ইলিশের খরা
শিমুল চৌধুরী, ভোলা ও সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়া এখন বৈরী হয়ে উঠেছে। ফলে সাগর-নদীতে নামতেই পারছেন না জেলেরা। এদিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারেও দাম চড়া।
ভোলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, জেলে, আড়তদার, মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপকূলীয় এই দ্বীপ জেলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ফলে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে নদীতে মাছ প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না।
ভোলার সাত উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে সাগর ও নদীর মৎস্য আহরণ এবং মাছ ব্যবসায় জড়িত। এখানকার মাছ দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বুকভরা আশা নিয়ে সাগর ও নদীতে গিয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না তাঁরা, উঠছে না নৌকার তেলের খরচও। এদিকে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে ক্ষুদ্রঋণ বা মহাজনের দাদন নেন জেলেরা। মাছ ধরতে না পেরে সমিতির কিস্তি, মহাজনের দাদনের চাপ, দোকানের দেনা, সন্তানদের পড়ালেখার খরচসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
জেলেদের অভিযোগ, সরকারিভাবে জেলেদের প্রণোদনার যে চাল আসে, অধিকাংশ জেলেই তা পান না। চাল চলে যায় প্রভাবশালীদের ঘরে।
গতকাল শনিবার ভোলা সদরের মেঘনাপারের মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলে মনির বেলা ১১টায় নদীতে মাছ শিকারে নেমে সন্ধ্যা ৬টায় ঘাটে ফেরেন ছোট আকারের চারটি ইলিশ নিয়ে। এগুলোর দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
ভোলা খাল এলাকার মাছ ঘাটের আড়তদার এবং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাইনুদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশের অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এই সময়ে এই আড়তে যেখানে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো, এ বছর এখন দৈনিক ১ লাখ টাকার ইলিশও বেচাকেনা হচ্ছে না। নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছ কমে গেছে।
এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের দামও চড়া। ছোট আকারের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা। আর এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর ও নদীমধ্যবর্তী স্থানে শতাধিক ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সাগর থেকে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, কালাবাদর, বেতুয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসতে পারছে না। পানি আরও বাড়লে মাছ আসতে শুরু করবে।
সীতাকুণ্ডে ইলিশশূন্য সন্দ্বীপ চ্যানেল
সীতাকুণ্ডের জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠেছে। এতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ইলিশ ধরা পড়েছে ২৩০ দশমিক ৪ টন, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০৩ টন কম। এই উপজেলায় ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক রাখতেন। এবারও তাঁদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে বিদায় করে দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এই উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনেকটা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে। এবার তা আরও কমে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩০ দশমিক ৪ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ বছর জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরাই বন্ধ রয়েছে।
কর্মহীন হাতিয়া ও শরণখোলার জেলেরাও নোয়াখালীর হাতিয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায়ও এবার কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন সময় পার করছেন এসব জায়গার জেলেরা।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, গত বছর ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। নিখোঁজ হন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে নিঝুমদ্বীপ ও জাহাজমারায় তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ। এ কারণে এবার কেউ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে যেতে চায়নি।
শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়তদার কবীর হোসেন বলেন, একেকটি বোট সাগরে পাঠাতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু সাগরে যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে খরচের টাকা ওঠে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ফরিদ খান মিন্টু এবং হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন কিরণ]

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়া এখন বৈরী হয়ে উঠেছে। ফলে সাগর-নদীতে নামতেই পারছেন না জেলেরা। এদিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারেও দাম চড়া।
ভোলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, জেলে, আড়তদার, মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপকূলীয় এই দ্বীপ জেলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ফলে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে নদীতে মাছ প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না।
ভোলার সাত উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে সাগর ও নদীর মৎস্য আহরণ এবং মাছ ব্যবসায় জড়িত। এখানকার মাছ দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বুকভরা আশা নিয়ে সাগর ও নদীতে গিয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না তাঁরা, উঠছে না নৌকার তেলের খরচও। এদিকে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে ক্ষুদ্রঋণ বা মহাজনের দাদন নেন জেলেরা। মাছ ধরতে না পেরে সমিতির কিস্তি, মহাজনের দাদনের চাপ, দোকানের দেনা, সন্তানদের পড়ালেখার খরচসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
জেলেদের অভিযোগ, সরকারিভাবে জেলেদের প্রণোদনার যে চাল আসে, অধিকাংশ জেলেই তা পান না। চাল চলে যায় প্রভাবশালীদের ঘরে।
গতকাল শনিবার ভোলা সদরের মেঘনাপারের মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলে মনির বেলা ১১টায় নদীতে মাছ শিকারে নেমে সন্ধ্যা ৬টায় ঘাটে ফেরেন ছোট আকারের চারটি ইলিশ নিয়ে। এগুলোর দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
ভোলা খাল এলাকার মাছ ঘাটের আড়তদার এবং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাইনুদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশের অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এই সময়ে এই আড়তে যেখানে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো, এ বছর এখন দৈনিক ১ লাখ টাকার ইলিশও বেচাকেনা হচ্ছে না। নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছ কমে গেছে।
এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের দামও চড়া। ছোট আকারের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা। আর এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর ও নদীমধ্যবর্তী স্থানে শতাধিক ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সাগর থেকে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, কালাবাদর, বেতুয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসতে পারছে না। পানি আরও বাড়লে মাছ আসতে শুরু করবে।
সীতাকুণ্ডে ইলিশশূন্য সন্দ্বীপ চ্যানেল
সীতাকুণ্ডের জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠেছে। এতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ইলিশ ধরা পড়েছে ২৩০ দশমিক ৪ টন, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০৩ টন কম। এই উপজেলায় ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক রাখতেন। এবারও তাঁদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে বিদায় করে দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এই উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনেকটা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে। এবার তা আরও কমে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩০ দশমিক ৪ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ বছর জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরাই বন্ধ রয়েছে।
কর্মহীন হাতিয়া ও শরণখোলার জেলেরাও নোয়াখালীর হাতিয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায়ও এবার কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন সময় পার করছেন এসব জায়গার জেলেরা।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, গত বছর ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। নিখোঁজ হন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে নিঝুমদ্বীপ ও জাহাজমারায় তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ। এ কারণে এবার কেউ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে যেতে চায়নি।
শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়তদার কবীর হোসেন বলেন, একেকটি বোট সাগরে পাঠাতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু সাগরে যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে খরচের টাকা ওঠে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ফরিদ খান মিন্টু এবং হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন কিরণ]
ইলিশের খরা
শিমুল চৌধুরী, ভোলা ও সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়া এখন বৈরী হয়ে উঠেছে। ফলে সাগর-নদীতে নামতেই পারছেন না জেলেরা। এদিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারেও দাম চড়া।
ভোলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, জেলে, আড়তদার, মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপকূলীয় এই দ্বীপ জেলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ফলে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে নদীতে মাছ প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না।
ভোলার সাত উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে সাগর ও নদীর মৎস্য আহরণ এবং মাছ ব্যবসায় জড়িত। এখানকার মাছ দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বুকভরা আশা নিয়ে সাগর ও নদীতে গিয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না তাঁরা, উঠছে না নৌকার তেলের খরচও। এদিকে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে ক্ষুদ্রঋণ বা মহাজনের দাদন নেন জেলেরা। মাছ ধরতে না পেরে সমিতির কিস্তি, মহাজনের দাদনের চাপ, দোকানের দেনা, সন্তানদের পড়ালেখার খরচসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
জেলেদের অভিযোগ, সরকারিভাবে জেলেদের প্রণোদনার যে চাল আসে, অধিকাংশ জেলেই তা পান না। চাল চলে যায় প্রভাবশালীদের ঘরে।
গতকাল শনিবার ভোলা সদরের মেঘনাপারের মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলে মনির বেলা ১১টায় নদীতে মাছ শিকারে নেমে সন্ধ্যা ৬টায় ঘাটে ফেরেন ছোট আকারের চারটি ইলিশ নিয়ে। এগুলোর দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
ভোলা খাল এলাকার মাছ ঘাটের আড়তদার এবং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাইনুদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশের অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এই সময়ে এই আড়তে যেখানে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো, এ বছর এখন দৈনিক ১ লাখ টাকার ইলিশও বেচাকেনা হচ্ছে না। নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছ কমে গেছে।
এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের দামও চড়া। ছোট আকারের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা। আর এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর ও নদীমধ্যবর্তী স্থানে শতাধিক ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সাগর থেকে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, কালাবাদর, বেতুয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসতে পারছে না। পানি আরও বাড়লে মাছ আসতে শুরু করবে।
সীতাকুণ্ডে ইলিশশূন্য সন্দ্বীপ চ্যানেল
সীতাকুণ্ডের জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠেছে। এতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ইলিশ ধরা পড়েছে ২৩০ দশমিক ৪ টন, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০৩ টন কম। এই উপজেলায় ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক রাখতেন। এবারও তাঁদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে বিদায় করে দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এই উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনেকটা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে। এবার তা আরও কমে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩০ দশমিক ৪ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ বছর জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরাই বন্ধ রয়েছে।
কর্মহীন হাতিয়া ও শরণখোলার জেলেরাও নোয়াখালীর হাতিয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায়ও এবার কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন সময় পার করছেন এসব জায়গার জেলেরা।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, গত বছর ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। নিখোঁজ হন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে নিঝুমদ্বীপ ও জাহাজমারায় তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ। এ কারণে এবার কেউ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে যেতে চায়নি।
শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়তদার কবীর হোসেন বলেন, একেকটি বোট সাগরে পাঠাতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু সাগরে যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে খরচের টাকা ওঠে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ফরিদ খান মিন্টু এবং হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন কিরণ]

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়া এখন বৈরী হয়ে উঠেছে। ফলে সাগর-নদীতে নামতেই পারছেন না জেলেরা। এদিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারেও দাম চড়া।
ভোলার মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, জেলে, আড়তদার, মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপকূলীয় এই দ্বীপ জেলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ফলে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে নদীতে মাছ প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সীতাকুণ্ড উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ইলিশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না।
ভোলার সাত উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে সাগর ও নদীর মৎস্য আহরণ এবং মাছ ব্যবসায় জড়িত। এখানকার মাছ দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা বুকভরা আশা নিয়ে সাগর ও নদীতে গিয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না তাঁরা, উঠছে না নৌকার তেলের খরচও। এদিকে মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে ক্ষুদ্রঋণ বা মহাজনের দাদন নেন জেলেরা। মাছ ধরতে না পেরে সমিতির কিস্তি, মহাজনের দাদনের চাপ, দোকানের দেনা, সন্তানদের পড়ালেখার খরচসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
জেলেদের অভিযোগ, সরকারিভাবে জেলেদের প্রণোদনার যে চাল আসে, অধিকাংশ জেলেই তা পান না। চাল চলে যায় প্রভাবশালীদের ঘরে।
গতকাল শনিবার ভোলা সদরের মেঘনাপারের মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলে মনির বেলা ১১টায় নদীতে মাছ শিকারে নেমে সন্ধ্যা ৬টায় ঘাটে ফেরেন ছোট আকারের চারটি ইলিশ নিয়ে। এগুলোর দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
ভোলা খাল এলাকার মাছ ঘাটের আড়তদার এবং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাইনুদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশের অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এই সময়ে এই আড়তে যেখানে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো, এ বছর এখন দৈনিক ১ লাখ টাকার ইলিশও বেচাকেনা হচ্ছে না। নদীতে ডুবোচরের কারণে মাছ কমে গেছে।
এদিকে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের দামও চড়া। ছোট আকারের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা। আর এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
জানতে চাইলে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর ও নদীমধ্যবর্তী স্থানে শতাধিক ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সাগর থেকে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, কালাবাদর, বেতুয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসতে পারছে না। পানি আরও বাড়লে মাছ আসতে শুরু করবে।
সীতাকুণ্ডে ইলিশশূন্য সন্দ্বীপ চ্যানেল
সীতাকুণ্ডের জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠেছে। এতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যনুযায়ী, চলতি মৌসুমে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে ইলিশ ধরা পড়েছে ২৩০ দশমিক ৪ টন, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০৩ টন কম। এই উপজেলায় ৬ হাজার জেলে পরিবারের বসবাস। নিবন্ধিত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাটে জেলে সরদার বিপ্লব জলদাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর ইলিশের মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার জন্য তিনি ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক রাখতেন। এবারও তাঁদের রেখেছিলেন। কিন্তু খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে চার শ্রমিককে বিদায় করে দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এই উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৯২ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ৩১ দশমিক ৭৫ টনে। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনেকটা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭৩৫ দশমিক ৭৩ টনে। এবার তা আরও কমে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৩০ দশমিক ৪ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ বছর জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরাই বন্ধ রয়েছে।
কর্মহীন হাতিয়া ও শরণখোলার জেলেরাও নোয়াখালীর হাতিয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায়ও এবার কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন সময় পার করছেন এসব জায়গার জেলেরা।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, গত বছর ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। নিখোঁজ হন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে নিঝুমদ্বীপ ও জাহাজমারায় তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুজন এখনো নিখোঁজ। এ কারণে এবার কেউ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাছ ধরতে যেতে চায়নি।
শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়তদার কবীর হোসেন বলেন, একেকটি বোট সাগরে পাঠাতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু সাগরে যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে খরচের টাকা ওঠে না। তার ওপর বৈরী আবহাওয়া। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ফরিদ খান মিন্টু এবং হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন কিরণ]

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে...
২৭ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে...
২৭ জুলাই ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে...
২৭ জুলাই ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে...
২৭ জুলাই ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে