আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে