আজকের পত্রিকা ডেস্ক

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্যই বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, ‘৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে এখন ৫৪ কেজি। যে কারণে নিজের কোন প্যান্ট পড়তে পারছেন না বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পড়ে থাকতে হচ্ছে। তাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজনীতির সঙ্গে ‘জড়িত নন’ দাবি করে রিয়াদ বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, উনি আর পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সঙ্গে কোনভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিয়াদ লেখেন, ‘সকলেই দোয়া করবেন যেন, তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আবদুল হামিদ। ৬ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
তাঁর দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার।
গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সদর মডেল থানার একটি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে।

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্যই বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, ‘৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে এখন ৫৪ কেজি। যে কারণে নিজের কোন প্যান্ট পড়তে পারছেন না বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পড়ে থাকতে হচ্ছে। তাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজনীতির সঙ্গে ‘জড়িত নন’ দাবি করে রিয়াদ বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, উনি আর পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সঙ্গে কোনভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিয়াদ লেখেন, ‘সকলেই দোয়া করবেন যেন, তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আবদুল হামিদ। ৬ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
তাঁর দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার।
গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সদর মডেল থানার একটি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্যই বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, ‘৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে এখন ৫৪ কেজি। যে কারণে নিজের কোন প্যান্ট পড়তে পারছেন না বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পড়ে থাকতে হচ্ছে। তাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজনীতির সঙ্গে ‘জড়িত নন’ দাবি করে রিয়াদ বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, উনি আর পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সঙ্গে কোনভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিয়াদ লেখেন, ‘সকলেই দোয়া করবেন যেন, তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আবদুল হামিদ। ৬ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
তাঁর দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার।
গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সদর মডেল থানার একটি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে।

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্যই বিদেশে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, ‘৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে এখন ৫৪ কেজি। যে কারণে নিজের কোন প্যান্ট পড়তে পারছেন না বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পড়ে থাকতে হচ্ছে। তাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজনীতির সঙ্গে ‘জড়িত নন’ দাবি করে রিয়াদ বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হবার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, উনি আর পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সঙ্গে কোনভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিয়াদ লেখেন, ‘সকলেই দোয়া করবেন যেন, তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মো. আবদুল হামিদ। ৬ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
তাঁর দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন উপদেষ্টাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে সরকার।
গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সদর মডেল থানার একটি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে।

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
১৫ মে ২০২৫
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
১৮ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের জমির লিজ বাবদ ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় হয়েছে। তবে বকেয়া রয়ে গেছে আরও ৭৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৭ টাকা। অন্যদিকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮০ টাকা এবং পৌরকর বাবদ রেলের বড় অঙ্কের দেনা রয়েছে।
রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ২১ একর। এর মধ্যে বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৪,৪১১ একর। রেল পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০ হাজার ২৮৬ একর, অবৈধ দখলে আছে ৬ হাজার ৭৫৪ এবং অব্যবহৃত রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৪ একর জমি।
বেহাত ও অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয়, সার্টিফিকেট মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা, নীলফামারী ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকদের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ লিজ ও লাইসেন্স ফি বকেয়া পড়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে, ভূসম্পত্তি বিভাগের তদারকি দুর্বল।
বর্তমানে রেলের ভূমি বিভাগে গড়ে মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি উন্নয়ন কর দাবির সময় জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর ও জমির শ্রেণি উল্লেখ না থাকায় কর নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মকর্তার অবস্থান ও নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
সভায় রেলের ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মাসে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন রেল মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। দখলমুক্ত করা জমি প্রকৌশল বিভাগের সহায়তায় দখলে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় রেলের ভূমির বকেয়া থাকা লিজ ও লাইসেন্স ফি দ্রুত আদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপযোগী হলেও যেসব জমি এখনো লিজ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত লিজ দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের গত ৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিজ ও লাইসেন্স ফি আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
রেলওয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে এবং কোনো অসংগতি ধরা পড়লে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২০ হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ জন্য অনেক সভা হয়েছে, যেখানে ইজারা বাড়ানো ও আয় বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংশোধিত নীতিমালা এখনো অনুমোদিত হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের জমি লিজের বকেয়া আদায় করতে না পারা রেলওয়ের দীর্ঘদিনের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থারই ফল। লিজের অর্থ নিয়মমতো আদায়ে নেই কার্যকর তদারকি। আবার বিপুল জমি বেদখলে। এসব কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, রেলের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। রেলের জমি ব্যবস্থাপনা এখনো পুরোনো কাগজনির্ভর ও বিশৃঙ্খল। জমির সঠিক নথি, হালনাগাদ তথ্য ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক ডিজিটাল ডেটাবেইস গড়া জরুরি। বেদখল জমি উদ্ধার ও স্বচ্ছ লিজ ব্যবস্থাপনা চালু করতে পারলে রেলওয়ে রাজস্ব দিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধভাবে লিজ দেওয়া জমির টাকা তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। লিজের বকেয়া কিছু উঠেছে, কিছু ওঠেনি। আইনি ব্যবস্থা হিসেবে বকেয়া শোধ না করলে একপর্যায়ে উচ্ছেদ করা হয়। আর ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া রেল মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের জমির লিজ বাবদ ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় হয়েছে। তবে বকেয়া রয়ে গেছে আরও ৭৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৭ টাকা। অন্যদিকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮০ টাকা এবং পৌরকর বাবদ রেলের বড় অঙ্কের দেনা রয়েছে।
রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ২১ একর। এর মধ্যে বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৪,৪১১ একর। রেল পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০ হাজার ২৮৬ একর, অবৈধ দখলে আছে ৬ হাজার ৭৫৪ এবং অব্যবহৃত রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৪ একর জমি।
বেহাত ও অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয়, সার্টিফিকেট মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা, নীলফামারী ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকদের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ লিজ ও লাইসেন্স ফি বকেয়া পড়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে, ভূসম্পত্তি বিভাগের তদারকি দুর্বল।
বর্তমানে রেলের ভূমি বিভাগে গড়ে মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি উন্নয়ন কর দাবির সময় জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর ও জমির শ্রেণি উল্লেখ না থাকায় কর নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মকর্তার অবস্থান ও নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
সভায় রেলের ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মাসে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন রেল মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। দখলমুক্ত করা জমি প্রকৌশল বিভাগের সহায়তায় দখলে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় রেলের ভূমির বকেয়া থাকা লিজ ও লাইসেন্স ফি দ্রুত আদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপযোগী হলেও যেসব জমি এখনো লিজ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত লিজ দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের গত ৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিজ ও লাইসেন্স ফি আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
রেলওয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে এবং কোনো অসংগতি ধরা পড়লে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২০ হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ জন্য অনেক সভা হয়েছে, যেখানে ইজারা বাড়ানো ও আয় বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংশোধিত নীতিমালা এখনো অনুমোদিত হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের জমি লিজের বকেয়া আদায় করতে না পারা রেলওয়ের দীর্ঘদিনের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থারই ফল। লিজের অর্থ নিয়মমতো আদায়ে নেই কার্যকর তদারকি। আবার বিপুল জমি বেদখলে। এসব কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, রেলের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। রেলের জমি ব্যবস্থাপনা এখনো পুরোনো কাগজনির্ভর ও বিশৃঙ্খল। জমির সঠিক নথি, হালনাগাদ তথ্য ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক ডিজিটাল ডেটাবেইস গড়া জরুরি। বেদখল জমি উদ্ধার ও স্বচ্ছ লিজ ব্যবস্থাপনা চালু করতে পারলে রেলওয়ে রাজস্ব দিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধভাবে লিজ দেওয়া জমির টাকা তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। লিজের বকেয়া কিছু উঠেছে, কিছু ওঠেনি। আইনি ব্যবস্থা হিসেবে বকেয়া শোধ না করলে একপর্যায়ে উচ্ছেদ করা হয়। আর ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া রেল মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
১৫ মে ২০২৫
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
১৮ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে গিয়ে মাঠ প্রশাসনের কাজে অভিজ্ঞতা না থাকা কর্মকর্তাদেরও ডিসি নিয়োগ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেককে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে না রাখা কিংবা রাখলেও নিয়োগ না দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পর কয়েকজনের নিয়োগ বাতিল, কয়েক জেলায় একাধিকবার বদল এবং প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কয়েকজনকে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ায় এই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা নিজেদের বেশি বঞ্চিত মনে করছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৮ নভেম্বর ১৫ জেলায়, ৯ নভেম্বর ১৪ জেলায় এবং সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর পৃথক প্রজ্ঞাপনে ২৩ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ করে। এর মধ্যে ৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত দুজনের নিয়োগ ১৩ নভেম্বর বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ জন্য নির্বাচনের আগে এই পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র বলেছে, এবারের ডিসি নিয়োগে বিসিএসের ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯তম ব্যাচ এবং প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ডিসিদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাঁদের ১৭ জন ২৫তম ব্যাচের, ২৬ জন ২৭তম ব্যাচের, ৬ জন ২৮তম ব্যাচের, ৯ জন ২৯তম ব্যাচের এবং ৬ জন প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা। এঁদের অনেকের মাঠ প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা নেই, বলেছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। ২৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ হয় এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ২৮তম ব্যাচের পরীক্ষা এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ২৯তম ব্যাচের পরীক্ষা ও নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
সূত্র আরও জানায়, ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকায় এই ব্যাচের অনেকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে জায়গা পাননি। আবার কেউ কেউ ফিট লিস্টে থাকলেও ডিসি পদে নিয়োগ পাননি। এই ব্যাচের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউএনওর পদে থাকায় ২০১৮ সালে পদাধিকারবলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। এটি তো দোষের নয়। তাঁরা ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম করেছেন কি না, সরকার চাইলেই তদন্ত করে তা বের করতে পারে। তা না করে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত তিন সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে রাখা হয়নি। এঁদের একজন বলেন, ডিসি পদে নিয়োগের অন্যতম শর্ত হিসেবে মাঠে কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলা থাকলেও তা তাঁদের জন্য কাল হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে এসে গত ৮ আগস্ট ওই কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া থেকে ‘যথাসম্ভব’ বিরত থাকতে হবে।
সূত্র জানায়, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে ডিসি নিয়োগের বাধ্যবাধকতা থাকায় কয়েকটি জেলা থেকে ডিসি প্রত্যাহার করার কয়েক দিন পরও নতুন ডিসি দিতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই জটিলতা এড়াতে গত ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করে সরকার। ফলে ডিসি নিয়োগের পুরো কর্তৃত্ব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
ডিসিসহ কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির কার্যক্রম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের মাধ্যমে করা হয়। এই অনুবিভাগের প্রধানের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হককে ৯ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করার পর থেকে এডিপি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের পদটি ফাঁকা রয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জুলাই থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪ জন কর্মকর্তাকে ৬৪ জেলায় ডিসি পদে পদায়ন করা হয়। আপত্তি ওঠায় কয়েকজনের নিয়োগও বাতিল করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হলেও ১৫ অক্টোবর সেই নিয়োগ বাতিল করে ফেনীর ডিসি সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইমলাম মিঞাকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে এই নিয়োগ বাতিল করে চট্টগ্রামের ডিসি পদে সাইফুল ইসলামের নিয়োগ বহাল রাখা হয়েছে।
৮ নভেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার ডিসি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৩ নভেম্বর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে ওই দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকার ডিসি পদে বদলি করা হলেও পরে বাতিল করা হয়। ১৩ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেজাউল করিমকে ঢাকার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র বলেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্ট তৈরি করে। এরপর এপিডি অনুবিভাগ ডিসি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ডিসি নিয়োগ হয়। তবে কর্মকর্তা বাছাইয়ের মূল কাজটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এপিডি উইং দুর্বল হয়ে পড়ায় এখন ডিসি নিয়োগের প্রস্তাবেই ঝামেলা থাকছে। এ ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী ডিসি নিয়োগ দিতে গিয়েও মন্ত্রণালয় জটিলতায় পড়েছে। ডিসির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে উপদেষ্টার চারজন একান্ত সচিব এবং একজন বিশেষ সহকারীর একজন একান্ত সচিব রয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিন নির্বাচনে ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ না দেওয়া হলেও এখন ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে থাকা কর্মকর্তাদেরও কেউ কেউ অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে উপর মহলে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও রয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সবাইকে আগামী নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে ঢালাও বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে বাদ রাখা যায়। মাঠে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিলে তাঁরা নির্বাচন করতে সমস্যায় পড়বেন। কারণ, নির্বাচন জটিল বিষয় এবং নানা ধরনের খেলা হয়। প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা চাইলে ভোটে প্রভাব রাখতে পারেন। তাঁদের সবাইকে কি আগামী ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে গিয়ে মাঠ প্রশাসনের কাজে অভিজ্ঞতা না থাকা কর্মকর্তাদেরও ডিসি নিয়োগ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেককে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে না রাখা কিংবা রাখলেও নিয়োগ না দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পর কয়েকজনের নিয়োগ বাতিল, কয়েক জেলায় একাধিকবার বদল এবং প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কয়েকজনকে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ায় এই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা নিজেদের বেশি বঞ্চিত মনে করছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৮ নভেম্বর ১৫ জেলায়, ৯ নভেম্বর ১৪ জেলায় এবং সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর পৃথক প্রজ্ঞাপনে ২৩ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ করে। এর মধ্যে ৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত দুজনের নিয়োগ ১৩ নভেম্বর বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ জন্য নির্বাচনের আগে এই পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র বলেছে, এবারের ডিসি নিয়োগে বিসিএসের ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯তম ব্যাচ এবং প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ডিসিদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাঁদের ১৭ জন ২৫তম ব্যাচের, ২৬ জন ২৭তম ব্যাচের, ৬ জন ২৮তম ব্যাচের, ৯ জন ২৯তম ব্যাচের এবং ৬ জন প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা। এঁদের অনেকের মাঠ প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা নেই, বলেছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। ২৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ হয় এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ২৮তম ব্যাচের পরীক্ষা এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ২৯তম ব্যাচের পরীক্ষা ও নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
সূত্র আরও জানায়, ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকায় এই ব্যাচের অনেকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে জায়গা পাননি। আবার কেউ কেউ ফিট লিস্টে থাকলেও ডিসি পদে নিয়োগ পাননি। এই ব্যাচের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউএনওর পদে থাকায় ২০১৮ সালে পদাধিকারবলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। এটি তো দোষের নয়। তাঁরা ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম করেছেন কি না, সরকার চাইলেই তদন্ত করে তা বের করতে পারে। তা না করে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত তিন সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে রাখা হয়নি। এঁদের একজন বলেন, ডিসি পদে নিয়োগের অন্যতম শর্ত হিসেবে মাঠে কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলা থাকলেও তা তাঁদের জন্য কাল হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে এসে গত ৮ আগস্ট ওই কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া থেকে ‘যথাসম্ভব’ বিরত থাকতে হবে।
সূত্র জানায়, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে ডিসি নিয়োগের বাধ্যবাধকতা থাকায় কয়েকটি জেলা থেকে ডিসি প্রত্যাহার করার কয়েক দিন পরও নতুন ডিসি দিতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই জটিলতা এড়াতে গত ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করে সরকার। ফলে ডিসি নিয়োগের পুরো কর্তৃত্ব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
ডিসিসহ কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির কার্যক্রম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের মাধ্যমে করা হয়। এই অনুবিভাগের প্রধানের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হককে ৯ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করার পর থেকে এডিপি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের পদটি ফাঁকা রয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জুলাই থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪ জন কর্মকর্তাকে ৬৪ জেলায় ডিসি পদে পদায়ন করা হয়। আপত্তি ওঠায় কয়েকজনের নিয়োগও বাতিল করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হলেও ১৫ অক্টোবর সেই নিয়োগ বাতিল করে ফেনীর ডিসি সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইমলাম মিঞাকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে এই নিয়োগ বাতিল করে চট্টগ্রামের ডিসি পদে সাইফুল ইসলামের নিয়োগ বহাল রাখা হয়েছে।
৮ নভেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার ডিসি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৩ নভেম্বর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে ওই দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকার ডিসি পদে বদলি করা হলেও পরে বাতিল করা হয়। ১৩ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেজাউল করিমকে ঢাকার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র বলেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্ট তৈরি করে। এরপর এপিডি অনুবিভাগ ডিসি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ডিসি নিয়োগ হয়। তবে কর্মকর্তা বাছাইয়ের মূল কাজটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এপিডি উইং দুর্বল হয়ে পড়ায় এখন ডিসি নিয়োগের প্রস্তাবেই ঝামেলা থাকছে। এ ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী ডিসি নিয়োগ দিতে গিয়েও মন্ত্রণালয় জটিলতায় পড়েছে। ডিসির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে উপদেষ্টার চারজন একান্ত সচিব এবং একজন বিশেষ সহকারীর একজন একান্ত সচিব রয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিন নির্বাচনে ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ না দেওয়া হলেও এখন ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে থাকা কর্মকর্তাদেরও কেউ কেউ অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে উপর মহলে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও রয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সবাইকে আগামী নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে ঢালাও বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে বাদ রাখা যায়। মাঠে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিলে তাঁরা নির্বাচন করতে সমস্যায় পড়বেন। কারণ, নির্বাচন জটিল বিষয় এবং নানা ধরনের খেলা হয়। প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা চাইলে ভোটে প্রভাব রাখতে পারেন। তাঁদের সবাইকে কি আগামী ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে?

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
১৫ মে ২০২৫
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।

৬ মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তাঁর বিদেশগমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
১৫ মে ২০২৫
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে