Ajker Patrika

নতুন করদাতার তালিকা করতে ডিসিদের নির্দেশ

  • চিকিৎসক, আইনজীবী, গ্রামের ব্যবসায়ীদেরও আয়করের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত।
  • গ্রীষ্মে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে, না মানলে ব্যবস্থা।
  • ঈদের আগে এক কোটি পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
নতুন করদাতার তালিকা করতে ডিসিদের নির্দেশ

ভ্যাট-ট্যাক্সের হার সহনীয় পর্যায়ে রেখে সারা দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জেলা, উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে যাঁরা আয়করের আওতায় পড়েন, তাঁদের তালিকা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার এবং স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১১টি কার্য-অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসিরা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকে অনেক আয় করলেও কর দিচ্ছেন না। আমরা এখন কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চাই। এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ নেবে। তাদের একটি তালিকা ডিসিরা দেবেন।’ তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসক-আইনজীবীরা ফি নগদ নেন। এ কারণে তাঁদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকের ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে তার একটা রেকর্ড থাকে। চিকিৎসকের যে অ্যাটেনডেন্ট থাকেন, তিনি ফি কালেকশন করেন, তাঁদের রসিদ দিয়ে ফি নেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। আইনজীবী বা অন্যান্য পেশার জন্যও এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা বলেছেন গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে হবে না। সুতরাং, ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানো যাবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে তাঁদের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।

এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে ব্যবস্থা: গ্রীষ্মে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাসাবাড়ি, বিপণিবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এসি চালানো যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শীত মৌসুমে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্রীষ্মে চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়। এর মধ্যে সেচের জন্য লাগে ২ হাজার মেগাওয়াট। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে শুধু এসি চালাতে। অথচ এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তিনি বলেন, এ জন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে। যেসব লাইনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। কেপিআই বাদ দিয়ে সমানভাবে লোডশেডিং করা হবে। লোডশেডিং শুরু হলে তাঁর বাসা থেকে শুরু হবে।

উপদেষ্টা জানান, ২৫ ডিগ্রির নিচে এসি না চালানোর অনুরোধ না রাখলে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে এবং এরপর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।

দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা চাইলে পাবেন ডিসিরা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ডিসিরা যেসব সহযোগিতা চাইবেন, তা করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেখানে যে সহযোগিতা চাইবেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও আলাপ হচ্ছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটারে ভাড়া কার্যকরের চিঠি প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, যাত্রীদের বক্তব্য মিটারে যাচ্ছে না। চালকের বক্তব্য, জমার পরিমাণ বেশি বলে মিটারে যেতে পারবেন না। তারপর এখানে-ওখানে ঘুষ দিতে হয়। এখন নাকি একটি পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। নতুন সিএনজি অটোরিকশা দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য বিষয়টিকে আরেকটু গভীরভাবে পরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ত্রাণসামগ্রী কিনবেন ইউএনওরা: কেন্দ্রীয়ভাবে আর ত্রাণসামগ্রী না কিনে স্থানীয়ভাবে ইউএনওদের মাধ্যমে কেনা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, টিআর, কাবিখা, কাবিটার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো ডিসিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আগের যে কেন্দ্রীয় প্রথা ছিল, সেগুলোকে বদলানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের ধারণা দেওয়া হয়েছে। আগে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে বিতরণ করা হতো, এখন সেগুলো মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে বিতরণ করছে। স্থানীয়ভাবে ইউএনওরা সরাসরি ত্রাণসামগ্রী কিনবেন।

রোজার ঈদের আগে এক কোটি পরিবার চাল পাবে: রোজার ঈদের আগে এক কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র পরিবারকে উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি বলেন, রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্নভাবে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হবে। মার্চ-এপ্রিলের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল সাধারণ মানুষের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন।

১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ নামজারির কাজ শেষ হবে জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জমির মিউটিশনের কাজও ডিজিটাল করতে কাজ চলছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত যে কটি ভালো নির্বাচন এবং যে কটি সমালোচিত নির্বাচন হয়েছে, তা প্রশাসন করেছে। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই হয়। আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনকে ভালোভাবে ব্যবহার করা হবে।

অনেক বড় দুর্নীতির অভিযোগই হয় না: দুর্নীতির খবর লুকানোর ও ধামাচাপা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন ডিসি সম্মেলনে দুদকের কার্য-অধিবেশনের পর বলেন, ছোট ছোট দুর্নীতি হলে আগে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সমঝোতার মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়, অর্থাৎ বড় দুর্নীতি, সেটার অভিযোগই হয় না। সেটার সঙ্গে ঠিকাদার, দপ্তরপ্রধান কিংবা সাংবাদিক হোক, তাঁরা খবর দেন না। দুর্নীতির খবর বেশি আসুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়, না লুকানো হয়। ডিসিরা এটি নিয়ে কাজ করবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল—পেছনের দুর্নীতি দমনের চেয়ে সামনে যেন দুর্নীতি না হয়, তাঁরাও সেই বার্তা দিয়েছেন।

ভাতা পেতে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে

অনিয়ম রোধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা পেতে উপকারভোগীদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে বলে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এই তথ্য জানান।

সবাইকেই নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, নিবন্ধনটা ঠিক না হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজই ঠিক হবে না। নিবন্ধনটা নিপুণ হতে হবে।

শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘ডিসিদের একটি বিষয় জানিয়েছি, আমরা যে সোশ্যাল রেজিস্ট্রি করি অর্থাৎ উপকারীদের আমরা যে সেবাটা দিই, তার ৪৬ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ভুল ৪৬ জনের কাছে ভাতার টাকাটা যাচ্ছে। এটি শুধু বিশাল অঙ্কের অপচয় নয়, যার ভাতা পাওয়ার কথা, সেই মানুষটা কষ্টে থেকে যায়। আমাদের যে সংস্কার কমিশন আছে, তাদের দিক থেকেও এই কথাটা ব্যক্ত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।

আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।

আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।

আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।

আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্পিকার ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।

এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘খালেদা জিয়াকে এভাবে বিদায় দিতে হবে ভাবিনি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।

লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সংসদ-এলাকা

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’

বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’

জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৪
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।

তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত