আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তারপর তিনি আবার ফিরেছেন বাংলাদেশে, প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান হয়ে।
বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। এ ছাড়া ২০২৬ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএনজি কেনার চুক্তিও রয়েছে সরকারের।
মার্কিন সদ্য সাবেক এই কূটনীতিকের এভাবে বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিটার হাস জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নন। তা সত্ত্বেও তাঁকে জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর পেছনে সাবেক এই রাষ্ট্রদূতের শেষ কর্মস্থলে তৈরি হওয়া প্রভাব কাজে লাগানোর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও পিটার হাসকে নিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনেরও ব্যত্যয় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ‘রিভলভিং ডোর’ নামের আইনটির শর্ত যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে একেক রকম। এই আইনের শর্ত হলো, মার্কিন কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা আইনপ্রণেতাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটানোয় গত বছর সাবেক এক মার্কিন কূটনীতিককে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে।
পিটার হাসের এভাবে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরপরই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের হোম স্টেট বিভাগের এথিকাল কমিটির কাছে গত ২ নভেম্বর ই-মেইল করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত তারা কোনো জবাব দেয়নি। অ্যাকসিলারেট এনার্জির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও ই-মেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরাও কোনো জবাব দেননি।
পিটার হাস ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে জার্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পিটার হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন শেষে পিটার হাস গত ২২ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। এর তিন দিনের মাথায় ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জির ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগদান করেন। পিটার হাসের নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কর্মজীবনে তিনি মার্কিনদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য অক্লান্ত কাজ করেছেন। পিটার ভূরাজনীতি ও বাজার বোঝেন।’
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকারও।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি দেশের রাষ্ট্রদূত অনেক বড় পদ। তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানির হয়ে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন। সাধারণ কোনো কারণে এমনটি হয়নি।
বাংলাদেশে অ্যাকসিলারেট এনার্জির কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলেছে, ২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ করবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে এলএনজি টার্মিনাল দুটির বিষয়ে হওয়া সমঝোতা স্মারক বাতিল করেছে। সরকার টার্মিনাল দুটি দরপত্রের মাধ্যমে দিতে চায়। এই দরপত্রে অ্যাকসিলারেট এনার্জিও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মার্কিন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে প্রশ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রিভলভিং ডোর’ নামে একটা আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো আইনপ্রণেতা কিংবা সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অবসরের ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লবিস্ট হিসেবে যুক্ত হতে পারবেন না। এই সময়কে আইনে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের হয়ে কাজের সময় তৈরি হওয়া প্রভাবের অপব্যবহার ঠেকাতে ১৮৭২ সালে আইনটি করা হয়। বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যেই এই আইনটি আছে। যেসব অঙ্গরাজ্যে আইনটি নেই, সেসব অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন কোনো আইনের মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।
অঙ্গরাজ্যভেদে আইনটির ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওয়াশিংটনে বর্তমানে এই আইনটি নেই। ভিন্ন কোনো আইনে এই অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে কি না, সেটিও জানা যায়নি। অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৯ সালে ফেডারেল সরকারের জন্য প্রণীত এক আইনে সাবেক সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, সাবেক কোনো সিনেটর, সাবেক প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য অথবা সিনেট কিংবা প্রতিনিধি পরিষদে কাজ করতে নির্বাচিত হয়েছেন—এমন সাবেক কোনো কর্মকর্তা তাঁর জীবদ্দশায় কংগ্রেসের বর্তমান কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মী অথবা কোনো আইনসভা কার্যালয়ের কোনো কর্মীর কাছে তদবির করতে পারবেন না। নতুন আইনে সিনেটের সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যদের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মী, কংগ্রেসসহ সব আইনসভার কমিটির সাবেক কর্মীদের ক্ষেত্রে ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়েছে।
পিটার হাসের নিয়োগে এই আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। আর সে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সিনেট শুনানিতে।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া রাজ্যের একটি আদালত ‘রিভলভলিং ডোর আইন’ লঙ্ঘন করায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গুস্তাভ ওলসন জুনিয়রকে প্রায় ৯৪ হাজার ডলার জরিমানা করেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি মাসিক ২০ হাজার ডলার ফিতে কাতার সরকারের জন্য কাজ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন মাঠ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে শেরেবাংলা নগরে। সেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা



বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা ত্যাগ করেন গত জুলাইয়ে। এর দুই মাসের মাথায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তার তিন দিনের মাথায় তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে। তা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে