আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১২ ঘণ্টা আগে