সৌগত বসু, ঢাকা

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে