মনজুরুল ইসলাম, সৌদি আরব থেকে ফিরে
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট বা কেএএফডি। এটি একটি উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প, যা ব্যবসা, প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ এবং আধুনিক জীবনযাত্রার এক অনন্য মিশ্রণ।
ভিশন ২০৩০-এর প্রতিফলন
এটি নিছক একটি ব্যবসায়িক জোন নয়। বরং সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। সৌদি সরকার অর্থনীতির বহুমুখীকরণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তার বাস্তব প্রতিফলন এই কেএএফডি প্রকল্পে দৃশ্যমান।
স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণ বৈচিত্র্য
প্রায় ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ৯৫টি অত্যাধুনিক ভবন। বিশ্বের ২৫ জনেরও বেশি বিখ্যাত স্থপতির নকশায় নির্মিত এসব টাওয়ার রিয়াদের আকাশরেখাকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। পুরো প্রকল্পটিই এলইইডি প্ল্যাটিনাম সনদ অর্জন করেছে। এ অর্জন কেএএফডিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশবান্ধব মিশ্র-ব্যবহারের আর্থিক জেলা হিসেবে জায়গা করে দিয়েছে।
ওয়াদি: মরুভূমির ছোঁয়ায় শীতল পরশ
কেএএফডি এর অন্যতম নান্দনিক উপাদান হচ্ছে ওয়াদি। মরুভূমির প্রাকৃতিক উপত্যকা দিয়ে অনুপ্রাণিত এই খোলা জায়গাটি রাস্তার স্তর থেকে ৫ দশমিক ৫ মিটার নিচে অবস্থিত। এখানকার খোলা পরিবেশ, শীতল বাতাস ও উন্মুক্ত জায়গা এলাকাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
পিআইএফ টাওয়ার: সৌন্দর্যের চূড়ান্ত প্রকাশ
প্রকল্পটির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে ৩৮৫ মিটার উঁচু পিআইএফ টাওয়ার, যা সৌদির মরু স্ফটিক দ্বারা অনুপ্রাণিত। ৮০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে রয়েছে অত্যাধুনিক অফিস স্পেস, সম্মেলনকক্ষ, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
গ্র্যান্ড মসজিদ: নির্মাণশৈলীর এক বিস্ময়
কেএএফডি–তে নির্মিত গ্র্যান্ড মসজিদ স্থাপত্য জগতের এক বিস্ময়। আরব উপদ্বীপের মরু গোলাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর নকশা করা হয়েছে। এতে কোনো স্তম্ভ নেই। গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ওমরানিয়া।
পিআইএফ মেট্রো স্টেশন: রিয়াদের ভবিষ্যৎ যোগাযোগ কেন্দ্র
বিশ্বখ্যাত স্থপতি জাহা হাদিদের নকশা করা পিআইএফ মেট্রো স্টেশন সৌদি আরবের আধুনিক যোগাযোগ হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটি ৪৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে ছয়টি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রিয়াদ শহরের ব্লু, ইয়েলো এবং পার্পল লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।
পরিকল্পনা ও মালিকানা
কেএএফডি এর উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে কেএএফডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বা ডিএমসি। এটি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কেএএফডি শুধু একটি ব্যবসায়িক এলাকা নয়, এটি নতুন জীবনধারার প্রতীক। এটি সৌদি আরবকে অর্থনৈতিকভাবে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এটিকে ‘ওয়ান-স্টপ বিজনেস হাব’ হিসেবে গড়ে তুলেছে সৌদি আরব।
সার্বিকভাবে, কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংস্কার ও নগর উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রিয়াদ এখন কেবল রাজপ্রাসাদ আর তেল-ভিত্তিক অর্থনীতির শহর নয় বরং এটি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই ভবিষ্যতের নাম কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট বা কেএএফডি। এটি একটি উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প, যা ব্যবসা, প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ এবং আধুনিক জীবনযাত্রার এক অনন্য মিশ্রণ।
ভিশন ২০৩০-এর প্রতিফলন
এটি নিছক একটি ব্যবসায়িক জোন নয়। বরং সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। সৌদি সরকার অর্থনীতির বহুমুখীকরণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তার বাস্তব প্রতিফলন এই কেএএফডি প্রকল্পে দৃশ্যমান।
স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণ বৈচিত্র্য
প্রায় ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ৯৫টি অত্যাধুনিক ভবন। বিশ্বের ২৫ জনেরও বেশি বিখ্যাত স্থপতির নকশায় নির্মিত এসব টাওয়ার রিয়াদের আকাশরেখাকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। পুরো প্রকল্পটিই এলইইডি প্ল্যাটিনাম সনদ অর্জন করেছে। এ অর্জন কেএএফডিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবেশবান্ধব মিশ্র-ব্যবহারের আর্থিক জেলা হিসেবে জায়গা করে দিয়েছে।
ওয়াদি: মরুভূমির ছোঁয়ায় শীতল পরশ
কেএএফডি এর অন্যতম নান্দনিক উপাদান হচ্ছে ওয়াদি। মরুভূমির প্রাকৃতিক উপত্যকা দিয়ে অনুপ্রাণিত এই খোলা জায়গাটি রাস্তার স্তর থেকে ৫ দশমিক ৫ মিটার নিচে অবস্থিত। এখানকার খোলা পরিবেশ, শীতল বাতাস ও উন্মুক্ত জায়গা এলাকাটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
পিআইএফ টাওয়ার: সৌন্দর্যের চূড়ান্ত প্রকাশ
প্রকল্পটির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে ৩৮৫ মিটার উঁচু পিআইএফ টাওয়ার, যা সৌদির মরু স্ফটিক দ্বারা অনুপ্রাণিত। ৮০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে রয়েছে অত্যাধুনিক অফিস স্পেস, সম্মেলনকক্ষ, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
গ্র্যান্ড মসজিদ: নির্মাণশৈলীর এক বিস্ময়
কেএএফডি–তে নির্মিত গ্র্যান্ড মসজিদ স্থাপত্য জগতের এক বিস্ময়। আরব উপদ্বীপের মরু গোলাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর নকশা করা হয়েছে। এতে কোনো স্তম্ভ নেই। গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ওমরানিয়া।
পিআইএফ মেট্রো স্টেশন: রিয়াদের ভবিষ্যৎ যোগাযোগ কেন্দ্র
বিশ্বখ্যাত স্থপতি জাহা হাদিদের নকশা করা পিআইএফ মেট্রো স্টেশন সৌদি আরবের আধুনিক যোগাযোগ হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটি ৪৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে ছয়টি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রিয়াদ শহরের ব্লু, ইয়েলো এবং পার্পল লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।
পরিকল্পনা ও মালিকানা
কেএএফডি এর উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে কেএএফডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বা ডিএমসি। এটি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কেএএফডি শুধু একটি ব্যবসায়িক এলাকা নয়, এটি নতুন জীবনধারার প্রতীক। এটি সৌদি আরবকে অর্থনৈতিকভাবে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এটিকে ‘ওয়ান-স্টপ বিজনেস হাব’ হিসেবে গড়ে তুলেছে সৌদি আরব।
সার্বিকভাবে, কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংস্কার ও নগর উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রিয়াদ এখন কেবল রাজপ্রাসাদ আর তেল-ভিত্তিক অর্থনীতির শহর নয় বরং এটি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই ভবিষ্যতের নাম কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট।
বিদেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে প্রাথমিক ধাপে, অর্থাৎ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস প্রক্রিয়ায় অনেককে ছোটখাটো ভুলের কারণে বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এগুলোর মধ্যে সাধারণ বিষয় হলো অ্যারাইভাল কার্ড ও কাস্টমস ডিক্লারেশন ফরম।
১ দিন আগেবুধবার ভারতীয় সময় রাত এগারোটা নাগাদ কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন উপস্থিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি পরেছিলেন একটি আইভরিরঙা বেনারসি শাড়ি। সঙ্গে লাল চুনির কয়েক ছড়া মালা আর খোলা চুলে মাঝামাঝি সিঁথি কেটে পরেছিলেন চওড়া সিঁদুর। এতখানি চওড়া সিঁদুরে কি এর আগে কানে উপস্থিত ছিলেন ঐশ্বরিয়া?
১ দিন আগেমানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবসময়ই অবহেলার শিকার হয়ে থাকে, সে হোক নারীর বা পুরুষের। তবে মনের কথা প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বরাবরই পিছিয়ে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও বলছে, ২০২৫ সালে এসে যখন ‘মেন্টাল হেলথ’ গুরুত্ব পাওয়া শুরু করেছে সে সময়ও নারীদের তুলনায় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার...
১ দিন আগেসকাল থেকে ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। ঘুম থেকে উঠে জানালার আধখানি খুলে দিতেই দলবল নিয়ে বৃষ্টিভেজা হাওয়া ঢুকে পড়ল অন্দরমহলে। উফ্! বিছানা কি ছাড়তেই হবে আজ? আরেকটু গড়িয়ে নিলে মন্দ হতো না। তবে মেট্রো লাইফে এইসব খুচরো ইচ্ছেকে অনেকটা বালিশের নিচে গুঁজে দিয়েই বেরিয়ে পড়তে হয় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে।
১ দিন আগে