Ajker Patrika

৪০ বছর ধরে নিজের নামে পোস্টকার্ড পাঠান এই পর্যটক নারী

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৬: ১৯
৪০ বছর ধরে নিজের নামে পোস্টকার্ড পাঠান এই পর্যটক নারী

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এঁদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।

ডেবরা ডোলানের বয়স যখন ২১, তখন প্রথম একাকী কোথাও ভ্রমণ করেন। আর সেবারই প্রথম নিজেকে একটা পোস্টকার্ড পাঠান সালটা ছিল ১৯৭৯, আর মধ্য কানাডায় থাকা ডেবরা প্রথমবারের মতো কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

‘সেবারই প্রথমবারের মতো এমন পাহাড় আর সাগর দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন ডেবরা। ভ্যাঙ্কুবারের অসাধারণ সব দৃশ্য ও কাছের আকাশছোঁয়া সব পর্বত দেখে যে উল্লাস অনুভব করেছেন, সেটাকে বন্দী করার ইচ্ছা হলো ডেবরার। যদিও দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস তাঁর, তার পরও ভ্রমণের উত্তেজনা আর আশপাশের সবকিছু ঘুরে দেখতে গিয়ে সময় বের করা মুশকিল হয়ে গেল। এদিকে সঙ্গে ক্যামেরাও আনেননি। ‘কাজেই যখনই হুইস্টলার, ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপ কিংবা ভ্যাঙ্কুবারের অন্য জায়গায় গেলাম, ঠিক করলাম, কেবল একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেব নিজের ঠিকানায়।’ 

ফিনল্যান্ডে ডোলানের এই ছবি যখন তোলা হয় তখন তাঁর বয়স বাইশ-তেইশের বেশি নয়সত্যি সত্যি তা-ই করলেন তিনি। প্রতিটি কার্ডের পেছনে ডোলান এক-দুই অনুচ্ছেদে নিজের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা লিখে দিলেন সংক্ষেপে। তারপর কেবল একটি হার্ট চিহ্ন দিয়ে সাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন নিজের ঠিকানায়। 

দিন দশেক বাদে বাড়িতে ফিরে একগাদা পোস্টকার্ড হাতে পেলেন, যার সবগুলো নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ‘এমন এক আনন্দ পেয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ কর্ডগুলো হাতে পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই বর্ণনা করেন ডোলান। 

ডেবরা ডোলান বুঝতে পারলেন কোনো একটি জায়গা বা মুহূর্তের টাইম ক্যাপসুল হিসেবে কাজ করে পোস্টকার্ড। অর্থাৎ ওই সময়টাকে এর মাধ্যমে বন্দী করে ফেলতে পারছেন তিনি। 

বলা চলে, ভ্যাঙ্কুবারের এই ভ্রমণ ডোলানের ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলল। বাচ্চা থাকার সময় এবং বালিকা বা কিশোরী বয়সে পরিবারের সঙ্গে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা পর্যন্তই ছিল তাঁর ভ্রমণের দৌড়। 

 ‘কিন্তু ভ্যাঙ্কুবারে আসার পর বুঝতে পারলাম ভ্রমণ করা সত্যি সহজ। তেমনি একাকী ভ্রমণ করাটাও মোটেই কঠিন নয়। এতে কোনোও অস্বস্তি লাগে না আমার।’ বলেন ডোলান। 

এখন পর্যন্ত যতগুলো পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন সবগুলোই ডোলানের ঠিকানায় পৌঁছেছেবলা চলে এটা তাঁর জীবনের চলার পথকে পুরোপুরি বদলে দিল। পেশাগত জীবনে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার বদলে পৃথিবী ঘুরে দেখাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এরপর হিচ-হাইকিং করে কানাডা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখান থেকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া। তারপর গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। 

এখানে বলে রাখা ভালো, হিচ-হাইকিং হলো ভ্রমণের এমন এক দুঃসাহসিক কেতা, যাতে মোটামুটি খরচ ছাড়াই দিনের পর দিন রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকতে পারবেন আপনি। ধরুন কোথাও যাওয়ার পথে অন্য কারও গাড়ি কিংবা ট্রাক যা-ই পেলেন, তাতে লিফট নিয়ে বেশ কতকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন। 

 ‘টানা তিন বছর ভ্রমণের ওপরেই থাকলাম।’ স্মরণ করেন ডোলান। গত শতকের আশির দশকের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে টুকে রাখলেন ডেবরা। তবে নিজের নতুন শখ অর্থাৎ নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানোর অভ্যাসও বজায় রাখলেন। 

পোস্টকার্ডগুলো নিজের মা-বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। কখনো কখনো পাঠাতেন খামে পুরে, যেন নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মা-বাবার কৌতূহলী দৃষ্টির আড়ালে রাখতে পারেন। 

প্রথম সেই ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণের পর পেরিয়ে গেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। এখনো ডোলানের ভ্রমণের নেশা আছে আগের মতোই। তেমনি এখনো একজন তুখোড় পোস্টকার্ড লেখক তিনি। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভ্রমণে গিয়ে শত শত পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন নিজেকে। আশ্চর্যজনক হলেও এগুলোর সবই পৌঁছেছে। এমনকি কোনো কোনোটি এক বছর পরেও পৌঁছেছে। আর ডোলান এগুলো আগলে রেখেছেন ভ্রমণে ভরপুর এক জীবনের স্মৃতি হিসেবে। 

‘এটা শুধু যে আমাকে তখন কোথায় ছিলাম তা মনে করিয়ে দেয় তা নয়, স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কেমন ছিলাম আমি।’ বলেন ডোলান, ‘একাকী সব ভ্রমণ, মুক্তভাবে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিগুলো ফিরে আসে। আমার মনে হয় এটাই পোস্টকার্ডগুলোর সার্থকতা।’ 

ডোলানের বয়স এখন ৬৪, থাকেন ভ্যাঙ্কুবারে। সেই শহরে যেটা প্রথম তাঁর মনে ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করেছিল। প্রশাসনে চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সব সময়ই পরের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করেন তিনি। 

এমনিতে ডোলানের পোস্টকার্ডগুলো ঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো ভ্রমণের গতি দুটি কারণে কিছুটা কমে আসে তাঁর। প্রথমত একটি দুর্ঘটনায়, তারপর করোনা মহামারির কারণে। এ সময়ই নিজের পোস্টকার্ডগুলো একত্র করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। 

‘কাজেই এগুলোকে ডায়েরি থেকে বের করলাম, ড্রয়ার থেকে বের করলাম। মোট কথা, নানা জায়গা থেকে একত্র করলাম।’ বলেন ডোলান। 

কোনো কোনো পোস্টকার্ডের বয়স এখন ৪০ বছরের বেশি। এগুলো রং চটে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে এমন সব ভাবনা, অনুভূতির বর্ণনা আছে, যেগুলো তখন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত দিনে প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। বেশির ভাগ কার্ডে কোনো না কোনো জায়গার ছবি আছে, তবে কিছু আবার কারও আঁকা কিংবা বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্মের নকল। 

পোস্টকার্ডে লেখা কিংবা এগুলো হাতে পাওয়াটা যেমন উপভোগ করেন, তেমনি এগুলো বাছাই করার বিষয়টিও সব সময় আনন্দ দেয় ডোলানকে। তিনি জানান, ভাবনা-চিন্তা করেই পোস্টকার্ড বাছাই করেন সব সময়। 

‘আমস্টারডামের রাইখস মিউজিয়ামের কথা যদি বিবেচনা করি। নিজের পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা বন্ধুকে নিশ্চয় গোটা আমস্টারডাম শহরের একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে চাইবেন। তবে এটা যদি নিজেকে পাঠান, নিশ্চয় এখানে যে চিত্রকর্ম কিংবা ছবিটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বা যেটাকে সবচেয়ে সময় দিয়েছেন, তার প্রতিকৃতিসহ কোনো পোস্টকার্ড পাঠাবেন।’ 

ডোলান সাধারণত কোনো দোকান কিংবা জাদুঘরের গিফট শপ থেকে পোস্টকার্ড পাঠাতে চান। তবে যেখান থেকেই কেনেন না কেন, একটা বিষয় খুব গুরুত্ব দেন, সেটা হলো বাস্তবের চেয়ে কোনো জায়গার কাল্পনিক একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।’ আর এ কারণে কখনো কখনো হাতে আঁকা কার্ডকে গুরুত্ব দেন। 

 পুরোনো পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকালে সেখানে লেখা অনেক অনুভূতি বা স্মৃতি চোখের সামনে চলে আসে আবার।‘একজন শিল্পী আপনাকে ভিন্ন একটা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, হতে পারে সেটা বিমূর্ত কিংবা কেবল তাঁর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।’ বলেন তিনি। 

কখনো কখনো ডেবরা আগে থেকেই ভেবে নেন তাঁর পোস্টকার্ডে কী থাকবে। তখন ভ্রমণের জায়গাটিতে খুঁজতে থাকেন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম একটি পোস্টকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত। 

‘আমার মনে পড়ে, যখন ভিয়েনায় ছিলাম, তখন ছিল বড়দিন। এমন একটি পোস্টকার্ড খুঁজে বের করেছিলাম, যেটায় বরফ আর অপেরা হাউসের বাইরে জ্বলছিল লণ্ঠন।’ 
 
অন্য সময় যখন নির্দিষ্ট কোনো ছবি মনে অবয়ব পায় না তখন বিভিন্ন পোস্টকার্ডের দোকানে খুঁজতে থাকেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির এক ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। চমৎকার এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানকার, চাকচিক্যময় বাথরুমে লেখার একটি ডেস্ক, কলাম আর স্মারক পোস্টকার্ড ছিল গ্রাহকদের জন্য। মুহূর্তটা ছিল একেবারে তাঁর মনের মতো। 

 ‘আমি অনুমান করলাম এটি আমার জন্য লেখা একটি আমন্ত্রণ।’ স্মরণ করেন ডেবরা। 

সব সময়ই ভ্রমণের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর পোস্টকার্ড পাঠান ডোলান। ডাকঘর খুঁজে বের করা, ডাকটিকিট কেনা আর একটি মেইলবক্স খুঁজে বের করা গোটা প্রক্রিয়াটির একেকটি অংশ। 

এখনো ভ্রমণ আগের মতোই টানে ডেবরা ডোলানকে। এটি তুরস্কে সাম্প্রতিক এ ভ্রমণের ছবিকখনো কখনো একটু ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০০৮ সালে স্পেনের ক্যামিনো দে সান্তিয়াগোর রাস্তা ধরে হেঁটে চলার সময় ডোলান এমন একটা কাজ করলেন, পোস্টকার্ডের বদলে চিঠিকে বেছে নিলেন। চলার পথে পোস্টকার্ড কেনা একটু ঝামেলা হবে ভেবে। এয়ার মেইল কাগজ কিনলেন, আর কিনলেন খাম আর ডাকটিকিট। তারপর স্থানীয় একটি ডাকঘরের খোঁজে বের হলেন। 

‘সবগুলোই পৌঁছেছে, একেবারে ধারাবাহিকতা মেনে নয়, তবে সবগুলোই পৌঁছেছে।’ বলেন ডোলান। 

তাঁর গত কয়েক দশকের পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকিয়ে ডোলান আবিষ্কার করেছেন, কীভাবে তাঁর হাতের লেখা বদলে গেছে। কীভাবে ভাষার ব্যবহারও বদলেছে, তেমনি বদলেছে ভ্রমণের অভ্যাসও। কম বয়সে ব্যাকপেকিংয়ের দিকে ঝোঁক থাকলেও এখন প্রায়ই কিছুটা আয়েশি ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন। 

তেমনি আগে ডেবি নামে পরিচিতি পেলেও এখন ডেবরা নামে পরিচিত তিনি। তবে সবকিছু কিন্তু বদলায় না। 

 ‘আমি সব সময় আমার পোস্টকার্ডের লেখা শেষ করি একটি হার্ট দিয়ে।’ বলেন তিনি, ‘জানি না, এটা শুধু নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, নাকি ওই ভ্রমণ আর সেই সব মুহূর্তর প্রতি ভালোবাসা থেকে।’ 

কোনো কোনো পোস্টকার্ড আবার দুঃখজনক কিংবা পীড়াদায়ক কোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। হয়তো কোথাও ভ্রমণে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানকার অন্য কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়ার স্মৃতি। 

পোস্টকার্ড সংগ্রহ ও বাছাই করার বিষয়টিও আনন্দ দেয় ডোলানকে। ছবি: ডেবরা ডোলাননিজের সব ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে তাঁকে, কখনো দুঃখী হয়েছেন, কখনো আবার চলার পথে ক্লান্তি অনুভব করেছেন। এসব অনুভূতিরও জায়গা হয়েছে কোনো কোনো পোস্টকার্ডে। 

ডোলান ভ্রমণের সময় ক্যামেরা বহন না করার নীতি মেনে চলেন। ভ্যাঙ্কুবারে যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলেন, তখনো কোথাও বেড়াতে গেলে সেটা রেখে যেতেন বাড়িতে। 

তবে তাঁর জীবনসঙ্গী যিনি এখন প্রায়ই ভ্রমণে ডেবরার সঙ্গে থাকেন, নিজের পেছনের পকেটে একটা মোবাইল ফোন রাখেন। কখনো কখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় দু-একটা ছবি তোলা হলেও যে কোনো ভ্রমণে পোস্টকার্ডই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের স্মারক। 

‘জীবনের ওই সব স্মরণীয় মুহূর্ত কেবলই আপনার। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়ানোর সময় একই জিনিস দেখি। আমরা হয়তো একই কাজ করি। রোমে গেলে আপনি কলোসিয়াম দেখবেনই। তবে আমাদের ওই দিন বা মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো একেবারেই আলাদা।’ বলেন ডোলান, ‘আমি মনে করি, এই জিনিসটাই ধারণ করে পোস্টকার্ড। তাঁরা হয়তো এই ছবির ১০ হাজার পোস্টকার্ড বেচেছে। তবে এগুলোর পেছনে আমরা যাঁরা লিখেছি তাঁদের কাছে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন, কার্ডগুলোর আলাদা পরিচয় আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৌষের হাওয়া লেগে ফাটছে গোড়ালি? সমাধান আছে ঘরেই

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস
সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা গোড়ালি ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। ছবি: পেক্সেলস

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।

ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস
গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ছবি: পেক্সেলস

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।

ফুট স্ক্রাব জরুরি

ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

২০ মিনিটের পুটবাথ

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস
বিশেষ ভাবে ফোচানো পানিতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। ছবি: পেক্সেলস

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল

অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।

প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।

সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে সব ধরনের চুলের জন্য ৫টি সেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্‌যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।

পাকা কলার প্যাক

কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।

দইয়ের জাদুকরি প্যাক

দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।

সহজ সমাধান নারকেল তেল

আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৬
আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

মেষ

সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।

বৃষ

স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।

মিথুন

মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।

কর্কট

কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।

সিংহ

বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।

কন্যা

বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।

তুলা

হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।

বৃশ্চিক

পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।

ধনু

আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।

মকর

আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।

কুম্ভ

দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।

মীন

আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের সকাল শুরু হোক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর স্যুপ দিয়ে

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ। কিন্তু মনে রাখা চাই, মাংস দিয়ে কিছু স্যুপ রান্না করতে গেলে খানিক সময় লাগবে। তারপরই উপভোগ করা যাবে মজাদার স্যুপ।

আপনাদের জন্য দুটি স্যুপের রেসিপি রইল।

লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ, চীন

চীনে নুডলস দিয়ে তৈরি খাবার ও চায়নিজ নুডলস স্যুপ রেসিপির কোনো ঘাটতি নেই। বলা হয়, এর বৈচিত্র্য চীনের ভূগোলের মতোই বিশাল এবং প্রতিটি অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু অসংখ্য নুডলস ডিশের, বিশেষ করে নুডলস স্যুপের মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

সুস্বাদু, স্বচ্ছ ঝোল, পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, নরম চায়নিজ মুলার ফালি, প্রচুর ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কলি, গাঢ় লাল মরিচের তেল এবং হাতে তৈরি নুডলস দিয়ে রান্না করা হয় লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

উপকরণ

৪ পাউন্ড গরুর মাংস, ১ কেজি গরুর হাঁটুর মাংস, অর্ধেক ভাজা মুরগি, ১০ কাপ পানি, ১ লিটার চিকেন স্টক, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ছোট চায়নিজ মুলার অর্ধেক, ১ পাউন্ড তাজা বা শুকনো সাদা নুডলস, গরম মরিচের তেল, পেঁয়াজ কলি, ধনেপাতা।

মসলা মিশ্রণের জন্য

৭টি তারকা মৌরি, ১২টি লবঙ্গ, ১টি দারুচিনি, ৫টি তেজপাতা, ৬টি বড় স্যান্ড জিঞ্জারের টুকরো, দেড় চা-চামচ মৌরি বীজ, ১ চা-চামচ জিরা বীজ, ২ চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, দেড় চা-চামচ সাদা গোলমরিচ, ৫টি লিকোরিস মূলের টুকরো, ৩টি শুকনো কমলার খোসা, ১টি কালো এলাচি।

গরম মরিচের তেলের জন্য

এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ তেল, ২টি তারকা মৌরি, ছোট দারুচিনির অর্ধেক, আধা চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, ৩ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া, ১ চা-চামচ লবণ, সামান্য চিনি।

প্রস্তুত প্রণালি

মাংসের হাড়গুলো ধুয়ে নিন। ৪০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেকিং শিটে ৪৫ মিনিট বেক করে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগির মাংস যোগ করুন। সবকিছু আবার ফুটতে দিন। একবার ফুটে উঠলে হাঁটুর মাংস এবং মুরগি বের করে নিয়ে পানি ফেলে দিন এবং পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।

এরপর গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগি আবার পাত্রে দিন। সঙ্গে বেক করে নেওয়া হাড়। এর সঙ্গে আরও ১০ কাপ পানি এবং ৪ কাপ চিকেন স্টক যোগ করুন। মসলার সব উপকরণ একত্র করে একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে শক্তভাবে বেঁধে মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি পাত্রে রেখে দিন। এরপর পাত্রে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ফুটতে দিন।

একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ হতে দিন। ২ ঘণ্টা পরে গরুর হাঁটুর মাংস বের করে সরিয়ে রাখুন। বাকি অংশে কাটা মুলা যোগ করে আরও ঘণ্টাখানেক সেদ্ধ হতে দিন। তারপর মসলার ব্যাগ, মুরগির হাড় বের করে ফেলে দিন। ঝোলে লবণের স্বাদ নিন এবং প্রয়োজন হলে মসলা সমন্বয় করুন। এতে স্যুপের বেজ তৈরি হয়ে যাবে।

উপকরণগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় মরিচের তেল তৈরি করে ফেলুন। একটি ছোট পাত্রে তেল, তারকা মৌরি, দারুচিনি এবং সিচুয়ান গোলমরিচ নিন। খুব কম আঁচে সবকিছু ধীরে ধীরে ১৫ মিনিট একসঙ্গে ভুনে নিন। একটি ছাঁকনি চামচ দিয়ে মসলাগুলো তেল থেকে আলাদা করে নিন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট তেল ঠান্ডা করে তাতে মরিচগুঁড়া যোগ করে সেই হালকা গরম তেলে ধীরে ধীরে ভুনে নিন; যতক্ষণ না খুব সুগন্ধ ছড়ায়। লাল হয়ে গেলে তাতে লবণ ও চিনি মেশাতে হবে।

একবার ঝোল ও মরিচের তেল তৈরি হয়ে গেলে, আলাদা পাত্রে প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী নুডলস রান্না করুন। সেদ্ধ নুডলস ৬টি বাটিতে ভাগ করুন। ঠান্ডা হওয়া গরুর হাঁটুর মাংস পাতলা করে কেটে নুডলসের ওপর সাজান। এরপর তাতে একে একে ঝোল, মুলা, এক চামচ গরম মরিচের তেল এবং এক মুঠো করে কুচি করা পেঁয়াজ কলি এবং ধনেপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।

তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

ইয়াইলা চোর্বাসি, তুরস্ক

তুরস্কের স্যুপের নাম ইয়াইলা চোর্বাসি। এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ চাল বা বার্লি। এর সঙ্গে যোগ করা হয় দই। বিশ্বাস করা হয়, এটি শীতকালে সর্দি প্রতিরোধ করে; কিছু তুর্কি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দই স্যুপ পরিবেশন করা হয়।

শুকনো পুদিনা গুঁড়া দইয়ের হালকা টক স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। তাজা পাউরুটির সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।

উপকরণ

বাসমতী বা জেসমিনসহ যেকোনো ধরনের সাদা চাল, গ্রিক দই বা সাধারণ দই, স্যুপ ঘন করতে ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণ, শুকনো পুদিনাপাতার গুঁড়া। 

প্রস্তুত প্রণালি

যে চাল ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকের চেয়ে তাতে বেশি পানি দিয়ে প্রথমে নরম করে ভাত রান্না করুন। পানি ও ভাত এই স্যুপের ভিত্তি। একটি বাটিতে দই, ডিম, ময়দা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি কমে গেলে ভাতে আরও পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর সুবিধামতো পাত্র নিয়ে ধীরে ধীরে ভাত ও পানি দই ও ডিমের মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর এই পুরো মিশ্রণ আবারও গরম পানিতে দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটতে দিন। এ সময়েও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনে আরও লবণ যোগ করুন।

একটি ছোট প্যানে মাখন গলিয়ে সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত শুকনো পুদিনা সেদ্ধ করে নিন। তারপর এটি স্যুপে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত