Ajker Patrika

আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের সংখ্যা জানে না বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের সংখ্যা জানে না বাংলাদেশ

আফগানিস্তানে আটকে পড়া নাগরিকের সংখ্যা জানা নেই বাংলাদেশের। কারণ, বাংলাদেশের সেখানে কোনো দূতাবাস নেই। পাশের দেশের দূতাবাস থেকে আফগানিস্তান দেখাশোনা করা হয়। আর আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিজেদের খোঁজ মিশনকে দেন না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র ভবনে এ তথ্য জানান তিনি।

আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জানামতে যেসব বাংলাদেশি সেখানে ছিলেন, ছয় সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম, নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য। আমাদের আগে থেকেই ধারণা ছিল, কোনো একটা ঝামেলা হবে। ব্র্যাক তাদের কিছু মানুষ নিয়ে এসেছে। কিন্তু অনেকে থেকে গেছেন সেখানে। এখন তাদের সেখান থেকে আমরা আনার চেষ্টা করছি।’

যেসব বাংলাদেশি বিমানবন্দরে আটকে আছেন তাঁদের কী হবে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কীভাবে কী করব, তা বলতে চাচ্ছি না। কারণ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুবই তরল এ মুহূর্তে। তাদের বের করে নিয়ে আসার বিষয়ে আমরা বেশি একটা আওয়াজ করতে চাই না। দেখা গেছে তাদের আটকায় দেবে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না।’ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দেখার পরামর্শ দেন তিনি।

কতজন বাংলাদেশি আফগানিস্তানে আটকা পড়েছে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কিছু বাংলাদেশি আফগানিস্তান থেকে বের হয়েছেন। মোট সংখ্যা আমাদের জানা নেই। আফগানিস্তানে আমাদের মিশন নাই। উজবেকিস্তানের মিশন আফগান দেখভাল করে। বাংলাদেশিরা তাসখন্দে খবর দেয় না, কে কোথায় রয়েছেন।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তান অনেক দিন ধরেই একটু ভালনারেবল অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আবার ওখানে যায় লোকজন বেড়াতে। আই ডোন্ট নো। যাই হোক দে উইল ম্যানেজ। গভর্নমেন্টের অল সাপোর্ট আছে। যেভাবে যার ফিরে আসা উচিত, সেভাবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়া চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। তিনি গতকালের সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সুদান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলায় গ্রেপ্তার ১৭: ডিএমপি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সোমবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং। ছবি: স্ক্রিনশট
সোমবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং। ছবি: স্ক্রিনশট

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে থানা-পুলিশ ১৩ জন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ৩ জন এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এর আগে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯ জন। তবে দুপুরের ব্রিফিংয়ে ডিএমপি গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৭ বলে নিশ্চিত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায়। সন্ত্রাসীরা কার্যালয় দুটিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়। একই রাতে ধানমন্ডিতে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনেও হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে এই মামলাটি করা হয়। মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের প্রতিবাদ সভা

তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে: নূরুল কবীর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১১
নুরুল কবীর। ছবি: স্ক্রিনশট
নুরুল কবীর। ছবি: স্ক্রিনশট

দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশে চলমান ‘মব ভায়োলেন্সের’ প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ এবং নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে।

সভায় সূচনা বক্তব্যে নূরুল কবীর বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছে, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। দমকল বাহিনী আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীটি চেয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন চারপাশ থেকে লাগিয়ে যাদের সঙ্গে তাদের মতান্তর, তাদের পুড়িয়ে মারতে।’

নূরুল কবীর বলেম, ‘এটা পৃথিবীর কোনো সমাজ যদি সহ্য করে, যদি সেটা এগিয়ে যেতে দেয়, তার বিরুদ্ধে যদি মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়, তাহলে শুধু সংগঠনগুলো ধ্বংস হবে তা নয়, গোটা সমাজব্যবস্থা, সমাজের উন্নতির সমস্ত সম্ভাবনা রুদ্ধ হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: স্ক্রিনশট
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: স্ক্রিনশট

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। আজকে যে বাংলাদেশ দেখছি, এই বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনো দিন দেখিনি। আজকে ডেইলি স্টার নয়, প্রথম আলো নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে সেই জায়গায় আঘাত এসেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক চিন্তা, দল, সংগঠন নয়, সকল গণতান্ত্রিক চিন্তার মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসেছে। আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই।’

সভা সঞ্চালনা করছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। আরও উপস্থিত আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী রেহনুমা আহমেদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ড. ইফতেখারুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: লুটের টাকায় টিভি-ফ্রিজ কিনেছিলেন গ্রেপ্তার নাইম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রাকিব হোসেন ও মো. নাইম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। নাইম লুট করা টাকা দিয়ে টিভি ও ফ্রিজ কিনেছিলেন।

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন। এগুলোও অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় নাইমের কাছ থেকে লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

তবে ১ লাখ ২৩ টাকা কোন ভবন থেকে লুট করেন নাইম এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার রাকিব হোসেনকে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। তিনি ফেসবুকে তাঁর আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।

ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে বাকি দু’জনের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবন এবং ছায়ানট ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর তোপখানায় উদীচী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে এর পরদিন ১৯ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্যালয়ে হামলায় প্রথম আলোর মামলা, আসামি অজ্ঞাতনামা ৫০০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে এই মামলা করা হয় বলে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কার্যালয়।

এর পরপরই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কার্যালয়েও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত