Ajker Patrika

লোভাছড়া: পাহাড়, নদী, চা-বাগানের মায়াবী রাজ্য

ইশতিয়াক হাসান
লোভাছড়া: পাহাড়, নদী, চা-বাগানের মায়াবী রাজ্য

লোভাছড়ায় যাওয়ার ইচ্ছাটা মনে পুষে রেখেছিলাম অন্তত এক যুগ। তখন এনায়েত মাওলার বই পড়ে জেনেছিলাম পাহাড়-অরণ্য, বন্যপ্রাণী, চা-বাগান আর আশ্চর্য সুন্দর এক পাহাড়ি নদীর এই মায়াবী রাজ্যের কথা। তবে যাওয়ার সুযোগ মিলল গত বছর, অর্থাৎ ২০২২-এর মে মাসে। 

প্রথমে কানাইঘাট
সিলেটে পৌঁছেছিলাম রাত আড়াইটায়। বাস যে এভাবে গোটা পথটা উড়িয়ে আনবে, তা কে জানত! বিপদ আর কাকে বলে। সঙ্গে স্ত্রী পুনম আর মেয়ে ওয়াফিকা আছে। এই রাতে কোথায় যাই? অতএব, রাতের বাকি সময়টা কোনোমতে কাটালাম বাস কাউন্টারের পাশের এক হোটেলে। 
সকাল ৮টায় কানাইঘাটের বাস ধরলাম কদমতলী বাজার থেকে। লোভাছড়া পড়েছে এই উপজেলায়। ঈদের পরপর হওয়ায় শহরে মানুষ কম। সকাল হওয়ায় আরও সুনসান। তাই কোনো রেস্তোরাঁ খোলা পাইনি। খালি পেটেই স্ত্রী-কন্যা নিয়ে উঠতে হয়েছে। 
মোটামুটি সোয়া ঘণ্টার পথ কানাইঘাট বাজার। বাজারে পৌঁছার আগেই একটা দৃশ্য দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠল। হাতের বাঁয়ে বিশাল পাহাড় আমাদের সঙ্গী হয়েছে। বহু দূরে ওই পাহাড়, তার পরও মনে হচ্ছিল যেন হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়। 

আমরা ধরলাম জলের পথ
লোভাছড়া যাওয়া যায় দুইভাবে—একটি হলো নদী ধরে, অপরটি সড়কপথে। তবে লোভাছড়ায় যাওয়ার রাস্তাটার অবস্থা মোটেই সুবিধের নয়, জানা ছিল আগেই। তাই বাজারে হালকা-পাতলা নাশতা সেরে সুরমা নদীর ঘাটে চলে এলাম। আমাদের লোভাছড়া ঘুরিয়ে আনার জন্য বারো শ টাকায় একটা নৌকা ভাড়া করলাম। 

লোভাছড়ায় নৌকা নিয়ে এক জেলেজাল দিয়ে বাঘ ধরা
সুরমার জল কেটে এগোচ্ছে আমাদের নৌকা। দূরে পাওয়া যাচ্ছে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের আভাস। এর মধ্যে আলাপ জমালাম মাঝির সঙ্গে। বিষয়বস্তু প্রিয় বন্যপ্রাণী। কানাইঘাটের নাম শুনলেই আমার মাথায় প্রথম যে বিষয়টা এল—সীমান্ত পেরিয়ে আসা চিতা বাঘ আর জাল দিয়ে তাদের ধরার গল্প। মাঝি জানাল, বিশেষ করে শীতের সময় ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসে চিতা বাঘ। একবার এপারে এলে অবশ্য রেহাই নেই। নদীতে মাছ ধরার কারণে এখানকার প্রতি বাড়িতেই থাকে নিদেনপক্ষে একটি-দুটি জাল। চিতা বাঘটাকে চারপাশ থেকে ঘিরে জাল দিয়ে ধরে ফেলতে কোনো সমস্যা হয়নি। একবার জালে আটকালে হয় মারা পড়ে, না হয় স্থান হয় চিড়িয়াখানায়। অবশ্য গত কয়েক বছর চিতা বাঘ আসার খবর মেলেনি। পাহাড় ডিঙিয়ে আসা চিতাদের কথা ভেবে বুকটা কেমন হু হু করে উঠল।

তিন নদী এক হলো যেখানে
আমাদের নৌকা ইঞ্জিনের শক্তিতে চলছে দ্রুত। মাঝে মাঝে ওদিক থেকে নৌকা আসছে, এগুলো অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দায় বোঝাই। রোদের কারণে কেউ কেউ মাথায় ছাতা দিয়ে রেখেছে। ছোট ছোট নৌকাও আছে। এগুলোতে একজন বা দুজন মানুষ। জেলেদের নৌকা। নদীতে মাছ আছে বেশ। জেলেদের নৌকা আর বিভিন্ন জায়গায় ফেলা জাল দেখে বুঝতে অসুবিধা হলো না। দূরের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় যতই কাছে আসছে, আমার আগ্রহ জলের জীবন থেকে সেদিকে বেশি কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। 
এক জায়গায় এসে হঠাৎ অনেক চওড়া হয়ে গেল নদী। অবশ্য একটু খেয়াল করতেই বুঝলাম এখানে তিন নদী এসে মিশেছে। আমরা এসেছি সুরমা ধরে। আর মাঝির সঙ্গে কথা বলে জানলাম, বাকি দুটি হলো বরাক আর লোভাছড়া। 

ছড়ার পাড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে মহিষআশ্চর্য সুন্দর নদী লোভাছড়া
আমাদের নৌকা এখন চলেছে লোভাছড়া ধরে। নাম লোভাছড়া হলেও এটি আদপে একটি নদী। নদীর জল আশ্চর্য স্বচ্ছ। তলার পাথর দেখা যায়। খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় এখন অনেক কাছে। সীমান্তের ওই পারের পাহাড়েই জন্ম এই নদীর। তবে নদী ধরে আরও এগোনোর আগেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হলো আমাদের। 
লোভাছড়ায় নদীর পাশাপাশি আমাদের প্রধান দুই গন্তব্য এখানে ব্রিটিশ আমলে বানানো ঝুলন্ত সেতু আর লোভাছড়ার চা-বাগান। মাঝি জানাল, চা-বাগানের ভেতর দিয়ে ওই ঝুলন্ত সেতুতে যেতে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। তার চেয়ে সে বাঁয়ের ছড়াটা ধরে ওই সেতুর কাছে পৌঁছাতে পারে। বাঁয়ে তাকিয়ে দেখলাম ছোট্ট এক ছড়া ঢুকে গেছে ভেতরে। ছড়ায় নৌকাভ্রমণের লোভে রাজি হয়ে গেলাম প্রস্তাবে। 

এনায়েত মাওলার ট্রেইল ধরে
মনে আছে, লেখার শুরুতে বলেছিলাম এনায়েত মাওলার বই পড়ে এক যুগ আগেই জেনেছিলাম লোভাছড়ার কথা? মাঝি ছোট্ট, সরু ছড়ায় নৌকাটা ঢোকাতে থাকুক, এই ফাঁকে এনায়েত মাওলার বিষয়টা খোলাসা করা যাক। বাংলাদেশের সিলেট আর পার্বত্য অঞ্চলের পুরোনো দিনের জঙ্গল আর বন্যপ্রাণীর খোঁজ-খবর পেতে হলে পড়তে হবে এনায়েত মাওলার লেখা ‘যখন শিকরি ছিলাম’ বইটি। এতেই জানতে পারি নুনাছড়া আর লোভাছড়া চা-বাগান, স্কটিশ চা-বাগানের মালিক ফারগুসন সাহেব আর অদ্ভুত সুন্দর এক নদী লোভাছড়ার কথা। এক বন্ধুসহ এখানে এসেছিলেন এনায়েত মাওলা, ৭০ বছর আগে, সেই ১৯৫১-৫২ সালের দিকে। তখন এদিককার জঙ্গল চষে বেড়িয়েছিলেন। সীমান্তের এপাড়-ওপার বাদ রাখেননি কিছুই। বন্ধু শিকার করেছিলেন বিশাল এক সম্বার হরিণ। আর এনায়েত মাওলা, আস্ত এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। 

ছড়ার পরেই সবুজ পাহাড়ছড়া ধরে চলা
গত কয়েক দিন বৃষ্টি হয়নি। তাই ছড়ায় পানি একটু কম। তারপর আবার একটু পর পর কড়া মোচর নিয়েছে ছড়াটি। তাই নৌযাত্রাটি হলো রীতিমতো রোমাঞ্চকর। হঠাৎ হঠাৎ ছড়ার মাঝ বরাবর নৌকা দাঁড় করিয়ে রাখা। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। সামনে, ডানে সবুজ ছোট টিলা আর পাহাড়ের রাজ্য। একটু পরে আরেক বাধা ছড়াপথে। কিনারে কাদাময় পানিতে মহানন্দে খেলা করছে একদল মহিষ। আমাদের দেখে নাক ফুলাল। তবে আক্রমণের কোনো অভিসন্ধি চোখে পড়ল না। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগোলাম আমরা। সামনে একের পর এক পাহাড় দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেখলাম ছড়ার পাড়ে কাদায় শরীরের রং বদলে দিয়ে মহিষের আরও বড় একটা দল চড়ে বেড়াচ্ছে। 

ব্রিটিশ আমলের এক ঝুলন্ত সেতু
একটু পর ছড়ার পানি এত কমে গেল, এগোনো মুশকিল। মাঝি বলল, নৌকা থেকে নেমে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই আমরা ঝুলন্ত সেতুতে পৌঁছে যাব। অতএব, তাকে আর নৌকা রেখে আমরা হাঁটা ধরলাম। পাহাড়-জঙ্গলে গেলে ওয়াফিকার তিন ভয় কেঁচো, জোঁক আর সাপ। এখানে ওর মনে পড়ল জোঁকের কথা। ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে যাওয়ার সময় তাই চেহারা ফ্যাকাশে তার। শেষ পর্যন্ত মিনিট দশেক হাঁটতেই পৌঁছে গেলাম চা-বাগানের রাজ্যে। মাঝখানে সেই ঝুলন্ত সেতু। 

লোভাছড়া যাত্রায় আমাদের মাঝিচারপাশে চা-বাগানের মাঝে একমাত্র কৃত্রিম এক কাঠামো এই ঝুলন্ত সেতু। তবে কীভাবে যেন বাগান আর প্রকৃতির অংশ হয়ে গেছে সেতুটি। যদ্দুর জানা যায়, ইংরেজ আমলে ১৯২৫ সালে এই সেতু বানানো হয় লোভাছড়ায় যাতায়াতের জন্য। অর্থাৎ, এটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। এখন সেতুটিতে মরচে পড়ে গেছে, এখানে-সেখানে ভাঙা। আমরা এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। সেতুতে উঠে দেখলাম চারপাশের পাহাড় আর চা-বাগান রাজ্যের আশ্চর্য সুন্দর দৃশ্য। 

লোভাছড়া নদী আর চা-বাগান
এদিক দিয়ে বাংলোয় গেলে বেশ সময় লাগব। পথও চেনা নেই। আমাদের মাঝিও অপেক্ষায় আছে। তাই আমরা সেতু দর্শন শেষে ফিরে গেলাম নৌকায়। স্রোতের অনুকূলে থাকায় এবার আর ঝামেলা হলো না। দ্রুতই পৌঁছে গেলাম লোভাছড়া নদীতে। তারপর একেবারে চা-বাগানের ঘাটে। এখানে নদী আরও সুন্দর। স্বচ্ছ জলে পাথরের সংখ্যা আরও বেশি। মনে হচ্ছে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়কে হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারব। লোভাছড়া নদী এঁকেবেঁকে পাহাড়রাজ্যের ভেতর দিয়ে হারিয়ে গেছে সীমান্তের ওপারে। 
আরও কিছু পর্যটক এসেছেন নৌকায় চেপে। আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন। আমরাও নেমে পড়লাম নৌকা থেকে। একটু হাঁটতেই চলে এলাম চা-বাগানের রাজ্যে। এনায়েত মাওলার লোভাছড়া চা-বাগান। দুই পাশে চা-বাগান, একটু দূরে লোভাছড়া নদী, আরও দূরে পাহাড়রাজ্য—সব মিলিয়ে আমি যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম। 

ব্রিটিশ আমলের সেই ঝুলন্ত সেতুচা-বাগানের বাংলো আর ফারগুসন সাহেব
এখন চা-বাগানের দেখাশোনা করছেন ফারগুসন সাহেবের আত্মীয়রাই। ওই পরিবারের সদস্য ইউসফু ভাই আমার এক সহকর্মীর স্বামীর বন্ধু। অতএব, চা-বাগানে ঢোকার অনুমতি পেতে বেগ পেতে হলো না। গেট পেরিয়ে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে কিছুটা এগোতেই একটা টিলা। চড়াই বেয়ে উঠতে একটা বড় সমতল জায়গা। আর সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে ওটা। এর কথাও শুনেছিলাম। লোভাছড়া চা-বাগানের বাংলোগুলোর একটি। তবে এর ভিন্নতা চেহারা আর নির্মাণ উপকরণে। বেশ অনেকটুকু জায়গা নিয়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলোটার মূল আকর্ষণ এর বিশাল শণের ছাউনিটা। শণের চালার এমন বিশাল বাংলো দেশে আর কোথাও আছে কি না, আমার জানা নেই। 

ওই দেখা যায় লোভাছড়া, তারপর পাহাড়অনেক গল্প
বাংলোয় ঢুকে গল্প হলো ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে। জানালেন, জেমস আর্থার ফারগুসন সাহেব ছিলেন তাঁর নানির বাবা। ফারগুসন সাহেব এদেশীয় নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন। বাগানটা অনেক দিন বন্ধ ছিল। পরে আবার চালু হয়। এখন উৎপাদনও শুরু করেছেন তাঁরা। ঘুরিয়ে দেখালেন বাংলোটা। জানালেন, তাঁর নানি জুন ফারগুসন ছিলেন এই চা-বাগানের ম্যানেজার। জানলাম মেলা মায়া হরিণ, বুনো শূকর আর বনমোরগ আছে তাঁদের চা-বাগানের এলাকায়। মাঝে মাঝে দেখা মেলে শজারু আর বনরুইয়ের। এগুলোর জন্য রীতিমতো সংরক্ষিত এলাকা এই চা-বাগান। এখানে কেউ বন্যপ্রাণী শিকার করে না। বছর দশ-বারো আগে একটা কালো চিতা ধরা পড়ার গল্পও বললেন। অবশ্য ওটাকে বাঁচানো যায়নি। তখনই মনে পড়ল কাছাকাছি সময়ে এই এলাকায় কালো সোনালি বিড়াল ধরা পড়ার কথা শুনেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মুনতাসীর আকাশ ভাইয়ের কাছ থেকে। হতে পারে ইউসুফ ভাই যে কালো চিতার কথা বলেছেন, সেটা সোনালি বিড়ালের কালো রূপভেদ। সাধারণের চোখে এই দুটোকে আলাদা করা কঠিন। তারপর তাঁদের বিশাল ঘোড়াগুলো দেখালেন। ঢাকার অস্থিচর্মসার ঘোড়া দেখে অভ্যস্ত ওয়াফিকা চকচকে চামড়ার বিশাল ঘোড়াগুলো দেখে তো মহাখুশি। 

ছনের ছাদের সেই বাংলোর সামনে চড়ছে ঘোড়াঅভিমানী চিতা বাঘ
লোভাছড়ার জল কেটে ফিরছে আমাদের নৌকা। তবে আশ্চর্য সুন্দর নদী কিংবা সবুজ পাহাড়—কোনোটিতেই মনোযোগ নেই আমার। মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপের শেষ কথাগুলো। একসময় নাকি বাংলোর হাতা থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যেত চিতা বাঘেরা। আর এদিকের পাহাড়ে এলেই চিতারা জানান দিত তাদের করাতচেরা ডাকে। তবে বছর চার-পাঁচ হলো বাংলোর চৌহদ্দিতে দেখা মেলে না হলুদে কালো ফোঁটার আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীদের। সীমান্তের ওপাশে দেওয়া কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে আর চিতা বাঘেরা এই রাজ্যে আসতে পারে না? নাকি খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় পেরিয়ে সগোত্রীয়দের এদিকে এসে আর ফিরে না যেতে দেখেই অভিমানে লোভাছড়ার বন-পাহাড়ে বেড়াতে আসা বাদ দিয়েছে প্রিয় চিতা বাঘেরা? মনটা বিষাদে ছেয়ে গেল। 

আশ্চর্য সুন্দর পাহাড়রাজ্যকীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল আর আকাশপথ—তিনভাবেই যেতে পারবেন সিলেটে। তারপর শহরের কদমতলী থেকে বাসে চেপে কানাইঘাটে চলে যাবেন। সিলেট শহরের ধোপাদীঘির পাড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপেও যেতে পারবেন কানাইঘাটে। সেখান থেকে লোভাছড়ায় আসা-যাওয়ার ভাড়া বারো শ থেকে দেড় হাজার টাকা। লোভাছড়া বা কানাইঘাটে থাকার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় থাকতে হবে সিলেটের কোনো হোটেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেষকৃত্যের পরিকল্পনা নিজেরাই করছেন মার্কিন প্রবীণেরা

ফিচার ডেস্ক
প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।

‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’

ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।

ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’

প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা

আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।

ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’

বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ

যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।

শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও

অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’

পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা

আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল ঠিক রাখতে জেনে নিন এই পদ্ধতিগুলো

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ভুলভাবে ব্যবহারের কারণে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিলে হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
ভুলভাবে ব্যবহারের কারণে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিলে হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।

অতিরিক্ত তাপে গরম করা

স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।

সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।

গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা

রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।

সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া

স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।

সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।

ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া

অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।

সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।

ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো

ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।

রোদে শুকাতে দেওয়া

অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।

সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।

দাগ পড়লে করণীয়

বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।

সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।

সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেনাকাটার জন্য যে দেশে নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। ছবি: মার্শাল আইল্যান্ডস জার্নাল
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। ছবি: মার্শাল আইল্যান্ডস জার্নাল

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।

গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্‌যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’

ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। ছবি: উইকিপিডিয়া
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। ছবি: উইকিপিডিয়া

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।

প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ

অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।

ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ

যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।

ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৮
আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

মেষ

আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।

বৃষ

আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।

মিথুন

মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!

কর্কট

আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।

সিংহ

আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।

কন্যা

আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।

তুলা

আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।

বৃশ্চিক

আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।

ধনু

আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।

মকর

আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।

কুম্ভ

আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।

মীন

আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত