Ajker Patrika

বেশিক্ষণ চার্জ থাকে যে স্মার্টফোনগুলোতে

প্রযুক্তি ডেস্ক
বেশিক্ষণ চার্জ থাকে যে স্মার্টফোনগুলোতে

স্মার্টফোন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। অফিসের কাজ, অনলাইন ক্লাস কিংবা বিনোদন সবকিছুই এখন স্মার্টফোনে। স্মার্টফোনের চার্জ হুটহাট শেষ হয়ে গেলে বিপদ। তাই স্মার্টফোনের ব্যাটারি হওয়া চাই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। স্মার্টফোনের ব্যাটারির এমএএইচের মান যত বেশি হবে তত বেশিক্ষণ চার্জ থাকবে। বেশিক্ষণ চার্জ থাকে এ রকম কিছু স্মার্টফোনের বর্ণনা দেওয়া হলো।

মটোরোলা
৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের মনস্টার ব্যাটারি নিয়ে মটোরোলার ‘মটো জি১০ পাওয়ার’ এখন দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৷ ২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দিয়ে এক চার্জে এই ফোন তিন দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনটির পেছনে আছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ, প্রাইমারি ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেল, ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা। সঙ্গে আছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। মটো জি১০ পাওয়ারের বিক্রয় মূল্য ১৫ হাজার ৫৯৯ টাকা। যেহেতু বেশিক্ষণ চার্জ থাকার পাশাপাশি এই স্মার্টফোনে এতগুলো সুবিধা আছে, তাই এই স্মার্টফোনটি গ্রাহকের জন্য দারুণ একটি স্মার্টফোন হতে পারে।

 শাওমি
শাওমির বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলোর চার্জ অনায়াসেই দুই থেকে তিন দিন থাকে।

শাওমি রেডমি নোট ৯ এস এই সিরিজের ৪৮ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরার ৬ জিবি এবং ১২৮ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন টিএম ৭২০ জি। আরও আছে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫০২০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

শাওমি রেডমি নোট ৯ এই সিরিজের ৪৮ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরার ৬ জিবি এবং ১২৮ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে হেলিও জি৮৫৬। ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জার থাকায় দ্রুত চার্জ হবে। এই স্মার্টফোনগুলোতে রয়েছে ৫০২০ এমএএইচ ব্যাটারি। ফলে ভালোভাবে চার্জ দিলে অনেকক্ষণ ধরে চলবে এই স্মার্টফোন।

শাওমি পোকো এক্স৩প্রো ৬ জিবি এবং ১২৮ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৬০। আরও আছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫১৬০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

শাওমি পোকো এক্স ৩ এনএফসি এই সিরিজের ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরার ৬ জিবি এবং ৬৪ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬ জিবি এবং ১২৮ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন টিএম ৭৩২ জি। আরও আছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫১৬০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

শাওমি পোকো এক্স ৩ (৬০০০ এমএএইচ এডিশন) স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২ জি। আরও আছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। পাশাপাশি থাকছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের কোয়াডকম ক্যামেরা। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা তিন দিন।

শাওমি পোকো এম ২ প্রো এই সিরিজের ৪৮ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরার মূল্য হচ্ছে ৬ জিবি এবং ৬৪ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন টিএম ৭২০ জি। আরও আছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

 ভিভো
ভিভোর বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

ভিভো ওয়াই ৫১ এর ৮ জিবি এবং ১২৮ জিবি বিশিষ্ট স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২১ হাজার ৯৯০ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২। আরও আছে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

 অপো
অপোর বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

অপো এফ ১৯ স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২১ হাজার ৯৯০ টাকা। এই স্মার্টফোনগুলোতে প্রসেসর হিসেবে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২। আরও আছে ৩০ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৫০০০ এমএএইচ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দুই দিন।

 টেকনো
টেকনোর বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

টেকনো ক্যামন ১৬ প্রিমিয়ার স্মার্টফোনটির মূল্য হচ্ছে ২২ হাজার ৯৯০ টাকা। এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা। ক্যামেরাটি দিয়ে ৪কে ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব। আরও আছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ এবং ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা দেড়দিন।

উচ্চমানের ক্যামেরা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে টেকনো স্পার্ক ৭ মডেল। স্মার্টফোনে থাকছে একটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার ব্যবস্থা। পাশাপাশি ক্যামেরা সেটআপ হিসেবে সঙ্গে থাকছে একটি ট্রিপল ক্যামেরা মডিউল। টেকনো স্পার্ক ৭টি স্মার্টফোনে থাকছে ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজের ব্যবস্থা। ফোনটিতে চালনা করার জন্য পাওয়া যাচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ ওএস। টেকনো স্পার্ক ৭টি স্মার্টফোনের গ্রাহকরা পাচ্ছে ৬০০০ এমএএইচ-এর অধিক ক্ষমতার ব্যাটারি পরিষেবা। এই স্মার্টফোনটিতে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

 স্যামসাং
স্যামসাংয়ের বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

গ্যালাক্সি এম ৬২ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এক্সিনোজ ৯৮২৫ এসওসি, ২. ৭৩ গিগাহার্টজ, ৭, ০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি, ৮ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। ৭ ন্যানোমিটার প্রসেসরযুক্ত এই ডিভাইসটি, কাটিং-এজ গেমিং এবং গ্রাফিকস পারফরমেন্সে দেয় অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এক্সিনোজ ৯৮২৫ অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং পাওয়ার এফিশিয়েন্ট যার ফলে ব্যবহারকারীরা ব্যাটারি লাইফের চিন্তা ছাড়া উন্নত পারফরম্যান্স উপভোগ করতে পারবেন।

গ্যালাক্সি এম ৬২ এর ৭,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষস্থানীয় এবং এটি অনায়াসেই তিন থেকে চার দিনের ব্যাকআপ দেবে গ্রাহককে।
স্যামসাং এর ডিভাইসের ক্ষেত্রে সব সময় শক্তিশালী পারফরমেন্স ও ব্যাটারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে এবং তাদের সর্বশেষ সংযোজনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

গ্যালাক্সি এম ১২-এ রয়েছে ৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি, অক্টাকোর এক্সিনোজ ৮৫০ চিপসেট, ৬ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি রম।

এগুলো সবই দুর্দান্ত পারফরমেন্স, ঝামেলাহীন মাল্টিটাস্কিং এবং ব্রাউজিং ও বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের সময় কম শক্তি খরচের নিশ্চয়তা দেয়। ৮ ন্যানোমিটার প্রসেসরের সঙ্গে গ্যালাক্সি এম ১২ এর ব্যাটারি অত্যন্ত পাওয়ার-এফিশিয়েন্ট এবং প্লাগ-ইন ছাড়া এক দিনেরও বেশি সময় ডিভাইসটি ব্যবহার করা যায়।

 রিয়েলমি
রিয়েলমির বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

রিয়েলমি নারজো ২০-এ রয়েছে মিডিয়াটেকের হেলিও জি৮৫ পাওয়ারফুল গেমিং প্রসেসর, আনতুতু বেঞ্চমার্কের গেমিং স্কোর দুই লাখেরও বেশি! সঙ্গে রয়েছে ৪৮-মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা এবং ছয় হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ারের দুর্দান্ত ব্যাটারি আর ১৮ ওয়াটের টাইপ সি কুইক চার্জার। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা তিন দিন।

 ইনফিনিক্স
আপনি যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারি নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্যই ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে আপনার জন্য। ইনফিনিক্সের হট সিরিজের ব্যানারে এখনো অবধি বাজারে থাকা অন্য ফোনগুলোর মধ্যে নতুন ফোনটিকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাওয়ার ম্যারাথন টেকনোলজিসহ ৬০০০ এমএএইচের ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে যা টানা ৫ দিন ব্যবহার করা যাবে। ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে’র বিশাল ব্যাটারি একবার চার্জ করে নিলে ৫৬ দিনের স্ট্যান্ডবাই সুবিধা পাওয়া যাবে। যা দিয়ে এক নাগারে ১৫৫ ঘণ্টা গান শোনা, ৫৩ ঘণ্টা কথা বলা, ১৪ ঘণ্টা গেম খেলা, ১৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট এবং ১৬ ঘণ্টা ফেসবুকে ব্রাউজ করা যাবে। এমনকি ফোনটি ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যাটারি সক্ষমতার ৫% এ পৌঁছে গেলে এতে থাকা আল্ট্রা পাওয়ার মোড অন করে অতিরিক্ত ১৯ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফের সুবিধা পাওয়া যাবে। এককথায় বলা যায়, দাম পরিসীমার মধ্যে ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে বাজারের সেরা বিনোদনবান্ধব স্মার্টফোন। এসব আকর্ষণীয় ফিচার ছাড়াও ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে ফোনটিতে ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিরাপত্তা সুবিধা রয়েছে যা খুব সহজে ও চোখের পলকে আনলক করা যাবে।

 গিওনি
গিওনির বেশ কিছু স্মার্টফোনে রয়েছে বড় ব্যাটারি। এই স্মার্টফোনগুলো দুই থেকে তিন দিন অনায়াসেই চার্জ থাকে।

গিওনি ম্যাক্স প্রো তে রয়েছে ৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি। ১০,০০০ টাকা। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা তিন দিন।

গিওনি এম ৩০ তে রয়েছে ১০,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি। ১৮,০০০ টাকা। ১৬ মেগাপিক্সেল মেইন। ১০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা চার থেকে পাঁচ দিন।

 এনের্জিজার
এনের্জিজার পাওয়ার ম্যাক্স পি১৮ত পপ তে রয়েছে ১৮,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি। ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। ১২ ‍+৫ ‍+ ২ মেগাপিক্সেল মেইন। ১০ ‍+ ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট। ৬.২ এলসিডি ডিসপ্লে। ৬ জিবি রম। ১২৮ জিবি র‍্যাম। এই বড় ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে চার্জ থাকে টানা সাত থেকে দশ দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ মিনিটের ধ্যানে কমাতে পারে মানসিক চাপ

ফিচার ডেস্ক
ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

বর্তমান জীবনে মানসিক চাপ প্রায় সবার নিত্যসঙ্গী। কাজের চাপ, দ্রুত যোগাযোগ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং সারাক্ষণ মোবাইল ও স্ক্রিনের সঙ্গে থাকা। সব মিলিয়ে আমরা অনেক সময় নিজের জন্য এক মুহূর্তও থামতে পারি না। এর ফল হিসেবে দেখা দেয় অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং ঘুমের সমস্যা। এই অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অল্প সময় ধ্যান করলেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

ধ্যান কী এবং কেন এটি সহজ

অনেকেই মনে করেন ধ্যান মানে কঠিন কিছু। বিশেষ ভঙ্গিতে বসতে হয় বা জটিল নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। ধ্যান খুবই সহজ একটি মানসিক অনুশীলন। ধ্যান বলতে মূলত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং বর্তমান মুহূর্তে নিজেকে স্থির রাখাকেই বোঝায়। এই সময় কোনো কিছু জোর করে ভাবার দরকার নেই, আবার সব চিন্তা বন্ধ করার চেষ্টাও করতে হয় না। শুধু শান্তভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই ধ্যান শুরু হয়ে যায়। ধ্যান করতে কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না, বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য আলাদা কোনো খরচও নেই। বয়স, জায়গা বা সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও কয়েক মিনিট সময় বের করে নেওয়া সম্ভব বলেই ধ্যান আজকের দিনে মানসিক চাপ কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কীভাবে উপকার পাওয়া যায়

অনেকে ভাবেন ধ্যান করতে হলে অনেক সময় দরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ই সবচেয়ে কাজে দেয়। ২০২৫ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান আমাদের জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেয়। এতে আমরা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই, চিন্তাগুলো পরিষ্কার করতে পারি এবং মানসিকভাবে নতুন শক্তি ফিরে পাই। এই ছোট বিরতিই মস্তিষ্ককে চাপ সামলাতে সাহায্য করে।

ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

সকালে ধ্যান করলে কেন বেশি লাভ

দিনের শুরুটা যেমন হয়, অনেক সময় পুরো দিনটাই তেমন কাটে। সকালে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যান করলে মন শান্ত থাকে এবং অকারণ দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্যানের সময় সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে। এর প্রভাব সারা দিন থাকে। নিয়মিত সকালে ধ্যান করলে ধীরে ধীরে শান্ত থাকা মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়।

ধ্যান ও মনোযোগের সম্পর্ক

বর্তমানে অনেকে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যায় ভোগেন। পড়াশোনা বা কাজে বসলে মন স্থির থাকে না, অল্প সময়ের মধ্যেই চিন্তা অন্যদিকে চলে যায়। নানা দুশ্চিন্তা আর কাজের চাপের কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ধ্যান করলে মস্তিষ্কের মনোযোগ ধরে রাখা, চিন্তাভাবনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অংশ সক্রিয় হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি কমে, মাথার ভেতরের অগোছালো চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে দূর হতে থাকে। ধ্যানের অভ্যাস গড়ে উঠলে কাজে মন বসানো সহজ হয়, দীর্ঘ সময় একাগ্রতা বজায় থাকে এবং কাজের মান ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে।

ধ্যান শুরু করবেন কীভাবে

ধ্যান শুরু করতে কোনো বিশেষ জ্ঞান বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আরাম করে বসে বা শুয়ে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে মন দিলেই যথেষ্ট। মনে অন্য চিন্তা এলে বিরক্ত না হয়ে আবার শ্বাসের দিকে মন ফেরাতে হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেই ধীরে ধীরে এর সুফল বোঝা যায়।

ধ্যান কোনো জাদু নয়, আবার জটিল কিছুই নয়। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও প্রতিদিন নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় বের করে নেওয়াই হতে পারে মানসিক চাপ কমানো, মন শান্ত রাখা এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে ফেরার একটি সহজ উপায়।

সূত্র: হেলথশট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বর্ষবরণের পানীয় হোক স্ট্রবেরি লেমোনেড

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২০
ছবি: মরিয়ম হোসেন নূপুর।
ছবি: মরিয়ম হোসেন নূপুর।

নতুন বছর বরণ করার সময় চলে এসেছে। রাত ১২টার ঘণ্টা জানান দেবে ২০২৬-এর আগমন। বছরের প্রথম দিনে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসব খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন স্ট্রবেরি দিয়ে তৈরি লাল পানীয়। আপনাদের জন্য স্ট্রবেরি লেমোনেডের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর

উপকরণ

স্ট্রবেরি ২টি, পানি ১/৪ কাপ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সোডা ওয়াটার ৩/৪ কাপ, সুগার সিরাপ ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি

স্ট্রবেরি পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। একটি গ্লাসে পুদিনা পাতা দিয়ে একটু থেঁত করে নিয়ে এরপর এতে লেবুর রস, ছেঁকে রাখা স্ট্রবেরি জুস এবং সুগার সিরাপ মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে সোডা ওয়াটার মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে লেবুর টুকরা এবং বরফ দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেনাকাটার আসক্তি দূর করবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক
ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

কেনাকাটা করতে সবাই ভালোবাসে। নতুন জামা, দরকারি জিনিস বা পছন্দের কিছু কিনলে মন ভালো হয়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন কেউ প্রয়োজন না থাকলেও বা টাকা নেই জেনেও বারবার কেনাকাটা করতে থাকে, তখন সেটি আর শখ থাকে না। তখন সেটি কেনাকাটার আসক্তিতে পরিণত হয়।

এই সমস্যা মানুষ বুঝতে পারে। কেনাকাটা করা ঠিক হচ্ছে না জেনেও নিজেকে থামাতে পারে না। ধীরে ধীরে এতে আর্থিক চাপ, ঋণ আর মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকে।

কেনাকাটার আসক্তি আসলে কী?

কিছু কিনলে হঠাৎ আনন্দ অনুভব করেন অনেকে। সেই আনন্দ আবার পেতে বারবার কেনাকাটা করা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কেউ নির্দিষ্ট জিনিসে আসক্ত হয় যেমন জামাকাপড়, গয়না, মোবাইল বা প্রসাধনী। আবার কেউ যা চোখে পড়ে তাই কিনে ফেলে। যেমন খাবার, অপ্রয়োজনীয় জিনিস, এমনকি জমি বা শেয়ারও।

অনেক সময় মানসিক চাপ, দুঃখ, একাকিত্ব বা রাগ থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ কেনাকাটার দিকে ঝোঁকে। কিন্তু কেনাকাটার আনন্দটা খুব অল্প সময়ের হয়। পরে আফসোস হয় এবং ঋণের বোঝা বাড়ে।

ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

  • কেনাকাটার আসক্তি অনেক সময় গোপন থাকে। বাইরে থেকে বোঝা নাও যেতে পারে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে—
  • প্রায়ই কেনাকাটার চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে
  • মন খারাপ বা চাপের সময় বাজারে ঢুকে পড়া
  • প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও জিনিস কেনা
  • কেনা জিনিস ব্যবহার না করেই পড়ে থাকা
  • ক্রেডিট কার্ডের সীমা বারবার শেষ হয়ে যাওয়া
  • পুরোনো ঋণ শোধ না করেই নতুন কার্ড নেওয়া
  • কেনাকাটার পর অল্প সময় খুব আনন্দ পাওয়া
  • পরে অনুশোচনা হওয়া, কিন্তু আবার একই কাজ করা
  • টাকা বা কেনাকাটার কথা লুকানো, মিথ্যা বলা
  • বারবার চেষ্টা করেও কেনাকাটা কমাতে না পারা

এই লক্ষণগুলো দীর্ঘদিন চললে সেটি গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

ছবি: ফ্রিপিক
ছবি: ফ্রিপিক

এর সমাধান কী?

কেনাকাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, জীবনের জন্য কেনাকাটা দরকার। তাই সমাধান হলো নিয়ন্ত্রণ শেখা।

  • অনেক ক্ষেত্রে শুরুতে—
  • কার্ড বা নগদ টাকার ব্যবহার সীমিত করা
  • পরিবারের কাউকে সাময়িকভাবে টাকা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া

খুব কাজে আসে কাউন্সেলিং বা আচরণগত থেরাপি।

থেরাপির মাধ্যমে মানুষ শেখে—

  • হঠাৎ কেনাকাটার ইচ্ছা কীভাবে থামাতে হয়
  • কোন পরিস্থিতিতে কেনাকাটা করতে মন চায় তা চিনতে
  • কেনাকাটার বদলে চাপ সামলানোর নতুন উপায়
  • সমস্যার পেছনে লুকানো মানসিক কষ্ট বুঝতে

সহায়তা কোথায় পাওয়া যায়?

অনেক দেশে এবং অনলাইনে কেনাকাটার নেশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব করা, বাজেট তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। পাশাপাশি পুনরুদ্ধার প্রোগ্রাম রয়েছে, যেখানে একই সমস্যায় ভোগা মানুষ একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এতে একাকিত্ব কমে এবং মানসিক সাহস পাওয়া যায়। আর যদি ঋণের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণ পরামর্শক সংস্থা বা অভিজ্ঞ আর্থিক পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে।

ভবিষ্যৎ কী?

যদি সময়মতো সাহায্য নেওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। মাঝেমধ্যে আবার পুরোনো অভ্যাস ফিরে আসতে পারে, এটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক সহায়তা থাকলে আবার নিয়ন্ত্রণে ফেরা যায়।

কেনাকাটার আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে ঋণ, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের দিকে নিয়ে যায়। শুরুতে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তবে সচেতনতা, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে আবার সুস্থ, নিয়ন্ত্রিত ও শান্ত জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।

সূত্র: হেলথলাইন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বর্ষবরণে যেসব শুভ রঙে নিজেকে সাজাতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৭
২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে বেগুনি রঙের পোশাক হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ
২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে বেগুনি রঙের পোশাক হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ

পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিশেষ। একটি বছর ঘুরে যখন নতুন বছর আসে, তখন আমাদের মনে জাগে একরাশ প্রত্যাশা। এই নতুন সময়ে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ করে নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। বছরের প্রথম দিন প্রতিটি কাজই আমরা এমনভাবে করার চেষ্টা করি যাতে পুরো বছরে তার একটা রেশ থাকে। পোশাকের রং নির্বাচনের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটা খাটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আসছে বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পৃথিবীর ওপর সূর্যের প্রভাব থাকবে। ফলে কয়েকটি শুভ রঙের পোশাক আলমারিতে রাখলে পুরো বছরটাই চনমনে কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি বিশেষ রংকে শক্তি, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। তবে পোশাকের রং নির্বাচনের মাধ্যমেই যে আপনি সফল হয়ে যাবেন, বিষয়টা এমন নয়। বরং, এই প্রতীকী ভঙ্গিটি আপনার মানসিক সংকল্পকে দৃঢ় করবে। ২০২৬ সালকে বরণ করতে যে ৭টি রং আপনার জীবনে শুভ বার্তা নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়েই আজকের এই ফিচার।

নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ
নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ

যেসব রঙের পোশাক আলমারিতে রাখতে পারেন

লাল

জীবনীশক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক লাল রংকে এশিয়ান সংস্কৃতিতে বিশেষ করে চীনে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে নববর্ষ—সব শুভ উপলক্ষেই লাল রং প্রাধান্য পায়। এটি নেতিবাচকতা ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার শক্তিশালী ঢাল হিসেবেও কাজ করে। এই নতুন বছরে লাল রঙের পোশাক আপনার মধ্যে সাহস ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।

সোনালি

প্রাচুর্য ও ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতীক এই রং যুগ যুগ ধরে স্বর্ণ বা মূল্যবান ধাতুর সমার্থক, যা সরাসরি সম্পদ ও ক্ষমতার জানান দেয়। নতুন বছরে যারা ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি ও সমৃদ্ধি খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সোনালি রঙের পোশাক হবে আত্মবিশ্বাসের এক চমৎকার উৎস।

রুপালি

মানসিক স্বচ্ছতা এবং অন্তর্দৃষ্টির প্রতীক রুপালি রঙের সঙ্গে চাঁদের স্নিগ্ধ আভার সম্পর্ক রয়েছে। অন্ধকারে যেমন চাঁদের আলো পথ দেখায়, তেমনই রুপালি রং প্রতিকূলতার মধ্যেও সঠিক পথ দেখায় বলে মনে করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ ও শান্ত নতুন বছরের জন্য রুপালি রঙের পোশাক বেছে নেওয়া হতে পারে বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ
প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। ছবি সৌজন্য: ওয়্যারহাউজ

সবুজ

প্রকৃতির মতোই সবুজ রং নবজীবন, বিকাশ ও সুস্থতার প্রতীক। এটি হঠাৎ আসা কোনো সৌভাগ্য নয়, বরং ধারাবাহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া টেকসই সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। যাঁরা নতুন বছরে নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর জোর দিতে চান এবং জীবনে স্থিতিশীল সমৃদ্ধি আনতে চান, তাঁদের পোশাকে সবুজের ছোঁয়া থাকা জরুরি।

নীল

মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হাজার বছর ধরে নীল রংকে অশুভ দৃষ্টি ও ঈর্ষা থেকে বাঁচার এক শক্তিশালী কবচ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া নীল রঙের মাহাত্ম্য মানসিক প্রশান্তি, ভারসাম্য ও স্থিরতার ধারক হিসেবেও রয়েছে। আধুনিক জীবনের চরম অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা কাটিয়ে যাঁরা নতুন বছরে স্থিতিশীল থাকতে চান, নীল রঙের পোশাক হবে তাঁদের জন্য এক ধরনের আশ্রয়ের মতো, যা আপনাকে সুরক্ষার অনুভূতি দিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

সাদা

সাদা রঙের দুটি বিশেষ দিক রয়েছে। এটি যেমন বিদায়কে সম্মান জানায়, তেমনই নতুনের পবিত্রতাকেও তুলে ধরে। পুরোনো বছরের সব ক্লান্তি মুছে ফেলে যারা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান, সাদা রং তাদের জন্য সেরা। এটি যেন জীবনের এক ‘ব্ল্যাঙ্ক পেজ’ বা সাদা পাতার মতো, যেখানে আপনি নিজের মতো করে নিজের জীবনের গল্প লিখতে পারবেন।

বেগুনি

ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, বেগুনি রং একসময় সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এটি শুধু রাজপরিবার, সম্রাট এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের পোশাকের জন্যই বরাদ্দ থাকত। এর মূল কারণ ছিল এই রঙের দুষ্প্রাপ্যতা এবং উচ্চমূল্য। এখনো এই রংকে ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়। ২০২৬ সালে নিজের ব্যক্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে এই রং হতে পারে এক অনবদ্য পছন্দ।

সূত্র: গ্ল্যামার ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত