সৌগত বসু, ঢাকা

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১ ঘণ্টা আগে
গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। আততায়ীর হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হয়। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকে বিদায় জানান সতীর্থ, অনুসারী ও শুভানুধ্যায়ীরা। ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুরাগী ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। মিছিল-সমাবেশে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করতেন তিনি। কিন্তু ‘রণক্লান্ত’ হওয়ার আগেই ঘাতকের গুলিতে অকালে নিভে গেল তাঁর প্রাণপ্রদীপ। হাদির বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। প্রসঙ্গত, নজরুলপ্রীতির সূত্রে হাদির পরিবার চেয়েছিল তাঁর শেষ শয্যা হোক কবির সমাধির পাশে।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে গতকাল বেলা ১১টার পর থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মাঠে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবনের ১১ ও ১২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন মানুষ। নিরাপত্তার জন্য ছিল দুই স্তরের তল্লাশি। নিরাপত্তার কারণে মাঠের চারপাশে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেডের সামনেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
জানাজার নির্ধারিত সময় বেলা ২টা হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার পরই মাঠ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, প্রয়োজনে পেছনের মাঠে জানাজা পড়া যাবে। জানাজার মাঠ ছাড়িয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশের মূল সড়কেও ছিল মানুষের সারি। পরে পেছনের মাঠের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে অবস্থান নেন মানুষ। দেড়টার দিকে আসা লোকজন ভেতরে ঢুকতে না পেরে অবস্থান নেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। তবে জনারণ্য ছাড়িয়ে যায় খামারবাড়ির মোড় হয়ে বিজয় সরণির দিকেও। মাঠেই জোহরের নামাজ পড়েন অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জানাজায় উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ফারুক ই আজম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শেখ বশিরউদ্দীন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান প্রমুখ। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ দলগুলোর আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনও জানাজায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আল সিয়ামের সঙ্গে একাধিক কূটনীতিককে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আরও শরিক হয়েছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, সম্প্রতি পদত্যাগকারী দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোটরসাইকেল আরোহী আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা ওঠানামা করছিল। বৃহস্পতিবার আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুবরণ করেন হাদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আসে।
হাদির মরদেহ শুক্রবার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। দাফনের আগে গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
বক্তব্যে দ্রুত বিচারের দাবি
বেলা ২টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় উপস্থিত জনতার স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। হাদির জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন রাখা হয় মঞ্চে। এরপর জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হাদির জীবনী তুলে ধরেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইনকিলাব মঞ্চর পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে হবে। যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এরপর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাদির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পরে জানাজা পড়ান শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজা শেষে হাদির কফিন নিয়ে সবাই রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে। বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ এলাকায় পৌঁছায় কফিন। তার অদূরেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণ। সেখানে হাদির কবরের বন্দোবস্ত আগেই করে রাখা হয়েছিল। সব প্রক্রিয়া শেষে সেই কবরে শায়িত করা হয় হাদিকে। পরে মোনাজাত করেন বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
দাফন শেষে ইনকিলাব মঞ্চ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তাঁদের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক এখানে থাকব। কিন্তু আপনাদের একটু রেস্ট (বিশ্রাম) দিতে চাই। আপনারা আজকের জন্য বাসায় যান। আগামীকাল বিকেল সোয়া ৫টার মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না আসে, আমরা আবার এখানে আসব। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছাড় দেব না।’
জাবেরের এ কথার পর অনেকেই শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। সড়ক দিয়ে ধীরে কিছু কিছু গাড়ি চলতে শুরু করে। তবে অনেক নেতা-কর্মী শাহবাগে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন।

চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। আততায়ীর হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হয়। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকে বিদায় জানান সতীর্থ, অনুসারী ও শুভানুধ্যায়ীরা। ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুরাগী ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। মিছিল-সমাবেশে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করতেন তিনি। কিন্তু ‘রণক্লান্ত’ হওয়ার আগেই ঘাতকের গুলিতে অকালে নিভে গেল তাঁর প্রাণপ্রদীপ। হাদির বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। প্রসঙ্গত, নজরুলপ্রীতির সূত্রে হাদির পরিবার চেয়েছিল তাঁর শেষ শয্যা হোক কবির সমাধির পাশে।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে গতকাল বেলা ১১টার পর থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মাঠে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবনের ১১ ও ১২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন মানুষ। নিরাপত্তার জন্য ছিল দুই স্তরের তল্লাশি। নিরাপত্তার কারণে মাঠের চারপাশে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেডের সামনেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
জানাজার নির্ধারিত সময় বেলা ২টা হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার পরই মাঠ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, প্রয়োজনে পেছনের মাঠে জানাজা পড়া যাবে। জানাজার মাঠ ছাড়িয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশের মূল সড়কেও ছিল মানুষের সারি। পরে পেছনের মাঠের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে অবস্থান নেন মানুষ। দেড়টার দিকে আসা লোকজন ভেতরে ঢুকতে না পেরে অবস্থান নেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। তবে জনারণ্য ছাড়িয়ে যায় খামারবাড়ির মোড় হয়ে বিজয় সরণির দিকেও। মাঠেই জোহরের নামাজ পড়েন অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জানাজায় উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ফারুক ই আজম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শেখ বশিরউদ্দীন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান প্রমুখ। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ দলগুলোর আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনও জানাজায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আল সিয়ামের সঙ্গে একাধিক কূটনীতিককে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আরও শরিক হয়েছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, সম্প্রতি পদত্যাগকারী দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোটরসাইকেল আরোহী আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা ওঠানামা করছিল। বৃহস্পতিবার আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুবরণ করেন হাদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আসে।
হাদির মরদেহ শুক্রবার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। দাফনের আগে গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
বক্তব্যে দ্রুত বিচারের দাবি
বেলা ২টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় উপস্থিত জনতার স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। হাদির জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন রাখা হয় মঞ্চে। এরপর জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হাদির জীবনী তুলে ধরেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইনকিলাব মঞ্চর পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে হবে। যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এরপর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাদির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পরে জানাজা পড়ান শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজা শেষে হাদির কফিন নিয়ে সবাই রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে। বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ এলাকায় পৌঁছায় কফিন। তার অদূরেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণ। সেখানে হাদির কবরের বন্দোবস্ত আগেই করে রাখা হয়েছিল। সব প্রক্রিয়া শেষে সেই কবরে শায়িত করা হয় হাদিকে। পরে মোনাজাত করেন বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
দাফন শেষে ইনকিলাব মঞ্চ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তাঁদের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক এখানে থাকব। কিন্তু আপনাদের একটু রেস্ট (বিশ্রাম) দিতে চাই। আপনারা আজকের জন্য বাসায় যান। আগামীকাল বিকেল সোয়া ৫টার মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না আসে, আমরা আবার এখানে আসব। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছাড় দেব না।’
জাবেরের এ কথার পর অনেকেই শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। সড়ক দিয়ে ধীরে কিছু কিছু গাড়ি চলতে শুরু করে। তবে অনেক নেতা-কর্মী শাহবাগে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
আজ শনিবার এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিকতার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রত্যেক সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়টি তুলে ধরে এমএসএফ বলেছে, অনেক সাংবাদিক আটকা পড়ে জীবন রক্ষার্থে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় ঘটনা দেখতে গেলে নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। দেশের অন্য কয়েকটি জেলাতেও প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোনো অবস্থাতেই ঘটনাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
একই দিন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে হামলা ও ভাঙচুর এবং শুক্রবার রাতে উদীচী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় উল্লেখ করে এমএসএফ বলেছে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তার চেয়েও বড় কথা, এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে সমাজে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা মানবাধিকার ও সুশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু সে কারণে যেকোনো অজুহাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অর্থ দাঁড়ায় পুরো গণমাধ্যম অস্তিত্বের ওপর হামলা, যা মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অশনিসংকেত। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যক্ত করে আসছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের বাধাগ্রস্ত করার একটি ভয়ংকর অপতৎপরতা ঘটে যাওয়ার পর সরকারের নির্লিপ্ততা ও অকার্যকর ভূমিকা তাদের আন্তরিকতা ও যোগ্যতার ব্যাপারে জনমনে প্রশ্ন জাগিয়েছে।

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
আজ শনিবার এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিকতার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রত্যেক সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়টি তুলে ধরে এমএসএফ বলেছে, অনেক সাংবাদিক আটকা পড়ে জীবন রক্ষার্থে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় ঘটনা দেখতে গেলে নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। দেশের অন্য কয়েকটি জেলাতেও প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোনো অবস্থাতেই ঘটনাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
একই দিন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে হামলা ও ভাঙচুর এবং শুক্রবার রাতে উদীচী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় উল্লেখ করে এমএসএফ বলেছে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তার চেয়েও বড় কথা, এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে সমাজে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা মানবাধিকার ও সুশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু সে কারণে যেকোনো অজুহাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার অর্থ দাঁড়ায় পুরো গণমাধ্যম অস্তিত্বের ওপর হামলা, যা মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অশনিসংকেত। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যক্ত করে আসছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের বাধাগ্রস্ত করার একটি ভয়ংকর অপতৎপরতা ঘটে যাওয়ার পর সরকারের নির্লিপ্ততা ও অকার্যকর ভূমিকা তাদের আন্তরিকতা ও যোগ্যতার ব্যাপারে জনমনে প্রশ্ন জাগিয়েছে।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১ ঘণ্টা আগে
মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহুমের জানাজা এবং গার্ড অব অনার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে।
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, জাতির গর্বিত কৃতী সন্তান এবং সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তম (অব.) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ ঘটিকায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর প্রয়াণে জাতি আজ গভীর শোকাহত।
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তম শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও। যিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এ ছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অনন্যসাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত করে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা, দুই পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জাতি তাঁর অসামান্য অবদানসমূহকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহুমের জানাজা এবং গার্ড অব অনার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে।
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, জাতির গর্বিত কৃতী সন্তান এবং সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তম (অব.) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ ঘটিকায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর প্রয়াণে জাতি আজ গভীর শোকাহত।
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তম শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও। যিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এ ছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অনন্যসাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’-এ ভূষিত করে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা, দুই পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জাতি তাঁর অসামান্য অবদানসমূহকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১ ঘণ্টা আগে
গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ চলাকালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, পেশাদার অপরাধী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে পিস্তল ও রিভলবার।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ চলাকালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, পেশাদার অপরাধী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে পিস্তল ও রিভলবার।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১ ঘণ্টা আগে
গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা মনে করে, সরকারের নীরবতায় বিশেষ গোষ্ঠী ‘মব’ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার বীর উত্তমের (এ কে খন্দকার) জানাজা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামীকাল রোববার বেলা ১টা ৪৫ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে