তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের জন্য প্রস্তুত আছে ৯টি প্রকল্প।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরগুলো এসব প্রকল্প বাতিলে উদ্যোগী হয়েছে। এরই মধ্যে বিগত সরকারের সময় হাতে নেওয়া বেশ কিছু প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন দপ্তরগুলো তালিকা তৈরি করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্পের বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হবে না।
বাতিল হওয়া প্রকল্পের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার নেওয়া প্রকল্পই বেশি। জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান গতকাল নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু প্রকল্প বাতিলও করা হয়েছে।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমবেশি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। আর ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নেওয়া ৯টি প্রকল্প বাতিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) আওতায় নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ হাজার ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচরের মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার প্রকল্প; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় শেখ ফাতেমা বেগম’ আবাসিক জোন প্লট উন্নয়ন প্রকল্প; ৫২ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহর আবাসিক জোন (৪র্থ পর্যায়), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প (২য় ফেজ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৫ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প এবং রাজউকের ২৪৮ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ প্রকল্প।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট পূর্ত মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সংস্থাগুলোকে। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ২১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার বেলালাবাদ কলোনি এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রোডের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প; ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে গুলশান এবং বনানীর ৩টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ; ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পার্ক নির্মাণ; ২৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরায় অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৬০ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন; ১২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্কয়ার নির্মাণ এবং ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী-২ আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানদের কাছে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখন দাতা সংস্থাগুলো হাত খুলে সহায়তা দিতে চাচ্ছে। বিগত সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ফরিদপুরের টেপাখোলা খাল উন্নয়ন প্রকল্পে এম্পি থিয়েটার ও ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ব্যয়সংকোচ নীতির কারণে কিছু প্রকল্প বাতিল আর কিছু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সংশোধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করার সুযোগ খুব একটা থাকছে না।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের জন্য প্রস্তুত আছে ৯টি প্রকল্প।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরগুলো এসব প্রকল্প বাতিলে উদ্যোগী হয়েছে। এরই মধ্যে বিগত সরকারের সময় হাতে নেওয়া বেশ কিছু প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন দপ্তরগুলো তালিকা তৈরি করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্পের বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হবে না।
বাতিল হওয়া প্রকল্পের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার নেওয়া প্রকল্পই বেশি। জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান গতকাল নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু প্রকল্প বাতিলও করা হয়েছে।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমবেশি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। আর ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নেওয়া ৯টি প্রকল্প বাতিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) আওতায় নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ হাজার ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচরের মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার প্রকল্প; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় শেখ ফাতেমা বেগম’ আবাসিক জোন প্লট উন্নয়ন প্রকল্প; ৫২ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহর আবাসিক জোন (৪র্থ পর্যায়), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প (২য় ফেজ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৫ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প এবং রাজউকের ২৪৮ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ প্রকল্প।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট পূর্ত মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সংস্থাগুলোকে। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ২১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার বেলালাবাদ কলোনি এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রোডের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প; ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে গুলশান এবং বনানীর ৩টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ; ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পার্ক নির্মাণ; ২৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরায় অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৬০ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন; ১২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্কয়ার নির্মাণ এবং ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী-২ আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানদের কাছে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখন দাতা সংস্থাগুলো হাত খুলে সহায়তা দিতে চাচ্ছে। বিগত সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ফরিদপুরের টেপাখোলা খাল উন্নয়ন প্রকল্পে এম্পি থিয়েটার ও ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ব্যয়সংকোচ নীতির কারণে কিছু প্রকল্প বাতিল আর কিছু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সংশোধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করার সুযোগ খুব একটা থাকছে না।’
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের জন্য প্রস্তুত আছে ৯টি প্রকল্প।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরগুলো এসব প্রকল্প বাতিলে উদ্যোগী হয়েছে। এরই মধ্যে বিগত সরকারের সময় হাতে নেওয়া বেশ কিছু প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন দপ্তরগুলো তালিকা তৈরি করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্পের বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হবে না।
বাতিল হওয়া প্রকল্পের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার নেওয়া প্রকল্পই বেশি। জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান গতকাল নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু প্রকল্প বাতিলও করা হয়েছে।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমবেশি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। আর ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নেওয়া ৯টি প্রকল্প বাতিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) আওতায় নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ হাজার ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচরের মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার প্রকল্প; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় শেখ ফাতেমা বেগম’ আবাসিক জোন প্লট উন্নয়ন প্রকল্প; ৫২ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহর আবাসিক জোন (৪র্থ পর্যায়), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প (২য় ফেজ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৫ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প এবং রাজউকের ২৪৮ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ প্রকল্প।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট পূর্ত মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সংস্থাগুলোকে। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ২১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার বেলালাবাদ কলোনি এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রোডের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প; ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে গুলশান এবং বনানীর ৩টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ; ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পার্ক নির্মাণ; ২৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরায় অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৬০ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন; ১২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্কয়ার নির্মাণ এবং ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী-২ আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানদের কাছে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখন দাতা সংস্থাগুলো হাত খুলে সহায়তা দিতে চাচ্ছে। বিগত সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ফরিদপুরের টেপাখোলা খাল উন্নয়ন প্রকল্পে এম্পি থিয়েটার ও ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ব্যয়সংকোচ নীতির কারণে কিছু প্রকল্প বাতিল আর কিছু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সংশোধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করার সুযোগ খুব একটা থাকছে না।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের জন্য প্রস্তুত আছে ৯টি প্রকল্প।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরগুলো এসব প্রকল্প বাতিলে উদ্যোগী হয়েছে। এরই মধ্যে বিগত সরকারের সময় হাতে নেওয়া বেশ কিছু প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন দপ্তরগুলো তালিকা তৈরি করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্পের বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করা হবে না।
বাতিল হওয়া প্রকল্পের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার নেওয়া প্রকল্পই বেশি। জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান গতকাল নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু প্রকল্প বাতিলও করা হয়েছে।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমবেশি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ৬টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। আর ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নেওয়া ৯টি প্রকল্প বাতিলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) আওতায় নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ হাজার ৩২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচরের মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার প্রকল্প; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় শেখ ফাতেমা বেগম’ আবাসিক জোন প্লট উন্নয়ন প্রকল্প; ৫২ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাদাভাই উপশহর আবাসিক জোন (৪র্থ পর্যায়), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প (২য় ফেজ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৫ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প এবং রাজউকের ২৪৮ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ প্রকল্প।
পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট পূর্ত মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সংস্থাগুলোকে। প্রকল্পগুলো হলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ২১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার বেলালাবাদ কলোনি এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রোডের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প; ১১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে গুলশান এবং বনানীর ৩টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ; ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পার্ক নির্মাণ; ২৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরায় অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ; জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ৬০ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন; ১২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ; খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্কয়ার নির্মাণ এবং ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী-২ আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানদের কাছে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সরকারি প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপাতত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখন দাতা সংস্থাগুলো হাত খুলে সহায়তা দিতে চাচ্ছে। বিগত সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে দেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ফরিদপুরের টেপাখোলা খাল উন্নয়ন প্রকল্পে এম্পি থিয়েটার ও ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বাদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ব্যয়সংকোচ নীতির কারণে কিছু প্রকল্প বাতিল আর কিছু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সংশোধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন এবং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে, সেসব প্রকল্প বাতিল করার সুযোগ খুব একটা থাকছে না।’

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানে সারা দেশে ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫২৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে অবৈধ একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ফায়ার করা গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ডিএমপি, আরএমপি, জিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ ও রাজশাহী রেঞ্জ ইউনিটের অভিযানে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি ইউনিট চেকপোস্ট চালায়।
এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি একনলা বন্ধুক, দুটি ধারালো ছুরি, একটি বার্মিজ চাকু, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ফায়ার করা গুলি উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। প্রথম দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৭৬ জন, দ্বিতীয় দিন ৫৬৭, তৃতীয় দিন ৮২৩ ও চতুর্থ দিন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত চার দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এ মোট গ্রেপ্তার ৩ হাজার ২৬৪ জন।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানে সারা দেশে ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫২৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে অবৈধ একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ফায়ার করা গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ডিএমপি, আরএমপি, জিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ ও রাজশাহী রেঞ্জ ইউনিটের অভিযানে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি ইউনিট চেকপোস্ট চালায়।
এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি একনলা বন্ধুক, দুটি ধারালো ছুরি, একটি বার্মিজ চাকু, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ফায়ার করা গুলি উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। প্রথম দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৭৬ জন, দ্বিতীয় দিন ৫৬৭, তৃতীয় দিন ৮২৩ ও চতুর্থ দিন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত চার দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এ মোট গ্রেপ্তার ৩ হাজার ২৬৪ জন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ কথা তুলে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা (দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব) খুব অপ্রত্যাশিত কিছু না। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে—আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে।
তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ কথা তুলে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা (দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব) খুব অপ্রত্যাশিত কিছু না। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে—আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে।
তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর। বিপুল ব্যয়ের এই প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু এটি নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্তে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে