Ajker Patrika

বিমান ভ্রমণের অদৃশ্য বাধা ‘নো ফ্লাই লিস্ট’ কী

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪৪
‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ যাঁর নাম থাকে, তিনি বিমান ভ্রমণের অধিকার হারান। ছবি: পেক্সেলস
‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ যাঁর নাম থাকে, তিনি বিমান ভ্রমণের অধিকার হারান। ছবি: পেক্সেলস

আপনি কি রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও জ্যাক গ্যালিফিনাকিস অভিনীত কমেডি সিনেমা ‘ডিউ ডেট’ দেখেছেন? দেখে থাকলে হয়তো ‘নো ফ্লাই লিস্ট’ বা বিমান নিষিদ্ধ তালিকার ধারণাটির সঙ্গে আপনি পরিচিত। আর যদি না দেখে থাকেন, তবে জানিয়ে রাখি, সিনেমাটিতে ভুলবশত ‘বোমা’ বা ‘সন্ত্রাসী’র মতো শব্দ ব্যবহার করেছিল দুটি চরিত্র। আর এ ধরনের ‘ট্রিগার শব্দ’ ব্যবহার করার কারণে তাদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। অতঃপর তাদের দেশজুড়ে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। সিনেমাটি হাস্যকর হলেও বাস্তবে ‘নো ফ্লাই লিস্ট’ বলে একটা বিষয় কিন্তু আছে। আর বাস্তবে তা মোটেও কোনো রসিকতার বিষয় নয়।

মূলত ‘নো ফ্লাই লিস্ট’ হলো একটি গোপনীয় সরকারি তালিকা, যেখানে এমন ব্যক্তিদের নাম থাকে, যাঁদের বাণিজ্যিক বিমানে ভ্রমণ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সহজ ভাষায়, এই তালিকায় যাঁর নাম থাকে, তিনি বিমান ভ্রমণের অধিকার হারান। মার্কিন নাগরিকদের কিছু অলঙ্ঘনীয় মানবিক অধিকার থাকলেও বিমানে ওড়ার অধিকার তার মধ্যে পড়ে না। আপনি যদি এমন কিছু করেন, যা ফেডারেল সরকার বা বিমান সংস্থাগুলো যথেষ্ট খারাপ বলে মনে করে, তবে ফ্লাইটে মাঝের সিটে বসার অধিকার হারাতে হতে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশ্বের প্রায় সব বড় বিমান সংস্থারই তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ‘নো ফ্লাই’ বা ‘রিফিউজ টু ক্যারি’ তালিকা থাকে।

সরকারের গোপন তালিকা ফেডারেল ‘নো ফ্লাই লিস্ট’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো সেই দেশ, যেখানে নিরাপত্তার কারণে সবচেয়ে কড়া ও সুপরিচিত ‘নো ফ্লাই লিস্ট’ কার্যকর রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অফিশিয়াল নো ফ্লাই লিস্ট হলো একটি ব্যক্তিগত তালিকা, যা এফবিআইয়ের একটি বিভাগ থ্রেট স্ক্রিনিং সেন্টার তৈরি করে এবং নিয়মিত হালনাগাদ করে। এই নো ফ্লাই লিস্ট আসলে আরও বৃহত্তর সন্ত্রাসী নজরদারি তালিকার একটি অংশ। এফবিআই জানিয়েছে, এ তালিকার প্রায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হলো মার্কিন নাগরিক। বিশ্বের যেকোনো দেশের নাগরিক এ তালিকায় স্থান পেতে পারেন।

যিনি এ তালিকায় থাকেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসা বা যাওয়া বাণিজ্যিক বিমানে উড়তে পারবেন না। এমনকি তিনি বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়েও উড়তে পারবেন না। তবে ধনী যাত্রীরা প্রায়ই প্রাইভেট জেট ব্যবহার করে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যান। কারণ, এই জেটগুলো টিএসএর স্ক্রিনিং আওতাধীন নয়।

যা করলে ফেডারেল নো ফ্লাই লিস্টে নাম ওঠে

এ তালিকায় নাম ওঠার কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রধান কারণ বিমানের নিরাপত্তা হুমকি। বিমান, কোনো বিমান সংস্থা, যাত্রী বা বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সন্ত্রাসবাদের কাজ বলে বিবেচিত হতে পারে—এমন কোনো হুমকি থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এ লিস্ট করা হয়। অন্যটি সন্ত্রাসবাদের হুমকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা বিদেশে মার্কিন সরকারি স্থাপনা যেমন দূতাবাস, কনস্যুলেট, সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কাজ করার হুমকি থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।

উচ্ছৃঙ্খল আচরণই বিমান সংস্থার নো ফ্লাই লিস্টে নাম আসার প্রধান কারণ। ছবি: পেক্সেলস
উচ্ছৃঙ্খল আচরণই বিমান সংস্থার নো ফ্লাই লিস্টে নাম আসার প্রধান কারণ। ছবি: পেক্সেলস

কীভাবে জানবেন, আপনি তালিকায় আছেন

ফেডারেল নো ফ্লাই লিস্টটি গোপনীয়। কারণ, এটি প্রকাশ্যে এলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এর সুবিধা নিতে পারে। সাধারণত, আপনি তালিকাভুক্ত হয়েছেন কি না, তা জানার একমাত্র উপায় হলো টিকিট কেনার পর বিমান সংস্থা থেকে বোর্ডিং নম্বর পাস না পাওয়া। যদি আপনি মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হন, তাহলে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে একটি চিঠি পেতে পারেন। যদিও তাতে কেন আপনি তালিকাভুক্ত হয়েছেন, তা সব সময় ব্যাখ্যা করা হয় না। চিঠিতে আপিল করার একটি সুযোগ থাকে।

বিমান সংস্থাগুলোর নিজস্ব ‘নো ফ্লাই লিস্ট’

ফেডারেল তালিকার পাশাপাশি বিমান সংস্থাগুলোও তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তালিকা তৈরি করে। যাতে যাত্রীদের ভবিষ্যতে ওড়া থেকে নিষিদ্ধ করার অধিকার দেওয়া থাকে। ডেল্টার মতো বেশির ভাগ প্রধান বিমান সংস্থাই টিএসএ/হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পরিচালিত তালিকা থেকে আলাদা একটি অভ্যন্তরীণ নো ফ্লাই লিস্ট বজায় রাখে। এই অভ্যন্তরীণ তালিকায় থাকা যাত্রীদের ‘উচ্ছৃঙ্খল যাত্রী’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, ২০২৪ সালে ২ হাজার ১০২টি উচ্ছৃঙ্খল যাত্রীর রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়েছে। তবে প্রতিদিন প্রায় ২৯ লাখ যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। আর এই উচ্ছৃঙ্খল যাত্রীর সংখ্যা ভ্রমণকারীর তুলনায় সামান্য। একটি বিমান সংস্থার নো ফ্লাই লিস্টে থাকা মানেই অন্য কোনো বিমান সংস্থার তালিকায় থাকা নয়, কারণ, তারা সাধারণত এ তথ্য আদান-প্রদান করে না।

উচ্ছৃঙ্খল আচরণই বিমান সংস্থার নো ফ্লাই লিস্টে নাম আসার প্রধান কারণ। এমন সহিংস আচরণ বা হুমকি দেওয়া, যা বিমানকর্মীদের তাঁদের কাজ করতে বাধা দেয় এবং অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে—এমন আচরণকেই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে বিমান সংস্থা আপনার আচরণ এফএএর কাছে রিপোর্ট করতে পারে, যারা প্রতি লঙ্ঘনের জন্য ৩৭ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে। এমনকি এফএএ আপনার মামলা এফবিআইয়ের কাছেও পাঠাতে পারে। যার ফলে ফৌজদারি বিচার ও কারাদণ্ডও হতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিনিং মানেই নো ফ্লাই লিস্টে নাম আছে, এমন নয় । ছবি: পেক্সেলস
অতিরিক্ত স্ক্রিনিং মানেই নো ফ্লাই লিস্টে নাম আছে, এমন নয় । ছবি: পেক্সেলস

জানবেন যেভাবে: কিছু যাত্রী সঙ্গে সঙ্গে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর কাগজপত্র পেতে পারেন। অন্যরা বিমান সংস্থা থেকে ই-মেইল পেতে পারেন।

অতিরিক্ত স্ক্রিনিং কি নিষেধাজ্ঞার লক্ষণ

আপনার বোর্ডিং পাসে যদি এসএসএসএস অর্থাৎ সেকেন্ডারি সিকিউরিটি স্ক্রিনিং সিলেকশন দেখায় বা আপনার অতিরিক্ত স্ক্রিনিং করা হয়, এর মানে এই নয় যে আপনি কোনো নো ফ্লাই লিস্টে আছেন। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তথ্য অনুসারে, এই বিলম্ব প্রায়ই নজরদারি তালিকায় থাকা অন্য কোনো ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে ঘটে।

এমন হলে কী করতে পারেন

যদি আপনার সঙ্গে এমনটা ঘটে, সে ক্ষেত্রে আপনি রেড্রেস নম্বরের জন্য আপিল করতে পারেন। এটি হলো একটি সাত সংখ্যার কেস নম্বর, যা আপনি ফ্লাইট বুক করার সময় ইনপুট করতে পারেন। এই নম্বর ব্যবহার করে বিমান সংস্থা এবং টিএসএ দেখতে পারে যে আপনি আসলে নজরদারি তালিকায় নেই, কেবল নামের মিলের কারণে এই ভুল হয়েছে। ডিএইচএসের তথ্যমতে, রেড্রেসের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের ৯৮ শতাংশের সঙ্গে সন্ত্রাসী নজরদারি তালিকার কোনো সম্পর্ক নেই।

সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাঁচ তারকা হোটেলগুলোর আয়ের উৎস বেড়েছে

ফিচার ডেস্ক
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।

সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।

ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ

ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।

সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট

বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া

শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস

হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।

সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ

অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।

পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভ্রমণে এক ব্যাগে সবকিছু রাখলে বিপদ হতে পারে, দেখে নিন কী করবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী। ছবি: ফ্রিপিক
সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী। ছবি: ফ্রিপিক

ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র স্যুটকেসটি হারিয়ে গেলে ভ্রমণ আনন্দের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।

কেন আলাদা ব্যাগে জিনিস রাখা জরুরি

যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর শাটল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিএস শফার্স ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে, কাপড়, ওষুধ, চার্জারসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জরুরি জিনিসগুলো একটি ব্যাগে না রেখে ছোট ব্যাগ বা একাধিক স্যুটকেসে ভাগ করে রাখা উচিত। এতে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হ্যাডলি ডায়মন্ড বলেন, ‘সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক স্যুটকেসে গুছিয়ে রাখলে সেটি হারালে ভ্রমণকারীরা একসঙ্গে সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন; বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ কিংবা সময়সূচিনির্ভর কোনো সফরে গেলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ব্যাগে ভাগ করে রাখলে যাত্রাপথে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভ্রমণকারীরা নিজেদের পরিকল্পনা সহজে সামাল দিতে পারেন।’

কীভাবে প্যাক করবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা উচিত। এরপর সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে কিছু জিনিস চেকড ব্যাগেজে এবং কিছু ক্যারি-অন ব্যাগে রাখা নিরাপদ। পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্তত এক সেট কাপড় ক্যারিঅন ব্যাগে রাখলে লাগেজ দেরিতে পৌঁছানো বা হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেও ভ্রমণকারীরা সাময়িকভাবে সমস্যামুক্ত থাকতে পারেন। একই সঙ্গে অন্তর্বাস, চার্জিং ডিভাইসসহ ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ছোট ব্যাগে গুছিয়ে রাখলে লাগেজের ভেতর জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন রঙের প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে কাপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিস আলাদা করে রাখা যায়, যা সময় ও ঝামেলা কমায়। গন্তব্যে পৌঁছে এসব কিউব সরাসরি হোটেলের ড্রয়ারে রেখে দিলেই দ্রুত গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।

অতিরিক্ত জিনিস নেবেন না

যেসব জিনিস সঙ্গে নিতে ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য নয়, প্যাকিং শুরুর আগে সেগুলোর একটি আলাদা তালিকা করে নিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং লাগেজের ভারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি যাত্রার ঠিক আগে প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু জিনিসের জন্য একটি শেষ মুহূর্তের তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে।

অভিজ্ঞদের পরামর্শ

এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লরেন গিলফয়েল পরামর্শ দেন, ভ্রমণে এমন পোশাক নিন, যা সহজে মেলানো যায়। যেমন গাঢ় রঙের প্যান্ট, সাদা বা নিরপেক্ষ রঙের টি-শার্ট এবং একটি ডেনিম জ্যাকেট। এগুলো বারবার পরা যায় এবং লাগেজও কম হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ববি লরি বলেন, ‘কাপড় ভাঁজ না করে রোল করে রাখলে জায়গা বাঁচে, এমনকি সঠিকভাবে করলে কম কুঁচকায়।’

পরিষ্কার ও নোংরা কাপড় আলাদা রাখুন

ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কটস চিপ ফ্লাইট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ স্কট কিজ নোংরা কাপড়ের জন্য আলাদা ভাঁজযোগ্য ব্যাগ সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে পরিষ্কার কাপড় আলাদা থাকে এবং গুছিয়ে রাখা সহজ হয়।

লাগেজ হারালে খুঁজে পাওয়ার উপায়

লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পেতে স্যুটকেসে নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা স্টিকার বা নোট লাগিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ বা লাইফ৩৬০-এর টাইল-এর মতো ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করলে লাগেজের অবস্থান জানা সহজ হয়।

একটি স্যুটকেসে সবকিছু ভরে ফেলার চেয়ে জিনিসপত্র ভাগ করে রাখা ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত। এ পদ্ধতি সামান্য পরিকল্পনাতেই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।

সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আদার কত গুণ, খাওয়ার আগে জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আদাকে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছবি: ফ্রিপিক
আদাকে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ছবি: ফ্রিপিক

অনেকের কাছে হজম সমস্যার ওয়ান-স্টপ সমাধান নাকি আদা। বেকারিগুলোতে এখন জিঞ্জারব্রেড বা জিঞ্জার টোস্ট খদ্দর ধরছে আলাদা করে। এ ছাড়া সকালে অনেকে বুস্টার টনিক হিসেবে খান আদার পানি। এই সাধারণ মূলজাতীয় মসলাটি শত শত বছর ধরে আমাদের রান্নাঘর এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রান্নায় আদা ছিল একটি অপরিহার্য উপাদান, যা চীন থেকে ভারত পর্যন্ত প্রতিটি পদকে আরও সুস্বাদু করেছে। পরে এটি ইউরোপে পৌঁছায় এবং ভূমধ্যসাগর থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত মেনুতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেয়।

আজও আদা রন্ধনশিল্প ও ভেষজ চিকিৎসায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ট্রু ডাবল থ্রেট’ বা দ্বৈত ক্ষমতাসম্পন্ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি আপনাকে সতেজ করতে পারে, আবার পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে।

কী লুকিয়ে থাকে আদায়

আমরা বাজার থেকে যে তাজা আদা কিনি, তা হলো জিঞ্জিবার অফিসিনাল নামক সপুষ্পক উদ্ভিদের শিকড়। এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। তাজা, শুকনো, গুঁড়া, আচার তৈরি করে বা চা বানিয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় এটি। নিকোটিনিক অ্যাসিড, ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য ভিটামিন এ এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি-সহ আমাদের শরীরের মৌলিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর সমাহার রয়েছে এতে। এ ছাড়া এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও কপারের মতো ট্রেস মিনারেল এবং আঁশ আছে। কিন্তু আদার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ৪০০টির বেশি সক্রিয় জৈব যৌগের মধ্যে। এগুলোর মধ্যে আছে ৪০টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসবের মধ্যে জিঞ্জেরল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আদার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ৪০০টির বেশি সক্রিয় জৈব যৌগের মধ্যে। ছবি: ফ্রিপিক
আদার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে এর ৪০০টির বেশি সক্রিয় জৈব যৌগের মধ্যে। ছবি: ফ্রিপিক

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রশিক্ষক গ্রেস উইলিয়ামস বলেন, ‘যদিও আদায় সামান্য পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, তবে এর আসল ক্ষমতা এর জৈব সক্রিয় যৌগ, বিশেষত জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস থেকে আসে। এই যৌগগুলো বমি ভাব, হজম, প্রদাহ, ব্যথা উপশম, রক্তসঞ্চালন এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে গবেষণামূলকভাবে প্রমাণিত প্রভাব ফেলে।

আদা যেভাবে বমি ভাব নিরাময় করে

বমি ভাব কমাতে আদার সক্রিয় যৌগ জিঞ্জেরলস এবং শোগাওলস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস নামক অণুগুলোর উৎপাদনকে বাধা দিয়ে বমি ভাব কমায়। এই প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস হলো সেই অণু, যা পেশি সংকোচন ও ব্যথা সৃষ্টি করে।

কাঁচা আদা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। ছবি: ফ্রিপিক
কাঁচা আদা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। ছবি: ফ্রিপিক

আইবিএস ক্লিনিকের ট্রেসি র‍্যান্ডেল জানান, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস অন্ত্রের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে, প্রতিরক্ষামূলক শ্লেষ্মা তৈরিতে প্রভাব ফেলে এবং পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন আইবিএসের লক্ষণগুলো; যেমন ক্র্যাম্পিং, ব্যথা ও প্রদাহ দেখা দেয়। আদা এই রাসায়নিক মেসেঞ্জারগুলোর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। ফলে এটি হজমের সমস্যা সমাধানে এত কার্যকর। এ ছাড়া জিঞ্জেরলস ও শোগাওলস পাকস্থলীর খালি হওয়ার প্রক্রিয়া এবং হজম দ্রুত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি বমি উদ্দীপক রিসেপ্টরগুলোকে ব্লক করে। স্বস্তির বিষয় হলো, উপকারিতা পেতে খুব বেশি আদা খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ওপেন সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে, প্রতিদিন ২ হাজার মিলিগ্রাম আদা সেবন করলে বেশ কিছু হজমের সমস্যা উন্নত হতে পারে। এটি বদহজম কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে, কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এবং গ্যাস্ট্রিক-সম্পর্কিত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের পেটের আলসার থেকে রক্ষায় সাহায্য করতে পারে।

আদা খাওয়ার সেরা উপায় কী

কাঁচা, গুঁড়া, পেস্ট, কুচি কিংবা খাদ্যদ্রব্যে মিশিয়ে, এমন বিভিন্নভাবে আদা খাওয়া যায়। কাঁচা আদা সবচেয়ে ভালো। এতে উদ্বায়ী তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাজা আদা বমি ভাব ও হজমের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর। বমি ভাব ও বদহজমের তীব্র লক্ষণগুলোর ক্ষেত্রে তাজা আদা দ্রুত কাজ করে। কাঁচা আদায় বেশি পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এর উদ্বায়ী যৌগগুলো সুরক্ষিত থাকে। আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রশংসিত হলেও এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুর মৌসুমে আদা উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদার চা পান করলে ডিহাইড্রেশন কমে, গলাব্যথা উপশম হয় এবং বমি ভাব কমে। তবে এটি ঠান্ডা লাগা, ফ্লু, আরএসভি বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বা নিরাময় করে এমন কোনো মানব ট্রায়াল এখনো পাওয়া যায়নি।

আদা এড়িয়ে চলবেন যাঁরা

সাধারণত আদা সবার জন্য নিরাপদ। তবে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে উচ্চ মাত্রায় আদা গ্রহণ করলে তা রক্ত ​​পাতলা করার ওষুধ বা রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাঁরা আবেগগত বা স্নায়ুতন্ত্রের উচ্চ চাপে আছেন, তাঁদের পরিমিত আদা খাওয়া উচিত। তাঁদের জন্য উচ্চ ঘনত্বের কাঁচা আদা উদ্বেগ বা হজমের জ্বালা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ভারসাম্য রক্ষার পরিবর্তে বিপরীত ফল দিতে পারে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাশি অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

ত্বকের যত্নে কোন উপাদান বেশি কার্যকর, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরনের ওপর। রূপ বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলে আসছেন বহুকাল ধরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এ কথায় দ্বিমত পোষণ না করলেও এর সঙ্গে একটি কথা ঠিকই যোগ করেছে, তা হলো, রাশিভেদে ত্বকে ব্যবহারের উপাদান ভিন্ন হয়। পৃথিবী সৃষ্টির মৌলিক পাঁচটি উপাদান অর্থাৎ ক্ষিতি বা মাটি, অপ বা পানি, তেজ বা আগুন, মরুত বা বায়ু এবং ব্যোম বা আকাশ—অর্থাৎ স্থান একেকটি রাশির ওপর একেকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির ওপর অগ্নির প্রভাব রয়েছে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে, এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি ত্বক ঠান্ডা রাখে এমন ভেষজ ব্যবহার করেন, তাহলে উপকার মিলবে।

অন্যদিকে মাটি প্রভাবিত রাশি হলো বৃষ, কন্যা ও মকর। এরা ত্বকে পুষ্টিকর তেল ব্যবহারে সুফল পায় বলে মনে করা হয়। বায়ু প্রভাবিত রাশি তুলা, মিথুন ও কুম্ভ। এদের উচিত ভালো মানের ক্লিনজিং গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা। কর্কট, মীন ও বৃশ্চিক রাশির ত্বকে পানি খুব প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মনে করা হয়। তাদের জন্য হাইড্রেটিং সিরামের মতো উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে নিন, কোন রাশির জন্য কেমন প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের সুফল বয়ে আনে।

মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির সংবেদনশীল ত্বকের মানুষদের ব্যবহারের জন্য গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। ছবি: পেক্সেলস
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির সংবেদনশীল ত্বকের মানুষদের ব্যবহারের জন্য গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। ছবি: পেক্সেলস

জ্যোতিষশাস্ত্রের উপাদান অনুসারে

অগ্নি রাশির মানুষদের সেরা উপাদান

মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের ত্বক সংবেদনশীল হয়। কারও কারও ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। তাঁদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা জেল, ক্যামোমাইল কিংবা গোলাপের পাপড়ির মতো শান্ত, হাইড্রেটিং, প্রদাহবিরোধী উপাদানের প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার গাল, গলা ও ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এ ছাড়া এই কয়েকটি রাশির জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক খুব ভালো কাজ করে। সেটি হলো গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেল, মধু বা দুধ মিশিয়ে তৈরি প্যাক। এই প্যাক মুখে লাগানোর পর হালকা শুকিয়ে এলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষেরা দৈনন্দিন রূপচর্চায় গোলাপজল রাখতে পারেন।

মাটি প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান

বৃষ, কন্যা ও মকর রাশির মানুষদের ত্বকে শিয়া বাটার, জিংক, ভিটামিন ‘ই’ খুব জরুরি উপাদান। তাঁদের ত্বক নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া আর্দ্রতা লক করে এমন ময়শ্চারাইজার ও সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। এই ত্বকের যত্ন নিতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্র‍্যাব তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। ত্বকের এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে কফি ও চিনি। কফির সূক্ষ্ম দানা ও চিনি একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ছোট দাগ দূর করে। সমপরিমাণ কফি, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

বায়ু প্রভাবিত রাশির মানুষদের সেরা উপাদান

মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশির মানুষদের ত্বকের জন্য পটাশিয়াম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও ফেসমিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এই রাশির মানুষদের জন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফেসপ্যাক জাদুকরী ভূমিকা রাখে। কলা চটকে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে এদের ত্বক উজ্জ্বল ও আর্দ্র থাকে। টোনার হিসেবে সামান্য ফিটকিরি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ ছোট হয় ও ত্বক টান টান থাকে। তা ছাড়া, ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে আদা ও দুধের মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করলে বাড়তি লোম দূর হয় এবং ত্বকের পটাশিয়ামের ঘাটতিও পূর্ণ হয়।

বায়ু প্রভাবিত রাশির নারী-পুরুষের সেরা উপাদান

কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির মানুষের ত্বক সংবেদনশীল। তাই সম্ভাব্য শুষ্কতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ত্বকে পানির ভারসাম্য এবং যত্ন প্রয়োজন। এদের ত্বকের জন্য সামুদ্রিক খনিজ, ম্যাংগানিজ ও কোল্ড প্রেসড তেল বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাশির ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি খুব ভালো উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মেখে রাখুন শুকানো পর্যন্ত। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। গোলাপজলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত