িত্ব নিয়ে সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এতে উপস্থাপনা করেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জু, কর্মকমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, খেলোয়াড় ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল।
বর্তমান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল কাইয়ুম বলেছেন, এমনভাবে চাকরি করুন, শেষ বয়সে যেন হাতকড়া পরতে না হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বিশেষ আলোচক হিসেবে এসব বক্তব্য দেন।
সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পুলিশ সব সময় বলে স্বাধীনতা চাই। কিন্তু স্বাধীনতা পেলে ব্যক্তিস্বার্থে তেলবাজি করে তা নিজেরাই নষ্ট করে। পদোন্নতির জন্য মন্ত্রী-এমপিদের গোলামি করে, বাসায় গিয়ে বসে থাকে। সেই পুলিশ অন্যায় দেখলেও ব্যবস্থা নিতে পারে না।
সাবেক আইজিপি আরও বলেন, ‘পুলিশ সব সময় সঠিক ছিল না। আমাদের সময়ও শতভাগ শুদ্ধতা ছিল না। কিন্তু ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এতটা দলবাজ ও অন্ধ আনুগত্যমূলক পরিস্থিতি কখনো ছিল না।’
সাবেক এই আইজিপি বর্তমান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, এমনভাবে চাকরি করুন যেন শেষ বয়সে জেলে যেতে না হয়, হাতকড়া পরতে না হয়।
৫ আগস্টের ঘটনার পর পলাতক পুলিশ সদস্যদের প্রসঙ্গে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশের বহু কর্মকর্তা ভয়াবহ দুর্নীতি করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করেছে, কারণ তারা জানত একসময় পালাতে হবে। সেই প্রস্তুতিও তারা নিয়ে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে পুলিশের জনপ্রিয়তা কমেছে। পুলিশ আজ যে অবস্থানে থাকার কথা, সেখানে নেই। আইনের মধ্যেই নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ের খোলামেলা আলোচনা হওয়া দরকার।’
সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, পুলিশ কেবল রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তির মূলে রাষ্ট্র ও জনতার বিভক্তি। আর এই বিভক্তি দূর করার পথ হলো গণতন্ত্র।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘৫৫ বছর পরও দেখি রাষ্ট্র এখনও নিপীড়নমূলক আচরণ করে। রাষ্ট্র যখন নিপীড়ক হয়, তখন পুলিশ কখনো জনগণের হতে পারে না। প্রতিবছর পুলিশ সপ্তাহে সেই কর্মকর্তারা পুরস্কৃত হন, যারা বিরোধী দল দমন করতে সফল হন। তখন নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যায়।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘পুলিশকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমাদেরই দায়িত্ব নিয়ে সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর এতে উপস্থাপনা করেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জু, কর্মকমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক, খেলোয়াড় ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
৯ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের প্রতাপশালী দুই ডজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ...
৯ ঘণ্টা আগেফয়েজ আহমদ বলেন, ‘এই আধুনিক নীতির উদ্দেশ্য হলো জেনারেশনাল ট্রান্সফরমেশন (প্রজন্মগত রূপান্তর)। আমরা এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। পলিসিতে লাইসেন্সের সংখ্যা কতগুলো হবে, তা নির্ভর করবে লাইসেন্স অবলিগেশন অ্যান্ড কেপিআই পারফরমেন্সের ওপর। তবে বিটিআরসি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারবে,
১৪ ঘণ্টা আগেসাবেক আইজিপির আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত তাঁর (চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন) ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তিনি সবকিছু প্রকাশ করলে চূড়ান্ত রায়ে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন ট্রাইব্যুনাল।’
১৫ ঘণ্টা আগে