আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসকের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ২১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে নিহত, আহত, আটক/গ্রেপ্তার হওয়া নাগরিকদের পরিবার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় নাগরিক এবং হাসপাতাল ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সমাবেশের দিন সকালে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এনসিপি নেতারা সমাবেশ করেন। নেতাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং সংঘর্ষ পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল এবং নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গুলিতে ৪ জন নিহত হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জন মারা যান। নিহতরা হলেন— দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুকদার (১৭), সোহেল মোল্লা (৩২) এবং রমজান মুন্সী।
আসকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত মরদেহ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ২০ জুলাই পুলিশ দীপ্ত সাহা ছাড়া অন্য তিনজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করায়, যা নতুন ধরনের হয়রানি বলে মনে করছে পরিবারগুলো। নিহত ইমনের পরিবার দাবি করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাকে আঘাত করছিল, সেই ছেলেটিই ইমন।
সংঘর্ষের পর ১৬ জুলাই রাত থেকে গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই সময়ে নির্বিচারে নাগরিকদের আটক ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে, এমনকি অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৮টি শিশুকে (অপ্রাপ্তবয়স্ক) সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে আসক জানিয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৮টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৬টি মামলার কপি আসকের হাতে এসেছে। এই মামলাগুলোতে ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫৮ জন নামীয় আসামি। এদের মধ্যে ৩ জন নারী এবং ৩২ জন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক রয়েছেন। বেশ কয়েকটি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর আওতায় করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে, যদিও পরিবারগুলো দাবি করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
যদিও মামলা দুটির এজাহারে বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে ২৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২১ জন সাধারণ নাগরিক এবং ২ জন পুলিশ সদস্য। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধদের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি।
২১ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে দায়িত্বরত জেল সুপার ও এআইজি (প্রিজন) আসক প্রতিনিধিদের জানান, ১৮ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং ১৫০ জন বন্দীকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে, কারণ এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা তখন বেশি ছিল। কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ১৬ জুলাই দুপুরে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কারাগারে হামলা চালিয়েছিল এবং সীমানা প্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড ‘মিসফায়ার’ করা হয় এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পুলিশ কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করেছে। তিনি জানান, ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ জুলাই রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার ঘটনা নাগরিকের সভা সমাবেশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে। আসক এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসকের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ২১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে নিহত, আহত, আটক/গ্রেপ্তার হওয়া নাগরিকদের পরিবার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় নাগরিক এবং হাসপাতাল ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সমাবেশের দিন সকালে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এনসিপি নেতারা সমাবেশ করেন। নেতাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং সংঘর্ষ পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল এবং নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গুলিতে ৪ জন নিহত হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জন মারা যান। নিহতরা হলেন— দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুকদার (১৭), সোহেল মোল্লা (৩২) এবং রমজান মুন্সী।
আসকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত মরদেহ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ২০ জুলাই পুলিশ দীপ্ত সাহা ছাড়া অন্য তিনজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করায়, যা নতুন ধরনের হয়রানি বলে মনে করছে পরিবারগুলো। নিহত ইমনের পরিবার দাবি করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাকে আঘাত করছিল, সেই ছেলেটিই ইমন।
সংঘর্ষের পর ১৬ জুলাই রাত থেকে গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই সময়ে নির্বিচারে নাগরিকদের আটক ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে, এমনকি অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৮টি শিশুকে (অপ্রাপ্তবয়স্ক) সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে আসক জানিয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৮টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৬টি মামলার কপি আসকের হাতে এসেছে। এই মামলাগুলোতে ৫ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫৮ জন নামীয় আসামি। এদের মধ্যে ৩ জন নারী এবং ৩২ জন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক রয়েছেন। বেশ কয়েকটি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর আওতায় করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে, যদিও পরিবারগুলো দাবি করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
যদিও মামলা দুটির এজাহারে বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে ২৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২১ জন সাধারণ নাগরিক এবং ২ জন পুলিশ সদস্য। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধদের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি।
২১ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে দায়িত্বরত জেল সুপার ও এআইজি (প্রিজন) আসক প্রতিনিধিদের জানান, ১৮ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং ১৫০ জন বন্দীকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে, কারণ এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা তখন বেশি ছিল। কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ১৬ জুলাই দুপুরে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কারাগারে হামলা চালিয়েছিল এবং সীমানা প্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড ‘মিসফায়ার’ করা হয় এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পুলিশ কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করেছে। তিনি জানান, ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ জুলাই রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার ঘটনা নাগরিকের সভা সমাবেশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে। আসক এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১৭ মিনিট আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
২৫ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিবিসি বাংলা

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
২৫ জুলাই ২০২৫
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১৭ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার পর সাতজনের পক্ষে থাকা আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে, ভিকটিম ব্যারিস্টার আরমানের লেখা বই পড়া ও অভিযোগ-সংক্রান্ত এত বড় ভলিউম পড়তে হবে। প্রস্তুতির জন্য আমার সময় প্রয়োজন। তা ছাড়া আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আদেশের সময় ১০ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি, এই আদালতের মাধ্যমে আমরা ইনসাফ পাব।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিচার ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে। সে কারণে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলো।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাবারক হোসেন তিন মাস সময় চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আদেশ দিইনি। আমরা আলোচনা করছি। আমরা কি কথা বলতে পারব না?’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনি মতামত দিয়েছেন। আপনি মতামত দিলে আসামিপক্ষ সুবিধা নেবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আপনি এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যাবেন না। আপনার কথায় আমাদের চলতে হবে? আপনি আমাদের হ্যান্ডিক্যাপ বানিয়ে রাখবেন? আপনি বসেন।’ এ সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য নিরুত্তর ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য না শুনে সিদ্ধান্ত দিলে গ্রাউন্ড তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন। অপরাধের গুরুত্বের কারণে বিলম্ব ছাড়া বিচার করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কিন্তু এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আগেই আসামিপক্ষ চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে। এখন তিন সপ্তাহের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকলে তিনি মামলা ছেড়ে দেবেন। তাঁর জন্য তো আদালত বসে থাকবে না। সাতজন আসামির জন্য কি আলাদাভাবে সময় দিতে হবে? একই ঘটনা, একই অভিযোগ। মূলত আসামিপক্ষ মামলা বিলম্ব করতে চায়।’
আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য তিন মাস সময় চাই।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পাবেন।’ তাবারক হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিজিএফআইয়ের মামলায় এক মাস সময় দিয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, ‘ঠিক আছে, চার সপ্তাহ।’ এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আছে। আসামিপক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বিচার হতে না দেওয়া। এখানে গত ১৫ বছর কী হয়েছে, আমরা দেখেছি।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্যই তো আপনাদের আপত্তি। তখন যা হয়েছে, আমরা তো তা করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে বলেন, এখানে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাইপ তুলে সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আসামিরা ঘটনার সময় র্যাবে ছিলেন, সেই সময়কার অপরাধের বিচার হচ্ছে। তাঁরা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়, আর্মির পোশাকে এই অপরাধ করেননি।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর্মির বিরুদ্ধে না। এখানে সেনাবাহিনীর বিচার হচ্ছে না। আর আমরা ডিলে অ্যালাউ করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ছুরিকাঘাত করা হচ্ছে। সাক্ষীকে মেরে ফেললে আমরা বিচার করব কীভাবে?’ আইনজীবী তাবারক হোসেন হঠাৎ দাঁড়িয়ে চিফ প্রসিকিউটরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাড়াহুড়ো করছেন কেন? জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি তাবারক হোসেনকে বলেন, ‘আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আপনি দাঁড়ালেন কেন? আপনি বসেন।’ এ সময় বিচারকও আইনজীবীকে বসতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। পরে আইনজীবী তাবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুমতি নিয়ে কথা বলি। বললে আপনারা বলতে পারেন। তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) বসার কথা বলতে পারেন না। আমি উনার সিনিয়র। আমি কথা বললে উনি পেছন থেকে ডিক্টেট করেন। উনি এটা করতে পারেন না।’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চিফ প্রসিকিউটর) কিছু রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁর কথা শেষ না হতেই তিনি (তাবারক হোসেন) কথা বলতে শুরু করেছেন।’ পরে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘একজনের কথা শেষ না করতে অন্যজন কথা বলবেন না।’ পরে আদালত সূচনা বক্তব্যের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
এ মামলার শুনানি শেষ হলে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে থাকা গুমের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন। এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ হাস্যচ্ছলে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হ্যাপি নিউ ইয়ারও পালন করতে দেবেন না দেখছি।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের জায়গায় হ্যাপি জানাজা হয়ে যায় কি না, বলা তো যায় না।’ তখন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ওপরের দিকে ইশারা করে বলেন—মৃত্যুর ফয়সালা আসমানে হয়।
এর আগে র্যাবের টিএফআইয়ের মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার পর সাতজনের পক্ষে থাকা আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে, ভিকটিম ব্যারিস্টার আরমানের লেখা বই পড়া ও অভিযোগ-সংক্রান্ত এত বড় ভলিউম পড়তে হবে। প্রস্তুতির জন্য আমার সময় প্রয়োজন। তা ছাড়া আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আদেশের সময় ১০ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি, এই আদালতের মাধ্যমে আমরা ইনসাফ পাব।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিচার ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে। সে কারণে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলো।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাবারক হোসেন তিন মাস সময় চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আদেশ দিইনি। আমরা আলোচনা করছি। আমরা কি কথা বলতে পারব না?’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনি মতামত দিয়েছেন। আপনি মতামত দিলে আসামিপক্ষ সুবিধা নেবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আপনি এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যাবেন না। আপনার কথায় আমাদের চলতে হবে? আপনি আমাদের হ্যান্ডিক্যাপ বানিয়ে রাখবেন? আপনি বসেন।’ এ সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য নিরুত্তর ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য না শুনে সিদ্ধান্ত দিলে গ্রাউন্ড তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন। অপরাধের গুরুত্বের কারণে বিলম্ব ছাড়া বিচার করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কিন্তু এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আগেই আসামিপক্ষ চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে। এখন তিন সপ্তাহের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকলে তিনি মামলা ছেড়ে দেবেন। তাঁর জন্য তো আদালত বসে থাকবে না। সাতজন আসামির জন্য কি আলাদাভাবে সময় দিতে হবে? একই ঘটনা, একই অভিযোগ। মূলত আসামিপক্ষ মামলা বিলম্ব করতে চায়।’
আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য তিন মাস সময় চাই।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পাবেন।’ তাবারক হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিজিএফআইয়ের মামলায় এক মাস সময় দিয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, ‘ঠিক আছে, চার সপ্তাহ।’ এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আছে। আসামিপক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বিচার হতে না দেওয়া। এখানে গত ১৫ বছর কী হয়েছে, আমরা দেখেছি।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্যই তো আপনাদের আপত্তি। তখন যা হয়েছে, আমরা তো তা করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে বলেন, এখানে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাইপ তুলে সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আসামিরা ঘটনার সময় র্যাবে ছিলেন, সেই সময়কার অপরাধের বিচার হচ্ছে। তাঁরা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়, আর্মির পোশাকে এই অপরাধ করেননি।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর্মির বিরুদ্ধে না। এখানে সেনাবাহিনীর বিচার হচ্ছে না। আর আমরা ডিলে অ্যালাউ করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ছুরিকাঘাত করা হচ্ছে। সাক্ষীকে মেরে ফেললে আমরা বিচার করব কীভাবে?’ আইনজীবী তাবারক হোসেন হঠাৎ দাঁড়িয়ে চিফ প্রসিকিউটরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাড়াহুড়ো করছেন কেন? জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি তাবারক হোসেনকে বলেন, ‘আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আপনি দাঁড়ালেন কেন? আপনি বসেন।’ এ সময় বিচারকও আইনজীবীকে বসতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। পরে আইনজীবী তাবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুমতি নিয়ে কথা বলি। বললে আপনারা বলতে পারেন। তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) বসার কথা বলতে পারেন না। আমি উনার সিনিয়র। আমি কথা বললে উনি পেছন থেকে ডিক্টেট করেন। উনি এটা করতে পারেন না।’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চিফ প্রসিকিউটর) কিছু রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁর কথা শেষ না হতেই তিনি (তাবারক হোসেন) কথা বলতে শুরু করেছেন।’ পরে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘একজনের কথা শেষ না করতে অন্যজন কথা বলবেন না।’ পরে আদালত সূচনা বক্তব্যের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
এ মামলার শুনানি শেষ হলে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে থাকা গুমের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন। এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ হাস্যচ্ছলে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হ্যাপি নিউ ইয়ারও পালন করতে দেবেন না দেখছি।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের জায়গায় হ্যাপি জানাজা হয়ে যায় কি না, বলা তো যায় না।’ তখন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ওপরের দিকে ইশারা করে বলেন—মৃত্যুর ফয়সালা আসমানে হয়।
এর আগে র্যাবের টিএফআইয়ের মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
২৫ জুলাই ২০২৫
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১৭ মিনিট আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট প্রকাশ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেটটি জারি করা হয়েছে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিধিমালা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন বিধিমালার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, আধুনিক ও আইনগত কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট প্রকাশ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেটটি জারি করা হয়েছে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিধিমালা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন বিধিমালার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, আধুনিক ও আইনগত কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
২৫ জুলাই ২০২৫
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১৭ মিনিট আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২৩ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
১ ঘণ্টা আগে