শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ তড়িঘড়ি করে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট উইং থেকে ফাইল তৈরি করে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল প্রস্তুত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁদের কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি। তবে তিন কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিধি অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। এখন সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
নতুন আইন প্রণয়ন বা পুরোনো আইন সংশোধনের জন্য যে খসড়া করা হয়, তা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি কমিটি রয়েছে। সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়াও ওই কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা গতকাল বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (আজ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে।’
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের আন্দোলনের পথ বন্ধের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন হলে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা গোপনে কোনো কিছুই করব না।’
আইন সংশোধন করে সরকারি চাকরিজীবীদের দলবদ্ধভাবে আন্দোলনের পথ বন্ধ করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জেনেছেন। এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিদাওয়া আদায়ের সব পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। এর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে এখন চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের মেয়াদ শেষ করলেই দায়িত্ব শেষ। দাবিদাওয়া আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দিলে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে তা মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকারি কর্মচারীরা যে আচরণ করেছেন, তাতে করে তাঁদের জন্য এ রকম নিয়ম করা হলে অনেকের আপত্তি তোলার কোনো জায়গা থাকবে না। কারণ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে সেই অবস্থানটা তাঁরা নষ্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দাবিদাওয়া আদায়ে সরব হয়ে ওঠেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা। ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন শোডাউন করেন।
অন্যদিকে উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ভাবনার কথা জানানোর পর প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামে। সরকার তাঁদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়ার পর উভয় পক্ষ ফেসবুকে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকে। পরে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও সরকারি কর্মচারীরা দাবিদাওয়া আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন।
আইন করে সরকারি কর্মচারীদের দলবদ্ধভাবে দাবিদাওয়া জানানোর পথ বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দেশে এ রকম কিছু দরকার। কারণ আমরা একেবারেই অযৌক্তিক মানুষ। আমরা কোনটা চাইব, কোনটা চাইব না, কোনটা যৌক্তিক, কোনটা অযৌক্তিক; সেই বিচারবোধটা আমাদের নেই বললেই চলে।’
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তারা সচিবালয়ে যেটা করেছেন, গত ৫০ বছরে এ ধরনের নজির নেই। ২৫ ক্যাডারের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেটি করা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় শুয়ে পড়েছেন। এসব থামাতে এ ধরনের পদক্ষেপকে আমি সমর্থন করি। কারণ কিছু কিছু বিধিনিষেধ না থাকলে আপনি মানাতে পারবেন না। রাষ্ট্রকেও তো চলতে হবে।’
অস্থিতিশীল অবস্থার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানিয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, আগেও তো অনেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু এখন সবার দাবিদাওয়া কেন সামনে আসছে?
আরও খবর পড়ুন:

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ তড়িঘড়ি করে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট উইং থেকে ফাইল তৈরি করে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল প্রস্তুত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁদের কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি। তবে তিন কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিধি অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। এখন সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
নতুন আইন প্রণয়ন বা পুরোনো আইন সংশোধনের জন্য যে খসড়া করা হয়, তা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি কমিটি রয়েছে। সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়াও ওই কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা গতকাল বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (আজ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে।’
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের আন্দোলনের পথ বন্ধের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন হলে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা গোপনে কোনো কিছুই করব না।’
আইন সংশোধন করে সরকারি চাকরিজীবীদের দলবদ্ধভাবে আন্দোলনের পথ বন্ধ করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জেনেছেন। এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিদাওয়া আদায়ের সব পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। এর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে এখন চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের মেয়াদ শেষ করলেই দায়িত্ব শেষ। দাবিদাওয়া আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দিলে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে তা মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকারি কর্মচারীরা যে আচরণ করেছেন, তাতে করে তাঁদের জন্য এ রকম নিয়ম করা হলে অনেকের আপত্তি তোলার কোনো জায়গা থাকবে না। কারণ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে সেই অবস্থানটা তাঁরা নষ্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দাবিদাওয়া আদায়ে সরব হয়ে ওঠেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা। ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন শোডাউন করেন।
অন্যদিকে উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ভাবনার কথা জানানোর পর প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামে। সরকার তাঁদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়ার পর উভয় পক্ষ ফেসবুকে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকে। পরে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও সরকারি কর্মচারীরা দাবিদাওয়া আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন।
আইন করে সরকারি কর্মচারীদের দলবদ্ধভাবে দাবিদাওয়া জানানোর পথ বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দেশে এ রকম কিছু দরকার। কারণ আমরা একেবারেই অযৌক্তিক মানুষ। আমরা কোনটা চাইব, কোনটা চাইব না, কোনটা যৌক্তিক, কোনটা অযৌক্তিক; সেই বিচারবোধটা আমাদের নেই বললেই চলে।’
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তারা সচিবালয়ে যেটা করেছেন, গত ৫০ বছরে এ ধরনের নজির নেই। ২৫ ক্যাডারের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেটি করা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় শুয়ে পড়েছেন। এসব থামাতে এ ধরনের পদক্ষেপকে আমি সমর্থন করি। কারণ কিছু কিছু বিধিনিষেধ না থাকলে আপনি মানাতে পারবেন না। রাষ্ট্রকেও তো চলতে হবে।’
অস্থিতিশীল অবস্থার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানিয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, আগেও তো অনেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু এখন সবার দাবিদাওয়া কেন সামনে আসছে?
আরও খবর পড়ুন:
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ তড়িঘড়ি করে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট উইং থেকে ফাইল তৈরি করে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল প্রস্তুত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁদের কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি। তবে তিন কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিধি অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। এখন সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
নতুন আইন প্রণয়ন বা পুরোনো আইন সংশোধনের জন্য যে খসড়া করা হয়, তা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি কমিটি রয়েছে। সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়াও ওই কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা গতকাল বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (আজ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে।’
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের আন্দোলনের পথ বন্ধের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন হলে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা গোপনে কোনো কিছুই করব না।’
আইন সংশোধন করে সরকারি চাকরিজীবীদের দলবদ্ধভাবে আন্দোলনের পথ বন্ধ করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জেনেছেন। এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিদাওয়া আদায়ের সব পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। এর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে এখন চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের মেয়াদ শেষ করলেই দায়িত্ব শেষ। দাবিদাওয়া আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দিলে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে তা মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকারি কর্মচারীরা যে আচরণ করেছেন, তাতে করে তাঁদের জন্য এ রকম নিয়ম করা হলে অনেকের আপত্তি তোলার কোনো জায়গা থাকবে না। কারণ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে সেই অবস্থানটা তাঁরা নষ্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দাবিদাওয়া আদায়ে সরব হয়ে ওঠেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা। ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন শোডাউন করেন।
অন্যদিকে উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ভাবনার কথা জানানোর পর প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামে। সরকার তাঁদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়ার পর উভয় পক্ষ ফেসবুকে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকে। পরে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও সরকারি কর্মচারীরা দাবিদাওয়া আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন।
আইন করে সরকারি কর্মচারীদের দলবদ্ধভাবে দাবিদাওয়া জানানোর পথ বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দেশে এ রকম কিছু দরকার। কারণ আমরা একেবারেই অযৌক্তিক মানুষ। আমরা কোনটা চাইব, কোনটা চাইব না, কোনটা যৌক্তিক, কোনটা অযৌক্তিক; সেই বিচারবোধটা আমাদের নেই বললেই চলে।’
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তারা সচিবালয়ে যেটা করেছেন, গত ৫০ বছরে এ ধরনের নজির নেই। ২৫ ক্যাডারের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেটি করা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় শুয়ে পড়েছেন। এসব থামাতে এ ধরনের পদক্ষেপকে আমি সমর্থন করি। কারণ কিছু কিছু বিধিনিষেধ না থাকলে আপনি মানাতে পারবেন না। রাষ্ট্রকেও তো চলতে হবে।’
অস্থিতিশীল অবস্থার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানিয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, আগেও তো অনেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু এখন সবার দাবিদাওয়া কেন সামনে আসছে?
আরও খবর পড়ুন:

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ তড়িঘড়ি করে সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সাধারণত সংশ্লিষ্ট উইং থেকে ফাইল তৈরি করে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল প্রস্তুত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁদের কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি। তবে তিন কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিধি অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। এখন সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
নতুন আইন প্রণয়ন বা পুরোনো আইন সংশোধনের জন্য যে খসড়া করা হয়, তা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি কমিটি রয়েছে। সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়াও ওই কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা গতকাল বিকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (আজ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে।’
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে কর্মচারীদের আন্দোলনের পথ বন্ধের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন হলে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা গোপনে কোনো কিছুই করব না।’
আইন সংশোধন করে সরকারি চাকরিজীবীদের দলবদ্ধভাবে আন্দোলনের পথ বন্ধ করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জেনেছেন। এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিদাওয়া আদায়ের সব পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে। এর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে এখন চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের মেয়াদ শেষ করলেই দায়িত্ব শেষ। দাবিদাওয়া আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দিলে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে তা মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকারি কর্মচারীরা যে আচরণ করেছেন, তাতে করে তাঁদের জন্য এ রকম নিয়ম করা হলে অনেকের আপত্তি তোলার কোনো জায়গা থাকবে না। কারণ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে সেই অবস্থানটা তাঁরা নষ্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দাবিদাওয়া আদায়ে সরব হয়ে ওঠেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা। ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন শোডাউন করেন।
অন্যদিকে উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ভাবনার কথা জানানোর পর প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামে। সরকার তাঁদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়ার পর উভয় পক্ষ ফেসবুকে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকে। পরে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও সরকারি কর্মচারীরা দাবিদাওয়া আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন।
আইন করে সরকারি কর্মচারীদের দলবদ্ধভাবে দাবিদাওয়া জানানোর পথ বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দেশে এ রকম কিছু দরকার। কারণ আমরা একেবারেই অযৌক্তিক মানুষ। আমরা কোনটা চাইব, কোনটা চাইব না, কোনটা যৌক্তিক, কোনটা অযৌক্তিক; সেই বিচারবোধটা আমাদের নেই বললেই চলে।’
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তারা সচিবালয়ে যেটা করেছেন, গত ৫০ বছরে এ ধরনের নজির নেই। ২৫ ক্যাডারের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভাষায় কথা বলেছেন, সেটি করা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবেরা মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় শুয়ে পড়েছেন। এসব থামাতে এ ধরনের পদক্ষেপকে আমি সমর্থন করি। কারণ কিছু কিছু বিধিনিষেধ না থাকলে আপনি মানাতে পারবেন না। রাষ্ট্রকেও তো চলতে হবে।’
অস্থিতিশীল অবস্থার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানিয়ে আবদুল আউয়াল বলেন, আগেও তো অনেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু এখন সবার দাবিদাওয়া কেন সামনে আসছে?
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৭ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগে