মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এবং কম বয়সে বিবাহিত মেয়েদের গর্ভধারণের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞেরা এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, দেশের মানুষের ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে। এ ছাড়া বেসরকারি খাত থেকে ৫৭ শতাংশ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) থেকে ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসে ৪ শতাংশ উপকরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি খাত প্রধান উৎস না হলেও মোট জনসংখ্যার বিশাল আকারের বিবেচনায় ৩৭ শতাংশকে বড় হারই বলতে হবে।
মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচ ধরনের পদ্ধতি সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে—খাওয়ার বড়ি, ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে খাওয়ার বড়ি ৪৯ শতাংশ, ইনজেক্টেবল ১৯ শতাংশ, কনডম ১০ শতাংশ, ইমপ্ল্যান্ট ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, আইইউডি ৩ শতাংশ এবং পুরুষের এনএসভি অস্ত্রোপচার এবং নারীর টিউবেকটমি অস্ত্রোপচার (স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ) ১২ শতাংশ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের সংখ্যা হচ্ছে ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার। তবে সরকারিভাবে সামগ্রীগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত না করতে পারায় গত এক বছর এসবের বিতরণ কমে এসেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। তখন খাবার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ। আর সর্বশেষ গত মাসে তা মাত্র ২ লাখে নেমে এসেছে। একইভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৯ লাখ ইনজেক্টেবলের ব্যবহার হলেও গত মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২৩ লাখ কনডম ব্যবহার হয়েছে। এটি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ কম। গত মাসে কনডমের ব্যবহার ঠেকেছে ৬ লাখ ৮০ হাজারে। গত মাসে ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার হয়েছে পৌনে ২ হাজার। আর আইইউডির ব্যবহার হয়েছে ১ হাজারেরও কম।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে খাওয়ার বড়ি নেই ১৫১টি উপজেলায়। ১৩১টিতে শিগগির মজুত শূন্য হবে। ৭৬টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। একইভাবে ১০৬টি উপজেলায় কনডম এবং ১৩৩টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণগুলোর মজুতের ক্ষেত্রেও একই ধরনের চিত্র দেখা গিয়েছে।
অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, গত বছরের শুরুতে উপকরণ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আজিজুর রহমান ক্রয়ের অনুমোদন দেননি। তিনি যেসব উপকরণ আছে, তা দিয়ে কাজ ‘চালিয়ে নিতে’ বলেছিলেন। উচ্চপদস্থ এ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, তৎকালীন ওই সচিবের ‘দূরদৃষ্টির অভাবে’ এখন সারা দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া গত জুনে স্বাস্থ্য খাতের কৌশলগত পরিকল্পনা (ওপি) শেষ হয়েছে। ৫ বছর মেয়াদি নতুন ওপি না হওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
এক জেলার চিত্র
মাদারীপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে খাবার বড়ি মাঠে নেই। কনডম আছে। ইনজেক্টেবল, আইইউডি আছে। ইমপ্ল্যান্ট সামনের মাসে শেষ হবে। আমরা দম্পতিদের বিকল্প পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছি। যেমন—নারীদের প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে বড়ি কিনে খেতে বলছি। অথবা আমাদের কাছে বিকল্প যে পদ্ধতি রয়েছে তা গ্রহণ করার কথা বলি। ফলে সংকট যে গুরুতর আকার ধারণ করেছে, তা বলা ঠিক হবে না।’
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা
দেশে বর্তমানে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ১ বলে জানিয়েছে বিবিএস। একজন নারী তার প্রজনন বয়সে (১৫ থেকে ৪৯ বছর) গড়ে যতটি সন্তানের জন্ম দেন, তা-ই মোট প্রজনন হার। অর্থাৎ দেশে বর্তমানে একজন নারী গড়ে দুটির বেশি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের সংকটের কারণে দেশে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, কিশোরী গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সরকার যেসব উপকরণ বিতরণ করে তার বেশির ভাগই পান অসচ্ছল প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেরা। ঘাটতির কারণে তাঁরা উপকরণ হাতে পাচ্ছেন না। ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ বাড়বে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে গুরুত্ব কমিয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করেন, সাম্প্রতিক দশকে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যাকে কার্যত উপেক্ষা করা হয়েছে।
বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এখন বাংলাদেশ। এহেন দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্যের আপাত স্থবিরতার চিত্র উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের পর্যবেক্ষণে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের স্বর্ণযুগ ছিল গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশক। ১৯৯৩ সালে আমাদের মোট প্রজনন হার ছিল ৩ দশমিক ৩। তখন থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হার একই রকম ছিল। ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে এসে তা কিছুটা কমে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হার একই অবস্থায় রয়ে গেছে।...আর গত কয়েক বছর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নীতিগত ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টিকে ইদানীং সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।’
ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, দেশের ৭৪ শতাংশ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে বা উপকরণ পাচ্ছে ৬৪ শতাংশ দম্পতি। যে দশ শতাংশের সন্তান জন্মদানের পরিকল্পনা নেই, তাদের হাতে কোনো উপকরণও নেই। ওইসব নারীর অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন। এর মধ্যে উপকরণ সরবরাহে সংকট হলে স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপকরণ সরবরাহের চলমান সংকট নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ বলেন, ‘ওপি হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় ক্রয়প্রক্রিয়া থেমে গিয়েছিল। আমরা রাজস্ব বাজেট থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণগুলো কেনার চেষ্টা করছি। ক্রয়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে।’

পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এবং কম বয়সে বিবাহিত মেয়েদের গর্ভধারণের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞেরা এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, দেশের মানুষের ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে। এ ছাড়া বেসরকারি খাত থেকে ৫৭ শতাংশ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) থেকে ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসে ৪ শতাংশ উপকরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি খাত প্রধান উৎস না হলেও মোট জনসংখ্যার বিশাল আকারের বিবেচনায় ৩৭ শতাংশকে বড় হারই বলতে হবে।
মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচ ধরনের পদ্ধতি সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে—খাওয়ার বড়ি, ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে খাওয়ার বড়ি ৪৯ শতাংশ, ইনজেক্টেবল ১৯ শতাংশ, কনডম ১০ শতাংশ, ইমপ্ল্যান্ট ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, আইইউডি ৩ শতাংশ এবং পুরুষের এনএসভি অস্ত্রোপচার এবং নারীর টিউবেকটমি অস্ত্রোপচার (স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ) ১২ শতাংশ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। স্বাভাবিক সময়ে অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের সংখ্যা হচ্ছে ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার। তবে সরকারিভাবে সামগ্রীগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত না করতে পারায় গত এক বছর এসবের বিতরণ কমে এসেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। তখন খাবার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ। আর সর্বশেষ গত মাসে তা মাত্র ২ লাখে নেমে এসেছে। একইভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৯ লাখ ইনজেক্টেবলের ব্যবহার হলেও গত মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২৩ লাখ কনডম ব্যবহার হয়েছে। এটি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ কম। গত মাসে কনডমের ব্যবহার ঠেকেছে ৬ লাখ ৮০ হাজারে। গত মাসে ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার হয়েছে পৌনে ২ হাজার। আর আইইউডির ব্যবহার হয়েছে ১ হাজারেরও কম।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে খাওয়ার বড়ি নেই ১৫১টি উপজেলায়। ১৩১টিতে শিগগির মজুত শূন্য হবে। ৭৬টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। একইভাবে ১০৬টি উপজেলায় কনডম এবং ১৩৩টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণগুলোর মজুতের ক্ষেত্রেও একই ধরনের চিত্র দেখা গিয়েছে।
অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, গত বছরের শুরুতে উপকরণ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. আজিজুর রহমান ক্রয়ের অনুমোদন দেননি। তিনি যেসব উপকরণ আছে, তা দিয়ে কাজ ‘চালিয়ে নিতে’ বলেছিলেন। উচ্চপদস্থ এ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, তৎকালীন ওই সচিবের ‘দূরদৃষ্টির অভাবে’ এখন সারা দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া গত জুনে স্বাস্থ্য খাতের কৌশলগত পরিকল্পনা (ওপি) শেষ হয়েছে। ৫ বছর মেয়াদি নতুন ওপি না হওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
এক জেলার চিত্র
মাদারীপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে খাবার বড়ি মাঠে নেই। কনডম আছে। ইনজেক্টেবল, আইইউডি আছে। ইমপ্ল্যান্ট সামনের মাসে শেষ হবে। আমরা দম্পতিদের বিকল্প পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছি। যেমন—নারীদের প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে বড়ি কিনে খেতে বলছি। অথবা আমাদের কাছে বিকল্প যে পদ্ধতি রয়েছে তা গ্রহণ করার কথা বলি। ফলে সংকট যে গুরুতর আকার ধারণ করেছে, তা বলা ঠিক হবে না।’
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা
দেশে বর্তমানে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ১ বলে জানিয়েছে বিবিএস। একজন নারী তার প্রজনন বয়সে (১৫ থেকে ৪৯ বছর) গড়ে যতটি সন্তানের জন্ম দেন, তা-ই মোট প্রজনন হার। অর্থাৎ দেশে বর্তমানে একজন নারী গড়ে দুটির বেশি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের সংকটের কারণে দেশে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, কিশোরী গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সরকার যেসব উপকরণ বিতরণ করে তার বেশির ভাগই পান অসচ্ছল প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেরা। ঘাটতির কারণে তাঁরা উপকরণ হাতে পাচ্ছেন না। ফলে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ বাড়বে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে গুরুত্ব কমিয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করেন, সাম্প্রতিক দশকে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যাকে কার্যত উপেক্ষা করা হয়েছে।
বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এখন বাংলাদেশ। এহেন দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্যের আপাত স্থবিরতার চিত্র উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের পর্যবেক্ষণে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের স্বর্ণযুগ ছিল গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশক। ১৯৯৩ সালে আমাদের মোট প্রজনন হার ছিল ৩ দশমিক ৩। তখন থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হার একই রকম ছিল। ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে এসে তা কিছুটা কমে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হার একই অবস্থায় রয়ে গেছে।...আর গত কয়েক বছর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নীতিগত ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টিকে ইদানীং সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।’
ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, দেশের ৭৪ শতাংশ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে বা উপকরণ পাচ্ছে ৬৪ শতাংশ দম্পতি। যে দশ শতাংশের সন্তান জন্মদানের পরিকল্পনা নেই, তাদের হাতে কোনো উপকরণও নেই। ওইসব নারীর অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন। এর মধ্যে উপকরণ সরবরাহে সংকট হলে স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উপকরণ সরবরাহের চলমান সংকট নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ বলেন, ‘ওপি হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় ক্রয়প্রক্রিয়া থেমে গিয়েছিল। আমরা রাজস্ব বাজেট থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণগুলো কেনার চেষ্টা করছি। ক্রয়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা



পরিবার পরিকল্পনার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর চরম সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের গত এক বছরের পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে