ঈদযাত্রায় যানজটের শষ্কা
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
মহাসড়কে ওঠার পরও স্বস্তির আশা করতে পারবেন না ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-সিলেট পথের যাত্রীরা। কারণ ওই দু্ই মহাসড়কে এখনো চলছে উন্নয়নকাজ।
উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা রাজধানী থেকে বের হতেই গাবতলী, আমিনবাজার, বাইপাইল এলাকায় যানজটে পড়তে পারেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলো কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাবো বাসস্ট্যান্ড, ডেমরা সেতু, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস এবং ভুলতা মোড় পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে পারে।
তবে জট কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আশার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তা সব জায়গায়ই ভালো আছে। যেখানে মেরামত দরকার, সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। সড়কের সাইন, সিগন্যাল, রোড মার্কিংয়ে নতুন রং করা হয়েছে, যাতে সেগুলো দৃশ্যমান হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে যেখানে যানজট হতে পারে, সেগুলো মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) করা হবে। গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত আগে যেরকম জ্যাম হতো, এবার তেমনটা হবে না। বাইপাইল এলাকায় গাড়িগুলো যেন ঠিকভাবে যেতে পারে তার জন্য লেন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রায়ও সমস্যা হওয়ার কথা না। যানজটের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট একটা বড় ফ্যাক্টর। সড়ক রিলেটেড (সম্পর্কিত) সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে কিছু হবে না। তবে ঈদের সময় গার্মেন্টসগুলো একসঙ্গে ছুটি হয়ে গেলে ক্যাপাসিটিগত কারণে যানজট হয়।’
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাড়িগুলোকে সাধারণত গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ও আমিনবাজার ব্রিজ হয়ে যেতে হয়। ফলে এই রুটের গাড়িগুলোকে রাজধানী থেকে বের হতে বেশি বেগ পেতে হয়। এবারও যানজটের আশঙ্কা রয়েছে গাবতলী, আমিনবাজার, সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এবং চন্দ্রা এলাকায়।
বিশেষ করে বাইপাইল মোড় এলাকায় সংকুচিত সড়কে দীর্ঘ যানজট হতে পারে। কারণ এখানে আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। রাস্তার মাঝখানে পিলার নির্মাণ হচ্ছে। এই জট চন্দ্রা পার হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গিয়েও ঠেকতে পারে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও উন্নয়নকাজের কারণে যানজট হতে পারে। যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত, হাটিকুমরুল মোড়, বগুড়া ও গাইবান্ধার বিভিন্ন অংশেও সড়কের কাজের কারণে গাড়ি চলাচল ধীর গতির হতে পারে। এই মহাসড়কে মোট ৫৪টি স্পটে (স্থান) যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়িগুলো সাধারণত কাঁচপুর ব্রিজ দিয়েই চলাচল করে। ফলে এ রুটের গাড়িগুলো ঢাকা পার হতে যানজটে পড়তে পারে, সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে, কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালে এবং মদনপুর মোড়ে। এদিকে কাঁচপুর থেকে মেঘনা ব্রিজের আগপর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ আছে, যেগুলোর কারণে জট হতে পারে। এই মহাসড়কে সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ও গৌরীপুর বাজার এলাকায় যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায়ও ঈদ মৌসুমে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এই দুটি পয়েন্টেই সড়কের ওপর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, রাস্তার পাশের দোকানপাট এবং যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই মহাসড়কে ৪৯টি স্পটে যানজট হতে পারে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
এবারের ঈদযাত্রায় এই মহাসড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ চলছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, এ মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী
বাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে ১৭ কিলোমিটারে চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছে। তাই ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে জট তৈরি হলে এই জট অনেক দীর্ঘ হতে পারে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলো ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাবো বাসস্ট্যান্ড, ডেমরা সেতু, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস এবং ভুলতা মোড় পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কাজ এই সড়কে যানজটের মূল কারণ। এ ছাড়া সড়কের মাঝে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সড়ক বন্ধ করে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এই মহাসড়কে ৪২টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা আছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের গাড়িগুলো সাধারণত উত্তরা, গাজীপুর দিয়ে বের হয়। ফলে এই রুটে বিমানবন্দর বিআরটি করিডর, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ির জট তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া ভবানীপুর বাজার, হোতাপাড়া, বাঘের বাজার, মাস্টারবাড়ী বাজার, সিড-স্টোর বাজার, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এসব জায়গায় সড়কে বিকেলের পরে বাজার বসার কারণে যানজট হয়। এই মহাসড়কে ৬টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা আছে।
পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা মহাসড়ক
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা রুটে চলাচল করা যানবাহনগুলো সাধারণত সায়েদাবাদ, দোলাইরপাড় ও পোস্তগোলা হয়ে এবং গুলিস্তান ও বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। ফলে এসব জায়গায় যানজট হতে পারে। বিশেষ করে সায়েদাবাদ টার্মিনাল এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে টোল প্লাজায় যানজট হওয়ার বেশি আশঙ্কা রয়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় গাড়ির জট হতে পারে। এক্সপ্রেসওয়ে পার হওয়ার পর দুই লেন সড়কে বাজার ও অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে জট হতে পারে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা থেকে গাড়ি বের হওয়ার মুখগুলো যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করবে। এ কাজে চ্যালেঞ্জ তো আছেই, তবে সেগুলোর ওভারকাম হয়ে যাবে আশা করি।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সড়কের কোথায় সমস্যা হতে পারে সেটা চিহ্নিত করে সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করলে যানজট এড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে কোন সড়কে কী ধরনের গাড়ি চলতে পারবে, সেটারও নির্দেশনা দিতে হবে।’
১ কোটি মানুষ রাজধানী ছাড়তে পারে
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটির মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ যাবে নৌপথে। ৭ শতাংশ যাবে রেলপথে এবং ৭৫ শতাংশ যাবে সড়কপথে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরী থেকে বের হওয়া এবং প্রবেশের পথগুলো সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবেই যানজটমুক্ত রাখতে পারে না। প্রতিবছরই যানজট হয়। প্রতিবার বড় বড় সভা হয়, আশ্বাস দেয়, কিন্তু সেই আশ্বাসগুলো কোথাও যেন হারিয়ে যায়। ঈদের প্রস্তুতি সারা বছর থাকলে, ঈদের সময় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো না।’
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম)

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
মহাসড়কে ওঠার পরও স্বস্তির আশা করতে পারবেন না ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-সিলেট পথের যাত্রীরা। কারণ ওই দু্ই মহাসড়কে এখনো চলছে উন্নয়নকাজ।
উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা রাজধানী থেকে বের হতেই গাবতলী, আমিনবাজার, বাইপাইল এলাকায় যানজটে পড়তে পারেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলো কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাবো বাসস্ট্যান্ড, ডেমরা সেতু, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস এবং ভুলতা মোড় পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে পারে।
তবে জট কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আশার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তা সব জায়গায়ই ভালো আছে। যেখানে মেরামত দরকার, সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। সড়কের সাইন, সিগন্যাল, রোড মার্কিংয়ে নতুন রং করা হয়েছে, যাতে সেগুলো দৃশ্যমান হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে যেখানে যানজট হতে পারে, সেগুলো মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) করা হবে। গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত আগে যেরকম জ্যাম হতো, এবার তেমনটা হবে না। বাইপাইল এলাকায় গাড়িগুলো যেন ঠিকভাবে যেতে পারে তার জন্য লেন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রায়ও সমস্যা হওয়ার কথা না। যানজটের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট একটা বড় ফ্যাক্টর। সড়ক রিলেটেড (সম্পর্কিত) সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে কিছু হবে না। তবে ঈদের সময় গার্মেন্টসগুলো একসঙ্গে ছুটি হয়ে গেলে ক্যাপাসিটিগত কারণে যানজট হয়।’
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাড়িগুলোকে সাধারণত গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ও আমিনবাজার ব্রিজ হয়ে যেতে হয়। ফলে এই রুটের গাড়িগুলোকে রাজধানী থেকে বের হতে বেশি বেগ পেতে হয়। এবারও যানজটের আশঙ্কা রয়েছে গাবতলী, আমিনবাজার, সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এবং চন্দ্রা এলাকায়।
বিশেষ করে বাইপাইল মোড় এলাকায় সংকুচিত সড়কে দীর্ঘ যানজট হতে পারে। কারণ এখানে আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। রাস্তার মাঝখানে পিলার নির্মাণ হচ্ছে। এই জট চন্দ্রা পার হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গিয়েও ঠেকতে পারে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও উন্নয়নকাজের কারণে যানজট হতে পারে। যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত, হাটিকুমরুল মোড়, বগুড়া ও গাইবান্ধার বিভিন্ন অংশেও সড়কের কাজের কারণে গাড়ি চলাচল ধীর গতির হতে পারে। এই মহাসড়কে মোট ৫৪টি স্পটে (স্থান) যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়িগুলো সাধারণত কাঁচপুর ব্রিজ দিয়েই চলাচল করে। ফলে এ রুটের গাড়িগুলো ঢাকা পার হতে যানজটে পড়তে পারে, সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে, কাঁচপুর ব্রিজের পূর্ব ঢালে এবং মদনপুর মোড়ে। এদিকে কাঁচপুর থেকে মেঘনা ব্রিজের আগপর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ আছে, যেগুলোর কারণে জট হতে পারে। এই মহাসড়কে সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ও গৌরীপুর বাজার এলাকায় যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায়ও ঈদ মৌসুমে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এই দুটি পয়েন্টেই সড়কের ওপর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, রাস্তার পাশের দোকানপাট এবং যাত্রী ওঠানামার কারণে যানজট তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই মহাসড়কে ৪৯টি স্পটে যানজট হতে পারে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
এবারের ঈদযাত্রায় এই মহাসড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ চলছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, এ মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী
বাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে ১৭ কিলোমিটারে চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছে। তাই ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে জট তৈরি হলে এই জট অনেক দীর্ঘ হতে পারে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলো ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাবো বাসস্ট্যান্ড, ডেমরা সেতু, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস এবং ভুলতা মোড় পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কাজ এই সড়কে যানজটের মূল কারণ। এ ছাড়া সড়কের মাঝে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সড়ক বন্ধ করে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এই মহাসড়কে ৪২টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা আছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের গাড়িগুলো সাধারণত উত্তরা, গাজীপুর দিয়ে বের হয়। ফলে এই রুটে বিমানবন্দর বিআরটি করিডর, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ির জট তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া ভবানীপুর বাজার, হোতাপাড়া, বাঘের বাজার, মাস্টারবাড়ী বাজার, সিড-স্টোর বাজার, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এসব জায়গায় সড়কে বিকেলের পরে বাজার বসার কারণে যানজট হয়। এই মহাসড়কে ৬টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা আছে।
পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা মহাসড়ক
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা রুটে চলাচল করা যানবাহনগুলো সাধারণত সায়েদাবাদ, দোলাইরপাড় ও পোস্তগোলা হয়ে এবং গুলিস্তান ও বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। ফলে এসব জায়গায় যানজট হতে পারে। বিশেষ করে সায়েদাবাদ টার্মিনাল এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে টোল প্লাজায় যানজট হওয়ার বেশি আশঙ্কা রয়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় গাড়ির জট হতে পারে। এক্সপ্রেসওয়ে পার হওয়ার পর দুই লেন সড়কে বাজার ও অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে জট হতে পারে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা থেকে গাড়ি বের হওয়ার মুখগুলো যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করবে। এ কাজে চ্যালেঞ্জ তো আছেই, তবে সেগুলোর ওভারকাম হয়ে যাবে আশা করি।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সড়কের কোথায় সমস্যা হতে পারে সেটা চিহ্নিত করে সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করলে যানজট এড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে কোন সড়কে কী ধরনের গাড়ি চলতে পারবে, সেটারও নির্দেশনা দিতে হবে।’
১ কোটি মানুষ রাজধানী ছাড়তে পারে
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটির মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ যাবে নৌপথে। ৭ শতাংশ যাবে রেলপথে এবং ৭৫ শতাংশ যাবে সড়কপথে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরী থেকে বের হওয়া এবং প্রবেশের পথগুলো সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবেই যানজটমুক্ত রাখতে পারে না। প্রতিবছরই যানজট হয়। প্রতিবার বড় বড় সভা হয়, আশ্বাস দেয়, কিন্তু সেই আশ্বাসগুলো কোথাও যেন হারিয়ে যায়। ঈদের প্রস্তুতি সারা বছর থাকলে, ঈদের সময় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো না।’
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম)

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
১০ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, অধিদপ্তর ভারতে মাদক তৈরির এসব কারখানা ও কারবারিদের বিস্তারিত পরিচয়, ঠিকানা, পাঠানোর রুট এবং জিরো লাইন থেকে দূরত্ব পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিয়ে কারখানাগুলো বন্ধের সুপারিশ করবে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি এই মাদক দেশের যে আট সীমান্ত জেলা দিয়ে ঢুকছে, সেখানকার পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হবে।
তবে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় মাদক তৈরির কারখানার তালিকা করে কখনো খুব একটা ফল আসেনি। অভিযোগ দিলেও আগে ভারত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন তিনটি নেশাজাতীয় সিরাপের মধ্যে ‘ব্রনোকফ সি’ বেশি উদ্বেগের কারণ। রাজশাহীর চারঘাট ও দামকুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নতুন এই সিরাপ বেশি ঢুকছে। সহজলভ্যতার কারণে এটি দ্রুত ওষুধজাত মাদকের বিকল্প হয়ে উঠেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়লে এই মাদক পাচার বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন মাদকের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোডিন ফসফেট মিশ্রিত সিরাপের বাণিজ্যিক নাম ফেনসিডিল, ব্রনোকফ সি, চকো প্লাস বা উইন কোরেক্স যা-ই হোক না কেন, এগুলোর দেশে প্রবেশ বন্ধে প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। সীমান্তে ঠেকাতে পারলে দেশে এসব মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, ভারতের ল্যাবোরেট ফার্মাসিউটিক্যালস নামের প্রতিষ্ঠান সিরাপগুলো কাশির ওষুধ হিসেবে প্রস্তুত করে। নেশাজাতীয় উপাদান ব্যবহারের কারণে ভারতেই এগুলো নিষিদ্ধ; তবে উৎপাদন বন্ধ হয়নি। ফলে সেগুলো ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যে এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে।
অধিদপ্তরের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও দামকুড়া থানার মুরারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ‘ব্রনোকফ সি’ আনা-নেওয়ার সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য নতুন মাদকের ধরনটি এখনো না চেনায় পাচারকারীরা সহজে সীমান্ত পার করতে পারছে। ব্রনোকফ সির প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে অধিদপ্তর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে ৩ ডিসেম্বর ‘চকো প্লাস’ সিরাপের একটি চালান জব্দ করে বিজিবি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়ন সীমান্তে টহল জোরদার করে এবং ১৫০ বোতল চকো প্লাস উদ্ধার করে। গত এক মাসে একই ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০০ বোতল চকো প্লাস জব্দ করেছে। চকো প্লাস নামের সিরাপ এই সীমান্তে এর আগে আটক হয়নি।
জানতে চাইলে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। নতুন মাদক নিয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি এবং মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে ‘উইন কোরেক্স’ নামের নেশাজাতীয় সিরাপ। গত নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে বিজিবি ৮৫০ বোতল এই সিরাপ জব্দ করেছে। এক বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, কিন্তু এক বোতল উইন কোরেক্স বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। বোতলের আকারসহ সবকিছু ফেনসিডিলের মতো হওয়ায় তরুণদের মধ্যে নতুন এই সিরাপে আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, পাচারকারীরা নেশার মাত্রা বাড়াতে ছিপি খুলে সিরাপের সঙ্গে প্যাথেডিন মিশিয়ে দিচ্ছে। এতে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও বাংলাদেশে নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওষুধের আড়ালে ভিন্ন ভিন্ন নামে যদি নতুন মাদক প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে প্রতিটি সংস্থাকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। তা না হলে দেশে মাদকাসক্ত তরুণের সংখ্যা আরও বাড়বে; যার পরিণতি দেশের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, অধিদপ্তর ভারতে মাদক তৈরির এসব কারখানা ও কারবারিদের বিস্তারিত পরিচয়, ঠিকানা, পাঠানোর রুট এবং জিরো লাইন থেকে দূরত্ব পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিয়ে কারখানাগুলো বন্ধের সুপারিশ করবে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি এই মাদক দেশের যে আট সীমান্ত জেলা দিয়ে ঢুকছে, সেখানকার পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হবে।
তবে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় মাদক তৈরির কারখানার তালিকা করে কখনো খুব একটা ফল আসেনি। অভিযোগ দিলেও আগে ভারত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন তিনটি নেশাজাতীয় সিরাপের মধ্যে ‘ব্রনোকফ সি’ বেশি উদ্বেগের কারণ। রাজশাহীর চারঘাট ও দামকুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নতুন এই সিরাপ বেশি ঢুকছে। সহজলভ্যতার কারণে এটি দ্রুত ওষুধজাত মাদকের বিকল্প হয়ে উঠেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়লে এই মাদক পাচার বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন মাদকের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোডিন ফসফেট মিশ্রিত সিরাপের বাণিজ্যিক নাম ফেনসিডিল, ব্রনোকফ সি, চকো প্লাস বা উইন কোরেক্স যা-ই হোক না কেন, এগুলোর দেশে প্রবেশ বন্ধে প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। সীমান্তে ঠেকাতে পারলে দেশে এসব মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, ভারতের ল্যাবোরেট ফার্মাসিউটিক্যালস নামের প্রতিষ্ঠান সিরাপগুলো কাশির ওষুধ হিসেবে প্রস্তুত করে। নেশাজাতীয় উপাদান ব্যবহারের কারণে ভারতেই এগুলো নিষিদ্ধ; তবে উৎপাদন বন্ধ হয়নি। ফলে সেগুলো ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যে এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে।
অধিদপ্তরের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও দামকুড়া থানার মুরারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ‘ব্রনোকফ সি’ আনা-নেওয়ার সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য নতুন মাদকের ধরনটি এখনো না চেনায় পাচারকারীরা সহজে সীমান্ত পার করতে পারছে। ব্রনোকফ সির প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে অধিদপ্তর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে ৩ ডিসেম্বর ‘চকো প্লাস’ সিরাপের একটি চালান জব্দ করে বিজিবি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়ন সীমান্তে টহল জোরদার করে এবং ১৫০ বোতল চকো প্লাস উদ্ধার করে। গত এক মাসে একই ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০০ বোতল চকো প্লাস জব্দ করেছে। চকো প্লাস নামের সিরাপ এই সীমান্তে এর আগে আটক হয়নি।
জানতে চাইলে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। নতুন মাদক নিয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি এবং মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে ‘উইন কোরেক্স’ নামের নেশাজাতীয় সিরাপ। গত নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে বিজিবি ৮৫০ বোতল এই সিরাপ জব্দ করেছে। এক বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, কিন্তু এক বোতল উইন কোরেক্স বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। বোতলের আকারসহ সবকিছু ফেনসিডিলের মতো হওয়ায় তরুণদের মধ্যে নতুন এই সিরাপে আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, পাচারকারীরা নেশার মাত্রা বাড়াতে ছিপি খুলে সিরাপের সঙ্গে প্যাথেডিন মিশিয়ে দিচ্ছে। এতে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও বাংলাদেশে নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওষুধের আড়ালে ভিন্ন ভিন্ন নামে যদি নতুন মাদক প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে প্রতিটি সংস্থাকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। তা না হলে দেশে মাদকাসক্ত তরুণের সংখ্যা আরও বাড়বে; যার পরিণতি দেশের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
২০ মার্চ ২০২৫
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
২০ মার্চ ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৬ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
২০ মার্চ ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৮ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে, তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন।
২০ মার্চ ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৬ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৮ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৯ ঘণ্টা আগে