Ajker Patrika

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা

  • শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের নামে অভিযোগ দাখিল।
  • উসকানিমূলক বক্তব্য, আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ, লাশ পুড়িয়ে দেওয়াসহ ৫ অভিযোগ।
  • শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।
  • তিন আসামিকেই আগামী ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন।
  • দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি আদালত থেকে সম্প্রচার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ২৩: ৫৮
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর ১৫ বছরের ব্যবধানে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হলো। তিনিসহ মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে নির্দেশদানসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক এই অভিযোগ করেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি করেন। গ্রেপ্তার থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তিনজনকে ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১২ মে এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।

ট্রাইব্যুনালে এটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় এটি দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয় ২৫ মে। রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেদিন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়।

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের এ কার্যক্রম টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। কোনো আদালতের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনা দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম। এই সম্প্রচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেওয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পর এজলাসে আসেন তিন বিচারক। কার্যক্রম চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। শুরুতেই কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি চান চিফ প্রসিকিউটর। অবশ্য বিষয়টি গত শনিবারই সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল প্রসিকিউশন থেকে। এরপর সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর। বক্তব্যের পরই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে করা নানা অপকর্ম; গত দেড় দশকে খুন, গুম, ধর্ষণ, নির্যাতন; শেখ পরিবারের জন্য নেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধা; শাপলা চত্বরে গণহত্যা; পিলখানা ট্র্যাজেডি; ২৮ অক্টোবর ট্র্যাজেডি; গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে।

এই মামলার বিচারের জন্য প্রত্যক্ষদর্শী ও জীবিত ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য, অপরাধ সংঘটনের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, আসামিদের মধ্যে ফোনালাপের অডিও ক্লিপস, ডিজিটাল এভিডেন্সের ফরেনসিক প্রতিবেদন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য-ছবি এবং ভিডিও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রস্তুত করা প্রতিবেদন, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অফিশিয়াল ডকুমেন্টস ইত্যাদি সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কী কী আছে পাঁচ অভিযোগে

১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাঁদের অধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায়, পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না দেওয়া এবং ষড়যন্ত্র করার অপরাধ—যা আসামিদের জ্ঞাতসারে হয়েছে।

২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কর্তৃক শেখ হাসিনার ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং অধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে কার্যকর করার মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ প্রদান, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, যা তাঁদের জ্ঞাতসারে কার্যকর করা হয়েছে।

৩ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে স্বল্প দূরত্ব থেকে সরাসরি নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র আবু সাঈদের বুক লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে একাধিক গুলি চালিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাঁদের অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।

৪ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগরের চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। উল্লিখিত আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাঁদের হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।

৫ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে এবং আশপাশে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে গুলি করে তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের মৃতদেহ এবং একজনকে জীবিত ও গুরুতর আহত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপরাধ, যা আসামিদের জ্ঞাতসারে হয়েছে। ওইরূপ হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র, অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।

চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের নারকীয় বীভৎসতা বাংলাদেশ ও বিশ্ববিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার উগ্র বাসনায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করে ব্যাপকভিত্তিক ও পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণের মাধ্যমে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ ও সহিংসতা বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত একটি বধ্যভূমিতে। এই বিচার শুরু করা হয়েছে জাতির ইতিহাসের সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়ে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে। যেখানে নিরস্ত্র-নিরীহ সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে তরুণ ছাত্র-যুবক, নারী ও শিশু—যারা একটি ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের জন্য বৈষম্য ও কোটাপদ্ধতি নামক কুপ্রথার অবসানের দাবিতে অহিংস-ন্যায়সংগত আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।

তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, অন্যান্য বাহিনী, সরকারি দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের অধীন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনে অংশগ্রহণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কূটনৈতিক মিশনে হামলা-ভাঙচুর: ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানাল ঢাকা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৬
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে এ নিয়ে অন্তত ছয়বার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশটির দূতকে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রণয় ভার্মাকে তলবের ঘটনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের বাইরে আয়োজিত সহিংস বিক্ষোভের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এ ধরনের পরিকল্পিত সহিংসতা বা কূটনৈতিক স্থাপনার প্রতি হুমকিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। এসব কর্মকাণ্ড কেবল কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তাই বিপন্ন করে না, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার মূল্যবোধকেও ক্ষুণ্ন করে।

বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনাগুলোর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক কর্মী ও স্থাপনার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার তার আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা (ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাশা করছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আগরতলা, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ এবং কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ ফের হাইকমিশনারকে তলব করে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিল বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম করে নির্যাতনের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন।

পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশ্যা করেন।

এই মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

গুম করে র‍্যাবের টিএফআই সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

একনেকে সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪২
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প ৫টি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প ৩টি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো—সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন প্রকল্প’; দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে ‘রিজিডপেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’ এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর ‘প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ১৫ তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন—Climate Resilient and Livelihood Enhancement Project (CRALEP)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনঃ নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER)’ প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলকনদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision)’ প্রকল্প।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (২য় পর্যায়) ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৫ ডিসেম্বর যাত্রীদের বিমানবন্দরের উদ্দেশে সময় নিয়ে রওনা দেওয়ার অনুরোধ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

আগামী ২৫ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের আশঙ্কার কথা জানিয়ে যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই দিন বিমানবন্দর এলাকা, বিমানবন্দর থেকে গুলশানগামী সড়কসমূহ এবং পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক)-তে ব্যাপক জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এসব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের সকল সম্মানিত যাত্রীদের ফ্লাইট মিস এড়াতে এবং নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যাত্রীদের ভ্রমণ যেন সুষ্ঠু, সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত হয়, সে জন্য ২৫ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত