Ajker Patrika

নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

  • এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে নতুন বাহিনী গঠনের প্রস্তাব।
  • ৭০ শতাংশ জনবল বিমানবাহিনী থেকে নেওয়ার প্রস্তাব।
  • নিয়োগ হবে ৩ ধাপে, প্রাথমিক বাজেট ৩৯৭ কোটি টাকা।
  • বেবিচকে অসন্তোষ, বাহিনীর প্রস্তাব বাতিল করার দাবি।
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০: ৪৫
নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স’ (বিএএসএফ) নামে একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে ১০,৬৩২ জন। প্রস্তাব অনুযায়ী, এই জনবলের ৭০ শতাংশ নেওয়া হবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) নতুন এই বাহিনী গঠনসংক্রান্ত প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে বেবিচকের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রস্তাবটি বাতিল এবং বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেবিচককে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।

বিক্ষোভের পর বেবিচক বলেছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।

সূত্র জানায়, বিএএসএফ গঠনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে এই বাহিনী

দায়িত্ব পালন করবে। এটি থাকবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাহিনীটি পরিচালিত হবে বেবিচকের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে। নতুন এই বাহিনী গঠনের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ৩৯৭ কোটি ২ লাখ টাকা।

দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে এভসেক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য আরও ৩ হাজার ৪৯২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৫ হাজার ১১২ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সম্প্রতি জানান, উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর মতো বাংলাদেশেও একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী থাকা প্রয়োজন। এই বাহিনী আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করবে।

সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিএএসএফ গঠনসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই বাহিনীর মোট জনবল হবে ১০ হাজার ৬৩২ জন। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সামরিক ও ৩০ শতাংশ জনবল হবে অসামরিক। এই বাহিনীর প্রধানের পদ হবে মহাপরিচালক। যিনি হবেন বিমানবাহিনীর ‘এয়ার ভাইস মার্শাল’ বা ‘এয়ার কমোডর’ পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাঁর অধীনে চারজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার) এবং তিনজন পরিচালক (উইং কমান্ডার পদমর্যাদার) থাকবেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন বাহিনীর মোট জনবলের মধ্যে ৫ হাজার ১৬৭ জন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, ৯৫৯ জন করে সিলেট এম এ জি ওসমানী, চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে মোট ২ হাজার ৮৭৭ জন নিযুক্ত হবেন। অভ্যন্তরীণ চারটি বিমানবন্দর—যশোর, রাজশাহী, বরিশাল ও সৈয়দপুরে ৫৬০ জন করে মোট ২ হাজার ২৪০ জন সদস্যকে দেওয়া হবে। এই জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৮৯৪ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ৪০৭ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ হাজার ৩৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রস্তাবে অসামরিক কতজন এবং বিমানবাহিনীর কতজন নিয়োগ পাবেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএএসএফ গঠনের প্রস্তাব পাঠানোর খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তাঁরা বিএএসএফ গঠনের প্রস্তাব বাতিল ও বেবিচকের এভসেক বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণসহ ছয় দফা দাবিতে ১৭ মার্চ প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশ বন্ধ রাখলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

সভায় কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে বেবিচকের অধীনে এভসেক বিভাগ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য নতুন একটি বাহিনী গঠনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটি এভসেক বিভাগের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি তৈরি করবে। তাঁরা বেবিচক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিও জানান।

বেবিচকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সারা বিশ্বে সিভিল এভিয়েশন সংস্থাগুলো বেসামরিক কর্মীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশেও এই রীতি বজায় রাখা উচিত।

বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের নেতারা বলছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের নামে যা করা হচ্ছে, তাতে সিভিল কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে এবং এভিয়েশন সেক্টরে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। স্বাধীন সিভিল সংস্থা হিসেবে বেবিচকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের পর বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি নির্দিষ্ট সংস্থার নামে ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে তা বোর্ড মিটিং ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয়। এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা এবং যাত্রীসেবা উন্নত করতে বেবিচক নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মতামত গ্রহণ ও যাচাই-বাছাই করে। সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতায় একটি আধুনিক, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য এভিয়েশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বেবিচক নিরলসভাবে কাজ করবে।

বেবিচকের সূত্র বলছে, বিভিন্ন সময়ে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে কার্যকর ফল আসছে না। এ কারণে নিরাপত্তাব্যবস্থা নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিমানবন্দরগুলোর স্ক্যানিং তল্লাশির সক্ষমতা বাড়ানো হবে; পাশাপাশি ইডিএস, ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন, আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং মেশিন, এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টর (ইডিটি), লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম এবং ডাবল ক্যাব পিকআপ ইটিভি কনসুমাবেলস ফর এক্সপ্লোসিভ ট্রান্স ডিটেক্টর মেশিন সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জানতে চাইলে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিশ্বের সব দেশের বাণিজ্যিক বিমানবন্দরের মতো বেসামরিক ক্ষেত্রগুলো বেসামরিক প্রশাসন দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বিগত সময়ে এটি হয়েছে। বেবিচকের তত্ত্বাবধানে এপিবিএন, বিজিবি, আনসারসহ সরকারের অন্যান্য সিভিল প্রশাসনের সদস্যরাই বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা দিচ্ছেন। সেখানে হঠাৎ কী কারণে বিমানবাহিনীকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, এমনিতে বেবিচকের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নেওয়া নতুন এই চিন্তা হিতে বিপরীত হতে পারে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত