Ajker Patrika

নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে মেটাল শার্ক ও ডিফেন্ডার টহল বোট উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে মেটাল শার্ক ও ডিফেন্ডার টহল বোট উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে ২০টি নৌযান আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। এ সময় ভার্চ্যুয়াল এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশনস) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. আশরাফুল হক এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফ হক চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১০টি ৩৮ ফুট (১১ মিটার) দৈর্ঘ্যের ডিফিয়ান্ট ক্লাস মেটাল শার্ক বোট এবং ১০টি ২৫ ফুট (৮ মিটার) দৈর্ঘ্যের ডিফেন্ডার ক্লাস বোট উপহার হিসেবে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশের আওতাধীন সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে নজরদারি, টহল ও হুমকি মোকাবিলার সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেটাল শার্ক ও ডিফেন্ডার নৌযানগুলো উপহার দিয়েছে।

এই ২০টি বোট বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সের অধীন স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ইউনিটের সামুদ্রিক বাধা মোকাবিলা ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত ও জোরদার করবে। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নাবিকদের বাহিনীতে নতুন সংযোজিত আইন প্রয়োগ ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এই সামরিক সরঞ্জামগুলো ব্যবহার ও কাজে লাগানোর উপায় সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের জন্য ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ যৌথ মহড়া পরিচালনা করবে। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, এই বোটগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার ইতিহাসে আরেকটি বড় উদাহরণ। এই উপহারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও বঙ্গোপসাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করেছে দুদক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করেছে দুদক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের জব্দ করা চারটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের কর্মকর্তারা এসব মালামাল ত্রাণ তহবিলে পৌঁছে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আদালতের আদেশে গুলশানে অবস্থিত বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিকসামগ্রী, ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও পোশাক। এর মধ্যে ছিল ১৯টি ফ্রিজ, প্রায় ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার, আধুনিক আসবাবপত্রসহ নানা ধরনের মালামাল। এসবসহ মোট ২৪৬ ধরনের সামগ্রী ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের বসবাস করা চারটি ফ্ল্যাটে থাকা পচনশীল মালামাল এবং কিছু ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত সামগ্রীর নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। অন্য মালামাল আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণভান্ডারে জমা দেওয়া হয়।

ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা ব্যবহার্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—১২২টি শার্ট, ২৬৬টি প্যান্ট, ৩০টি ব্লেজার, ৮টি স্যুট, ৭২২টি টি-শার্ট, ২২৪টি পাঞ্জাবি, ৪৭টি পায়জামা, ৮৮ জোড়া স্যান্ডেল, ৩৫ জোড়া কেডস, ৩৮ জোড়া জুতা, ৪৯৪টি শাড়ি, ২৫০ সেট থ্রি-পিস, ৪৯৬টি সালোয়ার-কামিজ, ২১২টি জামা, ৫৬টি জ্যাকেট, ১০৯টি বেডশিট, ৭৫টি লেডিস ভ্যানিটি ব্যাগ, ৬২২টি লেডিস টপস, ১১টি পুরুষদের সোয়েটার, ৩৪টি লেডিস সোয়েটার, ৩৫৫টি লেডিস প্যান্ট, ২৮টি লেডিস টি-শার্ট, ৩৪৭টি ওড়না, ৮৯টি শাল চাদর, ১৩২টি শীতের জামা, ১৬টি লেহেঙ্গা, ৩৪টি সানগ্লাস ও ৬৭টি ট্রাউজার।

২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, গুলশানের র‍্যানকন টাওয়ারে চারটি ফ্ল্যাট একত্র করে বেনজীর দম্পতি একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট নির্মাণ করেন। এতে সুইমিং পুল, মিনি থিয়েটার রুম, অতিথি বিনোদনকক্ষসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা ছিল।

অনুসন্ধানী দল জানায়, ওই ফ্ল্যাটের খাট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, সোফা, চেয়ার, আলমারি, ওয়ার্ডরোবসহ কিছু মূল্যবান আসবাব নিলামে তোলা হয়নি এবং ত্রাণ তহবিলেও জমা দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই ২০২৪ সালের ৪ মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে বেনজীর আহমেদ তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের নিয়ে গোপনে দেশ ত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জালাল, সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুকসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪১
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জালাল, সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুকসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চাঁদপুর-২ (মতলব) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. মো. জালাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের চার সদস্য এবং বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুকসহ ১১ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পৃথক পৃথক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ড. মো. জালাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

অন্যরা হলেন জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন, দুই ছেলে সাঈদ মোহাম্মদ রিজভী ও সাঈদ মোহাম্মদ আলভী এবং মেয়ে আয়েশা তাসিনীমা তানভী।

দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম মামুনুর রশীদ তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূত অর্থ উপার্জন করে তা নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।

এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক বিষান ঘোষ। আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এ ছাড়া সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথিত পালক পুত্র মো. আসাদুজ্জামান, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান ও আসাদুজ্জামানের ভাই আখতারুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাসরুল্লাহ হোসেন।

আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অভিযুক্তরা চোরা চালান, হুন্ডি ব্যবসা, শুল্ক ফাঁকিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন বলে দুদক অনুসন্ধান করছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমি।

আবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তাঁদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ইতিমধ্যে তাঁরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

প্রত্যেকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলার সময় দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাঁরা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কারণে প্রত্যেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভয় ও বাধামুক্ত নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস । ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস । ছবি: পিআইডি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি— সুপার ক্যারাভান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে সুপার ক্যারাভান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে থাকবে না ভয়, থাকবে না বাধা— থাকবে কেবল জনগণের মুক্ত ও নির্ভীক মতপ্রকাশ। সরকার সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ভিডিওবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট।’ তিনি বলেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সুপার ক্যারাভান কেবল একটি গাড়িই নয়—এটি গণতন্ত্রের আনন্দবাণী বহনকারী বহর। এটি জানিয়ে দেবে, আপনার একটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা মনে করিয়ে দেবে, নিষ্ক্রিয়তা নয়, অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, তরুণ সমাজ, নারী ভোটার ও প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি, আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তেই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে, সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তাভাবনা করে ভোট দিন।’

গণভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠক করে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন, তবে গণভোটে অবশ্যই ‘‘হ্যাঁ’’ ভোট দিন।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘চলুন, আমরা সবাই মিলে এই গণতান্ত্রিক যাত্রাকে সফল করি। চলুন, ভোট দিই—নিজের জন্য, দেশের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, নতুন পৃথিবীর জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৬
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভিডিও থেকে নেওয়া
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভিডিও থেকে নেওয়া

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রচারণার লক্ষ্যে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যাত্রা শুরু করা ‘ভোটের গাড়ির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক‍্যারাভান। ছবি: প্রেস উইং
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে সুপার ক‍্যারাভান। ছবি: প্রেস উইং

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ভোটের গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিওবার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট।’

সবাইকে ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি তরুণ সমাজ, নারী ভোটার ও প্রথমবারের ভোটারদের প্রতি—আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তেই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।’

ভোটারদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনি দেশের মালিক। এ দেশ আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে কে চালাবে, সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তাভাবনা করে ভোট দিন।’

এ সময় গণভোটের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট দেবেন। জুলাই সনদে ভোট দেবেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দিনের পর দিন বৈঠক করে এই সনদ তৈরি হয়েছে। এই সনদ দেশের মানুষ পছন্দ করলে দেশ আগামী বহু বছরের জন্য নিরাপদে চলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি যদি এই সনদ সমর্থন করেন, তবে গণভোটে অবশ্যই ‘‘হ‍্যাঁ’’ ভোট দিন।’

ড. ইউনূস জানান, নির্বাচনী প্রচারণাকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ‘ভোটের গাড়ি’, যা মূলত একধরনের সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে। এ ছাড়া এই ভোটের গাড়ির মাধ্যমে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।’

অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত