Ajker Patrika

অবৈধ আবাসন প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে

  • ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ।
  • শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান
  • সাইনবোর্ডসর্বস্ব প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
  • সব প্রকল্পের জন্য পৃথক অনুমোদন নিতেই হবে।
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা 
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ১১
অবৈধ আবাসন প্রকল্প বন্ধ হচ্ছে

বেশির ভাগ বেসরকারি আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিয়ম ঠেকাতে সরকার একাধিক আইন করলেও তা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা আমলে নেয় না। এবার আবাসন খাতে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঠেকাতে আইন প্রয়োগে শক্ত হচ্ছে সরকার। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) ইতিমধ্যে তালিকা করে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। সংস্থাটির সঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক) অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রেখেছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা জাগৃক ও রাজউক থেকে প্রকল্প অনুমোদন করেনি, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তাদের (আবাসন প্রতিষ্ঠান) অবশ্যই পৃথক প্রকল্পের জন্য অনুমোদন নিতে হবে।

জাগৃক সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (মিরপুর গৃহসংস্থান বিভাগ-২) কাওসার মোর্শেদ পূর্ত মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে আইন মেনে ব্যবসা না করার জন্য ১১টি আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, পুষ্পধারা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, স্বপ্নধরা অ্যাসেটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, প্রিয়প্রাঙ্গণ, ঠিকানা প্রোপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড, জন্মভূমি সিটি, প্রিমিয়াম হাউজিং এস্টেট লিমিটেড, ধরিত্রী প্রোপার্টিজ লিমিটেড, মডার্ন এশিয়া প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং নিমতলা হাউজিং লিমিটেড। একই সংস্থার নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) মো. কায়সার ইবনে সাঈখ একই দিনে মন্ত্রণালয়ে পৃথক আরেকটি চিঠি দেন। সেখানে তিনি রূপগঞ্জ এলাকার ভাইয়া হাউজিং লিমিটেড, প্রাইম অ্যাসেট লিমিটেড, সাভারের সুগন্ধা প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লি., চলন্তিকা হাউজিং, স্বপ্নভূমি আবাসন এবং মেগা বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নূর বলেন, ‘আবাসন ব্যবসা করতে হলে সংশ্লিষ্ট আইনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। গত দুই দিনে আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়াসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

গত দুই দিনে এ প্রকৌশলীর কাজের আওতাভুক্ত এলাকায় যেসব আবাসিক প্লট, ফ্ল্যাট ও ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে আইন পল্লী, পূর্বাচল প্রাইম সিটি, সুবর্ণ ভূমি হাউজিং লিমিটেডকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রকৌশলী জানান, এসব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান জাগৃক থেকে কোনো প্রকল্প অনুমোদন করেনি। এগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানকে জাগৃক থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই সুপারিশ করা হয়েছে। নিবন্ধিত ও নিবন্ধনহীন উভয় ধরনের কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

জাগৃকের কর্মকর্তারা বলেন, সরকার এখন বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫), রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। এ আইন অনুযায়ী, কোনো ডেভেলপার যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করলে কিংবা অননুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রচার বা বিক্রয় করলে অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষায় প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ লঙ্ঘনকারী কার্যক্রম বন্ধ করতেও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে শতাধিক বেসরকারি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে নানা ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

রাজউক সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। কোথাও রাজউক সরাসরি নিজে, আবার কোথাও সরকারি অন্য সংস্থার সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন সিটি, ঢাকা মডার্ন সিটি লিমিটেড, সাফা মাওয়া গ্রুপ, সবুজছায়া গ্রুপ, অ্যাপোলো হাউজিং লিমিটেড, সাউথ টাউন, বিডিসি লিমিটেড, আটি মডেল টাউন, জেনোভ্যালী মডেল টাউন প্রাইভেট লি., মধু সিটি, আরশিনগর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, নতুনধারা হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড, আইকাব হাউজিং কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড, হীরাঝিল প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাইভেট) কোম্পানি লিমিটেড, সবুজছায়া আবাসন প্রজেক্ট লিমিটেড, গ্লোরিয়াস ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লি:, গ্রিন সিটি লিমিটেডকে নোটিশ দেওয়া হলেও বেশির ভাগই তা আমলে নেয়নি। যারা এখনো নিয়ম মেনে ব্যবসা চালাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রাজউক ও জাগৃক।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘বুধবার (গতকাল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজউক তুরাগ নদের পশ্চিম পাশে উত্তর কাউন্দিয়া ও বেড়িবাঁধের রাস্তায় অবৈধ আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অনেকেই চিহ্নিত জলাশয় ও কৃষিজমি ভরাট করে আবাসন ব্যবসা করে যাচ্ছে। সেগুলো আর আমরা করতে দেব না। এ ছাড়া অনুমোদনহীন সব আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৬
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিকভাবে এসব লেনদেন সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এসব তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব অর্থ মানিলন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই সিআইডি এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার করা বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই সিআইডি গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যায়, প্রধান আসামি ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা একাধিক চেক বইয়ে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থের উল্লেখ রয়েছে। যদিও এসব লেনদেন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি, তবুও এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।

সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে আরও উঠে এসেছে, ফয়সাল ও তাঁর সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সাল ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।

সিআইডি জানিয়েছে, এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়েও একাধিক তদন্ত দল কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের দপ্তর থেকে ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি জানা যায়। এর পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আসা দুই ব্যক্তির একজনের গুলিতে আহত হন।

ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান আসামি ফয়সাল দেশে থাকলে যাতে বিদেশ গমন করতে না পারে সে জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

এদিকে অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের অবস্থান সম্পর্কে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। ফয়সাল দেশের বাইরে চলে গেছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী পাঁচ দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী

পৌষের শুরুতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক, মাঠ ও জনপদ। গতকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা মিশে সাধারণ মানুষের জীবনে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকবে।

শীতের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহাসড়ক ও নদীপথে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও নৌযান সংশ্লিষ্টদের। শীতের কারণে ফুটপাতে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষ ও ছিন্নমূলদের কষ্টও বেড়েছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ১২০ ঘণ্টা অর্থাৎ পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। শীত তীব্রতা প্রকট না হলেও চলতি সপ্তাহে শীত কিছুটা বাড়বে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং কুয়াশার প্রবণতা বাড়বে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশা আরও ঘন হতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বরেও শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে বড় কোনো আবহাওয়াগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবশেষে প্রজাপতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল আমজনতার দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৯
নিবন্ধন সনদ হাতে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
নিবন্ধন সনদ হাতে তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশেষে আমজনতার দলকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধনসংক্রান্ত দাবি আপত্তি নিষ্পত্তির পর প্রজাপতি প্রতীকে দলটিকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত সনদটি আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানকে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে দুটি দাবি আপত্তির বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন।

নিবন্ধন পাওয়ার পর তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা কোনো জোটে যাব না। এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না পাওয়ায় গত নভেম্বরের শুরুতে আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন তারেক রহমান।

তারেক তখন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, নিবন্ধনের সব যোগ্যতা পূরণ করা হলেও তাঁর দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে না ইসি। বিভিন্ন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করায় আমজনতার দল নিবন্ধন পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল সে সময় তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাঁর দলকে নিবন্ধন দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানায়।

একপর্যায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে প্রায় ১৩৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন তারেক রহমান।

এ পরিস্থিতিতে গত ১৮ নভেম্বর রিভিউয়ের জন্য আবেদন করার পর আমজনতার দলকে পর্যালোচনায় রাখে ইসি। একই সঙ্গে আরও ছয়টি দলকে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়।

দলগুলো হলো—বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ (শাজাহান সিরাজ), জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জনতার দল।

এর মধ্যে আমজনতার দল আজ নিবন্ধন সনদ পেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত