তোফাজ্জল হোসেন রুবেল

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মশা নিধন কার্যক্রমে ঢিলেমির কারণে সামনের দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
সারা দেশের মশকনিধন ও মশাবাহিত রোগ নিয়ে কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে তা ধ্বংস করা ও এডিস মশা এবং ডেঙ্গুসংক্রান্ত জরিপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে সহযোগিতা করার কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অন্যদিকে রোগী শনাক্ত, চিকিৎসা, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এডিস ও ডেঙ্গুবিষয়ক জরিপ, জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের কাজগুলো করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ দুই বিভাগের কাজে রয়েছে নানা অসংগতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মশা নির্মূলে পদক্ষেপের ঘাটতি, রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এখনো এডিস নির্মূলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার।
মশকনিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বছরে কমবেশি ২০০ কোটি টাকা বাজেট আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকার বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা।’ মশার নিধনে অনেকটা সমান অর্থ ব্যয় করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি)।
মশার পেছনে দুই সিটি করপোরেশনের এত বিপুল ব্যয়ের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।
আগে শহরের মশকনিধন কার্যক্রম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দেখভাল করতেন। গত ৫ আগস্টের পর সেই দায়িত্ব এসেছে একজন কর্মকর্তার ওপর। দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে অনেকটা গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মোট ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁদের অধীনে মশককর্মীরাও কাজ করেন। যদিও এ কাজটি আগে সরাসরি দেখভাল করতেন ৫৪টি ওয়ার্ডের একজন করে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাঁদের সঙ্গে আরও ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরও ছিলেন। ডিএনসিসি এলাকায় এসব জনপ্রতিনিধি মশকনিধন কার্যক্রমের তদারকি ছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি মনিটরিং করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। বর্তমানে কয়েকটি ওয়ার্ডের সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করেন প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার পক্ষে প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষে মাঠপর্যায়ে গিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম দেখভালের খুব একটা সুযোগ নেই। ফলে মশকনিধনে যে স্বল্পসংখ্যক কর্মী মাঠে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যেও গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে।
রাজধানীর আরেক অংশের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। আজিমপুর অফিসার্স কলোনির বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মশার ব্যাপক উৎপাত। গত দুই মাসের মধ্যে কলোনির মধ্যে কোনো মশকনিধনকর্মীকে ওষুধ ছিটাতে দেখি নাই।’
নিউ ইস্কাটন এলাকার বসবাস করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল হকও গতকাল কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মশারি টানানোর পরও মশার ভন ভন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। রমজান শুরু হওয়ার পর যখন মশারি থেকে বের হয়ে রাতে সেহরি খেতে বসি, তখন দেখা দেয় বড় বিপত্তিটা। দল বেঁধে মশা চারদিক ঘিরে ধরে।’
তবে মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, ‘আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হয়। পুরো ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩৫ জন জনবল রয়েছে। সেখানে সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করে থাকেন। তবে এ মুহূর্তে শহরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে মশার উৎপাত কিছুটা বেড়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এডিস মশাবাহিত সংক্রামক ভাইরাসটিতে এখন সারা বছরই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। নগর থেকে শুরু করে প্রান্তিক অঞ্চলেও সংক্রমণ ঘটছে দ্রুত। ফলে সারা বছরই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বছরজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনাকে জোর দেওয়ার কথা বলছেন রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। তবে গত জুলাই থেকে ওপি চালু না থাকার কারণে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সার্ভে থেকে শুরু করে সব কাজ করা হয় ওপির টাকায়। বর্তমানে ওপি চালু না থাকার কারণে ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সার্ভের কাজটি করছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। ওপি না থাকলে কীভাবে কার্যক্রম চলবে সে বিষয়ে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মোট দেড় সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ মার্চের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জনের বিপরীতে মারা গেছে ৩ জন। মার্চে ১৯ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যু ঘটেনি।
সার্ভে থেকে শুরু করে সব কাজ করা হয় ওপির টাকায়। বর্তমানে ওপি চালু না থাকার কারণে ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফরহাদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ)
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সর্বশেষ এডিসের জরিপে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ৫৬টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। ‘মনসুন এডিস সার্ভে-২০২৪’-এর ফলাফলে বলা হয়, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়। রাজধানীর দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডেই ব্রুটো ইনডেক্স-২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
মূলত তহবিলের সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘আইইডিসিআর সার্ভে করে। তাদেরকে এর জন্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। ওরা এখন বর্ষা-পূর্ববর্তী এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ও প্রজনন নিয়ে সার্ভে করছে। ওপির তফসিলেই মূলত প্রশিক্ষণ, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কীট বিতরণ, প্রয়োজনীয় ওষুধের কিছু অংশ দেওয়া হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সকল কাজ করা হয়। ওপি না থাকার কারণে এসব কাজ চলছে না।
মেডিকেল এন্টোমলজিস্ট ও জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু বিবেচনা করলে ডেঙ্গুর বাহককে বিবেচনা করতে হবে। এডিস মশার জীবনচক্র শুধু মৌসুমি সময়ে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বছরই তাদের জীবনচক্র চলে। ফলে বছরজুড়ে এডিস মশা নির্মূলে কাজ করতে হবে।

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মশা নিধন কার্যক্রমে ঢিলেমির কারণে সামনের দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
সারা দেশের মশকনিধন ও মশাবাহিত রোগ নিয়ে কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে তা ধ্বংস করা ও এডিস মশা এবং ডেঙ্গুসংক্রান্ত জরিপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে সহযোগিতা করার কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অন্যদিকে রোগী শনাক্ত, চিকিৎসা, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এডিস ও ডেঙ্গুবিষয়ক জরিপ, জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের কাজগুলো করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ দুই বিভাগের কাজে রয়েছে নানা অসংগতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মশা নির্মূলে পদক্ষেপের ঘাটতি, রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এখনো এডিস নির্মূলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার।
মশকনিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বছরে কমবেশি ২০০ কোটি টাকা বাজেট আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকার বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা।’ মশার নিধনে অনেকটা সমান অর্থ ব্যয় করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি)।
মশার পেছনে দুই সিটি করপোরেশনের এত বিপুল ব্যয়ের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।
আগে শহরের মশকনিধন কার্যক্রম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দেখভাল করতেন। গত ৫ আগস্টের পর সেই দায়িত্ব এসেছে একজন কর্মকর্তার ওপর। দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে অনেকটা গা-ছাড়া ভাব দেখা গেছে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মোট ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁদের অধীনে মশককর্মীরাও কাজ করেন। যদিও এ কাজটি আগে সরাসরি দেখভাল করতেন ৫৪টি ওয়ার্ডের একজন করে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাঁদের সঙ্গে আরও ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরও ছিলেন। ডিএনসিসি এলাকায় এসব জনপ্রতিনিধি মশকনিধন কার্যক্রমের তদারকি ছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি মনিটরিং করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। বর্তমানে কয়েকটি ওয়ার্ডের সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করেন প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার পক্ষে প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষে মাঠপর্যায়ে গিয়ে মশকনিধন কার্যক্রম দেখভালের খুব একটা সুযোগ নেই। ফলে মশকনিধনে যে স্বল্পসংখ্যক কর্মী মাঠে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যেও গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে।
রাজধানীর আরেক অংশের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। আজিমপুর অফিসার্স কলোনির বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মশার ব্যাপক উৎপাত। গত দুই মাসের মধ্যে কলোনির মধ্যে কোনো মশকনিধনকর্মীকে ওষুধ ছিটাতে দেখি নাই।’
নিউ ইস্কাটন এলাকার বসবাস করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল হকও গতকাল কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মশারি টানানোর পরও মশার ভন ভন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। রমজান শুরু হওয়ার পর যখন মশারি থেকে বের হয়ে রাতে সেহরি খেতে বসি, তখন দেখা দেয় বড় বিপত্তিটা। দল বেঁধে মশা চারদিক ঘিরে ধরে।’
তবে মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, ‘আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হয়। পুরো ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩৫ জন জনবল রয়েছে। সেখানে সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি করে থাকেন। তবে এ মুহূর্তে শহরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে মশার উৎপাত কিছুটা বেড়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এডিস মশাবাহিত সংক্রামক ভাইরাসটিতে এখন সারা বছরই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। নগর থেকে শুরু করে প্রান্তিক অঞ্চলেও সংক্রমণ ঘটছে দ্রুত। ফলে সারা বছরই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বছরজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনাকে জোর দেওয়ার কথা বলছেন রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। তবে গত জুলাই থেকে ওপি চালু না থাকার কারণে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সার্ভে থেকে শুরু করে সব কাজ করা হয় ওপির টাকায়। বর্তমানে ওপি চালু না থাকার কারণে ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সার্ভের কাজটি করছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। ওপি না থাকলে কীভাবে কার্যক্রম চলবে সে বিষয়ে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মোট দেড় সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ মার্চের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জনের বিপরীতে মারা গেছে ৩ জন। মার্চে ১৯ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যু ঘটেনি।
সার্ভে থেকে শুরু করে সব কাজ করা হয় ওপির টাকায়। বর্তমানে ওপি চালু না থাকার কারণে ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফরহাদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ)
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সর্বশেষ এডিসের জরিপে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ৫৬টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। ‘মনসুন এডিস সার্ভে-২০২৪’-এর ফলাফলে বলা হয়, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়। রাজধানীর দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডেই ব্রুটো ইনডেক্স-২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
মূলত তহবিলের সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা। অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘আইইডিসিআর সার্ভে করে। তাদেরকে এর জন্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। ওরা এখন বর্ষা-পূর্ববর্তী এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ও প্রজনন নিয়ে সার্ভে করছে। ওপির তফসিলেই মূলত প্রশিক্ষণ, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কীট বিতরণ, প্রয়োজনীয় ওষুধের কিছু অংশ দেওয়া হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সকল কাজ করা হয়। ওপি না থাকার কারণে এসব কাজ চলছে না।
মেডিকেল এন্টোমলজিস্ট ও জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু বিবেচনা করলে ডেঙ্গুর বাহককে বিবেচনা করতে হবে। এডিস মশার জীবনচক্র শুধু মৌসুমি সময়ে সীমাবদ্ধ নয়। সারা বছরই তাদের জীবনচক্র চলে। ফলে বছরজুড়ে এডিস মশা নির্মূলে কাজ করতে হবে।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৪ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
০৪ মার্চ ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
০৪ মার্চ ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
০৪ মার্চ ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৪ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
০৪ মার্চ ২০২৫
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৪ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে