Ajker Patrika

সুবর্ণ গ্রামে এক দিন

সুমন্ত গুপ্ত
সুবর্ণ গ্রামে এক দিন

প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণ গ্রাম। এখন যেটি সোনারগাঁ নামে বেশি পরিচিত। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর—প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ঈসা খাঁ সেখানেই করেছিলেন বাংলার রাজধানী। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরোনো অনেক ভবন রয়েছে, যেগুলো বাংলার বারোভূঁইয়াদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।

পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, মাঝখানে পানাম নগর। ফলে এটি একসময় ভীষণ ব্যস্ত নদীবন্দর ছিল। বিপুল ব্যবসা হতো বলে এই এলাকা ছিল সমৃদ্ধ। এখানে নদীপথে বিলেত থেকে আসত থানকাপড়, দেশ থেকে যেত মসলিন। ইংরেজরাও এখানে নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে বসে। প্রাচীন সেই নগরে এখন তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক বাড়িঘর।

শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টার পর আমরা রওনা দিলাম সেই ঐতিহাসিক পানাম নগরের দিকে। আমাদের গাড়ি চলছে নিজস্ব ছন্দে। বারবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি। ঘণ্টা পার হলো, অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। আরও কিছুক্ষণ পর অবশেষে মোগরাপাড়ায় এসে থামলাম। সেখান থেকে স্বল্প সময়ে পৌঁছে গেলাম পানাম সিটিতে।

গাড়ি থেকে নেমে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। মনে হলো, ভুল কোনো শতাব্দীতে ঢুকে পড়েছি। শুধু একটি দালান হলেও কথা ছিল। কিন্তু এ যেন চোখের সামনে পনোরা শতকের এক হারানো রাজ্য, চার শ বছরের পুরোনো পানাম নগর! আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম। পানাম নগরে ঢোকার মুখে কথা হলো কর্তব্যরত আনসার সদস্যের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই নগরের পুরোটাই খালবেষ্টিত। সেই খালের নাম পঙ্খীরাজ। খালটি পূর্ব দিকে মেনিখালী নদী হয়ে মেঘনায় এসে মিশেছে। ছিল বিশাল সুরক্ষিত গেট, যা সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যেত। এখনো সন্ধ্যার আগপর্যন্ত এই পুরোনো নগর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। আমরা পদব্রজে এগিয়ে যেতে থাকলাম।

panam-city_photo-by_Hasan-Raja-(4)

পানাম নগরে ঢুকেই চোখে পড়ল একটি সরু রাস্তার ধারে সারি সারি পুরোনো দালান। কোনোটা দোতলা, কোনোটা আবার একতলা। আমরা ভেতরে প্রবেশ করার একটু পরেই শুরু হলো মুষলধারে বর্ষণ। কোনো উপায় না পেয়ে একটি পুরোনো ভবনের নিচে অবস্থান নিলাম। এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বৃষ্টিস্নাত ভবনগুলো দেখতে আরও সুন্দর লাগছিল।

বৃষ্টি থামলে হাঁটতে থাকলাম সামনের দিকে। বাড়িগুলোর স্থাপত্য নিদর্শন দেখে বোঝা যায়, এখানে বণিক শ্রেণির লোকেরা বসবাস করতেন। বাড়িগুলোতে মোগল ও গ্রিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায় এবং প্রতিটি বাড়ির কারুকাজ স্বতন্ত্র। কারুকাজ, রঙের ব্যবহার ও নির্মাণকাজের দিক থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী কৌশলের প্রমাণ পাওয়া যায় এখানে। প্রায় প্রতিটি বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই লোহার তৈরি ব্রাকেট। জানালা হলো লোহার গ্রিলের এবং ঘরে বায়ু চলাচলের জন্য রয়েছে ভেন্টিলেটর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাড়িগুলোতে কাস্ট আয়রনের নিখুঁত কাজ রয়েছে এবং ইউরোপে ব্যবহৃত কাস্ট আয়রনের কাজের সঙ্গে এর অনেক মিল। এ ছাড়া মেঝেতে লাল, সাদা ও কালো মোজাইকের কারুকাজ বিদ্যমান। নগরের ভেতরে আবাসিক ভবন ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠ, গোসলখানা, নাচঘর, পান্থশালা, চিত্রশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবারকক্ষ, গুপ্তপথ, বিচারালয় এবং পুরোনো জাদুঘর।

ব্যবসায়ী আর জমিদারদের বসবাসের এই নগরের প্রতিটি দালান অপূর্ব কারুকার্যমণ্ডিত।

খুব খেয়াল করে দেখলাম, পানাম নগরকে চিরে দুই ভাগ করে চলে যাওয়া ৫ মিটার প্রশস্ত এবং ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে একতলা, দোতলা ও তিনতলা মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫২টি ভবন। সড়কের উত্তর পাশে আছে ৩১টি এবং দক্ষিণ পাশে আছে ২১টি ভবন। ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড ২০০৬ সালে পানাম নগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় স্থান দেয়। পদব্রজে রাস্তার দুই ধারের বাড়িগুলো দেখে

সন্তুষ্ট থাকতে চাইলাম না আমরা। স্থাপত্যগুলোর পেছন দিকটায় গিয়ে দেখি, চমৎকার বাতাসে জলাশয়ের ওপারে ফুল গাছগুলো মোহনীয় রূপ ধারণ করেছে। পরগাছায় ছেয়ে থাকা দেয়াল ও সিঁড়িতেও যেন আশ্চর্য সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছিল। প্রাচীনত্ব, এ যেন মায়ারই অন্য রূপ। এ রকম জায়গায় এলে মনটা যেন কেমন করে ওঠে। বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ দেখলে আপনা থেকে এগুলোর কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগে। এত নিখুঁত, এত সুন্দর কারুকাজ!

খুব জানতে ইচ্ছা করে, এই প্রাচীন নগরের মানুষেরা কীভাবে জীবন যাপন করতেন। জানতে ইচ্ছা করে, পানাম নগরের এত বাড়িতে বসবাসরত মানুষ একসঙ্গে কোথায় চলে গেল? সেটা হয়তো আর কখনোই জানা যাবে না। আফসোস থেকে যাবে দিনের পর দিন, শতাব্দীর পর শতাব্দী।

কীভাবে যাবেন

ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, বোরাক আর স্বদেশ পরিবহনে যাওয়া যায় সোনারগাঁ। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ২৫-৪৫ টাকা। নামবেন সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। ওখান থেকে রিকশায়, ভাড়া ১৫-২০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই শীতে ত্বক সুন্দর রাখবে যে ৫ সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়

ফিচার ডেস্ক 
আপেল ও দারুচিনির পানীয় দিনে দুবার পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ছবি: পেক্সেলস
আপেল ও দারুচিনির পানীয় দিনে দুবার পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ছবি: পেক্সেলস

শীতে কমবেশি সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি সারাতে পারলারে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর সময় যাঁদের হাতে নেই, তাঁরা কী করবেন?

হাহুতাশ না করে বারান্দায় বসে পানি পান করুন, সব ঠিক হয়ে যাবে। না না, মোটেও মশকরা করছি না। ভেষজ উপায়ে তৈরি এমন বেশ কয়েক রকম পানীয় রয়েছে, যা ত্বকের জন্য ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়ক। পাশাপাশি এসব পানীয় নিয়মিত পান করা গেলে ত্বকের বার্ধক্য বিলম্বিত করা সম্ভব। বিউটি ড্রিংকস বা সৌন্দর্যবর্ধক এসব পনীয়তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সংক্রমণ কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এখন কথা হচ্ছে, এই সৌন্দর্যবর্ধক পানীয় কী কী উপাদানে এবং কীভাবে তৈরি করা যায়?

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়। ছবি: পেক্সেলস
গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়। ছবি: পেক্সেলস

জবাকে প্রাকৃতিক বোটক্স বলা হয়। এতে রয়েছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। অন্যদিকে গোলাপের পাপড়ির ব্যথানাশক গুণ রয়েছে, যা ত্বকের জন্য সুফল বয়ে আনে।

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয় বানাতে হলে ২ কাপ পানিতে ১ চামচ শুকনো গোলাপের পাপড়ি ও ১ চামচ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে মিনিট দশেক ফোটাতে হবে। তারপর রঙিন এই পানীয় ছেঁকে কাপে ঢালতে হবে। এতে চাইলে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। শীতে এই পানীয় প্রতিদিন খেতে পারলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

হলুদ ও আদার টনিক

হলুদ যে ত্বকের জন্য জাদুকরি একটি উপাদান, তা কারও অজানা নয়। ত্বকে মাখার পাশাপাশি এই শীতে এই উপাদান দিয়ে পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। ২ কাপ পানিতে আধা চামচ কাঁচা হলুদবাটা, আধা চামচ আদাকুচি এবং কয়েকটি আস্ত গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে তাতে গুড় বা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। মিষ্টি মেশাতে না চাইলেও কোনো অসুবিধা নেই। এই চায়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। শীতে ত্বককে ভেতর ও বাহির—দুদিক থেকে ভালো রাখবে এই পানীয়।

শীতে ভেতর ও বাহির থেকে ত্বক ভালো রাখবে এই পানীয়। ছবি: পেক্সেলস
শীতে ভেতর ও বাহির থেকে ত্বক ভালো রাখবে এই পানীয়। ছবি: পেক্সেলস

আপেল ও দারুচিনির পানীয়

একটি হাঁড়িতে ২ কাপ পানিতে সবুজ আপেলের টুকরা, এক চা-চামচ আদাকুচি ও ছোট এক টুকরা দারুচিনি দিন। পানি ফুটে গেলে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ছেঁকে পানিটুকু পান করুন। দিনে দুবার এই পানীয় পান করলে ত্বক আগের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। শীতে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও।

ক্যামোমাইল ও মধুর পানীয়

প্রথমে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তাতে একটি ক্যামোমাইল টি-ব্যাগ এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে ঢেকে রাখুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। এরপর টি-ব্যাগ তুলে এই পানীয়তে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে এই পান করুন। যাঁদের চোখে-মুখে প্রায়ই ফোলা ভাব দেখা দেয়, তাঁদের জন্য এই পানীয় খুব উপকারী। আবার যাঁদের ত্বকে ব্রণ বা র‍্যাশের উপদ্রব রয়েছে, তাঁরা এই পানীয় পান করলে উপকার পেতে পারেন।

পুদিনা ও গ্রিন টির সবুজাভ পানীয়

গ্রিন টি যাঁরা রোজ পান করেন, তাঁদের জন্যও আছে সুখবর। রোজকার পানীয় পানেই যদি শীতে ত্বক ভালো থাকে, তাহলে মন্দ কি। এক কাপ পানিতে ১ চা-চামচ গ্রিন টি এবং ৪ থেকে ৫টি পুদিনাপাতা দিয়ে ৫ মিনিট ফোটাতে হবে। সকালের নাশতার পর এই পানীয় পান করতে পারেন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম এবং পেটের সমস্যা দূর হবে, তেমনি ত্বকও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের সতেজ ও আর্দ্র ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আংটিবদলের দিনে যে ধরনের পোশাক পরতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
বাগদান বা আংটিবদলের দিন শাড়ির পাশাপাশি আজকাল লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
বাগদান বা আংটিবদলের দিন শাড়ির পাশাপাশি আজকাল লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

বাগদান বা আংটিবদলের দিন সাধারণত শাড়ি পরতেই বেশি ভালোবাসেন নারীরা। তবে আজকাল অনেকে বাগদানের অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করেন কনভেনশন হলে। সেসব ক্ষেত্রে শাড়ি ছাড়া লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। এই বিশেষ দিনে নিজেকে অনন্য করে তুলতে সমকালীন ধাঁচের কোন কোন পোশাক পরতে পারেন, তা দেখে নিতে পারেন একনজরে।

লাল সিল্কের লেহেঙ্গা

বিয়ের যেকোনো আয়োজনেই লাল রঙের এক বিশেষ জায়গা আছে। লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। জমকালো এই পোশাকে একটা রাজকীয় ও ঝলমলে ভাব আনতে লেহেঙ্গার নিচে ক্যান ক্যান স্কার্ট ব্যবহার করলে আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। এই সাজ কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, বরং আত্মবিশ্বাসও বহুগুণে বাড়িয়ে এই বিশেষ দিনের জন্য নিখুঁত লুক তৈরি করবে।

লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। ছবি: পেক্সেলস
লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। ছবি: পেক্সেলস

এমারেল্ড গ্রিন লেহেঙ্গা

গাঢ় এমারেল্ড গ্রিন সিল্কের ওপর সূক্ষ্ম পুঁতির কাজ করা লেহেঙ্গা আপনার সাজে একটা রাজকীয় ভাব তৈরি করবে। এর জমকালো রং ও নিখুঁত কাজ জনসমাগমের মধ্যেও আপনাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখবে। কাপড়, রং ও কারুকাজ—তিনটির সমন্বয়ই এই লুকে আভিজাত্য ও বৈচিত্র্য এনে দেয়।

ব্লাশ সিল্ক এমব্রয়ডারি লেহেঙ্গা

বর্তমানে হালকা বা প্যাস্টেল রংগুলো দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মার্জিত একটা লুকের জন্য ব্লাশ সিল্ক এমব্রয়ডারি লেহেঙ্গা হতে পারে আংটিবদলের দিনের সেরা পছন্দ। খুব জমকালো না হলেও কনের স্বকীয় স্নিগ্ধতা ফুটিয়ে তোলার জন্য এর রং ও সূক্ষ্ম কারুকাজই যথেষ্ট। যাঁদের আংটিবদল দিনের বেলায় কিংবা যাঁরা এই দিনে ভিনটেজ থিমে সাজতে চান, তাঁরা এ ধরনের লেহেঙ্গা বেছে নিতে পারেন।

বিয়ের যেকোনো আয়োজনে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গা এখন দারুণ জনপ্রিয়। ছবি: পেক্সেলস
বিয়ের যেকোনো আয়োজনে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গা এখন দারুণ জনপ্রিয়। ছবি: পেক্সেলস

রিগ্যাল ব্লু ভেলভেট লেহেঙ্গা

শীতকালে রাতের জমকালো বাগদানের আয়োজনে সেরা লুকের জন্য রিগ্যাল ব্লু ভেলভেটের লেহেঙ্গা হবে একটি চমৎকার পছন্দ। লেহেঙ্গায় রিগ্যাল ব্লু ভেলভেটের ওপর বড় মোটিফের কাজ, সঙ্গে হাই-নেক চোলি আপনাকে অনন্য করে তুলবে।

আবায়া স্টাইল এমব্রয়ডারড স্যুট

বাগদানের জন্য যদি সালোয়ার স্যুটের কথা ভাবেন, তবে আবায়া স্টাইল এমব্রয়ডারি করা স্যুট বেছে নিতে পারেন। এই পোশাকে ফুল নকশার সূক্ষ্ম কাজের প্রাধান্য থাকায় একটা রাজকীয় ব্রাইডাল লুক দেয়। সঙ্গে পরা মানানসই ওড়না এই এথনিক পোশাকের আকর্ষণ ও আধুনিকতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

জরি ও পাথরের কাজের প্যাস্টেল সালোয়ার-কামিজ

যাঁরা বাগদানের জন্য সালোয়ার-কামিজ বেশি উপযুক্ত মনে করেন, তাঁরা জরি, ভারী পাথর ও এমব্রয়ডারি করা প্যাস্টেল রঙের সালোয়ার-কামিজ বেছে নিতে পারেন। এটি লেহেঙ্গার তুলনায় আরামদায়ক এবং আউটডোর রিসেপশনের জন্য বেশি উপযুক্ত। এর সঙ্গে কুন্দনের বা ভিনটেজ জুয়েলারি ব্যবহার করলে সাজে একটা ক্ল্যাসিক ভাব আসবে।

রাফল শাড়ি

যাঁরা শাড়ির স্টাইলে একটু নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য খুঁজছেন, রাফল শাড়ি তাঁদের জন্য উপযুক্ত পছন্দ হবে। এটি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক একটা টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়াতে পরাও সহজ। এই শাড়ির সঙ্গে সাজের জন্য স্লিক পনিটেল ও বড় স্টেটমেন্ট জুয়েলারি ব্যবহার করে একটা নজরকাড়া লুক তৈরি করা যায়।

রাফল শাড়ি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়ায় এটি পরা সহজ। ছবি: পেক্সেলস
রাফল শাড়ি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়ায় এটি পরা সহজ। ছবি: পেক্সেলস

কেপ-ব্লাউসসহ শাড়ি

এটি শাড়ি ও পশ্চিমা পোশাকের একটি চমৎকার কম্বিনেশন। এই সাজে শাড়ির সঙ্গে একটি কেপ স্টাইলের ব্লাউজ বা কেপ-টপ যোগ করা হয়। এটি গতানুগতিক সাজ থেকে ভিন্নধারার হওয়ায় সহজে সবার নজর কাড়ে এবং আধুনিক রুচির প্রকাশ ঘটায়।

টিউল স্কার্ট ও পেপলাম ব্লাউজ

যাঁরা রূপকথার রাজকন্যাদের মতো ফ্যান্টাসি লুকে নিজেদের দেখতে চান, তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত। টিউল স্কার্ট ও ভারী এমব্রয়ডারি করা পেপলাম ব্লাউজ আধুনিকতার সঙ্গে মার্জিত রুচির পরিচয় বহন করে।

রয়্যাল-ব্লু স্পার্কলিং বল গাউন

যাঁরা একটা গ্র্যান্ড এন্ট্রি চান, তাঁদের জন্য এই অফ-শোল্ডার বল গাউন সেরা। এতে করা নিখুঁত পাথরের কারুকাজ ঝলমল করে, ফলে বউকে সত্যিকারের রাজকন্যার মতো লুক দেয়।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৭
আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

মেষ

আজ আপনার ভেতরের ‘বস’ ভাবটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। যেখানেই যাবেন, মনে হবে আপনার জন্যই রেড কার্পেট পাতা! আত্মবিশ্বাস আজ তুঙ্গে, ঠিক যেন অফিস থেকে ‘গোল্ড মেডেল’ নিয়ে ফিরছেন। কিন্তু সাবধান! অতি আত্মবিশ্বাসের বশে পুরোনো পাওনাদারকে দেখে ‘ভাই, চা-টা খাওয়াই’ বলে ডেকে বসতে পারেন। বিকেলের দিকে উৎসাহ চরমে, ঠিক যেন টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনী হাসি! প্রেম জীবনে, সঙ্গী আপনার সব কৌতুক না-ও বুঝতে পারে। একটু ধৈর্য ধরুন, আপনার রসিকতার গভীরতা মাপার জন্য বেচারা এখনো গুগল করছে। বসের কাছে বেতন বাড়ানোর আবদার আজ করতে যাবেন না। ‘আত্মবিশ্বাস’ আর ‘নিছক পাগলামি’র মধ্যে সূক্ষ্ম ভেদরেখা থাকে।

বৃষ

আজ আপনার ‘অক্ষয় কোম্পানির স্যান্ডেল মার্কা’ ধৈর্য বজায় থাকবে। কেউ এসে কফি কাপে ভুল করে লঙ্কা গুঁড়া দিলেও আপনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন, ‘যাক, ঝাল কফিটাও চেখে দেখা হলো, নতুন অভিজ্ঞতা!’ আর্থিক দিক দিয়ে আজ আপনার ওয়ালেটে অপ্রত্যাশিত ‘অর্থযোগ’ হতে পারে। হয়তো প্যান্টের পকেট থেকে পুরোনো ৫০০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন, যা আপনি গত শীতকালে রেখেছিলেন। অফিসের বসের ‘আজব আইডিয়া’ নিয়ে আপত্তি করবেন না, শুধু মাথা নেড়ে যান। দিনের শেষে বাড়িতে বিরিয়ানি রান্না হলে আপনার সব রাগ কর্পূরের মতো উবে যাবে, শান্তি খুঁজে পাবেন ডিশের তলায়। আজ অতিরিক্ত খাবার দেখলে ‘না’ বলুন, নয়তো পরে আফসোস করবেন।

মিথুন

মাথায় আজ একসঙ্গে তিনটি চ্যানেল চলবে—‘কী বলবেন’, ‘কী খাবেন’, আর ‘কাকে মেসেজ করবেন’। এই নিয়েই সকাল শেষ! তাই আজ গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল পাঠানোর আগে প্লিজ দুবার চেক করুন। ভুল করে বসের কাছে ‘মিষ্টি প্রেমের কবিতা’ পাঠিয়ে দিলে কিন্তু আমাদের দোষ নেই! প্রেমের ক্ষেত্রে আপনি এক মিনিটে রোমিও, পরের মিনিটেই দার্শনিক। সঙ্গী আপনার এই ‘মাল্টি-টাস্কিং’ ব্যক্তিত্ব দেখে হাসবে না কাঁদবে, সেটা বুঝে উঠতে পারবে না। সন্ধ্যায় ফোনে অচেনা নম্বর থেকে একটি ‘দারুণ অফার’ আসতে পারে। ইগনোর করুন, ওটা স্রেফ নেটওয়ার্ক কোম্পানির মার্কেটিং ফাঁদ। আজকের দিনে চুপ করে থাকাটা আপনার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করুন!

কর্কট

সকাল থেকে মনটা ‘শ্রাবণের রাতের’ মতো মেঘলা থাকতে পারে। সামান্য কারণে অভিমান করবেন, আর সেটা নিয়ে একটা ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগবে। নিজেকে সামলান! আজ ঘরোয়া জীবন আপনাকে ‘অ্যাংকর’ দেবে। বাড়িতে পুরোনো অ্যালবাম দেখতে গিয়ে এমন এক ছবি পাবেন, যা দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবেন। সাবধান অফিসের মিটিংয়ে হঠাৎ কেঁদে ফেললে সবাই কিন্তু আপনাকে ‘ওভার সেনসিটিভ’ তকমা দেবে। দিনের শেষে ‘প্রিয়জনের বাড়তি যত্ন’ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে—শুধু আবদারটা ঠিকভাবে করতে হবে। মন খারাপের দিনে প্রিয় ‘কমফোর্ট ফুড’ অর্ডার দিন, গ্রহের দোষ কেটে যাবে।

সিংহ

ওহ, সিংহাসন থেকে নেমে আসুন! আজ দিনটা আপনার, কিন্তু একটু বিনয়ী হন। সারা দিন মনে হবে, পৃথিবীর সমস্ত লাইমলাইট শুধু আপনার ওপরেই পড়ুক! কিন্তু অফিসে সামান্য দেরি হওয়ায় বস আপনাকে ‘হিরোগিরি’ ছেড়ে কাজে মন দিতে বলতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে নাটক একটু কম করুন। সঙ্গী যদি আপনার জন্য ‘হীরার আংটি’ না এনে ‘একটা শিঙাড়া’ আনে, তাতেও খুশি থাকার ভান করুন—অন্তত আজকের জন্য। সন্ধ্যা নাগাদ কোনো ‘বড়লোক আত্মীয়’ অপ্রত্যাশিত নিমন্ত্রণ করতে পারে। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না, পেট ভরে খেয়ে আসুন! আয়নায় নিজেকে একবার দেখেই আজ বাইরে যান, নয়তো মনমতো প্রশংসা না পেলে মেজাজ খারাপ হবে।

কন্যা

আজ সবকিছুর খুঁত ধরবেন—বাড়িওয়ালার রঙের শেড থেকে শুরু করে সঙ্গীর জামার ভাঁজ পর্যন্ত। এই ‘পারফেকশনিস্ট’ স্বভাব আজ অফিস কলিগদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। যোগ এবং ধ্যান দিয়ে দিন শুরু করার পরামর্শ আছে, নয়তো দিনের শেষে নিজেই মানসিক চাপে কাবু হয়ে যাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি বিশ্লেষণ করতে যাবেন না। সঙ্গী আপনাকে ‘ভালোবাসি’ বললে তার ব্যাকরণগত ভুল ধরবেন না, প্লিজ। সন্ধ্যায় হঠাৎ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার প্ল্যান আসতে পারে, সেখানে গিয়ে শুধু নিজের স্বাস্থ্য-ডায়েট নিয়ে জ্ঞান দেবেন না, সবাই বিরক্ত হবে! আজ ডাস্টবিনের ভেতরেও ভুল খুঁজে পাবেন, তাই চোখ বন্ধ করে কাজ করুন।

তুলা

আজ শান্তি স্থাপন করতে করতে নিজেই শান্তি লাভ করবেন। বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া মেটাতে গিয়ে নিজেই কখন মধ্যস্থতাকারী থেকে ‘সাইড কিক’ হয়ে যাবেন, বুঝতে পারবেন না! সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ নাজেহাল। লাঞ্চে ভাত খাবেন, নাকি রুটি—এই নিয়ে ঘণ্টাখানেক চিন্তা করতে পারেন। বুদ্ধিমানের কাজ হবে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে নেওয়া। প্রেমের জীবন আজ বেশ মসৃণ, কিন্তু সাবধান! বেশি রোমান্টিক হতে গিয়ে সঙ্গীর জন্য এমন উপহার কিনবেন না, যেটা তার কোনো কাজেই লাগবে না, যেমন একটি পুরোনো দিনের টাইপরাইটার। অন্যের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে নিজের জীবনটা গুলিয়ে ফেলবেন না।

বৃশ্চিক

ভেতরের ‘ডিটেকটিভ’ আজ পুরোপুরি জাগ্রত। সব ঘটনাপ্রবাহকে আজ যুক্তির শিকলে বাঁধতে চাইবেন। কিন্তু ভুলে যাবেন না, সব সমস্যার সমাধান গুগল ম্যাপে পাওয়া যায় না। তাড়াহুড়ো আজ এড়িয়ে চলুন, নয়তো কফিতে লবণ দিয়ে খাওয়ার মতো ভুল হতে পারে। আর্থিক দিক শক্তিশালী থাকবে, কিন্তু কেউ এসে যদি ব্যবসার জন্য ক্রেডিট চায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে না বলুন। অপ্রত্যাশিত অতিথির আগমন হতে পারে সন্ধ্যায়, যারা এসে আপনার টিভির রিমোট নিয়ে মারামারি শুরু করতে পারে। শান্ত থাকুন! আপনার ক্ষিপ্রতা আজ বসের ওপর না ঝেড়ে, কোনো রহস্য উপন্যাস পড়ে শান্ত হন। আজ সামান্য বিষয়ে সন্দেহ করবেন না, নয়তো সঙ্গী হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবে।

ধনু

আজ আপনার মন একেবারে ‘আহা, কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে’ মোডে থাকবে। এক বিন্দু দুঃখ আজ আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কারণ, আপনি আজ দুনিয়ার সব নেতিবাচকতাকে ইগনোর করবেন। অফিসে বসের বকবকানিও আপনার কাছে মিষ্টি উপদেশ মনে হবে! ভ্রমণের সম্ভাবনা আছে, হয়তো বাজার পর্যন্তই। প্রেমের সম্পর্কে আজ নতুন কিছু আবিষ্কার করবেন, যেমন সঙ্গী আসলে লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার চিপস খায়! ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাইরে যেতে পারেন, সেখানে গিয়ে আপনার দার্শনিক কথা দিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করবেন না যেন! আজ আপনার অ্যাডভেঞ্চারের ইচ্ছা, ফ্রিজের শেষ চকলেটটা খেতে উৎসাহ দেবে। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে সামান্য অপ্রস্তুত করতে পারে, তাই বাস্তবে থাকুন।

মকর

আপনি আজ ‘কাজের প্রতি আসক্তি’ নামক এক রোগ নিয়ে ভুগবেন। কাজ করার ইচ্ছা একেবারেই হারিয়ে ফেললেও নিজের ওপর জোর করে টাস্ক লিস্ট তৈরি করবেন। এটি আপনাকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে না, বরং মানসিক চাপ বাড়াবে। ঝগড়াটে ব্যবহার আজ নিয়ন্ত্রণের অধীনে রাখুন, নয়তো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলো ছিঁড়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আজ লাভজনক হতে পারে, তবে শেয়ার বাজারে টাকা ঢালবেন না। সন্ধ্যায় একজন অফিস সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হতে পারে, যাকে আপনি এক মিনিটও দেখতে চান না। এই সময় নষ্ট নিয়ে রাতে আফসোস করবেন। কাজ থেকে বিরতি নিন এবং পাঁচ মিনিট মন খুলে হাসুন। পৃথিবীর সব কাজ আপনার একার নয়।

কুম্ভ

আপনার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি আজ আপনাকে সবার থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অফিসের মিটিংয়ে এমন একটি দার্শনিক প্রশ্ন করবেন, যা শুনে অন্যরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সময় এত বুদ্ধিমান হওয়া ভালো নয়। আপনার অভদ্র আচরণ (যা আপনি সরলতা মনে করেন) জীবনসঙ্গীর মেজাজ খারাপ করতে পারে। তাকে বুঝতে দিন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন, কিন্তু তার আগে তার পছন্দের খাবারটা রান্না করুন। নিজের দামি কোনো জিনিস আজ কাউকে দিয়ে দিতে হতে পারে—যদি সেটা হয় আপনার পুরোনো কম্পিউটার গেমের সিডি, তবে কোনো সমস্যা নেই! আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক এড়িয়ে চলুন; আপনার যুক্তি কেউ বুঝতে পারবে না।

মীন

আজ আপনার মন সাদা মেঘের ভেলার মতো ভেসে বেড়াবে। খুবই বেশি আনন্দ করতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু এই অতিরিক্ত আনন্দ আজ কিছু সমস্যা ডেকে আনতে পারে; যেমন খুশি হয়ে ভুলে যেতে পারেন যে আপনার অ্যাকাউন্টে আসলে টাকা নেই! একটু-আধটু শরীরচর্চা দিয়ে দিন শুরু করুন, তবে ট্রেডমিলে ঘুমিয়ে পড়বেন না যেন! কল্পনাশক্তির প্রভাবে আপনি পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার মেসেজকে ভবিষ্যতের বার্তা বলে মনে করতে পারেন। শান্ত হোন, ওটা স্রেফ একটা অপ্রয়োজনীয় ফরোয়ার্ড মেসেজ। ‘অন্তর্জ্ঞান’ আজ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে, তাই বাস্তববাদী থাকুন! দিনের বেলায় অন্তত একবার ঘুম থেকে উঠুন এবং বাস্তব পৃথিবীতে ফিরে আসুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিসেম্বরে বিকেলের নাশতায় যে সালাদ রাখতে পারেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
মৌসুমি ফল ও সবজিতে তৈরি সালাদ। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
মৌসুমি ফল ও সবজিতে তৈরি সালাদ। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

ডিসেম্বরের হিম হিম বিকেলে চকলেট চিপস দেওয়া কুকিতে কামড়ের পর কড়া কফিতে চুমুক দিতে মন চাইতেই পারে। তবে মৌসুমি রোগবালাইকে শরীরে বাসা বাঁধতে দিতে না চাইলে স্ন্যাকসটা স্বাস্থ্যকর নিচ্ছেন কি না, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই। শীতে বাজারে বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজি পাওয়া যায়। সেগুলোর সংমিশ্রণেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার সালাদ। আপনাদের জন্য শীতের উপাদেয় একটি সালাদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

আনারস ১টি, পেয়ারা ১টি, শাকালু ২টি, গাজর ১টি, কাঁচা কলা ১টি, পাকা তেঁতুল ২টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, ভাজা শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, পুদিনাপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি

আনারস, শাকালু, গাজর, কাঁচা কলা খোসা ফেলে ছোট টুকরো করে নিন। খোসাসহ পেয়ারা (বিচি ফেলে) একই নিয়মে কেটে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শীতের বিকেলে খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর সালাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত