নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির অভিযোগ—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, ঘটেছে ‘একটি দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল’।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ‘গুম, খুন ও মামলা’বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান। নিজেকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ মাঠ-অভিজ্ঞতা, নথিপত্র ও প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ছিল ‘প্রহসন’, এবং এর পেছনে ছিল পরিকল্পিত সাংবিধানিক লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার। দণ্ডবিধির ১৭১-৭/১৭১-ঘ/ ১৭১-২/১৭১-জ/১৭১-হ ধারা এবং ১২০-ক/১০৯ ধারায় তিনি এ মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। আসামি যেই হোক না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করাই পুলিশের দায়িত্ব।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেবল জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারে প্রয়োগযোগ্য। অথচ এই তিন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় বসে—যা একদিকে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল, অন্যদিকে ফৌজদারি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাদীপক্ষের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আর কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ‘যন্ত্রাংশ’ হিসেবে।
মামলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেখানে দাবি করা হয়, ভোটের আগের রাতেই অধিকাংশ ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল, এতে ভোটগ্রহণের দিনে কার্যত কিছুই বাকি ছিল না।
‘দিনের ভোট রাতে’ হয়ে যাওয়ার কথা বলেই এই নির্বাচন ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যা মামলার মূল দলিলে শক্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানালেও সেসব আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি।
বিএনপির ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ভবিষ্যতের সব নির্বাচন নিজের অধীনে আয়োজনে পরিকল্পনা শুরু করে। বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যা ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপর থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, সহিংসতা, অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়। মামলায় একে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতান্ত্রিক শূন্যতার সূচনা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মামলায় রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন। আর অন্য আসনগুলোতেও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফাভাবে ফল নির্ধারণ করা হয়।
সবশেষে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও ‘ভোটারবিহীন, সাজানো নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটার উপস্থিতি ৩০ শতাংশের নিচে থাকলেও কমিশন ভোটগ্রহণ শেষে ৪০ শতাংশ উপস্থিতি দেখিয়ে একটি ভুয়া চিত্র তুলে ধরে। বিএনপি বলছে, এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে—যার দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।
মামলার তালিকায় যাঁদের নাম
মামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আহসান হাবিব, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর। পাশাপাশি উল্লেখ আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক ও জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই ও এনএসআইপ্রধান (নাম অজ্ঞাত) এবং তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।
বাদীপক্ষের ভাষ্যমতে, এই ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা হরণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন এবং একটি দখলদার সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রভাবিত করেছেন।
মামলায় ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ’-এর অভিযোগও রয়েছে। বলা হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, যেটা জনস্বার্থে ব্যবহার না হয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে। বাদীপক্ষ এই বিষয়কে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির আওতায় বিচার দাবি করেছে।
এজাহারে সাক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, ব্যালট পেপারে থাকা সিলের তথ্য, ভোটকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তাদের জবানবন্দি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য এবং স্থানীয় ভোটার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান। বাদীর বক্তব্য, উল্লিখিত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার নথি বিশ্লেষণ করলে নির্বাচনী কারচুপির পূর্ণ চিত্র বেরিয়ে আসবে।
এই মামলাকে বিএনপি ‘দলীয় অবস্থান থেকে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষায় দায়িত্বশীল উদ্যোগ’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই গতকাল রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির অভিযোগ—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, ঘটেছে ‘একটি দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল’।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ‘গুম, খুন ও মামলা’বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান। নিজেকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ মাঠ-অভিজ্ঞতা, নথিপত্র ও প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ছিল ‘প্রহসন’, এবং এর পেছনে ছিল পরিকল্পিত সাংবিধানিক লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার। দণ্ডবিধির ১৭১-৭/১৭১-ঘ/ ১৭১-২/১৭১-জ/১৭১-হ ধারা এবং ১২০-ক/১০৯ ধারায় তিনি এ মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। আসামি যেই হোক না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করাই পুলিশের দায়িত্ব।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেবল জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারে প্রয়োগযোগ্য। অথচ এই তিন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় বসে—যা একদিকে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল, অন্যদিকে ফৌজদারি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাদীপক্ষের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আর কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ‘যন্ত্রাংশ’ হিসেবে।
মামলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেখানে দাবি করা হয়, ভোটের আগের রাতেই অধিকাংশ ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল, এতে ভোটগ্রহণের দিনে কার্যত কিছুই বাকি ছিল না।
‘দিনের ভোট রাতে’ হয়ে যাওয়ার কথা বলেই এই নির্বাচন ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যা মামলার মূল দলিলে শক্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানালেও সেসব আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি।
বিএনপির ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ভবিষ্যতের সব নির্বাচন নিজের অধীনে আয়োজনে পরিকল্পনা শুরু করে। বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যা ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপর থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, সহিংসতা, অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়। মামলায় একে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতান্ত্রিক শূন্যতার সূচনা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মামলায় রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন। আর অন্য আসনগুলোতেও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফাভাবে ফল নির্ধারণ করা হয়।
সবশেষে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও ‘ভোটারবিহীন, সাজানো নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটার উপস্থিতি ৩০ শতাংশের নিচে থাকলেও কমিশন ভোটগ্রহণ শেষে ৪০ শতাংশ উপস্থিতি দেখিয়ে একটি ভুয়া চিত্র তুলে ধরে। বিএনপি বলছে, এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে—যার দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।
মামলার তালিকায় যাঁদের নাম
মামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আহসান হাবিব, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর। পাশাপাশি উল্লেখ আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক ও জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই ও এনএসআইপ্রধান (নাম অজ্ঞাত) এবং তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।
বাদীপক্ষের ভাষ্যমতে, এই ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা হরণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন এবং একটি দখলদার সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রভাবিত করেছেন।
মামলায় ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ’-এর অভিযোগও রয়েছে। বলা হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, যেটা জনস্বার্থে ব্যবহার না হয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে। বাদীপক্ষ এই বিষয়কে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির আওতায় বিচার দাবি করেছে।
এজাহারে সাক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, ব্যালট পেপারে থাকা সিলের তথ্য, ভোটকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তাদের জবানবন্দি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য এবং স্থানীয় ভোটার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান। বাদীর বক্তব্য, উল্লিখিত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার নথি বিশ্লেষণ করলে নির্বাচনী কারচুপির পূর্ণ চিত্র বেরিয়ে আসবে।
এই মামলাকে বিএনপি ‘দলীয় অবস্থান থেকে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষায় দায়িত্বশীল উদ্যোগ’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই গতকাল রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির অভিযোগ—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, ঘটেছে ‘একটি দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল’।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ‘গুম, খুন ও মামলা’বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান। নিজেকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ মাঠ-অভিজ্ঞতা, নথিপত্র ও প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ছিল ‘প্রহসন’, এবং এর পেছনে ছিল পরিকল্পিত সাংবিধানিক লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার। দণ্ডবিধির ১৭১-৭/১৭১-ঘ/ ১৭১-২/১৭১-জ/১৭১-হ ধারা এবং ১২০-ক/১০৯ ধারায় তিনি এ মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। আসামি যেই হোক না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করাই পুলিশের দায়িত্ব।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেবল জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারে প্রয়োগযোগ্য। অথচ এই তিন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় বসে—যা একদিকে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল, অন্যদিকে ফৌজদারি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাদীপক্ষের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আর কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ‘যন্ত্রাংশ’ হিসেবে।
মামলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেখানে দাবি করা হয়, ভোটের আগের রাতেই অধিকাংশ ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল, এতে ভোটগ্রহণের দিনে কার্যত কিছুই বাকি ছিল না।
‘দিনের ভোট রাতে’ হয়ে যাওয়ার কথা বলেই এই নির্বাচন ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যা মামলার মূল দলিলে শক্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানালেও সেসব আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি।
বিএনপির ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ভবিষ্যতের সব নির্বাচন নিজের অধীনে আয়োজনে পরিকল্পনা শুরু করে। বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যা ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপর থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, সহিংসতা, অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়। মামলায় একে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতান্ত্রিক শূন্যতার সূচনা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মামলায় রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন। আর অন্য আসনগুলোতেও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফাভাবে ফল নির্ধারণ করা হয়।
সবশেষে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও ‘ভোটারবিহীন, সাজানো নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটার উপস্থিতি ৩০ শতাংশের নিচে থাকলেও কমিশন ভোটগ্রহণ শেষে ৪০ শতাংশ উপস্থিতি দেখিয়ে একটি ভুয়া চিত্র তুলে ধরে। বিএনপি বলছে, এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে—যার দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।
মামলার তালিকায় যাঁদের নাম
মামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আহসান হাবিব, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর। পাশাপাশি উল্লেখ আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক ও জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই ও এনএসআইপ্রধান (নাম অজ্ঞাত) এবং তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।
বাদীপক্ষের ভাষ্যমতে, এই ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা হরণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন এবং একটি দখলদার সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রভাবিত করেছেন।
মামলায় ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ’-এর অভিযোগও রয়েছে। বলা হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, যেটা জনস্বার্থে ব্যবহার না হয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে। বাদীপক্ষ এই বিষয়কে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির আওতায় বিচার দাবি করেছে।
এজাহারে সাক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, ব্যালট পেপারে থাকা সিলের তথ্য, ভোটকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তাদের জবানবন্দি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য এবং স্থানীয় ভোটার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান। বাদীর বক্তব্য, উল্লিখিত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার নথি বিশ্লেষণ করলে নির্বাচনী কারচুপির পূর্ণ চিত্র বেরিয়ে আসবে।
এই মামলাকে বিএনপি ‘দলীয় অবস্থান থেকে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষায় দায়িত্বশীল উদ্যোগ’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই গতকাল রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির অভিযোগ—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, ঘটেছে ‘একটি দলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল’।
মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ‘গুম, খুন ও মামলা’বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান। নিজেকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ মাঠ-অভিজ্ঞতা, নথিপত্র ও প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই মামলা করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ছিল ‘প্রহসন’, এবং এর পেছনে ছিল পরিকল্পিত সাংবিধানিক লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার। দণ্ডবিধির ১৭১-৭/১৭১-ঘ/ ১৭১-২/১৭১-জ/১৭১-হ ধারা এবং ১২০-ক/১০৯ ধারায় তিনি এ মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। আসামি যেই হোক না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করাই পুলিশের দায়িত্ব।
মামলায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেবল জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে সংবিধান অনুসারে প্রয়োগযোগ্য। অথচ এই তিন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় বসে—যা একদিকে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল, অন্যদিকে ফৌজদারি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাদীপক্ষের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আর কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ‘যন্ত্রাংশ’ হিসেবে।
মামলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেখানে দাবি করা হয়, ভোটের আগের রাতেই অধিকাংশ ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল, এতে ভোটগ্রহণের দিনে কার্যত কিছুই বাকি ছিল না।
‘দিনের ভোট রাতে’ হয়ে যাওয়ার কথা বলেই এই নির্বাচন ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যা মামলার মূল দলিলে শক্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানালেও সেসব আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি।
বিএনপির ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ভবিষ্যতের সব নির্বাচন নিজের অধীনে আয়োজনে পরিকল্পনা শুরু করে। বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যা ছিল একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপর থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, সহিংসতা, অপহরণ, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হয়। মামলায় একে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতান্ত্রিক শূন্যতার সূচনা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও মামলায় রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন। আর অন্য আসনগুলোতেও রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একতরফাভাবে ফল নির্ধারণ করা হয়।
সবশেষে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও ‘ভোটারবিহীন, সাজানো নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটার উপস্থিতি ৩০ শতাংশের নিচে থাকলেও কমিশন ভোটগ্রহণ শেষে ৪০ শতাংশ উপস্থিতি দেখিয়ে একটি ভুয়া চিত্র তুলে ধরে। বিএনপি বলছে, এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে—যার দায় নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না।
মামলার তালিকায় যাঁদের নাম
মামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আহসান হাবিব, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর। পাশাপাশি উল্লেখ আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক ও জাবেদ পাটোয়ারী, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই ও এনএসআইপ্রধান (নাম অজ্ঞাত) এবং তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।
বাদীপক্ষের ভাষ্যমতে, এই ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা হরণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন এবং একটি দখলদার সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রভাবিত করেছেন।
মামলায় ‘রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ’-এর অভিযোগও রয়েছে। বলা হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন করতে গিয়ে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, যেটা জনস্বার্থে ব্যবহার না হয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যবহৃত হয়েছে। বাদীপক্ষ এই বিষয়কে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির আওতায় বিচার দাবি করেছে।
এজাহারে সাক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, ব্যালট পেপারে থাকা সিলের তথ্য, ভোটকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তাদের জবানবন্দি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য এবং স্থানীয় ভোটার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান। বাদীর বক্তব্য, উল্লিখিত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার নথি বিশ্লেষণ করলে নির্বাচনী কারচুপির পূর্ণ চিত্র বেরিয়ে আসবে।
এই মামলাকে বিএনপি ‘দলীয় অবস্থান থেকে নয়, বরং রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষায় দায়িত্বশীল উদ্যোগ’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আইন ও রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই গতকাল রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
২৩ জুন ২০২৫
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
২৩ জুন ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৯ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
২৩ জুন ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
২৩ জুন ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে