Ajker Patrika

শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ায় ‘ম্যাসিভ’ প্রভাব পড়বে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৫৭
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ছবি: পিআইডি
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ছবি: পিআইডি

অর্ধশতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ নিয়ে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের তীব্র সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি দাবি করেছেন, শুল্ক-কর আরোপের ফলে মানুষের ওপর ‘ন্যূনতম’ প্রভাব পড়বে।

আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব দাবি করেন, নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর শুল্কারোপের ফলে মানুষের ওপর তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি, তা খুবই মিনিমাম হবে, ম্যাসিভ প্রভাব পড়বে না।’

আইএমএফের পরামর্শে শুল্ক-কর বাড়ানো নিয়ে তোলা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে আইএমএফের ঋণটা মুখ্য নয়। তারা ক্ষুদ্র অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দেয়—এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আইএমএফ ঋণ দিলে তাদের সামনে রেখে অন্যরা আসে (বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যরা)। এটা বিদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারী আসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কারণ, তারা বিনিয়োগ করার আগে আইএমএফের প্রতিবেদন দেখে। ভালো রাজস্ব থাকলে এক্সচেঞ্জ মার্কেট স্থিতিশীল থাকবে। তাতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। পরিকল্পনাকারী সকল অর্থনীতিবিদই বোদ্ধা, তাঁরা জানেন কী করছেন।’

সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে দাবি করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সেটা না হলে টাকার মান কমে যাবে। এখন ১২৫ টাকায় ডলার কিনছেন, কিন্তু একটা সময় আসবে, ১৯০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। এটা এমন জায়গায় চলে গেছে, তা টেকসই নয়। ৫ মাসে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। খরচ তো মেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ভালো বোঝেন। বর্তমান অর্থনৈতিক টিমটি দেশের ইতিহাসে সেরা। তাঁরা সেভাবে পরিকল্পনা করছেন।’

শুল্ক-কর বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি ও মানুষের কষ্ট বাড়বে কি না, জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘মোটেও না।’ এমন সিদ্ধান্তে সরকার অজনপ্রিয় হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না; বরং সরকার দেশের অর্থনীতির অবস্থা যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখছে। আমি মনে করি, বিষয়টির প্রেক্ষাপট এবং কেন করা হয়েছে, তা মানুষকে বোঝানো সাংবাদিকসহ সবার কর্তব্য।’

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খরচ কমানোর ক্রমাগত চেষ্টা করছে, এ কথা জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফর সর্বনিম্ন লোক নিয়ে হচ্ছে, তার মধ্যেও নিরাপত্তা পারপাসে লোকসংখ্যা বেশি। কিন্তু আগে আড়াই শ-তিন শ মানুষ নিয়ে বিশেষ সফরে যেতেন (শেখ হাসিনা)। সবখানে অর্থের অপচয় করা হয়েছে। চট্টগ্রামে টানেল করলেন, করিডর পেরিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে তিনি রেস্ট নিতেন, সেখানে সাড়ে চার শ কোটি টাকা খরচ করে সেভেন স্টার হোটেল করেছেন। এগুলো কার টাকা? তাঁর আত্মীয়স্বজনের টাকায় নয়, বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায়।’

শ্বেতপত্র পুরোটা সবাইকে পড়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘দেখবেন, কীভাবে জনগণের টাকাগুলো অপচয় করা হয়েছে এবং লুটপাট করেছেন (শেখ হাসিনা)। তার কিছু নমুনা ব্রিটিশ...দেখছেন। সে জন্য আমরা সত্যিকার অর্থে চাচ্ছি, বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি এমন একটা পর্যায়ে যাক, যাতে দেশের ইকোনমি গ্রো করে। ট্যাক্স জিডিপি কমে যাওয়ার মানে হচ্ছে, যে ঋণ আপনি করেছেন, তা শোধ করার সুযোগ না-ও হতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করেই এটা করা হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোতে মানুষের উন্নয়নে এই টাকাগুলো ব্যয় হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, ট্যাক্স বাড়ায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়বে, অন্য বিকল্পে যাওয়া যেত। তাই প্রত্যাহার বা কমানোর চিন্তা সরকারের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের কথাগুলো শুনছি, এটাই বলতে পারি।’

আওয়ামী লীগের সময় দেশে-বিদেশে অপচয় করা জনগণের টাকা ক্রোক বা স্যাংশন করা কিংবা ওই সম্পদের ওপর ট্যাক্স বসানোর কোনো কাজ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কীভাবে ওই টাকাগুলো আনা যায়, এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি। এই চুরিটা কোথা থেকে হয়েছে, সেটা ট্রেস করা হচ্ছে। আমরা দেখছি, কোথায় কোথায় কীভাবে টাকাগুলো গেছে, কোন অফশোর অ্যাকাউন্টে গেছে, চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে...। সরকারের জায়গা থেকে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে; যা যা করা দরকার, সবই করা হচ্ছে।’

দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন, বাংলাদেশ ব্যাংক, মানি লন্ডারিং বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের শক্তিশালী করার দাবি করে শফিকুল আলম বলেন, ‘টাকাগুলো যেসব দেশে চলে গেছে, তাদের সঙ্গে আমরা কনটাক্ট করছি। তাদের আমরা জানাচ্ছি, টাকাটা তোমার ওখানে চলে গেছে, তুমি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করো। আমরা সবার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি। আমরা কোনো দেশের কথা বলব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তারেক রহমানকে মোদির শোকবার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তারেক রহমানকে মোদির শোকবার্তা

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাঁর জেষ্ঠ্য পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৩০ ডিসেম্বর পাঠানো এক শোকবার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। এই ব্যক্তিগত ক্ষতির মুহূর্তে তারেক রহমানের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে তিনি মরহুমার আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন।

শোকবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও আলোচনার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন দৃঢ়সংকল্প ও প্রত্যয়ের এক বিরল নেত্রী। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও উল্লেখ করেন মোদি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে একটি অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলেও তাঁর দর্শন ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার দীর্ঘদিন ধরে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি বেগম জিয়ার আদর্শকে এগিয়ে নেবে এবং ভারত ও বাংলাদেশের গভীর ও ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব আরও সমৃদ্ধ হবে।

শোকবার্তায় মোদি বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ইতিহাসের নানা সংকটে বাংলাদেশি জনগণ যে দৃঢ়তা ও মর্যাদা প্রদর্শন করেছে, তা প্রশংসনীয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্য ও জাতীয় ঐক্যের শক্তিতে ভর করে বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে শক্তি ও ধৈর্য কামনা করেন এবং তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য শুভকামনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের জন্য মনটা কাল থেকে খুব বিষণ্ন হয়ে আছে: প্রেস সচিব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৬
প্রেস সচিব শফিকুল আলম । ছবি: সংগৃহীত
প্রেস সচিব শফিকুল আলম । ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আমার মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। অনেক বছর ধরে তিনি আমার অন্যতম রাজনৈতিক আদর্শ। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি কতটা কষ্ট সহ্য করেছেন। কীভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক নিজের সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের মতো।’

রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে আজ বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন শেষে ফেসবুকে রাত ৮টার দিকে শফিকুল আলম এই পোস্ট দেন।

পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার জন্য তাঁরা দুজনেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁরা খুব কমই মেজাজ হারাতেন। অহংকার তাঁদের ছুঁতে পারতো না বললেই চলে। কঠিন সময়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্ন এবং সংযমের সাথে জনগণকে পথ দেখিয়েছেন।’

বিএনপির মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন আর সেই চেনা মহাসচিব নেই, যিনি একসময় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতেন। খালেদা জিয়া যখন তাঁকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, তখন তিনি বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা ছিলেন এবং তাঁর সেন্টার-লেফট আদর্শিক ঝোঁকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তবুও সংকটের মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত ও অটল রেখেছিলেন। কিন্তু জুলাই মাস যখন এলো, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং মির্জা ফখরুল নিজেও তাঁর শরীরের শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ এক যুগের অবসান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসান আর নেই

বাসস, ঢাকা  
মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান। ফাইল ছবি
মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান। ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।

সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৫ সালে গণপিটুনি বেড়ে দ্বিগুণ: এমএসএফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
২০২৫ সালে গণপিটুনি বেড়ে দ্বিগুণ: এমএসএফ

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।

এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত