Ajker Patrika

চাল হিসাবে আছে গুদামে নেই

ফারুক মেহেদী, ঢাকা
চাল হিসাবে আছে গুদামে নেই

কোটি কোটি টন চাল উৎপাদন হলেও এখন সরবরাহে টান পড়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে উৎপাদন বেশি, তাই চাল উদ্বৃত্ত আছে বলা হলেও বাস্তবে সংকট বাড়ছে। উপায় না দেখে সরকার মরিয়া হয়ে আমদানির দিকে ঝুঁকছে। এখন খোদ সরকারের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে উদ্বৃত্ত চালের তথ্য কাগজ-কলমে, নাকি বাস্তবে।

সরকারের ভেতরেই প্রশ্ন উঠছে–যদি সত্যিই চালের উদ্বৃত্ত থাকত, তাহলে এখন লাখ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে কেন? কেন দাম বাড়ছে দফায় দফায়? বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি বলছে, দেশে চালের সংকট নেই। সব সময়ই অন্তত ২৮ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তবে তা দেখা যায় না! কৃষি গবেষকেরা বলছেন, তথ্যে অবশ্যই গরমিল আছে। না হলে উদ্বৃত্ত চাল থাকার পরও আমদানি করতে হচ্ছে কেন?

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে যদি চালের উদ্বৃত্ত থাকে তবে কেন ৭০ লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে? বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য ২-৩ টন আনা যেতে পারে। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণে আমদানির কী প্রয়োজন? আর উদ্বৃত্তই যদি থাকবে তাহলে বাজারে এর দাম বাড়বে কেন? অর্থনীতির সংজ্ঞা তো তা বলে না। উদ্বৃত্তের চাল গেল কোথায়? উদ্বৃত্ত চালের তথ্যে গরমিল করেছে কৃষি বিভাগ। তাদেরই এটা ঠিক করতে হবে।’

কয়েক বছর ধরেই চালের বাড়তি ফলন হচ্ছে বলে সরকার বলছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। আর বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের চালের লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি ৯৬ লাখের বিপরীতে আউশ ও আমন 

ফলন হয়েছে মোট ১ কোটি ৭৬ লাখ টন। আর বোরো ফলনের চূড়ান্ত হিসাব না পাওয়া গেলেও আগের বছরের অর্জন ধরলেও তা হয় ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। সেই হিসাবে মোট উৎপাদন হওয়ার কথা ৩ কোটি ৭২ লাখ টন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সেবা বিভাগের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশের চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার টন বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বাংলাদেশ আবারও তৃতীয় অবস্থানে ফিরে আসবে।

আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও মনে করে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে দেশে।

উৎপাদনের তথ্য যদি এটা হয়, তাহলে চালের মোট চাহিদা কত? এর সঠিক কোনো হিসাব না থাকলেও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেনের একটি গবেষণা বলছে, একজন মানুষ দৈনিক গড়ে ৪৫৭ গ্রাম চাল খায়। অর্থাৎ আধা কেজির কম। আর বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএওর পভারটি অ্যান্ড সোশ্যাল প্রোটেকশন পলিসির সাবেক উপদেষ্টা ড. মিজানুল হক কাজলের হিসাবে, যদি তা আধা কেজি হিসাবেও ধরা হয়, তবে ১৭ কোটি মানুষের বছরে চাল লাগার কথা ৩ কোটি ১৯ লাখ টনের মতো। অথচ চালের উৎপাদন হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ কোটি টন।

আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলেছে, দেশে বছরে চাল লাগার কথা ২ কোটি ৮০ লাখ টন। তাহলে চালের একটি বড় অংশ উদ্বৃত্ত থাকার কথা! কাস্টমসের সবশেষ তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল মাত্র ৭ হাজার ৯৬ মেট্রিক টন। ওই বছরে চালের উৎপাদন ছিল ৩ লাখ ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এর পরের বছরের চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ার পরও আমদানি বলতে গেলে হয়ইনি। দামও ছিল আরও সহনীয়। অথচ এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন বেশি, আমদানি অনেক বেশি, আবার দামও বেশি। তাই এবার জোরালো প্রশ্ন উঠেছে উৎপাদনের তথ্যের সত্যতা নিয়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট–ব্রি ২০৩০ সালের মধ্যে চালের উৎপাদন দ্বিগুণ করার কৌশলপত্র তৈরি করেছে। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বাড়িয়ে তা করার লক্ষ্য সংস্থাটির। কৌশলপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত সংস্থার মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর বলছেন, চালের কোনো সংকট নেই। তাঁর মতে, ঘরে ঘরে চাল মজুত আছে অন্তত ২৮ লাখ টন। তবে এ চাল থাকলেও তা দেখা যায় না! বাজারে বিশৃঙ্খলা আছে এ জন্য আমদানি করে বাজার সহনীয় করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে, কৃষি গবেষক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে, চালের একটা ঘাটতি আছে। না হলে আমদানি করতে হবে কেন? সুতরাং উদ্বৃত্ত চালের তথ্যে গরমিল আছে, এর একটা সুরাহা দরকার। 

বিষয়:

চাল
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার মারা গেছেন: আইএসপিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৩
এ কে খন্দকার। ফাইল ছবি
এ কে খন্দকার। ফাইল ছবি

মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম মারা গেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

এ কে খন্দকার আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে বার্তায় বলা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজায় জাতীয় পতাকা ছাড়া কোনো পতাকা না আনার অনুরোধ পরিবারের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা। ছবি: ফেসবুক
দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা। ছবি: ফেসবুক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এখন জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর নামাজে জানাজার প্রস্তুতি চলছে। সকাল থেকেই সেখানে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে।

হাদির পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জানাজার ময়দানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠনের পতাকা রাখা যাবে না। এ ছাড়া হাদির শোকাতুর পরিবার জানাজার সার্বিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে।

ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘জানাজার নামাজের স্থানে বাংলাদেশের পতাকা ব্যতীত অন্য কোন পতাকা থাকবে না। আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার।’

এদিকে আজ সকালে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে হাদির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পুনরায় জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

পারিবারিক ও ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে মরদেহের গোসল সম্পন্ন করার পর নামাজে জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তার খাতিরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। আগতদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

শহীদ ওসমান হাদির শেষ বিদায়ে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, সংসদ ভবনে জানাজার প্রস্তুতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

আজ সকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে হাদির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পুনরায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মরদেহের গোসল সম্পন্ন করার পর তাঁকে জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ এ বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

আগতদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

ওসমান হাদির শেষ বিদায়ে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় জনস্রোত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৬
হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশ নিতে এরই মধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় লোকজন জড়ো হতে শুরু করেছে।

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছে। এ সময় অনেককে স্লোগান দিতে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সেখানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ সময় সংসদ ভবন চত্বরের দুই গেট দিয়ে সাধারণ মানুষ সারবদ্ধভাবে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করে।

জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওসমান হাদির জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে বিবেচনা করে ট্রাফিক বিভাগ থেকেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওসমান হাদির জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বেলা আড়াইটার পরিবর্তে বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওসমান হাদির জানাজায় যাঁরা অংশ নিতে আসবেন, তাঁরা কোনো প্রকার ব‍্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন‍্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হবে। দাফনের জন্য স্থানটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানেও সকাল থেকে লোকজন জড়ো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত