নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা ঋণের দর-কষাকষিতে কোনো নমনীয়তা দেখাননি। বরং কেন বাংলাদেশে ঋণখেলাপি বাড়ছে বা তা কমানো যাচ্ছে না কেন, খেলাপি কমাতে কতটা কঠোর হতে পারছে ব্যাংকগুলো, ঋণ-আমানতের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে কী প্রভাব পড়বে–এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার ধরন কী রকম, তা আরও স্পষ্ট করা যায় কীভাবে—এসব ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁরা। কারণ, এসব দর-কষাকষির পরই প্রস্তাবিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মিশনের হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সময় উল্লিখিত শর্ত বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দেন। এ সময় গভর্নরের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ বিষয়ে জানা গেছে।
শর্তের ব্যাপারে আইএমএফের কঠোর মনোভাব নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত খুব একটা কঠিন নয়। এগুলো চাইলে সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে। এতে একটা সমস্যা হলো, হঠাৎ করে খেলাপি বেড়ে যাবে। আবার রিজার্ভ কম দেখাবে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই। বরং বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবলোপন করা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। আর খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, ঋণ পুনঃ তফসিলের আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকা রয়েছে। এসবের জন্য দায়ী ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মারাত্মক সমস্যা। এ বিষয়গুলোই শক্তভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইএমএফ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক দিন অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিভিন্ন নথি থেকে প্রাপ্ত বিষয় সম্পর্কে আইএমএফের কর্মকর্তারা গভর্নরকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দেন। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো রিজার্ভ হিসাবে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বিপিএম–৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ, ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ হ্রাস, ঋণে সুদ হারের সীমা বাতিল, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট, ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ গঠনে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের তদবির, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর, বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ব্যাংক সুপারভিশন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনসহ কয়েকটি আইনের সংস্কার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিল।
গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জি এম আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
তবে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফের শর্ত দেশের আর্থিক খাতের জন্য ভালো। এগুলো করতে পারলে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দূর হতো। আর রিজার্ভ গণনার বিষয়ে তো হারানোর কিছু নেই। শুধু গণনার পার্থক্য। এখন সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে এসব বাস্তবায়নের বিষয়।
জানা গেছে, বর্তমানে ডলারের ভিন্ন ভিন্ন দর রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে ব্যাংকগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে সর্বোচ্চ দাম দিচ্ছে ১০৭ টাকা। আর রপ্তানিকারকদের দেওয়া হয় ব্যাংকভেদে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকা। আইএমএফ ডলারের দাম বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। এই নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো এত দিন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দর দিয়ে আসছিল। নতুন করে তা ১০৭ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সংস্কার চেয়েছে আইএমএফ। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রেখেছে সরকার। ভর্তুকির বেশির ভাগই জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য রাখা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা ঋণের দর-কষাকষিতে কোনো নমনীয়তা দেখাননি। বরং কেন বাংলাদেশে ঋণখেলাপি বাড়ছে বা তা কমানো যাচ্ছে না কেন, খেলাপি কমাতে কতটা কঠোর হতে পারছে ব্যাংকগুলো, ঋণ-আমানতের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে কী প্রভাব পড়বে–এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার ধরন কী রকম, তা আরও স্পষ্ট করা যায় কীভাবে—এসব ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁরা। কারণ, এসব দর-কষাকষির পরই প্রস্তাবিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মিশনের হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সময় উল্লিখিত শর্ত বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দেন। এ সময় গভর্নরের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ বিষয়ে জানা গেছে।
শর্তের ব্যাপারে আইএমএফের কঠোর মনোভাব নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত খুব একটা কঠিন নয়। এগুলো চাইলে সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে। এতে একটা সমস্যা হলো, হঠাৎ করে খেলাপি বেড়ে যাবে। আবার রিজার্ভ কম দেখাবে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই। বরং বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবলোপন করা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। আর খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, ঋণ পুনঃ তফসিলের আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকা রয়েছে। এসবের জন্য দায়ী ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মারাত্মক সমস্যা। এ বিষয়গুলোই শক্তভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইএমএফ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক দিন অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিভিন্ন নথি থেকে প্রাপ্ত বিষয় সম্পর্কে আইএমএফের কর্মকর্তারা গভর্নরকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দেন। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো রিজার্ভ হিসাবে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বিপিএম–৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ, ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ হ্রাস, ঋণে সুদ হারের সীমা বাতিল, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট, ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ গঠনে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের তদবির, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর, বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ব্যাংক সুপারভিশন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনসহ কয়েকটি আইনের সংস্কার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিল।
গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জি এম আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
তবে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফের শর্ত দেশের আর্থিক খাতের জন্য ভালো। এগুলো করতে পারলে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দূর হতো। আর রিজার্ভ গণনার বিষয়ে তো হারানোর কিছু নেই। শুধু গণনার পার্থক্য। এখন সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে এসব বাস্তবায়নের বিষয়।
জানা গেছে, বর্তমানে ডলারের ভিন্ন ভিন্ন দর রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে ব্যাংকগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে সর্বোচ্চ দাম দিচ্ছে ১০৭ টাকা। আর রপ্তানিকারকদের দেওয়া হয় ব্যাংকভেদে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকা। আইএমএফ ডলারের দাম বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। এই নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো এত দিন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দর দিয়ে আসছিল। নতুন করে তা ১০৭ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সংস্কার চেয়েছে আইএমএফ। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রেখেছে সরকার। ভর্তুকির বেশির ভাগই জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য রাখা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা ঋণের দর-কষাকষিতে কোনো নমনীয়তা দেখাননি। বরং কেন বাংলাদেশে ঋণখেলাপি বাড়ছে বা তা কমানো যাচ্ছে না কেন, খেলাপি কমাতে কতটা কঠোর হতে পারছে ব্যাংকগুলো, ঋণ-আমানতের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে কী প্রভাব পড়বে–এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার ধরন কী রকম, তা আরও স্পষ্ট করা যায় কীভাবে—এসব ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁরা। কারণ, এসব দর-কষাকষির পরই প্রস্তাবিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মিশনের হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সময় উল্লিখিত শর্ত বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দেন। এ সময় গভর্নরের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ বিষয়ে জানা গেছে।
শর্তের ব্যাপারে আইএমএফের কঠোর মনোভাব নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত খুব একটা কঠিন নয়। এগুলো চাইলে সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে। এতে একটা সমস্যা হলো, হঠাৎ করে খেলাপি বেড়ে যাবে। আবার রিজার্ভ কম দেখাবে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই। বরং বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবলোপন করা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। আর খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, ঋণ পুনঃ তফসিলের আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকা রয়েছে। এসবের জন্য দায়ী ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মারাত্মক সমস্যা। এ বিষয়গুলোই শক্তভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইএমএফ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক দিন অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিভিন্ন নথি থেকে প্রাপ্ত বিষয় সম্পর্কে আইএমএফের কর্মকর্তারা গভর্নরকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দেন। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো রিজার্ভ হিসাবে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বিপিএম–৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ, ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ হ্রাস, ঋণে সুদ হারের সীমা বাতিল, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট, ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ গঠনে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের তদবির, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর, বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ব্যাংক সুপারভিশন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনসহ কয়েকটি আইনের সংস্কার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিল।
গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জি এম আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
তবে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফের শর্ত দেশের আর্থিক খাতের জন্য ভালো। এগুলো করতে পারলে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দূর হতো। আর রিজার্ভ গণনার বিষয়ে তো হারানোর কিছু নেই। শুধু গণনার পার্থক্য। এখন সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে এসব বাস্তবায়নের বিষয়।
জানা গেছে, বর্তমানে ডলারের ভিন্ন ভিন্ন দর রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে ব্যাংকগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে সর্বোচ্চ দাম দিচ্ছে ১০৭ টাকা। আর রপ্তানিকারকদের দেওয়া হয় ব্যাংকভেদে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকা। আইএমএফ ডলারের দাম বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। এই নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো এত দিন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দর দিয়ে আসছিল। নতুন করে তা ১০৭ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সংস্কার চেয়েছে আইএমএফ। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রেখেছে সরকার। ভর্তুকির বেশির ভাগই জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য রাখা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা ঋণের দর-কষাকষিতে কোনো নমনীয়তা দেখাননি। বরং কেন বাংলাদেশে ঋণখেলাপি বাড়ছে বা তা কমানো যাচ্ছে না কেন, খেলাপি কমাতে কতটা কঠোর হতে পারছে ব্যাংকগুলো, ঋণ-আমানতের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হলে কী প্রভাব পড়বে–এসব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার ধরন কী রকম, তা আরও স্পষ্ট করা যায় কীভাবে—এসব ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আইএমএফের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি নিয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁরা। কারণ, এসব দর-কষাকষির পরই প্রস্তাবিত সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মিশনের হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সময় উল্লিখিত শর্ত বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দেন। এ সময় গভর্নরের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ বিষয়ে জানা গেছে।
শর্তের ব্যাপারে আইএমএফের কঠোর মনোভাব নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত খুব একটা কঠিন নয়। এগুলো চাইলে সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে। এতে একটা সমস্যা হলো, হঠাৎ করে খেলাপি বেড়ে যাবে। আবার রিজার্ভ কম দেখাবে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই। বরং বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবলোপন করা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। আর খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, ঋণ পুনঃ তফসিলের আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকা রয়েছে। এসবের জন্য দায়ী ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মারাত্মক সমস্যা। এ বিষয়গুলোই শক্তভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আইএমএফ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক দিন অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিভিন্ন নথি থেকে প্রাপ্ত বিষয় সম্পর্কে আইএমএফের কর্মকর্তারা গভর্নরকে অবহিত করেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের তাগিদ দেন। এসব বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো রিজার্ভ হিসাবে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বিপিএম–৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ, ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ হ্রাস, ঋণে সুদ হারের সীমা বাতিল, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট, ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ গঠনে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের তদবির, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর, বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ব্যাংক সুপারভিশন, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনসহ কয়েকটি আইনের সংস্কার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি বাতিল।
গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের কর্মকর্তাদের বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জি এম আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
তবে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইএমএফের শর্ত দেশের আর্থিক খাতের জন্য ভালো। এগুলো করতে পারলে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা দূর হতো। আর রিজার্ভ গণনার বিষয়ে তো হারানোর কিছু নেই। শুধু গণনার পার্থক্য। এখন সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করছে এসব বাস্তবায়নের বিষয়।
জানা গেছে, বর্তমানে ডলারের ভিন্ন ভিন্ন দর রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে ব্যাংকগুলো জোটবদ্ধ হয়ে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে সর্বোচ্চ দাম দিচ্ছে ১০৭ টাকা। আর রপ্তানিকারকদের দেওয়া হয় ব্যাংকভেদে ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকা। আইএমএফ ডলারের দাম বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। এই নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো এত দিন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দর দিয়ে আসছিল। নতুন করে তা ১০৭ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সংস্কার চেয়েছে আইএমএফ। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রেখেছে সরকার। ভর্তুকির বেশির ভাগই জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য রাখা।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা
০৩ নভেম্বর ২০২২
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা
০৩ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা
০৩ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে আলোচনা যতই গড়াচ্ছে, ততই তাদের শর্ত কঠোর হচ্ছে। দেশের খেলাপি ঋণ আর রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে দিন দিন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ঋণদাতা এ সংস্থাটি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিরা
০৩ নভেম্বর ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে