
বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এঁদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
ডেবরা ডোলানের বয়স যখন ২১, তখন প্রথম একাকী কোথাও ভ্রমণ করেন। আর সেবারই প্রথম নিজেকে একটা পোস্টকার্ড পাঠান সালটা ছিল ১৯৭৯, আর মধ্য কানাডায় থাকা ডেবরা প্রথমবারের মতো কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
‘সেবারই প্রথমবারের মতো এমন পাহাড় আর সাগর দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন ডেবরা। ভ্যাঙ্কুবারের অসাধারণ সব দৃশ্য ও কাছের আকাশছোঁয়া সব পর্বত দেখে যে উল্লাস অনুভব করেছেন, সেটাকে বন্দী করার ইচ্ছা হলো ডেবরার। যদিও দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস তাঁর, তার পরও ভ্রমণের উত্তেজনা আর আশপাশের সবকিছু ঘুরে দেখতে গিয়ে সময় বের করা মুশকিল হয়ে গেল। এদিকে সঙ্গে ক্যামেরাও আনেননি। ‘কাজেই যখনই হুইস্টলার, ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপ কিংবা ভ্যাঙ্কুবারের অন্য জায়গায় গেলাম, ঠিক করলাম, কেবল একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেব নিজের ঠিকানায়।’
সত্যি সত্যি তা-ই করলেন তিনি। প্রতিটি কার্ডের পেছনে ডোলান এক-দুই অনুচ্ছেদে নিজের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা লিখে দিলেন সংক্ষেপে। তারপর কেবল একটি হার্ট চিহ্ন দিয়ে সাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন নিজের ঠিকানায়।
দিন দশেক বাদে বাড়িতে ফিরে একগাদা পোস্টকার্ড হাতে পেলেন, যার সবগুলো নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ‘এমন এক আনন্দ পেয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ কর্ডগুলো হাতে পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই বর্ণনা করেন ডোলান।
ডেবরা ডোলান বুঝতে পারলেন কোনো একটি জায়গা বা মুহূর্তের টাইম ক্যাপসুল হিসেবে কাজ করে পোস্টকার্ড। অর্থাৎ ওই সময়টাকে এর মাধ্যমে বন্দী করে ফেলতে পারছেন তিনি।
বলা চলে, ভ্যাঙ্কুবারের এই ভ্রমণ ডোলানের ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলল। বাচ্চা থাকার সময় এবং বালিকা বা কিশোরী বয়সে পরিবারের সঙ্গে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা পর্যন্তই ছিল তাঁর ভ্রমণের দৌড়।
‘কিন্তু ভ্যাঙ্কুবারে আসার পর বুঝতে পারলাম ভ্রমণ করা সত্যি সহজ। তেমনি একাকী ভ্রমণ করাটাও মোটেই কঠিন নয়। এতে কোনোও অস্বস্তি লাগে না আমার।’ বলেন ডোলান।
বলা চলে এটা তাঁর জীবনের চলার পথকে পুরোপুরি বদলে দিল। পেশাগত জীবনে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার বদলে পৃথিবী ঘুরে দেখাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এরপর হিচ-হাইকিং করে কানাডা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখান থেকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া। তারপর গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো, হিচ-হাইকিং হলো ভ্রমণের এমন এক দুঃসাহসিক কেতা, যাতে মোটামুটি খরচ ছাড়াই দিনের পর দিন রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকতে পারবেন আপনি। ধরুন কোথাও যাওয়ার পথে অন্য কারও গাড়ি কিংবা ট্রাক যা-ই পেলেন, তাতে লিফট নিয়ে বেশ কতকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন।
‘টানা তিন বছর ভ্রমণের ওপরেই থাকলাম।’ স্মরণ করেন ডোলান। গত শতকের আশির দশকের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে টুকে রাখলেন ডেবরা। তবে নিজের নতুন শখ অর্থাৎ নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানোর অভ্যাসও বজায় রাখলেন।
পোস্টকার্ডগুলো নিজের মা-বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। কখনো কখনো পাঠাতেন খামে পুরে, যেন নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মা-বাবার কৌতূহলী দৃষ্টির আড়ালে রাখতে পারেন।
প্রথম সেই ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণের পর পেরিয়ে গেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। এখনো ডোলানের ভ্রমণের নেশা আছে আগের মতোই। তেমনি এখনো একজন তুখোড় পোস্টকার্ড লেখক তিনি। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভ্রমণে গিয়ে শত শত পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন নিজেকে। আশ্চর্যজনক হলেও এগুলোর সবই পৌঁছেছে। এমনকি কোনো কোনোটি এক বছর পরেও পৌঁছেছে। আর ডোলান এগুলো আগলে রেখেছেন ভ্রমণে ভরপুর এক জীবনের স্মৃতি হিসেবে।
‘এটা শুধু যে আমাকে তখন কোথায় ছিলাম তা মনে করিয়ে দেয় তা নয়, স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কেমন ছিলাম আমি।’ বলেন ডোলান, ‘একাকী সব ভ্রমণ, মুক্তভাবে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিগুলো ফিরে আসে। আমার মনে হয় এটাই পোস্টকার্ডগুলোর সার্থকতা।’
ডোলানের বয়স এখন ৬৪, থাকেন ভ্যাঙ্কুবারে। সেই শহরে যেটা প্রথম তাঁর মনে ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করেছিল। প্রশাসনে চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সব সময়ই পরের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করেন তিনি।
এমনিতে ডোলানের পোস্টকার্ডগুলো ঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো ভ্রমণের গতি দুটি কারণে কিছুটা কমে আসে তাঁর। প্রথমত একটি দুর্ঘটনায়, তারপর করোনা মহামারির কারণে। এ সময়ই নিজের পোস্টকার্ডগুলো একত্র করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
‘কাজেই এগুলোকে ডায়েরি থেকে বের করলাম, ড্রয়ার থেকে বের করলাম। মোট কথা, নানা জায়গা থেকে একত্র করলাম।’ বলেন ডোলান।
কোনো কোনো পোস্টকার্ডের বয়স এখন ৪০ বছরের বেশি। এগুলো রং চটে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে এমন সব ভাবনা, অনুভূতির বর্ণনা আছে, যেগুলো তখন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত দিনে প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। বেশির ভাগ কার্ডে কোনো না কোনো জায়গার ছবি আছে, তবে কিছু আবার কারও আঁকা কিংবা বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্মের নকল।
পোস্টকার্ডে লেখা কিংবা এগুলো হাতে পাওয়াটা যেমন উপভোগ করেন, তেমনি এগুলো বাছাই করার বিষয়টিও সব সময় আনন্দ দেয় ডোলানকে। তিনি জানান, ভাবনা-চিন্তা করেই পোস্টকার্ড বাছাই করেন সব সময়।
‘আমস্টারডামের রাইখস মিউজিয়ামের কথা যদি বিবেচনা করি। নিজের পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা বন্ধুকে নিশ্চয় গোটা আমস্টারডাম শহরের একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে চাইবেন। তবে এটা যদি নিজেকে পাঠান, নিশ্চয় এখানে যে চিত্রকর্ম কিংবা ছবিটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বা যেটাকে সবচেয়ে সময় দিয়েছেন, তার প্রতিকৃতিসহ কোনো পোস্টকার্ড পাঠাবেন।’
ডোলান সাধারণত কোনো দোকান কিংবা জাদুঘরের গিফট শপ থেকে পোস্টকার্ড পাঠাতে চান। তবে যেখান থেকেই কেনেন না কেন, একটা বিষয় খুব গুরুত্ব দেন, সেটা হলো বাস্তবের চেয়ে কোনো জায়গার কাল্পনিক একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।’ আর এ কারণে কখনো কখনো হাতে আঁকা কার্ডকে গুরুত্ব দেন।
‘একজন শিল্পী আপনাকে ভিন্ন একটা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, হতে পারে সেটা বিমূর্ত কিংবা কেবল তাঁর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।’ বলেন তিনি।
কখনো কখনো ডেবরা আগে থেকেই ভেবে নেন তাঁর পোস্টকার্ডে কী থাকবে। তখন ভ্রমণের জায়গাটিতে খুঁজতে থাকেন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম একটি পোস্টকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত।
‘আমার মনে পড়ে, যখন ভিয়েনায় ছিলাম, তখন ছিল বড়দিন। এমন একটি পোস্টকার্ড খুঁজে বের করেছিলাম, যেটায় বরফ আর অপেরা হাউসের বাইরে জ্বলছিল লণ্ঠন।’
অন্য সময় যখন নির্দিষ্ট কোনো ছবি মনে অবয়ব পায় না তখন বিভিন্ন পোস্টকার্ডের দোকানে খুঁজতে থাকেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির এক ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। চমৎকার এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানকার, চাকচিক্যময় বাথরুমে লেখার একটি ডেস্ক, কলাম আর স্মারক পোস্টকার্ড ছিল গ্রাহকদের জন্য। মুহূর্তটা ছিল একেবারে তাঁর মনের মতো।
‘আমি অনুমান করলাম এটি আমার জন্য লেখা একটি আমন্ত্রণ।’ স্মরণ করেন ডেবরা।
সব সময়ই ভ্রমণের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর পোস্টকার্ড পাঠান ডোলান। ডাকঘর খুঁজে বের করা, ডাকটিকিট কেনা আর একটি মেইলবক্স খুঁজে বের করা গোটা প্রক্রিয়াটির একেকটি অংশ।
কখনো কখনো একটু ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০০৮ সালে স্পেনের ক্যামিনো দে সান্তিয়াগোর রাস্তা ধরে হেঁটে চলার সময় ডোলান এমন একটা কাজ করলেন, পোস্টকার্ডের বদলে চিঠিকে বেছে নিলেন। চলার পথে পোস্টকার্ড কেনা একটু ঝামেলা হবে ভেবে। এয়ার মেইল কাগজ কিনলেন, আর কিনলেন খাম আর ডাকটিকিট। তারপর স্থানীয় একটি ডাকঘরের খোঁজে বের হলেন।
‘সবগুলোই পৌঁছেছে, একেবারে ধারাবাহিকতা মেনে নয়, তবে সবগুলোই পৌঁছেছে।’ বলেন ডোলান।
তাঁর গত কয়েক দশকের পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকিয়ে ডোলান আবিষ্কার করেছেন, কীভাবে তাঁর হাতের লেখা বদলে গেছে। কীভাবে ভাষার ব্যবহারও বদলেছে, তেমনি বদলেছে ভ্রমণের অভ্যাসও। কম বয়সে ব্যাকপেকিংয়ের দিকে ঝোঁক থাকলেও এখন প্রায়ই কিছুটা আয়েশি ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন।
তেমনি আগে ডেবি নামে পরিচিতি পেলেও এখন ডেবরা নামে পরিচিত তিনি। তবে সবকিছু কিন্তু বদলায় না।
‘আমি সব সময় আমার পোস্টকার্ডের লেখা শেষ করি একটি হার্ট দিয়ে।’ বলেন তিনি, ‘জানি না, এটা শুধু নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, নাকি ওই ভ্রমণ আর সেই সব মুহূর্তর প্রতি ভালোবাসা থেকে।’
কোনো কোনো পোস্টকার্ড আবার দুঃখজনক কিংবা পীড়াদায়ক কোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। হয়তো কোথাও ভ্রমণে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানকার অন্য কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়ার স্মৃতি।
নিজের সব ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে তাঁকে, কখনো দুঃখী হয়েছেন, কখনো আবার চলার পথে ক্লান্তি অনুভব করেছেন। এসব অনুভূতিরও জায়গা হয়েছে কোনো কোনো পোস্টকার্ডে।
ডোলান ভ্রমণের সময় ক্যামেরা বহন না করার নীতি মেনে চলেন। ভ্যাঙ্কুবারে যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলেন, তখনো কোথাও বেড়াতে গেলে সেটা রেখে যেতেন বাড়িতে।
তবে তাঁর জীবনসঙ্গী যিনি এখন প্রায়ই ভ্রমণে ডেবরার সঙ্গে থাকেন, নিজের পেছনের পকেটে একটা মোবাইল ফোন রাখেন। কখনো কখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় দু-একটা ছবি তোলা হলেও যে কোনো ভ্রমণে পোস্টকার্ডই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের স্মারক।
‘জীবনের ওই সব স্মরণীয় মুহূর্ত কেবলই আপনার। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়ানোর সময় একই জিনিস দেখি। আমরা হয়তো একই কাজ করি। রোমে গেলে আপনি কলোসিয়াম দেখবেনই। তবে আমাদের ওই দিন বা মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো একেবারেই আলাদা।’ বলেন ডোলান, ‘আমি মনে করি, এই জিনিসটাই ধারণ করে পোস্টকার্ড। তাঁরা হয়তো এই ছবির ১০ হাজার পোস্টকার্ড বেচেছে। তবে এগুলোর পেছনে আমরা যাঁরা লিখেছি তাঁদের কাছে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন, কার্ডগুলোর আলাদা পরিচয় আছে।’

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এঁদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
ডেবরা ডোলানের বয়স যখন ২১, তখন প্রথম একাকী কোথাও ভ্রমণ করেন। আর সেবারই প্রথম নিজেকে একটা পোস্টকার্ড পাঠান সালটা ছিল ১৯৭৯, আর মধ্য কানাডায় থাকা ডেবরা প্রথমবারের মতো কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
‘সেবারই প্রথমবারের মতো এমন পাহাড় আর সাগর দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেন ডেবরা। ভ্যাঙ্কুবারের অসাধারণ সব দৃশ্য ও কাছের আকাশছোঁয়া সব পর্বত দেখে যে উল্লাস অনুভব করেছেন, সেটাকে বন্দী করার ইচ্ছা হলো ডেবরার। যদিও দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস তাঁর, তার পরও ভ্রমণের উত্তেজনা আর আশপাশের সবকিছু ঘুরে দেখতে গিয়ে সময় বের করা মুশকিল হয়ে গেল। এদিকে সঙ্গে ক্যামেরাও আনেননি। ‘কাজেই যখনই হুইস্টলার, ভ্যাঙ্কুবার দ্বীপ কিংবা ভ্যাঙ্কুবারের অন্য জায়গায় গেলাম, ঠিক করলাম, কেবল একটি পোস্টকার্ড পাঠিয়ে দেব নিজের ঠিকানায়।’
সত্যি সত্যি তা-ই করলেন তিনি। প্রতিটি কার্ডের পেছনে ডোলান এক-দুই অনুচ্ছেদে নিজের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা লিখে দিলেন সংক্ষেপে। তারপর কেবল একটি হার্ট চিহ্ন দিয়ে সাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন নিজের ঠিকানায়।
দিন দশেক বাদে বাড়িতে ফিরে একগাদা পোস্টকার্ড হাতে পেলেন, যার সবগুলো নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ‘এমন এক আনন্দ পেয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ কর্ডগুলো হাতে পাওয়ার অনুভূতি এভাবেই বর্ণনা করেন ডোলান।
ডেবরা ডোলান বুঝতে পারলেন কোনো একটি জায়গা বা মুহূর্তের টাইম ক্যাপসুল হিসেবে কাজ করে পোস্টকার্ড। অর্থাৎ ওই সময়টাকে এর মাধ্যমে বন্দী করে ফেলতে পারছেন তিনি।
বলা চলে, ভ্যাঙ্কুবারের এই ভ্রমণ ডোলানের ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলল। বাচ্চা থাকার সময় এবং বালিকা বা কিশোরী বয়সে পরিবারের সঙ্গে কানাডার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা পর্যন্তই ছিল তাঁর ভ্রমণের দৌড়।
‘কিন্তু ভ্যাঙ্কুবারে আসার পর বুঝতে পারলাম ভ্রমণ করা সত্যি সহজ। তেমনি একাকী ভ্রমণ করাটাও মোটেই কঠিন নয়। এতে কোনোও অস্বস্তি লাগে না আমার।’ বলেন ডোলান।
বলা চলে এটা তাঁর জীবনের চলার পথকে পুরোপুরি বদলে দিল। পেশাগত জীবনে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার বদলে পৃথিবী ঘুরে দেখাটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এরপর হিচ-হাইকিং করে কানাডা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সেখান থেকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া। তারপর গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো, হিচ-হাইকিং হলো ভ্রমণের এমন এক দুঃসাহসিক কেতা, যাতে মোটামুটি খরচ ছাড়াই দিনের পর দিন রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকতে পারবেন আপনি। ধরুন কোথাও যাওয়ার পথে অন্য কারও গাড়ি কিংবা ট্রাক যা-ই পেলেন, তাতে লিফট নিয়ে বেশ কতকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন।
‘টানা তিন বছর ভ্রমণের ওপরেই থাকলাম।’ স্মরণ করেন ডোলান। গত শতকের আশির দশকের এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ডায়েরিতে টুকে রাখলেন ডেবরা। তবে নিজের নতুন শখ অর্থাৎ নিজেকে পোস্টকার্ড পাঠানোর অভ্যাসও বজায় রাখলেন।
পোস্টকার্ডগুলো নিজের মা-বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। কখনো কখনো পাঠাতেন খামে পুরে, যেন নিজের কিছু চিন্তা-ভাবনা আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মা-বাবার কৌতূহলী দৃষ্টির আড়ালে রাখতে পারেন।
প্রথম সেই ভ্যাঙ্কুবার ভ্রমণের পর পেরিয়ে গেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। এখনো ডোলানের ভ্রমণের নেশা আছে আগের মতোই। তেমনি এখনো একজন তুখোড় পোস্টকার্ড লেখক তিনি। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভ্রমণে গিয়ে শত শত পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন নিজেকে। আশ্চর্যজনক হলেও এগুলোর সবই পৌঁছেছে। এমনকি কোনো কোনোটি এক বছর পরেও পৌঁছেছে। আর ডোলান এগুলো আগলে রেখেছেন ভ্রমণে ভরপুর এক জীবনের স্মৃতি হিসেবে।
‘এটা শুধু যে আমাকে তখন কোথায় ছিলাম তা মনে করিয়ে দেয় তা নয়, স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কেমন ছিলাম আমি।’ বলেন ডোলান, ‘একাকী সব ভ্রমণ, মুক্তভাবে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিগুলো ফিরে আসে। আমার মনে হয় এটাই পোস্টকার্ডগুলোর সার্থকতা।’
ডোলানের বয়স এখন ৬৪, থাকেন ভ্যাঙ্কুবারে। সেই শহরে যেটা প্রথম তাঁর মনে ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করেছিল। প্রশাসনে চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সব সময়ই পরের রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় করেন তিনি।
এমনিতে ডোলানের পোস্টকার্ডগুলো ঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলো ভ্রমণের গতি দুটি কারণে কিছুটা কমে আসে তাঁর। প্রথমত একটি দুর্ঘটনায়, তারপর করোনা মহামারির কারণে। এ সময়ই নিজের পোস্টকার্ডগুলো একত্র করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
‘কাজেই এগুলোকে ডায়েরি থেকে বের করলাম, ড্রয়ার থেকে বের করলাম। মোট কথা, নানা জায়গা থেকে একত্র করলাম।’ বলেন ডোলান।
কোনো কোনো পোস্টকার্ডের বয়স এখন ৪০ বছরের বেশি। এগুলো রং চটে বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোনো কোনোটিতে এমন সব ভাবনা, অনুভূতির বর্ণনা আছে, যেগুলো তখন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত দিনে প্রায় ভুলতে বসেছিলেন। বেশির ভাগ কার্ডে কোনো না কোনো জায়গার ছবি আছে, তবে কিছু আবার কারও আঁকা কিংবা বিখ্যাত কোনো চিত্রকর্মের নকল।
পোস্টকার্ডে লেখা কিংবা এগুলো হাতে পাওয়াটা যেমন উপভোগ করেন, তেমনি এগুলো বাছাই করার বিষয়টিও সব সময় আনন্দ দেয় ডোলানকে। তিনি জানান, ভাবনা-চিন্তা করেই পোস্টকার্ড বাছাই করেন সব সময়।
‘আমস্টারডামের রাইখস মিউজিয়ামের কথা যদি বিবেচনা করি। নিজের পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা বন্ধুকে নিশ্চয় গোটা আমস্টারডাম শহরের একটি পোস্টকার্ড পাঠাতে চাইবেন। তবে এটা যদি নিজেকে পাঠান, নিশ্চয় এখানে যে চিত্রকর্ম কিংবা ছবিটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে বা যেটাকে সবচেয়ে সময় দিয়েছেন, তার প্রতিকৃতিসহ কোনো পোস্টকার্ড পাঠাবেন।’
ডোলান সাধারণত কোনো দোকান কিংবা জাদুঘরের গিফট শপ থেকে পোস্টকার্ড পাঠাতে চান। তবে যেখান থেকেই কেনেন না কেন, একটা বিষয় খুব গুরুত্ব দেন, সেটা হলো বাস্তবের চেয়ে কোনো জায়গার কাল্পনিক একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা।’ আর এ কারণে কখনো কখনো হাতে আঁকা কার্ডকে গুরুত্ব দেন।
‘একজন শিল্পী আপনাকে ভিন্ন একটা দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, হতে পারে সেটা বিমূর্ত কিংবা কেবল তাঁর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।’ বলেন তিনি।
কখনো কখনো ডেবরা আগে থেকেই ভেবে নেন তাঁর পোস্টকার্ডে কী থাকবে। তখন ভ্রমণের জায়গাটিতে খুঁজতে থাকেন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম একটি পোস্টকার্ড না পাওয়া পর্যন্ত।
‘আমার মনে পড়ে, যখন ভিয়েনায় ছিলাম, তখন ছিল বড়দিন। এমন একটি পোস্টকার্ড খুঁজে বের করেছিলাম, যেটায় বরফ আর অপেরা হাউসের বাইরে জ্বলছিল লণ্ঠন।’
অন্য সময় যখন নির্দিষ্ট কোনো ছবি মনে অবয়ব পায় না তখন বিভিন্ন পোস্টকার্ডের দোকানে খুঁজতে থাকেন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির এক ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। চমৎকার এক হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানকার, চাকচিক্যময় বাথরুমে লেখার একটি ডেস্ক, কলাম আর স্মারক পোস্টকার্ড ছিল গ্রাহকদের জন্য। মুহূর্তটা ছিল একেবারে তাঁর মনের মতো।
‘আমি অনুমান করলাম এটি আমার জন্য লেখা একটি আমন্ত্রণ।’ স্মরণ করেন ডেবরা।
সব সময়ই ভ্রমণের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর পোস্টকার্ড পাঠান ডোলান। ডাকঘর খুঁজে বের করা, ডাকটিকিট কেনা আর একটি মেইলবক্স খুঁজে বের করা গোটা প্রক্রিয়াটির একেকটি অংশ।
কখনো কখনো একটু ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০০৮ সালে স্পেনের ক্যামিনো দে সান্তিয়াগোর রাস্তা ধরে হেঁটে চলার সময় ডোলান এমন একটা কাজ করলেন, পোস্টকার্ডের বদলে চিঠিকে বেছে নিলেন। চলার পথে পোস্টকার্ড কেনা একটু ঝামেলা হবে ভেবে। এয়ার মেইল কাগজ কিনলেন, আর কিনলেন খাম আর ডাকটিকিট। তারপর স্থানীয় একটি ডাকঘরের খোঁজে বের হলেন।
‘সবগুলোই পৌঁছেছে, একেবারে ধারাবাহিকতা মেনে নয়, তবে সবগুলোই পৌঁছেছে।’ বলেন ডোলান।
তাঁর গত কয়েক দশকের পোস্টকার্ডগুলোর দিকে তাকিয়ে ডোলান আবিষ্কার করেছেন, কীভাবে তাঁর হাতের লেখা বদলে গেছে। কীভাবে ভাষার ব্যবহারও বদলেছে, তেমনি বদলেছে ভ্রমণের অভ্যাসও। কম বয়সে ব্যাকপেকিংয়ের দিকে ঝোঁক থাকলেও এখন প্রায়ই কিছুটা আয়েশি ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন।
তেমনি আগে ডেবি নামে পরিচিতি পেলেও এখন ডেবরা নামে পরিচিত তিনি। তবে সবকিছু কিন্তু বদলায় না।
‘আমি সব সময় আমার পোস্টকার্ডের লেখা শেষ করি একটি হার্ট দিয়ে।’ বলেন তিনি, ‘জানি না, এটা শুধু নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, নাকি ওই ভ্রমণ আর সেই সব মুহূর্তর প্রতি ভালোবাসা থেকে।’
কোনো কোনো পোস্টকার্ড আবার দুঃখজনক কিংবা পীড়াদায়ক কোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। হয়তো কোথাও ভ্রমণে গিয়ে যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানকার অন্য কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝগড়ার স্মৃতি।
নিজের সব ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসে তাঁকে, কখনো দুঃখী হয়েছেন, কখনো আবার চলার পথে ক্লান্তি অনুভব করেছেন। এসব অনুভূতিরও জায়গা হয়েছে কোনো কোনো পোস্টকার্ডে।
ডোলান ভ্রমণের সময় ক্যামেরা বহন না করার নীতি মেনে চলেন। ভ্যাঙ্কুবারে যখন স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করলেন, তখনো কোথাও বেড়াতে গেলে সেটা রেখে যেতেন বাড়িতে।
তবে তাঁর জীবনসঙ্গী যিনি এখন প্রায়ই ভ্রমণে ডেবরার সঙ্গে থাকেন, নিজের পেছনের পকেটে একটা মোবাইল ফোন রাখেন। কখনো কখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় দু-একটা ছবি তোলা হলেও যে কোনো ভ্রমণে পোস্টকার্ডই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের স্মারক।
‘জীবনের ওই সব স্মরণীয় মুহূর্ত কেবলই আপনার। আমরা হয়তো ঘুরে বেড়ানোর সময় একই জিনিস দেখি। আমরা হয়তো একই কাজ করি। রোমে গেলে আপনি কলোসিয়াম দেখবেনই। তবে আমাদের ওই দিন বা মুহূর্তের অভিজ্ঞতাগুলো একেবারেই আলাদা।’ বলেন ডোলান, ‘আমি মনে করি, এই জিনিসটাই ধারণ করে পোস্টকার্ড। তাঁরা হয়তো এই ছবির ১০ হাজার পোস্টকার্ড বেচেছে। তবে এগুলোর পেছনে আমরা যাঁরা লিখেছি তাঁদের কাছে, পৃথিবীর যেখানেই যাক না কেন, কার্ডগুলোর আলাদা পরিচয় আছে।’

সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের...
১২ ঘণ্টা আগে
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
১৩ ঘণ্টা আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
১৫ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
১৭ ঘণ্টা আগেরজত কান্তি রায়, ঢাকা

শীতকাল এলে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে গলির মোড়, প্রায় সবখানে মধুর বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। কত রকমের যে মধু হতে পারে, তা না দেখলে বোঝা কঠিন। প্রায় সব মধু বিক্রেতার মধুই শতভাগ ‘পিওর’। কারও কারও মধু তো সুন্দরবনের একমাত্র খাঁটি মধু! কারও মধু আবার সরিষা ফুল থেকে তৈরি! যা হোক, শীত মানে বঙ্গদেশে মধুর বাজারে চলে ভীষণ উত্তেজনা। আর দাম? সে তো আপনারা নিজেরাই জানেন।
আমাদের সবার কাছে প্রায় একই রকম তথ্য আছে, মধু হলো উত্তম মিষ্টিজাতীয় খাবার। তার ওপর আর মিষ্টি নেই! সেসব হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু তথ্য যদি বলে, মধুতেও বিষ থাকে! প্রথমে অবিশ্বাস্য, তারপর খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন অনেকেই। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। মধুতেও থাকে বিষ। কিংবা মধুও হয় বিষাক্ত। কিন্তু সেটাও খাওয়া হয়। শত শত বছর ধরেই খাওয়া হয়।

একটা ছোটগল্প শোনাই। সে বহুকাল আগে, খ্রিষ্টপূর্ব ৪০১ সালের ঘটনা। গ্রিক সেনারা তুরস্কের ট্রাবজোন অঞ্চলে অভিযান চালাল; কিন্তু সেটা ঘটনা নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সে রকম অভিযানের বহু গল্প আছে। এই অভিযান বিখ্যাত হয়ে আছে, সে অঞ্চলের এক বিশেষ মধুর কারণে। গ্রিক সেনারা ট্রাবজোন অঞ্চলে পাওয়া বিশেষ এক মধু খেয়ে বমি করতে শুরু করল। সেনাদের কেউ কেউ এতটাই মাতাল হয়ে পড়ল যে, তাদের মস্তিষ্কে ‘বিভ্রান্তি’ দেখা দিল। কেউ কেউ মৃত মানুষের মতো পড়ে রইল এবং তারপর যা হওয়ার তা-ই হলো, গ্রিকরা পরাজিত হলো। এ ঘটনার কথা লিখেছিলেন ঐতিহাসিক জেনোফন। সেটাই ছিল এ মধুর বিষক্রিয়ার প্রথম লিখিত বিবরণ।
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু।
সীমিত উৎপাদন
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের কিছু জায়গায় এই মধু উৎপন্ন হয়। সম্প্রতি সিএনএনের সাংবাদিক মৌরিন ও’হেয়ার এ বিষয়ে একটি লেখা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর দুটি জায়গায় এই ‘বিরল মধু’ পাওয়া যায়। আবার কিছু সূত্র বলে, এই দুটি জায়গার সঙ্গে জর্জিয়া ও আজারবাইজানের ককেশীয় দেশগুলোতেও সীমিত পরিমাণে এই মধু উৎপন্ন হয়। মূলত যেসব পাহাড়ি জায়গায় রডোডেনড্রন ফুলের প্রাচুর্য আছে, সেসব জায়গায় ম্যাড হানি উৎপন্ন হয়। স্থানীয় পার্বত্য মৌমাছিরা রডোডেনড্রন ফুলের রস সংগ্রহ করে এই বিশেষ মধু তৈরি করে।
বিষাক্ত কেন
রডোডেনড্রন ফুলের পরাগ রেণু ও নেকটারে থাকে গ্রায়ানটক্সিন নামক এক ধরনের নিউরোটক্সিন। এটি মধুতে সঞ্চিত হয়। এই টক্সিনই ম্যাড হানির রহস্যময় ও বিপজ্জনক সব বৈশিষ্ট্য তৈরি করে।

এ মধুর স্বাদ কেমন
চেখে যেহেতু দেখা হয়নি, তাই নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে মধু যেহেতু, মিষ্টতা কিছু থাকবেই। তবে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ম্যাড হানির স্বাদ তিতা বা টক অর্থাৎ, সাধারণ মধুর চেয়ে ভিন্ন। এর রং গাঢ় বাদামি বা লালচে রং।
এক দারুণ ঐতিহ্য
বিপদ যতই থাক, যারা এ মধু উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তারা এটি চেখে দেখবে না, তা তো হয় না। ফলে নেপাল ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে এ মধুকে কেন্দ্র করে শত শত বছর ধরে তৈরি হয়েছে ঐতিহ্য।
নেপালের গুরাং সম্প্রদায় ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের স্থানীয় লোকেরা প্রজন্ম ধরে অল্প পরিমাণে ম্যাড হানি ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তারা এটিকে পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এমনকি যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। তবে এর ব্যবহার সব সময়ই একটি জটিল রীতিনীতি ও পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়।
এটাও বলে রাখি, কিছু মানুষ এটিকে ‘হানি হাই’ বা নেশার জন্যও ব্যবহার করে।
পরিমাণের বেশি খেলে কী হতে পারে?
বিপদ আছে। যেকোনো খাবারই পরিমাণের বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই ম্যাড হানি স্বল্প মাত্রায় খেলেও হতে পারে হালকা ইউফোরিয়া, স্নায়বিক শিথিলতা বা বমি বমি ভাব। আর উচ্চ মাত্রায় খেলে? সে তালিকা বেশ লম্বা।
তবে হ্যাঁ, প্রাকৃতিক এই উত্তেজকের জন্য আছে প্রাকৃতিক চিকিৎসা। জানা যাচ্ছে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণগুলো নিজে থেকে কমে যায়। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
বলে রাখা ভালো, এটি বেশির ভাগ দেশে অবৈধ নয়। তবে বিক্রি বা বিপণনে নিয়ন্ত্রণ আছে।
আধুনিক বাণিজ্য ও অপব্যবহার
বিশেষ কিছু অঞ্চলের মানুষদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পরিচালিত জ্ঞানের মাধ্যমে যে মধু একসময় ছিল বিশেষ, সে মধুই এখন ‘অনলাইন পণ্যে’ পরিণত হয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে স্বাভাবিকভাবে। নেপাল ও তুরস্ক থেকে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘এক্সোটিক হানি’ বা ‘সাইকোঅ্যাকটিভ হানি’ হিসেবে বিক্রি হয়। পর্যটকদের মধ্যে এটি খাওয়া একটি ‘অভিজ্ঞতা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিশেষ করে নেপালের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে। আর এ চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ভেজাল ম্যাড হানির পরিমাণ।
বৈচিত্র্যপিয়াসীরা ভেজাল না খেয়ে আসলের সন্ধান করতে পারেন।
সূত্র:

শীতকাল এলে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে গলির মোড়, প্রায় সবখানে মধুর বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। কত রকমের যে মধু হতে পারে, তা না দেখলে বোঝা কঠিন। প্রায় সব মধু বিক্রেতার মধুই শতভাগ ‘পিওর’। কারও কারও মধু তো সুন্দরবনের একমাত্র খাঁটি মধু! কারও মধু আবার সরিষা ফুল থেকে তৈরি! যা হোক, শীত মানে বঙ্গদেশে মধুর বাজারে চলে ভীষণ উত্তেজনা। আর দাম? সে তো আপনারা নিজেরাই জানেন।
আমাদের সবার কাছে প্রায় একই রকম তথ্য আছে, মধু হলো উত্তম মিষ্টিজাতীয় খাবার। তার ওপর আর মিষ্টি নেই! সেসব হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু তথ্য যদি বলে, মধুতেও বিষ থাকে! প্রথমে অবিশ্বাস্য, তারপর খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন অনেকেই। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। মধুতেও থাকে বিষ। কিংবা মধুও হয় বিষাক্ত। কিন্তু সেটাও খাওয়া হয়। শত শত বছর ধরেই খাওয়া হয়।

একটা ছোটগল্প শোনাই। সে বহুকাল আগে, খ্রিষ্টপূর্ব ৪০১ সালের ঘটনা। গ্রিক সেনারা তুরস্কের ট্রাবজোন অঞ্চলে অভিযান চালাল; কিন্তু সেটা ঘটনা নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সে রকম অভিযানের বহু গল্প আছে। এই অভিযান বিখ্যাত হয়ে আছে, সে অঞ্চলের এক বিশেষ মধুর কারণে। গ্রিক সেনারা ট্রাবজোন অঞ্চলে পাওয়া বিশেষ এক মধু খেয়ে বমি করতে শুরু করল। সেনাদের কেউ কেউ এতটাই মাতাল হয়ে পড়ল যে, তাদের মস্তিষ্কে ‘বিভ্রান্তি’ দেখা দিল। কেউ কেউ মৃত মানুষের মতো পড়ে রইল এবং তারপর যা হওয়ার তা-ই হলো, গ্রিকরা পরাজিত হলো। এ ঘটনার কথা লিখেছিলেন ঐতিহাসিক জেনোফন। সেটাই ছিল এ মধুর বিষক্রিয়ার প্রথম লিখিত বিবরণ।
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু।
সীমিত উৎপাদন
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের কিছু জায়গায় এই মধু উৎপন্ন হয়। সম্প্রতি সিএনএনের সাংবাদিক মৌরিন ও’হেয়ার এ বিষয়ে একটি লেখা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর দুটি জায়গায় এই ‘বিরল মধু’ পাওয়া যায়। আবার কিছু সূত্র বলে, এই দুটি জায়গার সঙ্গে জর্জিয়া ও আজারবাইজানের ককেশীয় দেশগুলোতেও সীমিত পরিমাণে এই মধু উৎপন্ন হয়। মূলত যেসব পাহাড়ি জায়গায় রডোডেনড্রন ফুলের প্রাচুর্য আছে, সেসব জায়গায় ম্যাড হানি উৎপন্ন হয়। স্থানীয় পার্বত্য মৌমাছিরা রডোডেনড্রন ফুলের রস সংগ্রহ করে এই বিশেষ মধু তৈরি করে।
বিষাক্ত কেন
রডোডেনড্রন ফুলের পরাগ রেণু ও নেকটারে থাকে গ্রায়ানটক্সিন নামক এক ধরনের নিউরোটক্সিন। এটি মধুতে সঞ্চিত হয়। এই টক্সিনই ম্যাড হানির রহস্যময় ও বিপজ্জনক সব বৈশিষ্ট্য তৈরি করে।

এ মধুর স্বাদ কেমন
চেখে যেহেতু দেখা হয়নি, তাই নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে মধু যেহেতু, মিষ্টতা কিছু থাকবেই। তবে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ম্যাড হানির স্বাদ তিতা বা টক অর্থাৎ, সাধারণ মধুর চেয়ে ভিন্ন। এর রং গাঢ় বাদামি বা লালচে রং।
এক দারুণ ঐতিহ্য
বিপদ যতই থাক, যারা এ মধু উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তারা এটি চেখে দেখবে না, তা তো হয় না। ফলে নেপাল ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে এ মধুকে কেন্দ্র করে শত শত বছর ধরে তৈরি হয়েছে ঐতিহ্য।
নেপালের গুরাং সম্প্রদায় ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের স্থানীয় লোকেরা প্রজন্ম ধরে অল্প পরিমাণে ম্যাড হানি ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তারা এটিকে পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এমনকি যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। তবে এর ব্যবহার সব সময়ই একটি জটিল রীতিনীতি ও পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়।
এটাও বলে রাখি, কিছু মানুষ এটিকে ‘হানি হাই’ বা নেশার জন্যও ব্যবহার করে।
পরিমাণের বেশি খেলে কী হতে পারে?
বিপদ আছে। যেকোনো খাবারই পরিমাণের বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই ম্যাড হানি স্বল্প মাত্রায় খেলেও হতে পারে হালকা ইউফোরিয়া, স্নায়বিক শিথিলতা বা বমি বমি ভাব। আর উচ্চ মাত্রায় খেলে? সে তালিকা বেশ লম্বা।
তবে হ্যাঁ, প্রাকৃতিক এই উত্তেজকের জন্য আছে প্রাকৃতিক চিকিৎসা। জানা যাচ্ছে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণগুলো নিজে থেকে কমে যায়। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
বলে রাখা ভালো, এটি বেশির ভাগ দেশে অবৈধ নয়। তবে বিক্রি বা বিপণনে নিয়ন্ত্রণ আছে।
আধুনিক বাণিজ্য ও অপব্যবহার
বিশেষ কিছু অঞ্চলের মানুষদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পরিচালিত জ্ঞানের মাধ্যমে যে মধু একসময় ছিল বিশেষ, সে মধুই এখন ‘অনলাইন পণ্যে’ পরিণত হয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে স্বাভাবিকভাবে। নেপাল ও তুরস্ক থেকে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘এক্সোটিক হানি’ বা ‘সাইকোঅ্যাকটিভ হানি’ হিসেবে বিক্রি হয়। পর্যটকদের মধ্যে এটি খাওয়া একটি ‘অভিজ্ঞতা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিশেষ করে নেপালের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে। আর এ চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ভেজাল ম্যাড হানির পরিমাণ।
বৈচিত্র্যপিয়াসীরা ভেজাল না খেয়ে আসলের সন্ধান করতে পারেন।
সূত্র:

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
১৩ ঘণ্টা আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
১৫ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
১৭ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে, না কিনলেই বরং অপরাধবোধ হয়!
শীতের চাদরের আবেদন সব সময় ছিল। আগে সেগুলো শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরতেন মেয়েরা। আর এখন পরছেন জিনস টপসের সঙ্গে। তবে কখন কালার ম্যাচিং এবং কখন কালার কনট্রাস্ট করে পরতে হবে, তা মনে রাখতে হবে। কীভাবে পরবেন, তা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছেন এবং নিজে কতটা ক্যারি করতে পারছেন, তার ওপর। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
শীতে স্টাইলিংয়ের জন্য চাদরের তুলনা হয় না। একসময় চাদরের জমিনে ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন নকশা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররাই সেগুলো নকশাদার করে তুলছেন। তৈরি করছেন বিভিন্ন থিমেটিক নকশার চাদরও। নকশাদার ও থিমেটিক এসব চাদর শাড়ি, কুর্তি, টপস, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ—সবকিছুর সঙ্গে পরা যায়। কিন্তু কোন পোশাকের সঙ্গে কোন চাদর কীভাবে পরবেন, সেটাও তো জেনে রাখা প্রয়োজন।
শীতে ভ্রমণ, বনভোজন, সকালে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো চলতেই থাকে। একেক জায়গায় একেকভাবে চাদর পরা জরুরি। অর্থাৎ সব জায়গায় একইভাবে চাদর পরা যাবে না।
শাড়ির সঙ্গে
শাড়ির সঙ্গে চাদর স্টাইলিং করার খুব বেশি উপায় নেই। হয় গায়ে জড়িয়ে পরা, নয়তো এক কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। সেই ফেলে রাখা গুছিয়েও হতে পারে আবার ছেড়ে দিয়েও হতে পারে। যে ক্যারিশমা করতে পারেন, তা হলো একরঙা শাড়ির সঙ্গে ছাপা ও জ্যামিতিক প্যাটার্নের উজ্জ্বল রঙের মিলমিশ রয়েছে এমন চাদর পরুন।

লুজ ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে
লুজ ডেনিম প্যান্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ডেনিমের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন উলের সুতায় বোনা, তসরের কিংবা সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর অথবা ডুপিয়ান কাপড়ের চাদর। গলায় স্কার্ফের মতো জড়িয়ে হোক বা পুরো গা ঢেকে, দিব্যি বেরিয়ে পরতে পারেন ডেনিমের সঙ্গে চাদর পরে।
কামিজের সঙ্গে
একটু স্টাইলিশভাবে পরতে প্রথমে চাদর গলায় ঝোলান। চাদরের শেষ দুই মাথা একসঙ্গে গিঁট দিয়ে নিন। বড়সড় যে লুপটি তৈরি হলো, তা গলায় পরুন। গিঁটের অংশটি কাঁধের পেছনে থাকবে। এবার টুইস্ট করে দুই বা তিন স্তরে গলায় পরুন এবং প্রয়োজনমতো ছড়িয়ে নিন। যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়। সেটা ঠেকাতে গিঁটের সঙ্গে ব্রোচ পিনআপ করে নিতে পারেন।
আরও যেভাবে পরতে পারেন

এলিগ্যান্ট স্টাইলের জন্য
অভিজাত লুক পেতে বেছে নিতে পারেন ইউনিক বো স্টাইল। এ স্টাইলের জন্য পাতলা চাদর বেছে নিতে পারেন। কাঁধের দুই পাশে ঝোলানো চাদরের এক প্রান্ত বড় ও অন্য প্রান্তটি ছোট রাখুন। এবার বড় প্রান্তটির শেষ মাথা থেকে ওপরের দিকে লুপ তৈরি করুন। এরপর লুপের মাঝ বরাবর ধরে অন্য প্রান্ত দিয়ে পেঁচিয়ে টাইট করে নিন।
আউটিংয়ে ঝলমলে দেখাতে
একটু ঝলমলে আউটলুক পেতে উজ্জ্বল রঙের শাল বেছে নিতে পারেন। ওজনে হালকা ও উজ্জ্বল প্রিন্টের চাদর আর কুল টোনের কামিজ বা একরঙা টি-শার্ট চটজলদি অভিজাত লুক দেবে। উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের চাদর সাদামাটা শার্ট বা টপসকেও অভিজাত লুকে বদলে দেয়।
বোহিমিয়ান স্টাইল
বোহিমিয়ান স্টাইলে শাল বা চাদর পরতে গলায় দুই প্যাঁচে জড়িয়ে বাঁ পাশের প্রান্তের এক কোনা ডান দিকে চাদরের গলার অংশের সঙ্গে পিনআপ করে নিন। অন্য প্রান্তটি থাকবে ছড়ানো প্রান্তের নিচে।

কোথায় পাবেন এসব চাদর
প্রায় সব ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ধরনের চাদর বিক্রি করে। অনেক অনলাইন পেজও এগুলো বিক্রি করে। কোনো কোনো পেজ পছন্দমতো চাদর তৈরিও করে দেয়। প্রতিটি জেলা শহরের সুপারমার্কেটে বা যেকোনো শপিং মলে খুঁজলে পাওয়া যাবে পছন্দের চাদর।
ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে, না কিনলেই বরং অপরাধবোধ হয়!
শীতের চাদরের আবেদন সব সময় ছিল। আগে সেগুলো শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরতেন মেয়েরা। আর এখন পরছেন জিনস টপসের সঙ্গে। তবে কখন কালার ম্যাচিং এবং কখন কালার কনট্রাস্ট করে পরতে হবে, তা মনে রাখতে হবে। কীভাবে পরবেন, তা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছেন এবং নিজে কতটা ক্যারি করতে পারছেন, তার ওপর। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ
শীতে স্টাইলিংয়ের জন্য চাদরের তুলনা হয় না। একসময় চাদরের জমিনে ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন নকশা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররাই সেগুলো নকশাদার করে তুলছেন। তৈরি করছেন বিভিন্ন থিমেটিক নকশার চাদরও। নকশাদার ও থিমেটিক এসব চাদর শাড়ি, কুর্তি, টপস, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ—সবকিছুর সঙ্গে পরা যায়। কিন্তু কোন পোশাকের সঙ্গে কোন চাদর কীভাবে পরবেন, সেটাও তো জেনে রাখা প্রয়োজন।
শীতে ভ্রমণ, বনভোজন, সকালে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো চলতেই থাকে। একেক জায়গায় একেকভাবে চাদর পরা জরুরি। অর্থাৎ সব জায়গায় একইভাবে চাদর পরা যাবে না।
শাড়ির সঙ্গে
শাড়ির সঙ্গে চাদর স্টাইলিং করার খুব বেশি উপায় নেই। হয় গায়ে জড়িয়ে পরা, নয়তো এক কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। সেই ফেলে রাখা গুছিয়েও হতে পারে আবার ছেড়ে দিয়েও হতে পারে। যে ক্যারিশমা করতে পারেন, তা হলো একরঙা শাড়ির সঙ্গে ছাপা ও জ্যামিতিক প্যাটার্নের উজ্জ্বল রঙের মিলমিশ রয়েছে এমন চাদর পরুন।

লুজ ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে
লুজ ডেনিম প্যান্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ডেনিমের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন উলের সুতায় বোনা, তসরের কিংবা সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর অথবা ডুপিয়ান কাপড়ের চাদর। গলায় স্কার্ফের মতো জড়িয়ে হোক বা পুরো গা ঢেকে, দিব্যি বেরিয়ে পরতে পারেন ডেনিমের সঙ্গে চাদর পরে।
কামিজের সঙ্গে
একটু স্টাইলিশভাবে পরতে প্রথমে চাদর গলায় ঝোলান। চাদরের শেষ দুই মাথা একসঙ্গে গিঁট দিয়ে নিন। বড়সড় যে লুপটি তৈরি হলো, তা গলায় পরুন। গিঁটের অংশটি কাঁধের পেছনে থাকবে। এবার টুইস্ট করে দুই বা তিন স্তরে গলায় পরুন এবং প্রয়োজনমতো ছড়িয়ে নিন। যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়। সেটা ঠেকাতে গিঁটের সঙ্গে ব্রোচ পিনআপ করে নিতে পারেন।
আরও যেভাবে পরতে পারেন

এলিগ্যান্ট স্টাইলের জন্য
অভিজাত লুক পেতে বেছে নিতে পারেন ইউনিক বো স্টাইল। এ স্টাইলের জন্য পাতলা চাদর বেছে নিতে পারেন। কাঁধের দুই পাশে ঝোলানো চাদরের এক প্রান্ত বড় ও অন্য প্রান্তটি ছোট রাখুন। এবার বড় প্রান্তটির শেষ মাথা থেকে ওপরের দিকে লুপ তৈরি করুন। এরপর লুপের মাঝ বরাবর ধরে অন্য প্রান্ত দিয়ে পেঁচিয়ে টাইট করে নিন।
আউটিংয়ে ঝলমলে দেখাতে
একটু ঝলমলে আউটলুক পেতে উজ্জ্বল রঙের শাল বেছে নিতে পারেন। ওজনে হালকা ও উজ্জ্বল প্রিন্টের চাদর আর কুল টোনের কামিজ বা একরঙা টি-শার্ট চটজলদি অভিজাত লুক দেবে। উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের চাদর সাদামাটা শার্ট বা টপসকেও অভিজাত লুকে বদলে দেয়।
বোহিমিয়ান স্টাইল
বোহিমিয়ান স্টাইলে শাল বা চাদর পরতে গলায় দুই প্যাঁচে জড়িয়ে বাঁ পাশের প্রান্তের এক কোনা ডান দিকে চাদরের গলার অংশের সঙ্গে পিনআপ করে নিন। অন্য প্রান্তটি থাকবে ছড়ানো প্রান্তের নিচে।

কোথায় পাবেন এসব চাদর
প্রায় সব ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ধরনের চাদর বিক্রি করে। অনেক অনলাইন পেজও এগুলো বিক্রি করে। কোনো কোনো পেজ পছন্দমতো চাদর তৈরিও করে দেয়। প্রতিটি জেলা শহরের সুপারমার্কেটে বা যেকোনো শপিং মলে খুঁজলে পাওয়া যাবে পছন্দের চাদর।
ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের...
১২ ঘণ্টা আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
১৫ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের...
১২ ঘণ্টা আগে
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
১৩ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

বিশ্বভ্রমণের শখ আছে অনেকেরই। সময় পেলেই পৃথিবীর নানা দেশ চষে বেড়ান তাঁরা। তবে এদের মধ্যে কানাডার নারী ডেবরা ডোলান একটু আলাদা। পৃথিবীর যেখানেই যান, সেখান থেকে নিজের ঠিকানায় পোস্টকার্ড পাঠান তিনি। এ কাজটা তিনি করছেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে।
২৫ জুলাই ২০২৩
সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের...
১২ ঘণ্টা আগে
শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে...
১৩ ঘণ্টা আগে
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
১৫ ঘণ্টা আগে