Ajker Patrika

চিকেন’স নেক কী? বাংলাদেশ-ভারত-চীন ভূ-রাজনীতিতে এর গুরুত্ব কতটা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ২৭
চিকেন’স নেক কী? বাংলাদেশ-ভারত-চীন ভূ-রাজনীতিতে এর গুরুত্ব কতটা

চিকেন’স নেক বা শিলিগুড়ি করিডর হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি সংকীর্ণ ভৌগোলিক করিডর, যা ভারতীয় মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে। এই করিডর মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং দেখতে অনেকটা মুরগির গলার মতো সরু, তাই এর নাম চিকেন’স নেক। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির মাঝামাঝি অবস্থিত এই সরু করিডরের এক পাশে আছে নেপাল ও ভুটান, অন্যদিকে বাংলাদেশ ও চীন (তিব্বতের চুম্বি ভ্যালি)।

সম্প্রতি চিকেন’স নেক নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা চিকেন’স নেক অঞ্চলে হঠাৎ করেই সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে ভারত। মূলত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্য ঘিরে আলোচনার মধ্যে এই ঘটনা ঘটল।

‘স্থলবেষ্টিত’ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের প্রবেশপথ সমুদ্রের ‘একমাত্র অভিভাবক’ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরে চীনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তাঁর এই মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

মণিপুরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহও ইউনুসের মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছেন, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে ‘কৌশলগত পুতুল’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘সংযম প্রদর্শন’ করতে হবে।

আসাম জাতীয়া পরিষদ (এজেপি) নেতারা ইউনুসের মন্তব্যকে ‘উসকানিমূলক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে সমালোচনা করেছেন। আসামে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সুরক্ষিত রাখতে করিডরের নিচে এবং চারপাশে শক্তিশালী রেলপথ ও সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতের অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সংযোগের জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরির কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা।

চিকেন’স নেকের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব

চিকেন’স নেক বা শিলিগুড়ি করিডর অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরা—এই ৮ রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে। করিডরটি নাগরিকদের চলাচল ও সামরিক সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের লাইফলাইন। এই করিডর দিয়েই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে সব ধরনের রসদ, পণ্য এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।

এই রুটে কোনো রকমের ব্যাঘাত ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। এই কারণে এর সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত। ভারতের সীমান্তে চীনের সামরিক অবকাঠামো সম্প্রসারণের প্রেক্ষাপটে এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বেড়েছে। চীন যদি এই অঞ্চল দখল করতে পারে, তাহলে ভারতীয় উত্তর-পূর্ব অঞ্চল কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছেই রয়েছে ডোকলাম, যেখানে ২০১৭ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ডোকলামে সংঘর্ষ শিলিগুড়ি করিডরের দুর্বলতা তুলে ধরে। এরপর ভারত এই অঞ্চলে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করে। করিডরেই প্রধান রেলপথ থাকায় তা কৌশলগত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বৈরিতার সময় এটি লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। এটি বন্ধ হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশের অবস্থান এই করিডরের খুব কাছাকাছি বলে ভারতের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সদ্ভাব অপরিহার্য। চিকেন’স নেকের ওপর নির্ভরতা কমাতেও বিকল্প যোগাযোগে রুটও একমাত্র বাংলাদেশ দিতে পারে।

ভারতের বিকল্প সংযোগ পরিকল্পনা

শিলিগুড়ি করিডরের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য বিকল্প রুটের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। ১৯৮০ সালের ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তির ধারা ৮ এর আওতায় বাংলাদেশে নতুন ট্রানজিট রুট তৈরির চেষ্টা আছে ভারতের। এর ফলে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে বাকি দেশের সংযোগ উন্নত হবে।

পরিবহন, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও যৌথ অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশ-ভারতের সহযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। দুদেশের মধ্যে রেল, সড়ক ও নৌপথে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে (যেমন আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার)।

১৯৯২ সালে ভারত বাংলাদেশকে তিনবিঘা করিডর ব্যবহার করতে অনুমতি দেয়, যা দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে প্রবেশের সুবিধা দেয়। উত্তর-পূর্ব ও দেশটির বাকি অংশের মধ্যে উন্নত সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ হয়ে একটি রেলপথ নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছে ভারত।

বাংলাদেশ হয়ে বিকল্প করিডর এরই মধ্যে ভারত পেয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশ ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়, যার মাধ্যমে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম সাব-ডিভিশন এবং ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু সংযুক্ত হয়। এই পদক্ষেপ ভারতকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার দেয় এবং চিকেন’স নেকের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে দেয়।

চিকেন’স নেক শুধু ভৌগোলিক করিডর নয়, এটি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, কূটনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এটি যেকোনো ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত