৪০তম ক্যাডেট ব্যাচ
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত সহিংসতা) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত সহিংসতা) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া...
০২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
২ ঘণ্টা আগে