সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের বিষয়ে আপাতত সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের স্থানীয় ও বিদেশি বিশ্লেষকেরা মনে করেছেন, প্রায় দেড় যুগ একমুখী থাকার পর বাংলাদেশের কূটনীতি এক বছর ধরে ভিন্ন গতিতে যাত্রা শুরু করেছে। এখন পাকিস্তান বেশ সক্রিয় হওয়ায় যা ঘটতে চলেছে, তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় ঘটনা। এমন তৎপরতার মুখে দুই দেশের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াত বাড়লে এবং বোঝাপড়ায় গতি এলে তার প্রভাব ভবিষ্যতে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির সোমবার বলেন, ‘ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক হয়, তা হবে একটি ইতিবাচক ঘটনা। দুই দেশই এর সুফল পাবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ দেশটির তিন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে আলাপকালে তিনি আজকের পত্রিকা'কে এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নাকভি এরই মধ্যে ঢাকা ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা বৈঠক ছাড়াও তাঁরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় যোগ দিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা সফরের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ার সুযোগ আছে। যেমন বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য তুলা আনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দূরের দেশগুলো থেকে। যদিও কাছে পাকিস্তান ও ভারতে তুলা আছে।
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন দীর্ঘায়িত হলে পাকিস্তান থেকে অল্প সময়ে কম দামে তুলা আনার সুযোগ এখানকার শিল্পোদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ইসলামাবাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, এমনটা উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটার এ সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। এখন উচ্চপর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও যাতায়াত বেড়েছে। এ বিষয়ের ওপর ভারতসহ আঞ্চলিক দেশগুলোরও নজর আছে।
ইসহাক দারের ঢাকা সফরে বারবার সার্ক (দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) প্রসঙ্গ আসার উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে ভারত আবার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা ঘোচানো এবং সার্ক চাঙা করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করায় মনোযোগী হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। এর বাইরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহায়তা পেতে পারে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে গতি এলেও সে কারণে যেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারতের উদ্বেগ ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাখা খুব দরকার। আর দীর্ঘ স্থলসীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানা থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক হলে দুই দেশই লাভবান হয়।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক বছরে সবচেয়ে বড় ঘটনা। উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক গত রোববার এক্স-পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে ঠিক কোন দিকে গড়াবে, তা বোঝা যাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকায় নতুন সরকার আসার পর।
ইসহাক দার তাঁর কমবেশি ৩৬ ঘণ্টার সফরে সরকারের বাইরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও এনসিপিসহ তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দুই দেশের ওপরের দিকে সফর বিনিময়ের মধ্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর স্পষ্ট সুরাহা না হলে বারবার সামনে আসতেই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ইউএসসি ডরনসাইফ কলেজ অব লেটার্স, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যান গতকাল সোমবার এক এক্স-পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, ‘পাকিস্তান বলছে, দেশটি দুবার একাত্তরের বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে অনতিক্রম্য বাধা হয়ে রয়ে যাবে কি?’
পাকিস্তানের একজন সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, একাত্তর-পূর্ব আর্থিক লেনদেনের হিস্যা আদায় করতে চাইলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, একাত্তরের প্রসঙ্গ সামনে এলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ লেনদেনের যে সম্পর্ক, তা ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এখন মোট দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বাণিজ্য মাত্র ১০০ কোটি ডলারের। তুলা, কাপড়, শিল্পের কাঁচামালের কেনাবেচা বাড়িয়ে এখনই এটা ২০০ কোটি ডলারে নেওয়া সম্ভব। তবে সম্পর্ক নির্বিঘ্ন করতে চাইলে পাকিস্তানের উচিত একাত্তরের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা।’

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের বিষয়ে আপাতত সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের স্থানীয় ও বিদেশি বিশ্লেষকেরা মনে করেছেন, প্রায় দেড় যুগ একমুখী থাকার পর বাংলাদেশের কূটনীতি এক বছর ধরে ভিন্ন গতিতে যাত্রা শুরু করেছে। এখন পাকিস্তান বেশ সক্রিয় হওয়ায় যা ঘটতে চলেছে, তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় ঘটনা। এমন তৎপরতার মুখে দুই দেশের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াত বাড়লে এবং বোঝাপড়ায় গতি এলে তার প্রভাব ভবিষ্যতে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির সোমবার বলেন, ‘ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক হয়, তা হবে একটি ইতিবাচক ঘটনা। দুই দেশই এর সুফল পাবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ দেশটির তিন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে আলাপকালে তিনি আজকের পত্রিকা'কে এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নাকভি এরই মধ্যে ঢাকা ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা বৈঠক ছাড়াও তাঁরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় যোগ দিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা সফরের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ার সুযোগ আছে। যেমন বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য তুলা আনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দূরের দেশগুলো থেকে। যদিও কাছে পাকিস্তান ও ভারতে তুলা আছে।
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন দীর্ঘায়িত হলে পাকিস্তান থেকে অল্প সময়ে কম দামে তুলা আনার সুযোগ এখানকার শিল্পোদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ইসলামাবাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, এমনটা উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটার এ সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। এখন উচ্চপর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও যাতায়াত বেড়েছে। এ বিষয়ের ওপর ভারতসহ আঞ্চলিক দেশগুলোরও নজর আছে।
ইসহাক দারের ঢাকা সফরে বারবার সার্ক (দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) প্রসঙ্গ আসার উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে ভারত আবার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা ঘোচানো এবং সার্ক চাঙা করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করায় মনোযোগী হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। এর বাইরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহায়তা পেতে পারে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে গতি এলেও সে কারণে যেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারতের উদ্বেগ ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাখা খুব দরকার। আর দীর্ঘ স্থলসীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানা থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক হলে দুই দেশই লাভবান হয়।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক বছরে সবচেয়ে বড় ঘটনা। উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক গত রোববার এক্স-পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে ঠিক কোন দিকে গড়াবে, তা বোঝা যাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকায় নতুন সরকার আসার পর।
ইসহাক দার তাঁর কমবেশি ৩৬ ঘণ্টার সফরে সরকারের বাইরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও এনসিপিসহ তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দুই দেশের ওপরের দিকে সফর বিনিময়ের মধ্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর স্পষ্ট সুরাহা না হলে বারবার সামনে আসতেই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ইউএসসি ডরনসাইফ কলেজ অব লেটার্স, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যান গতকাল সোমবার এক এক্স-পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, ‘পাকিস্তান বলছে, দেশটি দুবার একাত্তরের বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে অনতিক্রম্য বাধা হয়ে রয়ে যাবে কি?’
পাকিস্তানের একজন সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, একাত্তর-পূর্ব আর্থিক লেনদেনের হিস্যা আদায় করতে চাইলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, একাত্তরের প্রসঙ্গ সামনে এলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ লেনদেনের যে সম্পর্ক, তা ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এখন মোট দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বাণিজ্য মাত্র ১০০ কোটি ডলারের। তুলা, কাপড়, শিল্পের কাঁচামালের কেনাবেচা বাড়িয়ে এখনই এটা ২০০ কোটি ডলারে নেওয়া সম্ভব। তবে সম্পর্ক নির্বিঘ্ন করতে চাইলে পাকিস্তানের উচিত একাত্তরের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা।’
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের বিষয়ে আপাতত সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের স্থানীয় ও বিদেশি বিশ্লেষকেরা মনে করেছেন, প্রায় দেড় যুগ একমুখী থাকার পর বাংলাদেশের কূটনীতি এক বছর ধরে ভিন্ন গতিতে যাত্রা শুরু করেছে। এখন পাকিস্তান বেশ সক্রিয় হওয়ায় যা ঘটতে চলেছে, তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় ঘটনা। এমন তৎপরতার মুখে দুই দেশের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াত বাড়লে এবং বোঝাপড়ায় গতি এলে তার প্রভাব ভবিষ্যতে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির সোমবার বলেন, ‘ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক হয়, তা হবে একটি ইতিবাচক ঘটনা। দুই দেশই এর সুফল পাবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ দেশটির তিন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে আলাপকালে তিনি আজকের পত্রিকা'কে এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নাকভি এরই মধ্যে ঢাকা ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা বৈঠক ছাড়াও তাঁরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় যোগ দিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা সফরের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ার সুযোগ আছে। যেমন বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য তুলা আনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দূরের দেশগুলো থেকে। যদিও কাছে পাকিস্তান ও ভারতে তুলা আছে।
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন দীর্ঘায়িত হলে পাকিস্তান থেকে অল্প সময়ে কম দামে তুলা আনার সুযোগ এখানকার শিল্পোদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ইসলামাবাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, এমনটা উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটার এ সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। এখন উচ্চপর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও যাতায়াত বেড়েছে। এ বিষয়ের ওপর ভারতসহ আঞ্চলিক দেশগুলোরও নজর আছে।
ইসহাক দারের ঢাকা সফরে বারবার সার্ক (দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) প্রসঙ্গ আসার উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে ভারত আবার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা ঘোচানো এবং সার্ক চাঙা করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করায় মনোযোগী হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। এর বাইরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহায়তা পেতে পারে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে গতি এলেও সে কারণে যেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারতের উদ্বেগ ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাখা খুব দরকার। আর দীর্ঘ স্থলসীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানা থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক হলে দুই দেশই লাভবান হয়।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক বছরে সবচেয়ে বড় ঘটনা। উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক গত রোববার এক্স-পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে ঠিক কোন দিকে গড়াবে, তা বোঝা যাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকায় নতুন সরকার আসার পর।
ইসহাক দার তাঁর কমবেশি ৩৬ ঘণ্টার সফরে সরকারের বাইরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও এনসিপিসহ তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দুই দেশের ওপরের দিকে সফর বিনিময়ের মধ্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর স্পষ্ট সুরাহা না হলে বারবার সামনে আসতেই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ইউএসসি ডরনসাইফ কলেজ অব লেটার্স, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যান গতকাল সোমবার এক এক্স-পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, ‘পাকিস্তান বলছে, দেশটি দুবার একাত্তরের বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে অনতিক্রম্য বাধা হয়ে রয়ে যাবে কি?’
পাকিস্তানের একজন সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, একাত্তর-পূর্ব আর্থিক লেনদেনের হিস্যা আদায় করতে চাইলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, একাত্তরের প্রসঙ্গ সামনে এলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ লেনদেনের যে সম্পর্ক, তা ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এখন মোট দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বাণিজ্য মাত্র ১০০ কোটি ডলারের। তুলা, কাপড়, শিল্পের কাঁচামালের কেনাবেচা বাড়িয়ে এখনই এটা ২০০ কোটি ডলারে নেওয়া সম্ভব। তবে সম্পর্ক নির্বিঘ্ন করতে চাইলে পাকিস্তানের উচিত একাত্তরের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা।’

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের বিষয়ে আপাতত সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের স্থানীয় ও বিদেশি বিশ্লেষকেরা মনে করেছেন, প্রায় দেড় যুগ একমুখী থাকার পর বাংলাদেশের কূটনীতি এক বছর ধরে ভিন্ন গতিতে যাত্রা শুরু করেছে। এখন পাকিস্তান বেশ সক্রিয় হওয়ায় যা ঘটতে চলেছে, তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় ঘটনা। এমন তৎপরতার মুখে দুই দেশের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াত বাড়লে এবং বোঝাপড়ায় গতি এলে তার প্রভাব ভবিষ্যতে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পড়বে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির সোমবার বলেন, ‘ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক হয়, তা হবে একটি ইতিবাচক ঘটনা। দুই দেশই এর সুফল পাবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারসহ দেশটির তিন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে আলাপকালে তিনি আজকের পত্রিকা'কে এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নাকভি এরই মধ্যে ঢাকা ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা বৈঠক ছাড়াও তাঁরা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় যোগ দিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা সফরের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ার সুযোগ আছে। যেমন বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য তুলা আনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দূরের দেশগুলো থেকে। যদিও কাছে পাকিস্তান ও ভারতে তুলা আছে।
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন দীর্ঘায়িত হলে পাকিস্তান থেকে অল্প সময়ে কম দামে তুলা আনার সুযোগ এখানকার শিল্পোদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ইসলামাবাদের মধ্যে দূরত্ব কমছে, এমনটা উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটার এ সম্পর্ক আগে থেকেই আছে। এখন উচ্চপর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও যাতায়াত বেড়েছে। এ বিষয়ের ওপর ভারতসহ আঞ্চলিক দেশগুলোরও নজর আছে।
ইসহাক দারের ঢাকা সফরে বারবার সার্ক (দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) প্রসঙ্গ আসার উল্লেখ করে হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে ভারত আবার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে দূরত্ব কিছুটা ঘোচানো এবং সার্ক চাঙা করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করায় মনোযোগী হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু সময় লাগা অস্বাভাবিক নয়। এর বাইরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহায়তা পেতে পারে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে গতি এলেও সে কারণে যেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারতের উদ্বেগ ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় রাখা খুব দরকার। আর দীর্ঘ স্থলসীমান্ত এবং সমুদ্র সীমানা থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক হলে দুই দেশই লাভবান হয়।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মার্কিন বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক বছরে সবচেয়ে বড় ঘটনা। উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এই পরিচালক গত রোববার এক্স-পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে ঠিক কোন দিকে গড়াবে, তা বোঝা যাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকায় নতুন সরকার আসার পর।
ইসহাক দার তাঁর কমবেশি ৩৬ ঘণ্টার সফরে সরকারের বাইরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও এনসিপিসহ তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দুই দেশের ওপরের দিকে সফর বিনিময়ের মধ্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর স্পষ্ট সুরাহা না হলে বারবার সামনে আসতেই থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ইউএসসি ডরনসাইফ কলেজ অব লেটার্স, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যান গতকাল সোমবার এক এক্স-পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, ‘পাকিস্তান বলছে, দেশটি দুবার একাত্তরের বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে অনতিক্রম্য বাধা হয়ে রয়ে যাবে কি?’
পাকিস্তানের একজন সাবেক কূটনীতিক মনে করেন, একাত্তর-পূর্ব আর্থিক লেনদেনের হিস্যা আদায় করতে চাইলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির অবশ্য মনে করেন, একাত্তরের প্রসঙ্গ সামনে এলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ লেনদেনের যে সম্পর্ক, তা ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এখন মোট দ্বিপক্ষীয় বার্ষিক বাণিজ্য মাত্র ১০০ কোটি ডলারের। তুলা, কাপড়, শিল্পের কাঁচামালের কেনাবেচা বাড়িয়ে এখনই এটা ২০০ কোটি ডলারে নেওয়া সম্ভব। তবে সম্পর্ক নির্বিঘ্ন করতে চাইলে পাকিস্তানের উচিত একাত্তরের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
২৬ আগস্ট ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
২৬ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
৩ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
২৬ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ১৫ বছরের নিশ্চল অবস্থা কাটাতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
২৬ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে