Ajker Patrika

শীতের মৌসুমে শরীর উষ্ণ রাখবে ৫ খাবার

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ০০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবুও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন শরীর গরম রাখার জন্য আরও কার্যকর উপায় হতে পারে।

শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা শুধু গরম রাখে না, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।

জাফরান

জাফরান শুধু খাবারের রং বা স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয় না। শীতের দিনে এটি শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে গরম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর। জাফরানে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যালস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজকে স্বস্তিদায়ক রাখে। গরম দুধের সঙ্গে দু-তিন স্ট্র্যান্ড জাফরান মিশিয়ে খেলে শরীর চাঙা থাকে এবং ঠান্ডা কম লাগে। জাফরান রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ভেতরের উষ্ণতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে মানসিক স্বস্তি দেয়। শীতকালে সকালের বা রাতের এক কাপ গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মেজাজ ঠিক রাখে। চাইলে সামান্য দারুচিনি বা মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ এবং গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

মসলা

মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি শীতের দিনে শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচ এবং হালকা শুকনো মরিচ শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শীতকালে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, ফলে হাত-পা শীত অনুভব করে। মসলা এটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রান্নায় মসলার সঠিক ব্যবহার শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সারা দিন প্রাণবন্ত রাখে।

আদা

আদা শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য প্রাকৃতিক ‘হিটার’ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম উন্নত করে এবং শক্তি জোগায়। সকালে এক কাপ আদা চা আপনাকে সারা দিন সতেজ রাখে। শুকনো আদা ব্যাগের সঙ্গে রাখলে বাইরে বেরোতেও ঠান্ডা কম লাগে। চাইলে আদা চা সামান্য দারুচিনি, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ ও গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। নিয়মিত গ্রহণ করলে এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাদাম ও খেজুর

শীতের সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। এই সময়ে শরীরকে শক্তিশালী রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। বাদাম ও খেজুর এমন দুটি খাবার, যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ‘ই’ শরীরকে শক্তি দেয় এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি জোগায়। এই খাবারগুলো সহজে পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনমতো দ্রুত খাওয়া যায়। শীতকালে অল্প পরিমাণে বাদাম ও খেজুর খেলে শরীরকে সজীব রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মধু

মধু প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে এবং সর্দি-কাশি কমাতে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ঠান্ডা কম অনুভূত হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। সকালে বা রাতে খাঁটি মধুর এক চামচ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করা যায়। তবে মধু কেনার সময় খাঁটি কি না, তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রক্রিয়াজাত বা মিশ্রিত মধু এই কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

শীতের দিনে গরম থাকার জন্য অতিরিক্ত টিপস

দিনের ছোট ছোট সময়ে হালকা গরম খাবার গ্রহণ করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শীতকালে মানুষ কম পানি পান করে, যা শরীরের কার্যকারিতা কমায়।

বাইরে বের হতে গেলে গরম জামা-কাপড় এবং এক কাপ গরম পানীয় সঙ্গে রাখলে ঠান্ডা কম লাগে।

সূত্র: ন্যাচার বে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ