Ajker Patrika

এখন সংস্কার না হলে, আর কখনোই হবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ৫৮
অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি

এখন সংস্কার না হলে, আর কখনোই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে যদি আমরা কিছু সংস্কার করতে না পারি, তাহলে আর কখনোই করা যাবে না। কারণ, আমরা ২০০৭ সালে একবার চেষ্টা করেছিলাম, কিছু কিছু করেছিলাম। তবে সেগুলো থাকেনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে। এখন যদি সংস্কার না করতে পারি, সংবিধানের দোহাই দিই, অন্যান্য আইনের দোহাই দিই, তাহলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা রক্ত দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অন্যায় হবে। বলছি না যে আমরা চার-পাঁচ বছর থাকব। এক বছরের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব।’

তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনে উৎসাহিত করা উচিত উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের অনুৎসাহ করা ঠিক নয়। আমরা মনে করি নতুন রক্ত প্রয়োজন। তাদের নিরুৎসাহিত করবেন না। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ, তাঁদের উৎসাহিত করুন। তাঁরা আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাঁদেরকে যদি উৎসাহিত না করেন, তাহলে আমরা এ জিনিসই (আওয়ামী লীগের পতন) দেখব। আজকে না হয় ১০/১৫ বছর পরে দেখব।’

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। নির্বাচন আইন পরিবর্তন করলে হবে না; রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও পদ্ধতির পরিবর্তন করলেই নির্বাচনী আইনও পরিবর্তন হয়ে যাবে। এবারের নির্বাচনের আগে বলেছিলাম, যে নির্বাচনে যাবে আম-ছালা দুটোই যাবে। সেটাই হয়েছে।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘খুব সামনে আমাদের জন্য বড় অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এটা শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসবে দেশের বাহির থেকে। আমাদের নতুন প্রতিবেশী তৈরি হচ্ছে। সেটা স্বাভাবিক নয়, ভিন্নধর্মী প্রতিবেশী। আরাকান এখন নতুন বাস্তবতা। আমরা এত দিন বিবেচনা করতে পারিনি। এখন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’

দেশে নির্বাচনী আইনের বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।’

রাজনৈতিক দলগুলোর ফান্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনকার রাজনৈতিক দলগুলো মিস্টার আলম-টালমের মতো লোকের পয়সা দিয়ে চলছে। এখনো রাস্তায় বলা হচ্ছে আমরা ১৬-১৭ বছর ক্ষমতায় ছিলাম না, নির্বাচন করতে পয়সা লাগবে, সেটার জন্য চাঁদাবাজি করছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এই জায়গায় একটা বড় সংস্কার প্রয়োজন। আমরা দেখছি একটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বহিষ্কার করছেন, কিন্তু এনাফ নয়।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেটার পরিণতি কী সেটা দেখতে হবে। ছাত্রদের রাজনীতি অবশ্যই করা উচিত। তবে সেটা অবশ্যই ছাত্র সংসদের মাধ্যমে হওয়া উচিত। ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শেষ পর্যন্ত লীগ হতে হতে বাচ্চা লীগও হয়ে গেছে। সেটার পরিণতি কী সেটা দেশ দেখছে।’

বাংলাদেশে অবশ্যই দ্বিকক্ষ সংসদ ব্যবস্থা হতে হবে বলে মনে করেন এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সেই জায়গায় বিভিন্ন রকমের মানুষ আসবে। তারা একটা নির্বাচনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করতে পারে। সেখানে আলাদা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য আইন থাকা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সাহেব করেছিলেন, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। একটা আইন অবশ্যই প্রয়োজন। না হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর যে করণীয় তা দেখছি না। আমরা দেখছি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়, কোন্দল তৈরি হয় এবং একদল আরেক দলকে খেয়ে ফেলে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি জীবনভর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। বিজয়ী হয়েও বারবার হেরে গেছি। অনেক বিজয় এসেছিল, ধরে রাখতে পারিনি। এখন প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, গুম হয়েছেন কিংবা যারা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে পারব তো? দেশের নানামুখী সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে এখন অনেক দাবিতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গন মুখর রয়েছে। এতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করেছেন।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলি, ভালো চাই, আরও ভালো চাই। আমাদের পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। কিন্তু মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় ধরে রাখার। কিন্তু চাই চাই করে গেলে সব হারাব আমরা, আমরা আক্ষেপ করব। বিজয় ধরে রাখতে তাই সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।’

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সারা দেশে ‘হুলুস্থুল’ পরিস্থিতি তৈরি করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সময় অভিযোগের না। এখন সময় সহযোগিতা করার। কোনো রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন একা সব করে ফেলতে পারবে না। পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে এই সভায় মন্তব্য করেন অনেকে।

জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে নানা বিষয়ে। এটি গণতন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্যই দরকার।’

গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কারের ক্যানভাস বড় করে বড় বিপদ ডেকে আনা হবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা অক্টোবরের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেবেন। তাহলে নির্বাচন আর দেরি করবেন কেন? নির্বাচন যত ঝুলিয়ে দেবেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। তাদের মধ্যে বিভেদ আরও বেশি দৃশ্যমান হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। এখন তরুণেরাও অপেক্ষা করছেন, গ্রহণযোগ্য জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সেখানে সরকারের আনুকূল্যে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের উদ্ভব হয়, তবে তার ফলাফল সুখকর হবে না।’

সংস্কারের প্রশ্নে তিনি সর্বাগ্রে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারে গুরুত্বারোপ করেন।

নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবির বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে এখন জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তিন ধরনের সংস্কৃতিতে গড়ে উঠেছে এই প্রজন্ম। এভাবে চলতে থাকলে তারা তো একদিন রাজনৈতিকভাবে, একদিন সশস্ত্রভাবে সংগঠিত হবে। তারা এভাবে এগিয়ে যাবে একটি সিভিল ওয়ারের দিকে। এখন তাই এক ভাষায় একমুখী উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের দিকে যেতে হবে।’

দেশের সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘুচাতে তিনি আইনি ও সামাজিক কাঠামোর সংস্কারের কথা বলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত