রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত করে। পুলিশ বলছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিছু এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে হত্যাসহ নানাভাবে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অসহযোগিতা, অভিযুক্ত বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বা অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ বা গ্রহণে বিলম্ব অপরাধীদের নানাভাবে সহিংস করছে।
ঢাকার কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীর হাত রয়েছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোন্দল, অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণ রয়েছে।
১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারির দোকানে বসে ছিলেন পল্লবী থানা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)। কয়েকজন অস্ত্রধারী দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
এর আগে ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুন নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। একসময় ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী মামুন। অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মামুনকে হত্যা করা হয়।
চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোর পাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। এ সময় মারধরের শিকার হয়ে মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. হানিফ নিহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর—এই ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন মানুষ। ২০২৪ সালের একই সময়ে খুন হয়েছিল ৩ হাজার ১৭ জন, আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন বেড়েছে ৭ শতাংশ, আর দুই বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। পুলিশ সদর দপ্তরের সাম্প্রতিক অপরাধ তথ্যে এমন উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে জুলাই মাসে, ৩৬২টি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খুন হয়েছে জানুয়ারিতে, ২৯৪টি। পুরো ১০ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ জন খুন হয়েছে।
বিভাগওয়ারি খুনের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রাজধানীকেন্দ্রিক ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ১৮৬টি। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০৩টি, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৩২৫টি করে, রংপুরে ২২৩টি, ময়মনসিংহে ২০২টি, সিলেটে ১৯৩টি এবং বরিশালে ১৬২টি খুনের ঘটনা ঘটে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তার এবং পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় খুনের সংখ্যা হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সমাবেশে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। জনসংযোগে অংশ নেওয়া সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ধ্যায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে গুলি করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক(এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের ঘটনা আগের মতোই রয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দ্বন্দ্বের কারণেই হত্যার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনী বছরে সহিংসতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। এবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা এরই মধ্যে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিয়েছি।’

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত করে। পুলিশ বলছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিছু এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে হত্যাসহ নানাভাবে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অসহযোগিতা, অভিযুক্ত বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বা অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ বা গ্রহণে বিলম্ব অপরাধীদের নানাভাবে সহিংস করছে।
ঢাকার কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীর হাত রয়েছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোন্দল, অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণ রয়েছে।
১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারির দোকানে বসে ছিলেন পল্লবী থানা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)। কয়েকজন অস্ত্রধারী দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
এর আগে ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুন নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। একসময় ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী মামুন। অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মামুনকে হত্যা করা হয়।
চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোর পাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। এ সময় মারধরের শিকার হয়ে মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. হানিফ নিহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর—এই ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন মানুষ। ২০২৪ সালের একই সময়ে খুন হয়েছিল ৩ হাজার ১৭ জন, আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন বেড়েছে ৭ শতাংশ, আর দুই বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। পুলিশ সদর দপ্তরের সাম্প্রতিক অপরাধ তথ্যে এমন উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে জুলাই মাসে, ৩৬২টি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খুন হয়েছে জানুয়ারিতে, ২৯৪টি। পুরো ১০ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ জন খুন হয়েছে।
বিভাগওয়ারি খুনের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রাজধানীকেন্দ্রিক ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ১৮৬টি। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০৩টি, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৩২৫টি করে, রংপুরে ২২৩টি, ময়মনসিংহে ২০২টি, সিলেটে ১৯৩টি এবং বরিশালে ১৬২টি খুনের ঘটনা ঘটে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তার এবং পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় খুনের সংখ্যা হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সমাবেশে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। জনসংযোগে অংশ নেওয়া সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ধ্যায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে গুলি করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক(এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের ঘটনা আগের মতোই রয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দ্বন্দ্বের কারণেই হত্যার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনী বছরে সহিংসতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। এবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা এরই মধ্যে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত করে। পুলিশ বলছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিছু এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে হত্যাসহ নানাভাবে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অসহযোগিতা, অভিযুক্ত বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বা অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ বা গ্রহণে বিলম্ব অপরাধীদের নানাভাবে সহিংস করছে।
ঢাকার কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীর হাত রয়েছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোন্দল, অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণ রয়েছে।
১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারির দোকানে বসে ছিলেন পল্লবী থানা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)। কয়েকজন অস্ত্রধারী দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
এর আগে ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুন নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। একসময় ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী মামুন। অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মামুনকে হত্যা করা হয়।
চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোর পাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। এ সময় মারধরের শিকার হয়ে মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. হানিফ নিহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর—এই ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন মানুষ। ২০২৪ সালের একই সময়ে খুন হয়েছিল ৩ হাজার ১৭ জন, আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন বেড়েছে ৭ শতাংশ, আর দুই বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। পুলিশ সদর দপ্তরের সাম্প্রতিক অপরাধ তথ্যে এমন উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে জুলাই মাসে, ৩৬২টি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খুন হয়েছে জানুয়ারিতে, ২৯৪টি। পুরো ১০ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ জন খুন হয়েছে।
বিভাগওয়ারি খুনের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রাজধানীকেন্দ্রিক ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ১৮৬টি। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০৩টি, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৩২৫টি করে, রংপুরে ২২৩টি, ময়মনসিংহে ২০২টি, সিলেটে ১৯৩টি এবং বরিশালে ১৬২টি খুনের ঘটনা ঘটে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তার এবং পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় খুনের সংখ্যা হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সমাবেশে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। জনসংযোগে অংশ নেওয়া সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ধ্যায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে গুলি করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক(এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের ঘটনা আগের মতোই রয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দ্বন্দ্বের কারণেই হত্যার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনী বছরে সহিংসতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। এবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা এরই মধ্যে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিয়েছি।’

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত করে। পুলিশ বলছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিছু এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে হত্যাসহ নানাভাবে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়ে চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বিদ্যমান সমন্বয়হীনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অসহযোগিতা, অভিযুক্ত বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বা অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ বা গ্রহণে বিলম্ব অপরাধীদের নানাভাবে সহিংস করছে।
ঢাকার কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীর হাত রয়েছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোন্দল, অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণ রয়েছে।
১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারির দোকানে বসে ছিলেন পল্লবী থানা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৫০)। কয়েকজন অস্ত্রধারী দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
এর আগে ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুন নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। একসময় ঢাকার ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী মামুন। অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মামুনকে হত্যা করা হয়।
চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোর পাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। এ সময় মারধরের শিকার হয়ে মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. হানিফ নিহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর—এই ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন মানুষ। ২০২৪ সালের একই সময়ে খুন হয়েছিল ৩ হাজার ১৭ জন, আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন বেড়েছে ৭ শতাংশ, আর দুই বছরের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। পুলিশ সদর দপ্তরের সাম্প্রতিক অপরাধ তথ্যে এমন উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে জুলাই মাসে, ৩৬২টি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খুন হয়েছে জানুয়ারিতে, ২৯৪টি। পুরো ১০ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ জন খুন হয়েছে।
বিভাগওয়ারি খুনের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রাজধানীকেন্দ্রিক ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ১৮৬টি। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০৩টি, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৩২৫টি করে, রংপুরে ২২৩টি, ময়মনসিংহে ২০২টি, সিলেটে ১৯৩টি এবং বরিশালে ১৬২টি খুনের ঘটনা ঘটে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তার এবং পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় খুনের সংখ্যা হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সমাবেশে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।
৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও চালিতাতলী খন্দকারপাড়ায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। জনসংযোগে অংশ নেওয়া সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিবিদ্ধ হন। পরে সন্ধ্যায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে গুলি করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক(এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের ঘটনা আগের মতোই রয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দ্বন্দ্বের কারণেই হত্যার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া দেশে নির্বাচনী বছরে সহিংসতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। এবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। তবে আমরা এরই মধ্যে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিয়েছি।’

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৪ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৪ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৬ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে খুন হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জন। সেই হিসাবে প্রতিদিন খুন হচ্ছে প্রায় ১১ জন। সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং কম বরিশাল বিভাগে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের খুনোখুনির এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি; যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির...
২৮ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৪ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৬ ঘণ্টা আগে